কাকিনাড়া (যা পূর্বে কোকনড় বা কোকনড়বরম নামে পরিচিত ছিলো) উচ্চারণ হলো দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের পূর্ব গোদাবরী জেলার জেলাসদর এবং আয়তনে বৃহত্তম নগর।[৫] পূর্ব গোদাবরী জেলায় জনসংখ্যার বিচারে রাজমহেন্দ্রী শহরের পরেই কাকিনাড়ার স্থান।

কাকিনাড়া
কোকনড়
শহর
কাকিনাড়ার বৈমানিক দৃশ্য
কাকিনাড়ার বৈমানিক দৃশ্য
কাকিনাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ-এ অবস্থিত
কাকিনাড়া
কাকিনাড়া
ভারত তথা অন্ধ্রপ্রদেশে কাকিনাড়ার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ১৬°৫৭′৫৮″ উত্তর ৮২°১৫′১৮″ পূর্ব / ১৬.৯৬৬১১° উত্তর ৮২.২৫৫০০° পূর্ব / 16.96611; 82.25500
রাষ্ট্র ভারত
রাজ্যঅন্ধ্রপ্রদেশ
জেলাপূর্ব গোদাবরী
পৌরসভা প্রতিষ্ঠা১৮৬৬
সরকার[২]
 • ধরনপৌরনিগম
 • শাসককাকিনাড়া পৌরনিগম
 • মেয়রসুঙ্করা পাবণী[১]
 • সাংসদবঙ্গা গীতা
আয়তন[৩]
 • শহর১৬৪ বর্গকিমি (৬৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা [৩][৪]
 • শহর৩,১২,৫৩৮
 • জনঘনত্ব১,৯০০/বর্গকিমি (৪,৯০০/বর্গমাইল)
 • মহানগর[৩]৪,৪৩,০২৮
সাক্ষরতা
 • সাক্ষর২,২৮,০৩৪
 • সাক্ষরতার হার৮০.৬২%
ভাষা
 • দাপ্তরিকতেলুগু
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
পিন৫৩৩০০১, ৫৩৩০০২, ৫৩৩০০৩, ৫৩৩০০৪, ৫৩৩০০৫, ৫৩৩০০৬, ৫৩৩০১৬
এলাকা কোড+৯১–৮৮৪
যান নিবন্ধনএপি- ০৫, ০৬ (AP- 05, 06)
ওয়েবসাইটKakinada Municipal Corporation
কাকিনাড়ার সর্পবরম মন্দির থেকে প্রাপ্ত লিপি

বৈশ্বিকভাবে কাকিনাড়া শহরটি কাকিনাড়া খাজার জন্য সারা বিশ্বে সমাদৃৃত। এছাড়াও সুপরিকল্পিত নগর হিসাবে কাকিনাড়ার নাম রয়েছে। ভারতীয় সময়ের প্রমাণ রেখাটি এই শহরেরই দ্রাঘিমাংশ। শহরটিতে একটি রাস্তার দুধারে রয়েছে মোট বারোটি প্রেক্ষাগৃহ, ফলে রাস্তাটি বর্তমানে "সিনেমা রোড" নামে অধিক পরিচিত। মাদ্রাজ তথা চেন্নাইতে একইরকম রাস্তার বরাবর সিনেমা হল থাকার দরুন কাকিনাড়াকে দ্বিতীয় মাদ্রাজ বলা হয়ে থাকে। শহরটি নৈসর্গিক শোভার কারণে পর্যটকদের কাছে পরিচিত।

কাকিনাড়ায় জন্ম নিয়েছেন তেলুগু চলচ্চিত্রের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী। তারা হলেন: সূর্যকান্তম, রাও গোপালরাও, কৃষ্ণ ভগবান, গৌতম রাজু, সাঈরাম প্রমূখ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অন্তর্গত একশটি স্মার্ট সাটির মধ্যে কাকিনাড়া একটি।[৬] অন্ধ্রপ্রদেশের দ্রুত উন্নতিশীল শহরগুলির মধ্যে এই শহরটি অন্যতম অগ্রগণ্য।

নামকরণের ইতিহাস সম্পাদনা

বর্তমান কাকিনাড়া শহরের অনতিদূরে কাকিনন্দীবড় নামের গ্রামটি এককালে ছিলো ওলন্দাজদের উপনিবেশ।[৭] তারা এই অঞ্চল জুড়ে শাড়ী আমদানী-রপ্তানীর ব্যবসা চালু করেন। তেলুগু ভাষায় শাড়ীর অর্থ "কোকা", এখান থেকে কোক-নড় বা কাকিনাড়া নামটি এসেছে।[৮] প্রথমবার কানাডীয় ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠিত করার পর থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও এ নামের ব্যবহার অব্যাহত রাখে। ভারতের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর সরকারীভাবে স্থানটি "কাকিনাড়া" নামে পরিচিতি পায়। কেউ কেউ মনে করেন শ্রীরাম এই স্থানে কাকাসুরকে বধ করতে উদ্যত হলে রামের বাণে তিনি চক্ষুহারা হন। অপর একটি মতে, ইক্ষ্বাকু বংশের এক রাজার স্থাপিত নগর ছিলো কাকিনন্দীবড়, সেখান থেকে কাকিনাড়া নামটি এসে থাকতে পারে। আবার আরেক দল পণ্ডিত মনে করেন, সমুদ্রতটে মাছ ধরার জন্য কাকেরই একটি প্রজাতি "কাকুলবড়" এর নাম থেকে কাকিনাড়া নামটি এসেছে।[৯]

জনতত্ত্ব সম্পাদনা

২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে কাকিনাড়ার মোট জনসংখ্যা ৪৪৩০২৮ জন, যার মধ্যে ২২২৪৬১ জন পুরুষ ও ২২০৫৬৭ জন নারী।[১০][১১] শহরটিতে ১০১টি ঘিঁচি বস্তি চিহ্নিত করা হয়েছে, যা মূল শহরটির ৪১% জনসংখ্যা তথা ১৩২১৮৫ জনের বাসস্থান। এটি ভারতের ১১৫তম বৃৃৃৃহত্তম শহর ও অন্ধ্রপ্রদেশে দ্রুত উন্নতিশীল শহরগুলির একটি।[১২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Sunkara Pavani is Mayor of Kakinada"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৯ 
  2. M. N., Samdani (১২ মে ২০১৫)। "Andhra Pradesh's move to supply Krishna water to Coca-Cola plant irks opposition"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। Mangalagiri। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৯ 
  3. "India Smart City Profile" (পিডিএফ)Smart Cities Mission। পৃষ্ঠা 1। ২৭ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৯ 
  4. "Municipalities, Municipal Corporations & UDAs" (পিডিএফ)Directorate of Town and Country Planning। Government of Andhra Pradesh। পৃষ্ঠা 41। ১৭ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৬ 
  5. Kalavalapalli, Yogendra (১৯ জুলাই ২০১৬)। "Pensioner's paradise Kakinada coming of age"Livemint। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৭ 
  6. "Govt. announces list of first 20 smart cities under 'Smart Cities Mission'"The Hindu। ২৮ জানুয়ারি ২০১৬। 
  7. srinivas, vadrevu (২৪ নভেম্বর ২০১৫)। "Dutch building in Kakinada cries for attention"Deccan Chronicle 
  8. KUMAR, V. RISHI। "Kakinada: 'Pensioner's paradise' goes fishing for more"@businessline 
  9. "History"Official website of Kakinada Municipal Corporation। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৬ 
  10. "Kakinada Census 2011"Census 2011 
  11. "Kakinada Metropolitan Population"Census 2011 
  12. "Kakinada Snapshot" (পিডিএফ)SMART CITY KAKINADA