কাবিননামা বলতে বিবাহ সম্পাদনের লিখিত চুক্তি বোঝায়। একে নিকাহনামা বলেও উল্লেখ করা হয়। বিবাহ সম্পাদনের জন্য বা বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য ‘কাবিননামা’ অপরিহার্য নয়। কাবিননামা একটি আইনি বাধ্যবাধকতা। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক মনোনীত কাজী সরকার নির্ধারিত ছকে কাবিননামা সম্পাদন করে থাকেন। স্ত্রীর প্রাপ্য দেনমোহর আদায়, স্ত্রীর ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার নির্ণয়, সন্তানের পিতৃত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথাযথভাবে নিবন্ধিত কাবিননামা একটি আইনি দলিল। [১]

১৮৭৪ সালের একটি কাবিননামা।
কনে নিকাহ নামা (কাবিননামা)-তে স্বাক্ষর করছেন।

কাঠামো সম্পাদনা

মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন ১৯৭৪ মোতাবেক অনুযায়ী প্রতিটি বিবাহ নিবন্ধন করতে হবে। উক্ত আইনে বিবাহ নিবন্ধন না-করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সরকার নির্ধারিত কাজী সরকার নির্ধারিত ছকে বিবাহের নিবন্ধন করবেন। যে কাগজে এই নিবন্ধন করা হয় তা-ই কাবিননামা নামে পরিচিত। কাবিননামায় যা অবশ্যই থাকবে তা হলো: বিবাহের ও নিবন্ধনের তারিখ, স্বামী ও স্ত্রীর নাম, পরিচয় ও বয়স, বিবাহের সাক্ষীদের নাম ও পরিচয়, বিবাহের দেনমোহরের পরিমাণ এবং তা আদায়ের ও বাকীর পরিমাণ, কাজীর সাক্ষর ও সিলমোহর ইত্যাদি।

শর্তাবলী সম্পাদনা

মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন ১৯৭৪ মোতাবেক অনুযায়ী প্রতিটি বিবাহ নিবন্ধন করতে হবে। সরকার নির্ধারিত কাজী বিবাহের নিবন্ধন করবেন। বিবাহ নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বরপক্ষ নিবন্ধন ফি প্রদান করবে। বিয়ে নিবন্ধনের পর কাজী তথা নিকাহ রেজিষ্টার স্বামী ও স্ত্রীকে কাবিননামার সত্যায়িত কপি প্রদানে বাধ্য। নিবন্ধনের সময় কাজী যাচাই করবেন (ক) স্বামীর বয়স কমপক্ষে ২১ এবং স্ত্রীর বয়স কমপক্ষে ১৮ হয়েছে কিনা, বিবাহে স্বামী ও স্ত্রী’র পূর্ণ সম্মতি রয়েছে কি-না, (গ) বিয়ের সাক্ষীগণ উপস্থিত কি-না এবং (ঘ) দেমমোহরের পরিমাণ যথাযোগ্য কি-না এবং তার কত অংশ আদায় করা হয়েছে। এ সমব বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কাজী নিবন্ধনে অগ্রসর হবেন।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ই-তথ্যকোষ"। ২১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 

আরো দেখুন সম্পাদনা