কাজুও ইশিগুরো
কাজুও ইশিগুরো নোবেলবিজয়ী একজন খ্যাতনামা ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক। তিনি জাপানী বংশোদ্ভূত লেখক ছোটবেলায় যুক্তরাজ্যে চলে আসেন পরিবারের সাথে, এবং ইংরেজি ভাষাতেই সাহিত্যচর্চা করে থাকেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৭ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১]
কাজুও ইশিগুরো | |
---|---|
জন্ম | নাগাসাকি, জাপান | ৮ নভেম্বর ১৯৫৪
পেশা | ঔপন্যাসিক |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
সময়কাল | ১৯৮১-বর্তমান |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | দ্য রিমেইনস অফ দ্য ডে নেভার লেট মি গো |
সন্তান | Naomi Ishiguro (1992) |
প্রাক জীবন সম্পাদনা
ইশিগুরোর জন্ম ১৯৫৪ সালে, জাপানের নাগাসাকি শহরে। ১৯৬০ সালে তাদের পরিবার ইংল্যান্ডে চলে যায়। ১৯৭০ সালে ইউনিভার্সিটি অব কেন্ট থেকে ইংরেজি ও দর্শনে স্নাতক শেষে ইউনিভার্সিটি অব এঙ্গেলিয়াতে পড়েন সৃজনশীল সাহিত্য নিয়ে৷ [২]
সাহিত্যজীবন সম্পাদনা
টাইম ম্যাগাজিনের জরিপে ১৯৪৫ সাল-পরবর্তী ব্রিটিশ লেখকদের মধ্যে ইশিগামির অবস্থান বত্রিশতম।[৩] তার প্রথম উপন্যাস ‘আ পেইল ভিউ অফ হিলস’[৪]৷ ইশিগামির লেখা আটটি বই মোট চল্লিশটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। কাজুও ইশিগুরোর উপন্যাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো 'দ্য রিমেইন্স অব দ্য ডে' এবং 'নেভার লেট মি গো'। এ দুটি উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রও তৈরি করা হয়েছে।[৫] ইশিগুরোর লেখার ধরন, চিন্তাভাবনা, এবং তার গল্পের বিষয় সমসাময়িক অনেক লেখকের তুলনায় ব্যতিক্রমী। ১৯৮৯ সালে ‘দ্য রিমেইন্স অব দ্য ডে’ বইয়ের জন্য ইশিগুরো ম্যান বুকার পুরস্কারে ভূষিত হন। অতীত বা ফেলে আসা জীবন ইশিগুরোর উপন্যাসশৈলীর একটি বিশেষ অঙ্গ।
সুইডিশ কমিটির পক্ষ থেকে এই ব্রিটিশ লেখকের ব্যাপক প্রশংসা করে বলা হয় হয় "এই লেখক নিজের আদর্শ ঠিক রেখে, আবেগপ্রবণ শক্তি দিয়ে বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সংযোগ ঘটিয়েছেন"।[৬] তার লেখা বইগুলো হচ্ছে:
- আ পেল্ ভিউ অফ্ দ্য হিল্স্ (১৯৮২)
- এন আর্টিস্ট অফ্ দ্য ফ্লোটিং ওয়ার্ল্ড (১৯৮৬)
- দ্য রিমেইন্স অফ্ দ্য ডে (১৯৮৯)
- দ্য আন্কন্সোল্ড (১৯৯৫)
- ওয়েন উই ওয়ের অর্ফ্যান্স্ (২০০০)
- নেভার লেট মি গো (২০০৫)
- দ্য ব্যুরিড জায়ান্ট (২০১৫)
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "সাহিত্যের নোবেল পেলেন ব্রিটিশ লেখক কাজুও ইশিগুরো"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "সাহিত্যে নোবেল কাজুও ইশিগুরোর"। আনন্দবাজার। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "নোবেল জয়ী কাজুও ইশিগুরো'র গল্প 'সাঁঝের পরের গ্রাম'"। বাংলা ট্রিবিউন। ৯ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "সাহিত্যে নোবেল পেলেন কাজুও ইশিগুরো"। ডয়েশে ভেলে। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সাহিত্যে নোবেল"। নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সাহিত্যে নোবেল জিতলেন ব্রিটিশ লেখক কাজুও ইশিগুরো"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৭।
পুরস্কার | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী পিটার ক্যারে |
ম্যান বুকার পুরস্কার বিজয়ী ১৯৮৯ |
উত্তরসূরী এ এস বায়াত |