কুরুখ

উইকিমিডিয়ার দ্ব্যর্থতা নিরসন পাতা

কুরুখ (কুরুক্স, ওঁরাও বা উরাও নামেও পরিচিত,[২] দেবনাগরী লিপিতেঃ कुड़ुख़) একটি দ্রাবিড় ভাষা। উড়িষ্যার ওরাওকিসান জাতী ও ভারতের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল( বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, ছত্রিশগড় এবং পশ্চিম বঙ্গ) এর প্রায় বিশ লক্ষ লোক, উত্তর বাংলাদেশের ৫০ হাজার লোক কুরুখ ভাষায় কথা বলে। কুরুখ ভাষার উপভাষা ধানগড় ভাষায় নেপাল এর ২৮,৬০০ এবং ভুটান এর ৫,০০০ লোক কথা বলে।

কুরুখ
कुड़ुख़
দেশোদ্ভববাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান
অঞ্চলউড়িষ্যা
জাতিকুরুখ জাতী
মাতৃভাষী
c. 2 million (2001)[১]
উপভাষা
তোলং সিকি, দেবনাগরী লিপি
ভাষা কোডসমূহ
আইএসও ৬৩৯-২ক্রু
আইএসও ৬৩৯-৩বিভিন্ন প্রকার:
kru – Kurukh
kxl – Nepali Kurux (Dhangar)
xis – Kisan

শ্রেণী সম্পাদনা

কুরুখ ভাষা দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর উত্তর দ্রাবিড়ীয় ভাষাগোত্রের অন্তর্ভুক্ত।[৩] এটা সুরিয়া পাহাড়িয়া এবং কুমারভাগ পাহাড়িয়া ভাষার সাথে সম্পর্কযুক্ত। এবং এই দুই ভাষাকে প্রায়শই একত্রে মালতো বলে ডাকা হয়।[৪] কুরুখ ভাষা দেবনাগরী লিপিতে লেখা হয়। দেবনাগরী লিপিতে সংস্কৃত, হিন্দী, মারাঠী, নেপালী ভাষাসহ অন্যান্য ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ লেখা হয়। ড. নারায়ন ওঁরাও নামে একজন মেডিক্যাল ডাক্তার কুরুখ ভাষার জন্য তোলং লিপি উদ্ভাবন করেন। অনেক বই এবং সাময়িকী তোলং সিকি লিপিতে প্রকাশিত হয়েছে। ভারতের কুরুখ সাহিত্য সোসাইটি কুরুখ সাহিত্যের জন্য তোলং লিপি সম্প্রসারণে কাজ করছে।

অন্য নাম সম্পাদনা

কুরুখ ভাষার একাধিক নামে পরিচিত। বিভিন্ন এলাকার লোক একে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকে। উরাও, কুরুক্স, কুনরুখ, কুন্না, উরাং, মর্ভা, বিরহর ইত্যাদি। কুরুখ ভাষার দুইটি উপভাষা হচ্ছে ওঁরাও ও কিসান। এই দুই ভাষার মধ্য ৭৩ ভাগ শব্দের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ধ্বনিতত্ত্ব সম্পাদনা

কুরুষ ভাষা উচ্চারণে মুখ এবং নাসারন্ধ্রের ব্যবহার বেশি।[৫]

তথ্য উৎস সম্পাদনা

  1. এথ্‌নোলগে Kurukh (১৭তম সংস্করণ, ২০১৩)
    এথ্‌নোলগে Nepali Kurux (Dhangar) (১৭তম সংস্করণ, ২০১৩)
    এথ্‌নোলগে Kisan (১৭তম সংস্করণ, ২০১৩)
  2. http://glottolog.org/resource/languoid/id/nepa1253
  3. Stassen, Leon (১৯৯৭)। Intransitive Predication। Oxford Studies in Typology and Linguistic Theory। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 220আইএসবিএন 978-0199258932 
  4. PS Subrahmanyam, "Kurukh", in ELL2. Ethnologue assigns Nepali Kurux a separate iso code, kxl.
  5. Masica, Colin P. (২০০৩)। "South Asian Languages"। International Encyclopedia of LinguisticsOxford Reference। Oxford University Press। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা