ওয়েলকাম ব্যাক

২০১৫ সালে আনিস বাজমির চলচ্চিত্র

ওয়েলকাম ব্যাক (হিন্দি: वेलकम बैक; বাংলা: স্বাগতম আবার) ২০১৫ সালের একটি বলিউড নির্মিত হিন্দি ভাষার সহিংস হাস্যরস ধর্মী চলচ্চিত্র। এই সিনেমাটির পরিচালক আনিস বাজমি[১] এই চলচ্চিত্রে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জন আব্রাহাম, শ্রুতি হাসান

ওয়েলকাম ব্যাক
ওয়েলকাম ব্যাক চলচ্চিত্রের পোস্টার
Welcome Back
পরিচালকআনিস বাজমি
প্রযোজকফিরোজ নাদিওয়ালা
রচয়িতারাজ শানদিলা
চিত্রনাট্যকাররাজীব কল
কাহিনিকারযশন্ত মাহিলোয়ার
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারঅনু মল্লিক
চিত্রগ্রাহককবীর লাল
সম্পাদকস্টিভেন বারনাড
প্রযোজনা
কোম্পানি
বেজ ইন্ডাস্ট্রীজ গ্রুপ
পরিবেশকইরজ ইন্টারন্যাশনাল
মুক্তি
  • ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ (2015-09-04)
স্থিতিকাল১৫২ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি
নির্মাণব্যয়৮৮ কোটি রুপি
আয়১৬৮.৭৯ কোটি রুপি

এই চলচ্চিত্রটির ১ম পর্ব ওয়েলকাম ২০০৭ সালে মুক্তি পায়।

কাহিনী সম্পাদনা

উদয়ের শ্যালক রাজীবের কাছে উদয় শেঠি এবং মজনু পান্ডে প্রতারিত হবার পর তাদের অপরাধ জীবন শেষ করে সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে দুবাইতে বসবাস শুরু করেন। ভারতের দুজন মহিলা প্রতারক পুনম এবং ববিতা মহারানি পদ্মাবতী এবং রাজকুমারী চাঁদনী সেজে উদয় এবং মজনুর সামনে উপস্থিত হয় তাদের টাকা মেরে দেওয়ার জন্য। ববিতা তাদের দুজনকে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং তার জন্য টাকা এবং পুনমের জন্য বিলাসবহুল জীবনযাপনের ব্যবস্থা করে।পরে জানা যায় উদয়ের রঞ্জনা নামে আরও এক বোন রয়েছে।রঞ্জনা তার বাবার তৃতীয় পক্ষের মেয়ে। উদয়ের বাবা রঞ্জনার বিয়ের ব্যবস্থা করার জন্য উদয়কে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে।এদিকে পুনম শর্ত দেয় যে, দুজনের মধ্যে যেই ববিতাকে বিয়ে করুক না কেন আগে রঞ্জনার বিয়ে দিতে হবে।

সিনেমার এই অবস্থায় রাজীবের চাচা ডঃ ঘুঙ্গুরু এর আবির্ভাব ঘটে। হঠাৎ তিনি জানতে পারেন যে তার স্ত্রীর আগের বিবাহ থেকে আজ্জু নামে তার এক সৎ পুত্র রয়েছে।যেখানে সে জানতোই না তার স্ত্রীর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল।আজ্জু রাজীবের মতো নয় বরং সে মুম্বাইয়ের বড় গুন্ডা, যেখানে রঞ্জনা পড়াশোনা করে। এরপর বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা দুজনেই একে অপরের প্রেমে পড়ে যায়। এদিকে মজনু ও উদয় ডাক্তার ঘুঙ্গুরুর সৎ পুত্রের সাথে রঞ্জনার বিয়ের ব্যবস্থা করেন, তারা জানেন না যে সে গুন্ডা। যাইহোক বাগদান অনুষ্ঠানে মজনু আজ্জুর সত্য প্রকাশ করে, যার ফলে আজ্জু এবং মজনুর লড়াই হয়। তখন আজ্জু রঞ্জনার ভাইয়ের সম্মতি ছাড়াই রঞ্জনাকে বিয়ে করার হুমকি দেয়।

আজ্জুকে আটকানোর জন্য উদয় এবং মজনু কুখ্যাত অন্ধ ডন ওয়ান্টেড ভাই এর সাথে দেখা করতে যায়। তারা আজ্জুকে হত্যা করার জন্য তাদের পুরনো পেশায় ফিরে যায়। তারা এটা জেনে হতবাক হয়ে যায় যে ওয়ান্টেডের ছেলে হানি রঞ্জনাকে পছন্দ করে এবং তাকে বিয়ে করতে চায়। তারা সিদ্ধান্ত নেয় আজ্জু এবং ওয়ান্টেডের ছেলেকে সরিয়ে অন্য ভাল কোন ভদ্র ছেলের সাথে রঞ্জনার বিয়ে দেবে। যাইহোক ববিতা এবং পুনমের সাথে আজ্জু এবং ডাঃ ঘুঙ্গুরু ওয়ান্টেড ভাইয়ের হাতে ধরা পড়ে,যিনি তাদেরকে তার দ্বীপে ডেকে পাঠান।

সেখানে আজ্জু এবং ডাঃ ঘুঙ্গুরু হানিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে হানি আর রঞ্জনাকে পছন্দ করেন না বরং ববিতাই তার আসল ভালবাসা। এদিকে উদয় এবং মজনু আজ্জুকে হত্যার চেষ্টা করে।কিন্তু ডঃ ঘুঙ্গুরু, আজ্জু এবং রঞ্জনার পরিকল্পনায় তৈরি করা ভূত দেখে তারা নিজেরাই ভয় পেয়ে যায়। তারা কেউ জানতো না যে, ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা দ্বারা তাদের ক্রিয়াকলাপ রেকর্ড করা হয়েছে,যাতে ওয়ান্টেড ভাই সহজে তাদের শেষ করতে পারেন।যাইহোক চূড়ান্ত দৃশ্য দেখা যায় সবাই মিলে হানিকে অপহরণ করে এবং মরুভূমির দিকে পালিয়ে যায় যেখানে ওয়ান্টেড ভাই তাদের তাড়া করে। নিজেকে বাঁচানোর জন্য ডঃ ঘুঙ্গুরু ওয়ান্টেড ভাইকে সামনে ঠেলে দেয়, ফলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এদিকে একদল উট সেখানে পদযাত্রা শুরু করে।আজ্জু ওয়ান্টেড ভাইকে উটের তলায় পড়ার হাত থেকে বাঁচায় এতে ওয়ান্টেড ভাই আজ্জুর প্রতি সন্তুষ্ট হয় এবং কৃতজ্ঞতা স্বরূপ রঞ্জনাকে আজ্জুর সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। যাই হোক তারা লক্ষ্য করে আরো একটি বালি ঝড় আসছে এবং সবাই জান বাঁচানোর জন্য দৌড় শুরু করে। এমন অবস্থায় সিনেমা শেষ হয়।

অভিনয় সম্পাদনা

ধারাবাহিক সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "WELCOME BACK MOVIE REVIEW - Times of India"timesofindia। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা