বিচারপতি কে. এম. হাসান (জন্ম: ৩ জানুয়ারি ১৯৩৯)[১] বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ এবং ১৩-তম প্রধান বিচারপতি

মাননীয় প্রধান বিচারপতি
কে. এম. হাসান
১৩তম বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি
কাজের মেয়াদ
২৩ জুন ২০০৩ – ২ জানুয়ারি ২০০৪
পূর্বসূরীবিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরী
উত্তরসূরীবিচারপতি সৈয়দ জে. আর. মোদাচ্ছির হোসেন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম৩ জানুয়ারি ১৯৪০
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
বাসস্থানঢাকা
পেশাআইন
জীবিকাআইনবিদ
ধর্মইসলাম

জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি সম্পাদনা

কে. এম. হাসানের জন্ম ১৯৩৯ সালের ৩ জানুয়ারি তারিখে।

শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

কর্মজীবন সম্পাদনা

২০০৩ সালের ২২ জুন তারিখে বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরীর অবসর গ্রহণের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের ১৩-তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে কে. এম. হাসানকে নিয়োগ প্রদান করেন[২] এবং তিনি ২০০৩ সালের ২৩ জুন তারিখে প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন ও ২০০৪ সালের ২ জানুয়ারি তারিখে ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন।[৩][৪]

এখানে উল্লেখ্য যে,বিচারপতি হাসানের অবসর গ্রহণের পর-পরই বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়স-সীমা ৬৫ (পয়ষট্টি) বছরের পরিবর্তে ৬৭ (সাষট্টি) বছর হিসাবে নির্ধারণ করা হয়।[৫][৬][৭]

রচনাবলী সম্পাদনা

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

লগি বৈঠা র‍্যালি সম্পাদনা

উক্ত সমাবেশের মূল দাবি ছিল ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হওয়ার কথা ছিল তার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বিচারপতি কে. এম. হাসানকে নিয়োগ প্রদান না করা, যার কারণ ছিল তিনি এক সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ছিলেন। তৎকালীন আওয়ামী লীগের মতে, কে এম হাসান যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারেন সে জন্য বিএনপি সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা বাড়িয়ে দিয়েছিল। ২৮ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছাড়লেও অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন। আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোর অভিযোগ ছিল যে, তিনি বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার নির্দেশে চলছিল। আওয়ামী লীগ ও তার মিত্র দলগুলো ২৮ অক্টোবর পল্টন এলাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ ডাক দেয়, সেখানে অনেকে লগি-বৈঠা নিয়ে হাজির হয়। একই দিন বিএনপিজামায়াতে ইসলামী বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে পাল্টা সমাবেশ ডাকে। ফলে চলমান সংঘর্ষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটে, ঐ দিন থেকে পরবর্তী একমাসের মধ্যে ৪০ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়[৮] এবং সংবাদমাধ্যমে হত্যা ও আক্রমণের বেশ কিছু স্পর্শকাতর ভিডিওচিত্র প্রকাশিত হয়।[৯][১০] জামায়াতে ইসলামী দাবি করে যে, এ মোকাবেলায় তাদেরই বেশি সংখ্যক নেতাকর্মী নিহত হয়েছে।[১১] টানা তিন-চার দিন বিএনপি-জামায়াত বিরোধীরা গুলিস্তান-পল্টন এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর মধ্যে বিচারপতি কে এম হাসান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের পদ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান,[১২] যার ফলে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী দলগুলোর দাবি রক্ষিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি আইন জারি হয় এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়।[১৩]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বিচারপতি কেএম হাসানকে প্রধান উপদেষ্টা করার জন্যই বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হয়েছে"। ৮ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৫ 
  2. "বঙ্গভবনের সেই দিনগুলো"। ১০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৫ 
  3. "ওয়ান ইলেভেন বিএনপির সৃষ্টি"। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-০৯ 
  4. সংকটের দিকে যাচ্ছে আগামী দিনের রাজনীতি।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. সামরিক শাসন জারি করতে চেয়েছিলেন জেনারেল মঈন।
  6. "তত্ত্বাবধাযক সরকার সাংবিধানিক নয় নৈতিক সঙ্কট"। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৫ 
  7. "ওয়ান-ইলেভেন নিয়ে মুখ খুললেন মোখলেস চৌধুরী"। ৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৫ 
  8. Rahman, Waliur (২০০৭-০১-০৮)। "Is Bangladesh heading towards disaster?"BBC। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০১-১১ 
  9. Ahmed, Rumi (২৪ এপ্রিল ২০১৩)। "The war of brutal videos and our handicapped conscience"Dhaka Tribune। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২০ 
  10. "২৮ অক্টোবর: ইতিহাসের এই দিনে যা হয়েছিল"somoynews.tv (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২০ 
  11. "লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা : শিবির নেতার বক্তব্য"Daily Nayadiganta। ২৮ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২০ 
  12. "কে এম হাসান প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন না"www.bbc.com। ২৮ অক্টোবর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২০ 
  13. আহমেদ, আসিফ (২৯ অক্টোবর ২০১৬)। "লগি-বৈঠার এক দশক"সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২০ 

বহি:সংযোগ সম্পাদনা