কটক জেলা

ওড়িশার একটি জেলা

কটক জেলা(ওড়িয়া: କଟକ ଜିଲ୍ଲା, প্রতিবর্ণী. কটক জিল্লা) ওড়িশার একটি প্রাচীনতম জেলাকটক এই জেলার সদর দপ্তর এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং ওড়িশার বাণিজ্যিক রাজধানী নামে পরিচিত।[১]

কটক জেলা
କଟକ ଜିଲ୍ଲା
জেলা
Badambadi bus stand
Badambadi bus stand
কটক জেলার অফিসিয়াল সীলমোহর
সীলমোহর
কটক জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২০°২৭′৫৮″ উত্তর ৮৫°৪৯′৫৯″ পূর্ব / ২০.৪৬৬° উত্তর ৮৫.৮৩৩° পূর্ব / 20.466; 85.833
দেশ ভারত
রাজ্যওড়িশা
প্রশাসনিক বিভাগকেন্দ্রীয় ওড়িশা বিভাগ
সদর দপ্তরকটক
আয়তন
 • মোট৩,৯৩২ বর্গকিমি (১,৫১৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২৬,২৪,৪৭০
ভাষা
 • দাপ্তরিকওড়িয়া
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)
লিঙ্গ অনুপাত/
সাক্ষরতার হার৮৫.৫%
জলবায়ুএ.ডব্লিউ. (কোপেন)
ওয়েবসাইটwww.cuttack.nic.in

কৃষি সম্পাদনা

কটক শহরের উত্তরে মহানদী নদী এবং এর দক্ষিণে কাঠযোড়ি নদী প্রবাহিত। নানা ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকা সত্বেও জেলার ৭৬ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত অসংখ্য নদী এবং খাল একে কৃষিপ্রধান অঞ্চলে পরিণত করেছে। ধান, কলাই (ডাল জাতীয় শস্য), হলুদ, আখ, তেল বীজ, পাট, নারিকেল এই জেলার প্রধান শস্য। কটক প্রধান শস্য-রপ্তানিকারক জেলা হিসেবে ওড়িশার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।[১]

শিল্প সম্পাদনা

এখানে অনেক বড় ও মাঝারি শিল্প রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ইন্ডিয়ান মেটাল্‌স এন্ড ফেরো অ্যলয়স লিমিটেড, প্রদীপ অক্সিজেন প্রাইভেট লিমিটেড এবং চুম্বক শিল্পের নাম উল্লেখ করা যায়। এছাড়াও এখানে রাসায়নিক, বস্ত্র, চামড়া শিল্পসহ আরো অনেক ধরনের ছোট ও ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে। ভারতের স্বনামধন্য ও আন্তর্জাতিক অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের শাখা রয়েছে এখানে। যেমনঃ ওডিশা সিমেন্ট লিমিটেড, টাটা পাওয়ার, ভিসা পাওয়ার, নীলাচল পাওয়ার, আরতি স্টিল্‌স লিমিটেড ইতাদি। হস্ত ও কুটির শিল্পের জন্য এ জেলার রয়েছে বিশেষ খ্যাতি। রৌপ্য শিল্পের জন্য এই জেলা বিখ্যাত।[১]

ভাষা সম্পাদনা

কটক জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ -

২০১১ অনুযায়ী কটক জেলার ভাষাসমূহ[২]

  ওড়িয়া (৯১.৩৬%)
  উর্দু (৪.৬৬%)
  হিন্দী (১.২৭%)
  বাংলা (০.৮৬%)
  তেলুগু (০.৭৮%)
  অন্যান্য (১.০৭%)

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা

এ জেলায় অনেক গুনগত মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন- মাধ্যমিক বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়, মধুসুদন আইন মহাবিদ্যালয়, রেভেন্সা বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। এছাড়াও এখানে অনেক টেকনিক্যাল ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন- ভুবনানন্দ ওড়িশা স্কুল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (BOSE), ইন্সটিটিউট অব প্রফেশনাল স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ (IPSAR), ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, (ITT), জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়, ওড়িশা (NLU), শ্রী শ্রী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (CRRI), স্বামী বিবেকানন্দ জাতীয় পুনর্বাসন প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান, আঞ্চলিক মেরুদণ্ডের আঘাতজনিত চিকিৎসা কেন্দ্র (Regional Spinal Injury Centre), আচার্য্য হরিহর আঞ্চলিক ক্যান্সার গবেষণা কেন্দ্র ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।[১]

অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পাদনা

আয়তন ৩৯৩২ বর্গ কিমি.
জনসংখ্যা (আদমশুমারি ২০১১) ২৬,২৪,৪৭০ জন
জনসংখ্যার ঘনত্ব (আদমশুমারি ২০১১) ৬৬৭ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে
শহুরে জনসংখ্যা (আদমশুমারি ২০১১) ১৮,৮৮,৪২৩ জন
গ্রামীণ জনসংখ্যা (আদমশুমারি ২০১১) ৭,৩৬,০৪৭ জন
শিক্ষার হার ৮৫.৫%
মহকুমা ৩ টি
পৌরসভা ১ টি
তেহসিল ১৫ টি
ব্লক ১৪ টি
পঞ্চায়েত ৩৭৩ টি
গ্রাম ১৯৫০ টি[৩]

চিত্রমালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা