এর্নেস্তো তেওদরো মোনেতা

ইতালীয় সাংবাদিক, জাতীয়তাবাদী, সৈনিক ও পরবর্তীতে শান্তিবাদী যিনি ১৯০৭ সালে নোবেল শান্তি পুরস্

এর্নেস্তো তেওদরো মোনেতা (ইতালীয়: Ernesto Teodoro Moneta; ২০শে সেপ্টেম্বর, ১৮৩৩, মিলান, লোম্বার্দিয়া-ভেনেৎসিয়া রাজ্য – ১০ই ফেব্রুয়ারি, ১৯১৮) একজন ইতালীয় সাংবাদিক, জাতীয়তাবাদী, বিপ্লবী সৈনিক ও পরবর্তীতে একজন শান্তিবাদী ছিলেন যিনি ১৯০৭ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১] তাঁর গৃহীত মূলমন্ত্র ইন ভারিয়েতাতে উনিতাস (In varietate unitas!) পরবর্তীতে ইউরোপীয় ঐক্য (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংস্থার মূলমন্ত্রকে প্রভাবিত করে।

এর্নেস্তো তেওদরো মোনেতা
জন্ম(১৮৩৩-০৯-২০)২০ সেপ্টেম্বর ১৮৩৩
মৃত্যু১০ ফেব্রুয়ারি ১৯১৮(1918-02-10) (বয়স ৮৪)
পেশাসাংবাদিক, জাতীয়তাবাদী, শান্তিবাদী
মিলান শহরের পোর্তা ভেনেৎসিয়া উদ্যানে মোনেতার স্মারক সৌধ। খোদাইলিপিতে লেখা আছে: "এর্নেস্তো তেওদরো মোনেতা, গারিবলদিপন্থী, চিন্তাবিদ, সাংবাদিক, স্বাধীন মানুষদের মাঝে শান্তির দূত"

১৮৪৮ সালে ১৫ বছর বয়সে মোনেতা অস্ট্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহে অংশ নেন, যার নাম ছিল "মিলানে ৫ দিন"। পরবর্তীতে তিনি ইভরেয়া শহরে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। ১৮৫৯ সালে তিনি গারিবালদির হাজার মানুষের অভিযানে যোগ দেন এবং একই সাথে ১৮৬৬ সালে অস্ট্রীয়দের বিরুদ্ধে ইতালীয়দের ৩য় স্বাধীনতা যুদ্ধেও ইতালীয় সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

যুদ্ধের পরে তিনি একজন আন্তর্জাতিক শান্তিকর্মীতে পরিণত হন, যদিও তিনি ইতালীয় জাতীয়বাদের সরব প্রবক্তা ছিলেন। ১৮৬৭ থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি মিলানের গণতন্ত্রপন্থী দৈনিক পত্রিকা ইল সেকোলো-র সম্পাদক ছিলেন।

১৮৮৭ সালে তিনি "শান্তি ও সালিশির জন্য লোম্বার্দীয় ঐক্য" (Unione Lombarda per la Pace e l'Arbitrato) নামের সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি জাতিসমূহের লিগ ও স্থায়ী সালিশি আদালতের ব্যাপারেও চিন্তা করেছিলেন। ১৯০৭ সালে তিনি লুই র‍্যনো-র সাথে একত্রে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

তবে জীবনের সায়াহ্নে এসে মোনেতার জাতীয়তাবাদ আবার চাঙা হয়ে ওঠে এবং শান্তিবাদী আদর্শে ছন্দপতন ঘটে। তিনি ১৯১২ সালে ইতালির লিবিয়া আক্রমণ এবং ১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইতালির অংশগ্রহণ উভয় ঘটনাতেই তাঁর সমর্থন দিয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "The Nobel Peace Prize 1907"NobelPrize.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা