ওয়েন ড্যানিয়েল

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার

ওয়েন ওয়েন্ডেল ড্যানিয়েল (ইংরেজি: Wayne Daniel; জন্ম: ১৬ জানুয়ারি, ১৯৫৬) বার্বাডোসের সেন্ট ফিলিপ পারিশ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৪ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ১০টি টেস্ট ও ১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, মিডলসেক্স ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষেও খেলেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ওয়েন ড্যানিয়েল

ওয়েন ড্যানিয়েল
Wayne Daniel
১৯৮২ সালে লর্ডসে ওয়েন ড্যানিয়েল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামওয়েন ওয়েন্ডেল ড্যানিয়েল
জন্ম (1956-01-16) ১৬ জানুয়ারি ১৯৫৬ (বয়স ৬৮)
সেন্ট ফিলিপ পারিশ, বার্বাডোস
ডাকনামব্ল্যাক ডায়মন্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৫৬)
২১ এপ্রিল ১৯৭৬ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট১৬ মার্চ ১৯৮৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২৪)
২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই১৪ মার্চ ১৯৮৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭৫/৭৬–১৯৮৩/৮৪বার্বাডোস
১৯৭৭–১৯৮৮মিডলসেক্স
১৯৮১/৮২পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ১৮ ২৬৬ ২৪১
রানের সংখ্যা ৪৬ ৪৯ ১৫৫১ ৩১৯
ব্যাটিং গড় ৬.৫৭ ৪৯.০০ ১১.৪৮ ৬.১৩
১০০/৫০ ০/০ –/– –/২ –/–
সর্বোচ্চ রান ১১ ১৬* ৫৩* ৩৪
বল করেছে ১৭৫৪ ৯১২ ৩৮৩১১ ১১৫১১
উইকেট ৩৬ ২৩ ৮৬৭ ৩৬২
বোলিং গড় ২৫.২৭ ২৫.৮৬ ২২.৪৭ ১৮.১৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ৩১
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৫/৩৯ ৩/২৭ ৯/৬১ ৭/১২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/– ৫/– ৬৩/– ৩৬/–
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

লড়াকু ও পেশীবহুল ফাস্ট বোলার ছিলেন ড্যানিয়েল। বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালেই ১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান। ১৯৭৫ সালে মিডলসেক্সের দ্বিতীয় একাদশের পক্ষে খেলেন। এরপর ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে বার্বাডোসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন তিনি। ‘ডায়মন্ড’ বা ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ ডাকনামে পরিচিতি পান।[১]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

২১ এপ্রিল, ১৯৭৬ তারিখে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে ওয়েন ড্যানিয়েলের। মাইকেল হোল্ডিং, অ্যান্ডি রবাটসকে সাথে নিয়ে ফাস্ট বোলিং আক্রমণের ভিত গড়ে তোলেন। এ ত্রয়ী ফাস্ট বোলার ১৯৭৬ সালে ইংল্যান্ড সফরে ৩-০ ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজ জয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করেন।

১৯৭৭ সালে বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ লাভ করেন। এরফলে দুই বছরের জন্য টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে অবস্থান করতে হয় তাকে। তবে, বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটের পর হোল্ডিং ও রবার্টস টেস্ট দলে খেলার সুযোগ পান। সে তুলনায় ড্যানিয়েল কম সৌভাগ্য লাভ করেন। ম্যালকম মার্শাল, কলিন ক্রফট, জোয়েল গার্নার ও পরবর্তীতে কোর্টনি ওয়ালস তার স্থান দখল করেন।

২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক হয় তার। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তবে, ঐ প্রতিযোগিতায় ভারতের কাছে পরাজিত হয়ে রানার্স-আপ হয় তার দল।

কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ সম্পাদনা

জাতীয় দল থেকে ক্রমাগত উপেক্ষিত হবার ফলে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার জন্য দেশ ত্যাগ করেন। মিডলসেক্সের পক্ষে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৮ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিতে থাকেন। ১৯৭৭ সালে কাউন্টি ক্যাপ লাভ করেন ও ১৯৮৫ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের জন্য মনোনীত হন। নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৯/৬১-সহ ২২.৪৭ গড়ে ৮৬৭ উইকেট লাভ করেন। এছাড়াও, ২৪১টি একদিনের খেলায় অংশ নিয়ে ১৮.১৬ গড়ে ৩৬২ উইকেট পান। তন্মধ্যে, ইপ্সউইচে মিডলসেক্সের পক্ষে খেলে মাইনর কাউন্টিজ ইস্টের বিপক্ষে ৭/১২ লাভ করেন যা তৎকালীন ইংরেজ ঘরোয়া একদিনের খেলায় বোলিং রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।

১৯৮১-৮২ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলেন। এছাড়াও, ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত নিজ মাতৃভূমি বার্বাডোসের পক্ষে খেলেছেন।

খেলার ধরন সম্পাদনা

বেখেয়ালী ভঙ্গীমায় ড্যানিয়েল দৌঁড়ুতেন। তবে, বল ছুঁড়তেন বেশ কঠোর মেজাজে। পিচের মাঝামাঝি এলাকায় নিজেকে নিয়ে যেতেন। প্রায়শঃই তার ছোঁড়া বল ব্যাটসম্যানের উরুতে আঘাত হানতো। ক্রিকেটের বাইরে একক সঙ্গীত শুনতে পছন্দ করতেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sproat, p. 113.

আরও দেখুন সম্পাদনা

আরও পড়ুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা