কলকাতার শেরিফ, (Sheriff) কলকাতার একজন বিশিষ্ট নাগরিকের উপর এক বছরের জন্য অর্পিত একটি অরাজনৈতিক ঔপাধিক কর্তৃত্ব। শেরিফের একটি অফিস এবং কর্মী থাকে কিন্তু নির্বাহী ক্ষমতা থাকে না। অগ্রগণ্যতা ক্রমানুসারে, শেরিফ মেয়রের ঠিক পরবর্তী পদ। ভারতের একমাত্র মুম্বইকলকাতায় এই ঐতিহ্যবাহী পদটি বজায় আছে। শেরিফের কলকাতা হাইকোর্টে একটি পৃথক অফিস থাকে।

শেরিফের দপ্তর, কলকাতা উচ্চ আদালত

শেরিফ বিভিন্ন শহর সংক্রান্ত কার্যাবলী এবং সম্মেলন সভাপতিত্ব করেন এবং সরকারের বিদেশী অতিথিদের অভ্যর্থনার দায়িত্বে থাকেন।

অমল চক্রবর্তী, একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ১ জানুয়ারি ২০০৬ সালে কলকাতার শেরিফ  হয়েছিলেন। [১] তিনি বিশিষ্ট ফুটবল খেলোয়াড় চুনী গোস্বামীর থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২০১০ সালে শ্রী উৎপল চট্টোপাধ্যায়, অধ্যাপক আই আই এস ডব্লিউ বি এম কলকাতার শেরিফ হিসেবে দায়িত্ব নেন।

২০১৩ সালে ডঃ স্বপন কুমার ঘোষ একজন উল্লেখযোগ্য চিকিৎসক কলকাতার শেরিফ হিসেবে দায়িত্ব নেন।

এই পদে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগণ সম্পাদনা

এই পদে বহাল থাকা ব্যক্তিগণের মধ্যে রয়েছেন:

  • শেঠ আররাটুন আপকার ( কলকাতার প্রথম আর্মেনিয়ান শেরিফ )
  • ম্যাকেরিচ জন।
  • শ্রীমতি সুচিত্রা মিত্র এই পদের জন্য প্রথম নির্বাচিত নারী(২০০১)। [২]
  • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়(২০০২)
  • ব্যারন কেবল (১৯০৫)
  • মহেন্দ্রলাল সরকার (১৮৮৭)
  • রাজা দিগম্বর মিত্র (১৮১৭-১৮৭৯), রাজনীতিবিদ ও লেখক এবং প্রথম বাঙালি শেরিফ (১৮৭৪)
  • মানেকজি রুস্তমজি, প্রথম ভারতীয় শেরিফ (১৮৭৩)
  • জেমস McKilligin (১৮৪৬)
  • ডেভিড হেয়ার (বিশ্বপ্রেমিক) (১৮৪০)
  • জেমস ম্যাকে, ইনকেপের ১ম আর্ল
  • জর্জ ইউল
  • নলিন বিহারী সরকার, ১ম বাঙালি শেরিফ কলকাতা
  • ডক্টর.কে. কে. এইচ. সিদ্দিকী (১৯৯১), পশ্চিমবঙ্গের গভর্নরের সাম্মানিক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।
  • সুনীল ঠাকুর (অস্থিবিশেষজ্ঞ)
  • রঞ্জিত মল্লিক (অভিনেতা)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা