এমিলি থর্নবেরি

ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ

এমিলি অ্যানি থর্নবেরি (জন্ম ২৭ জুলাই ১৯৬০)[১] একজন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ যিনি ২০০৫ সাল থেকে ইসলিংটন দক্ষিণ এবং ফিন্সবারির সাংসদ দায়িত্ব পালন করছেন। লেবার পার্টির সদস্য হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দ্য রাইট অনারেবল
এমিলি থর্নবেরি
এমপি
আনুষ্ঠানিক সংসদীয় ছবি, জুন ২০১৭
স্বরাষ্ট্র বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৪ জুন ২০১৭
নেতাজেরেমি করবিন
মূল মন্ত্রীড্যামিয়ান গ্রিন
ডেভিড লিডিংটন (কার্যত)
ডমিনিক রাব
পূর্বসূরীঅ্যাঞ্জেলা ঈগল(২০১৬)
পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৭ জুন ২০১৬
নেতাজেরেমি করবিন
মূল মন্ত্রীফিলিপ হ্যামন্ড
বরিস জনসন
জেরেমি হান্ট
ডমিনিক রাব
পূর্বসূরীহিলারি বেন
ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২০ জুলাই ২০১৬ – ৬ অক্টোবর ২০১৬
নেতাজেরেমি করবিন
মূল মন্ত্রীডেভিড ডেভিস
পূর্বসূরীপদ প্রতিষ্ঠিত
উত্তরসূরীকেইর স্টারমার
প্রতিরক্ষা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৫ জানুয়ারি ২০১৬ – ২৭ জুন ২০১৬
নেতাজেরেমি করবিন
মূল মন্ত্রীমাইকেল ফ্যালন
পূর্বসূরীমারিয়া ঈগল
উত্তরসূরীক্লাইভ লুইস
কর্মসংস্থান বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ – ৬ জানুয়ারি ২০১৬
নেতাজেরেমি করবিন
মূল মন্ত্রীপ্রীতি প্যাটেল
পূর্বসূরীস্টিফেন টিমস
উত্তরসূরীনিক থমাস সাইমন্ডস
ছায়া অ্যাটর্নি জেনারেল
কাজের মেয়াদ
৭ অক্টোবর ২০১১ – ৩ ডিসেম্বর ২০১৪
নেতাএড মিলিব্যান্ড
মূল অ্যাটর্নি জেনারেলডমিনিক গ্রিয়েভে
জেরেমি রাইট
পূর্বসূরীপ্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড
উত্তরসূরীউইলি ব্যাচ
ইসলিংটন দক্ষিণ এবং ফিন্সবারির সাংসদ
কাজের মেয়াদ
৫ মে ২০০৫ – বর্তমান
পূর্বসূরীক্রিস স্মিথ
সংখ্যাগরিষ্ঠ২০,২৬৩ (৪২.১%)
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মএমিলি অ্যানি থর্নবেরি
(1960-07-27) ২৭ জুলাই ১৯৬০ (বয়স ৬৩)
সারে, ইংল্যান্ড
রাজনৈতিক দললেবার পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীক্রিস্টোফার নুগি (বি. ১৯৯১)
সন্তান
পিতামাতাসেড্রিক থর্নবেরি
স্যালি থর্নবেরি
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইটwww.emilythornberry.com

তিনি কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৮৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি ব্যারিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মাইকেল ম্যানসফিল্ডের অধীনে মানবাধিকার আইন সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করেছেন। ২০০৫ সালে তিনি প্রথমবারের মত সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি সমাজ ও স্থানীয় সরকার কমিটির সাথে যুক্ত ছিলেন। সাংসদ হিসেবে তার প্রথম মেয়াদকালে তিনি আবাসন সংক্রান্ত বিষয় এবং মানব প্রজনন ও ভ্রূণতত্ত্ব আইন নিয়ে কথা বলেছেন। এছাড়া তিনি কয়েকবার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে হুইপের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।

২০১০ সালে তিনি পুনরায় তার এলাকার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন এবং এড মিলিব্যান্ডের ছায়া মন্ত্রীসভায় ছায়া অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৪ সালে এক টুইট বার্তায় নিজের পদত্যাগের কথা জানান, যা পরবর্তীতে 'উন্নাসিক কর্ম' হিসেবে পরিচিতি পায়।[২] তিনি পুনরায় ২০১৫ সালে ইসলিংটন দক্ষিণ এবং ফিন্সবারির সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন।তিনি নির্বাচনের পর জেরেমি করবিনের ছায়া মন্ত্রীসভায় কর্মসংস্থান বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।

২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে প্রতিরক্ষা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী এবং ২০১৬ সালের জুন মাসে তাকে পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।[৩][৪] ২০১৭ সালের ব্রিটিশ সাধারণ নির্বাচনের পর তার দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তাকে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

এমিলি থর্নবেরি উত্তর সারেতে ১৯৬০ সালের ২৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তার বাবা সেড্রিক থর্নবেরি ছিলেন একজন আন্তর্জাতিক আইনজীবী যিনি জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও ন্যাটোর পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন (তার জন্মের সময়ে তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসে আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে পড়াতেন) এবং তার মা স্যালি থর্নবেরি ছিলেন একজন শিক্ষিকা।[৬][৭][৮][৯] যখন তার বয়স সাত বছর, তখন তার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তিনি তারপর তার দুই ভাইয়ের সাথে তার মায়ের নিকট বসবাস শুরু করেন। এসময়ে তামে বিদ্যালয়ের বিনামূল্যের খাবার ও খাবারের প্যাকেটের উপর নির্ভর করে তাকে চলতে হত এবং এসময়ে তাকে হারাতে হয় তার পোষা বিড়ালকে।[১০] তার মা পরবর্তীতে লেবার পার্টির হয়ে কাউন্সিলর এবং মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন; তার বাবা ১৯৬৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির হয়ে গিল্ডফোর্ড আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।[৯][১১]

তিনি ইলেভেন প্লাস পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন এবং সেজন্য তাকে সেকেন্ডারি মর্ডার্ন স্কুলে ভর্তি হতে হয়।[৬] তিনি ১৫ বছর বয়সে তার বাবার কাছে থাকা শুরু করেন এবং ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত তার বাবার জাতিসংঘে চাকরি লাভের পূর্ব পর্যন্ত তার সাথে বাস করেছিলেন।[৬] তিনি ও লেভেল ও এ লেভেলে পড়াকালীন সময়ে লন্ডনে পরিষ্কারক ও মদের দোকানে পরিবেশিকার কাজ করেছেন।[১০][১২] তিনি ক্যান্টেরবারির কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮২ সালে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর, তিনি গ্রেজ ইনের উকিলসভায় যোগদান করেন এবং ১৯৮৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি টুকস চেম্বারসে মাইকেল ম্যানসফিল্ডের অধীনে মানবাধিকার আইন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেন।

১৯৮৫ সালে তিনি পরিবহন ও সাধারণ শ্রমিক ইউনিয়নে যোগদান করেন।[১৩] আশির দশকের শেষ দিকে তার সাথে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ওয়াহিদ আলীর পরিচয় ঘটে। এমিলি তার লেবার পার্টিতে যোগদানের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

সংসদ পূর্ববর্তী জীবন সম্পাদনা

২০০১ সালে তিনি লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে ক্যান্টেরবারি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তিনি ঐ আসনের তৎকালীন সাংসদ কনজারভেটিভ পার্টির জুলিয়ান ব্রাজিয়েরের নিকট ২,০৬৯ ভোটে পরাজিত হন।[১৪] ক্রিস স্মিথ ইসলিংটন দক্ষিণ এবং ফিন্সবারির সাংসদ পদে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এমিলি থর্নবেরিকে ২০০৫ সালের ব্রিটিশ সাধারণ নির্বাচনে সম্ভাব্য নারী প্রার্থীদের এক তালিকা থেকে ঐ আসনে লেবার পার্টির হয়ে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন পান।[১৫] তিনি ৪৮৪ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন।[১৬] নিক স্মিথ (যিনি পরবর্তীতে ব্লায়েনাউ গোয়েন্ট আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন) তার নির্বাচনী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছিলেন।

প্রারম্ভিক সংসদীয় জীবন সম্পাদনা

তিনি ২০০৫ সালের ২৪ মে ব্রিটিশ সংসদে প্রথমবারের মত বক্তৃতা প্রদান করেন।[১৭] সংসদে তিনি পরিবেশ নিরীক্ষা কমিটি এবং সমাজ ও স্থানীয় সরকার কমিটির সাথে ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন। তিনি সর্বদলীয় সংসদীয় চক্র দল এবং সর্বদলীয় সংসদীয় গর্ভপাত অধিকার ও যৌন স্বাস্থ্য দলের সহসভাপতি ছিলেন।

সাংসদ হবার পর তিনি স্বাস্থ্য, বাসস্থান, পরিবেশ এবং সাম্যবাদ নিয়ে বেশি কাজ করেছেন।[১৮] তিনি নাগালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে বিশেষ করে ইসলিংটনে বাসস্থান নিশ্চিত করার মত বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। ২০০৬ সালে তিনি বাসস্থান সংঘ বিল নামে এক বেসরকারি বিল উত্থাপন করেন যা ছিল বাড়িওয়ালাদের উপরে ভাড়াটেদের অধিকার নিয়ে।[১৯] এই বিলের অনেক ধারা আবাসস্থল সংঘ গ্রহণ করেছিল।[২০] এছাড়া, পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়েও তিনি কাজ করেছেন। তিনি ধরিত্রীর বন্ধু এবং নিখিল পরিবেশ তহবিলের হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিল ও সমুদ্রসংক্রান্ত একটি বিলের পক্ষে প্রচারাভিযান চালিয়েছেন। ২০০৬ সাল তিনি নিখিল পরিবেশ তহবিলের মনোনয়নে ইপলিটিক্স অ্যাওয়ার্ড ফর এনভায়রনমেন্ট চ্যাম্পিয়ন অব দ্য ইয়ার লাভ করেন।[২১] ২০০৯ সালে তাকে শক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সহকারী হিসেবে নিযুক্ত করা হয় এবং সে বছরের ডিসেম্বর মাসে জোয়ান রাডক ও এড মিলিব্যান্ডের সাথে তিনি কোপেনহেগেন সম্মেলনে যোগদান করেন।[২২]

এড মিলিব্যান্ডের নেতৃত্বে বিরোধী দলে (২০১০–২০১৫) সম্পাদনা

২০১০ সালের মে মাসে এমিলি থর্নবেরি ইসলিংটন দক্ষিণ এবং ফিন্সবারির সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১০ সালের ব্রিটিশ সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্র‍্যাটরা আসনটিকে পাখির চোখ করলেও আসনে ভোটবৃদ্ধি ঘটে তার।[২৩][২৪]

২০১০ সালে তাকে শক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।[২৫] তখন ঐ মন্ত্রণালয়ের মূল মন্ত্রী ছিলেন চার্লস হেন্ড্রি।[২৬] এরপর তিনি ঐ মন্ত্রণালয়ের ছায়ামন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়েন এবং তিনি ছায়া স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী জন হেলির অধীনে স্বাস্থ্য বিষয়ক ছায়া উপমন্ত্রী নিযুক্ত হন।[২৭][২৮]

ছায়ামন্ত্রী হিসেবে তিনি সাউদার্ন ক্রস নামের পরিচর্যা কেন্দ্রের ব্যর্থতায় জোট সরকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় সমালোচনা করেন। তিনি সরকারকে প্লান এ তে কাজ না করলে প্লান বি গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন।[২৯] তিনি উইন্টারবোর্ন পরিচর্যাকেন্দ্র কেলেঙ্কারিতে সরকারের সমালোচনা করেন ও এই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানান।[৩০] ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে তিনি সরকারি বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালকদের সাথে কথা বলেন এবং এ ক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্ধ বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রতি চাপ প্রয়োগ করেন।[৩১]

২০১১ সালের অক্টোবর মাসে তাকে ছায়ামন্ত্রীসভায় ছায়া অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ দেওয়া হয়।[৩২] তিনি মূল অ্যাটর্নি জেনারেল ডমিনিক গ্রিয়েভের সাথে অ্যাপলাইড ল্যাঙ্গুয়েজ সলুডশন্স সংকট নিরসনে অংশ নিয়েছিলেন।[৩৩] তিনি বার্নি একলেস্টোনের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তদন্ত করার দাবি জানান।

২০১১ সালে তিনি ডেভিড ক্যামেরনকে ইসলিংটন কাউন্সিলে বেতন সংক্রান্ত অভিযোগের প্রমাণ দিতে অনুরোধ করেন।[৩৪] তিনি ইসলিংটনের দারিদ্র‍্য সংক্রান্ত সরকারি জরিপের বিরোধিতা করেন।[৩৫] তিনি তার যুক্তির স্বপক্ষে এক মাসে হাজারের অধিক উপাত্তে করা তার জরিপের কথা প্রকাশ করেন।[৩৬]

"হোয়াইট ভ্যান" টুইট সম্পাদনা

এমিলি থর্নবেরি রোচেস্টার ও স্ট্রুড উপনির্বাচনের পর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।[৩৭] দিনের প্রারম্ভে তিনি ঐ আসনের একটি বাড়িতে উত্তোলিত সেন্ট জর্জের পতাকার ছবি টুইটারে প্রকাশ করেন যার বাইরে বাড়ির মালিকের "হোয়াইট ভ্যান" পার্ক করা ছিল যাতে তিনি শিরোনাম দেন "#রোচেস্টারের ছবি" এবং এটি তার "উন্নাসিক কর্ম" বলে পরিগণিত হয় ও এজন্য সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।[৩৮][৩৯]

তিনি লেবার পার্টির সাংসদের নিকট সমালোচনার সম্মুখীন হন, যাদের মাঝে এড মিলিব্যান্ডও ছিলেন। তিনি এমিলির এই কর্মকে "অসম্মানিত কাজ" বলে অভিহিত করেন ও ক্রিস ব্রায়ান্ট তার কর্ম "রাজনীতির প্রথম নীতি" ভেঙেছে বলে মন্তব্য করেন।[৪০] সিমন ড্যাঙ্কজুক মন্তব্য করেন যে দলটি "উত্তর লন্ডনের উদারপন্থী অভিজাত শ্রেণীর হাতে" চলে গিয়েছে।[৪১]

জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে বিরোধী দলে (২০১৫–বর্তমান) সম্পাদনা

 
২০১৬ সালে লেবার পার্টির সম্মেলনে পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে বক্তৃতা প্রদান করছেন।

২০১৫ সালের মে মাসে লেবার পার্টির নতুন নেতা জেরেমি করবিন তাকে কর্মসংস্থান বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন।[১৮] ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে মারিয়া ঈগলের পরিবর্তে প্রতিরক্ষা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন।[৪২] তিনি ট্রাইডেন্ট পারমাণবিক কর্মসূচির পরিবর্তে সেনাবাহিনীতে অর্থ ব্যয় করার পক্ষে মত প্রদান করেন।[১৮] নিযুক্ত হবার পর তিনি ব্রিটিশ বাহিনী সম্প্রচার সেবায় দেয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন "মানুষ যা ভাবে তার থেকে এই পদে তার কাজ করার অনেক বেশি অভিজ্ঞতা আছে"।[৪৩] প্রতিরক্ষা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী থাকাকালে তিনি সামরিক নীতি পর্যালোচনা করেন এবং পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করেন যা ব্রেক্সিটের জন্য আয়োজিত গণভোটকে বিলম্বিত করে।[৪৪] লেবার পার্টির এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনাসভায় তিনি "ডেফকন ওয়ান" (এটি মার্কিন প্রতিরক্ষার সতর্কতা বার্তার নাম) কি তা জানতে চান।[৪৫]

২০১৬ সালে করবিন বরখাস্ত করেন হিলারি বেনকে। তখন তাকে হিলারি বেনের জায়গায় পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।[৪৬] তিনি কিয়ের স্টার্মারের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ব্রেক্সিট সংক্রান্ত ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪৭] এক অনুষ্ঠানে স্কাই নিউজের ডেরমট মুরনাঘান তাকে ফরসি পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ক বিষয়ক মন্ত্রী জ্যঁ-মার্ক আয়রল্ট ও দক্ষিণ কোরীয় রাষ্ট্রপতির নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি তার জবাব প্রদানে বিরত থাকেন এবং তাকে লিঙ্গভেদ করার জন্য অভিযুক্ত করেন।[৪৮][৪৯][৫০] ২০১৭ সালের ব্রিটিশ সাধারণ নির্বাচনের পর তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক ছায়ামন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[৫১]

তিনি শিয়া হুতিদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে সৌদি আরবের হস্তক্ষেপে যুক্তরাজ্যের যুক্ত হবার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, "যেখানে সৌদি আরব পূর্বের মত ভবিষ্যতেও যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে বিবেচিত হবে, যতক্ষণ না তাদের বিরুদ্ধে আনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হয়, ততদিন তাদের হস্তক্ষেপের প্রতি আমাদের সমর্থন প্রত্যাহার করতে হবে।"[৫২] ২০১৮ সালের মে মাসে তিনি সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল আসাদের পক্ষে মত প্রকাশ করেন এবং জানান যে তিনি পশ্চিমাদের নিকট "অবমূল্যায়িত" হয়েছেন।[৫৩][৫৪] ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জামাল খাসোগির অন্তর্ধানের ব্যাপারে "অনেক দেরিতে খুব অল্প" প্রতিক্রিয়া প্রদানের জন্য টেরেসা মের সরকারের সমালোচনা করেন।[৫৫] তিনি বলেন: "ভাবুন তো রাশিয়া বা ইরান এই কাজ করলে সরকারের প্রতিবাদ কেমন হত–এবং এরকম অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে–যেখানে ভিন্নমতাবলম্বী কোনো সাংবাদিজ তার দেশের বাইরের কোনো দেশে বা ভূখণ্ডে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।"[৫৬]

প্রচারাভিযান সম্পাদনা

সাধ্যের মধ্যে বাড়ি সম্পাদনা

 
সাধ্যের মধ্যে বাড়ি নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত পিটিশনে ইসলিংটনবাসীদের পক্ষে এমিলি থর্নবেরি, জেরেমি করবিন ও ইয়ভেত্তে কুপারের সাথে স্থানীয় কাউন্সিলররা, ১৯ অক্টোবর ২০০৬

এমিলি থর্নবেরির সংসদীয় আসন লন্ডন বরা অব ইসলিংটনের আওতাধীন; এটি দেশের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের মাঝে অন্যতম হলেও এখানে বাড়ির দাম ও ভাড়া তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।[৫৭] তিনি ইসলিংটন কাউন্সিলের সেখানকার জনগণদের সাধ্যের মধ্যে বাড়ি নিশ্চিতকরণ পদক্ষেপকে স্বাগত জানান এবং বাড়ি ক্রয় করার ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিষয় সমর্থন করেন।[৫৮][৫৯] তিনি বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান এবং সামাজিক উদ্যোগে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন।[৬০] তিনি সাধ্যের নাগালে বাড়ি নিশ্চিতকরণ ও সামাজিক উদ্যোগে বাড়ি তৈরির বিষয়ে বহুবার প্রচারাভিযান চালিয়েছেন।[৬১] তার স্বামী সামাজিক উদ্যোগে তৈরি বাড়ি খরিদ করে তা তাদের দলের এক কর্মীকে ভাড়া দিলে তার সমালোচনা করে স্থানীয় পত্রিকা ইসলিংটন ট্রিবিউন[৬১][৬২] থর্নবেরি এর জবাবে জানান যে এই চুক্তিটি "মানুষ যা ভাবছে তা না"।[৬২]

২০১৫ সালে তার সাথে লন্ডনের তৎকালীন মেয়র বরিস জনসনের তার সংসদীয় আসনে রয়াল মেইল পরিচালিত মাউন্ট প্লিজান্ট মেইল সেন্টার ও ক্লার্কেনওয়েল ফায়ার স্টেশনের সংস্কার নিয়ে বাদানুবাদ সৃষ্টি হয়।[৬৩] ক্যামডেন ও ইসলিংটন কাউন্সিল নতুন ভবনে স্বল্পমূল্যে বাসা সরবরাহের আর্জি জানালেও বরিস জনসন তা প্রত্যাখ্যান করেন বাজারমূল্যের ৮০% এরও বেশি দামে ভাড়া দেবার নির্দেশ দেন, যাকে তিনি "সস্তা"য় বলে অভিহিত করেন। এমিলি থর্নবেরি বরিস জনসনের সমালোচনা করেন এবং তার সস্তার সংজ্ঞাকে "অর্থহীন" নবলে অভিহিত করেন এবং সংস্কারকৃত ভবনের কমপক্ষে ৫০% বাসা স্বল্পমূল্যে জনগণের মাঝে সরবরাহের দাবি জানান।[৬০]

এমিলি ডেভিসনের মূর্তি সম্পাদনা

২০১৩ সালে নারী ভোটাধিকার আদায়ে অবদান রাখা এমিলি ডেভিসনের শততম মৃত্যুবার্ষিকীতে এমিলি থর্নবেরি তার স্মৃতি রক্ষার্থে ব্রিটিশ সংসদে তার এক মূর্তি তৈরির আর্জি জানান। তিনি প্রায় ৮০০ জন নিয়ে একটি উন্মুক্ত জনসভা করেন। তারা বিষয়টির পক্ষে মত প্রকাশ করে এবং তারা ব্রিটিশ সংসদে খুব কম নারী রাজনীতিবিদ ও কর্মীর কম মূর্তি থাকার বিষয়টি তুলে ধরে।[৬৪]

সম মজুরি সম্পাদনা

২০১৫ সালের মার্চ মাসে এমিলি থর্নবেরি সম মজুরির পক্ষে প্রচারাভিযান চালান। তিনি বলেন যে, ১৯৭০ সালে সম মজুরি আইন পাসের ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো নারীর গড় মজুরি থেকে ১৯% কম আয় করে থাকে।[৬৫] তিনি "মৌলবাদী ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি"র পরিবর্তন করতে অনুরোধ করেন যাতে এই অবস্থার ইতি ঘটে। তিনি কর্মক্ষেত্রে নারী পুরুষের একই কাজের ক্ষেত্রে সমান মজুরি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন।[৬৫] তিনি সম মজুরি সংক্তান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানান, এছাড়া তিনি ন্যায়বিচার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সীমিত সময়েত জন্য কোর্ট ফি মওকুফের আবেদন জানান ও আইনি ফাঁকফোকর বন্ধের নির্দেশ দেন কেননা, আউটসোর্সিং এবং কর্মক্ষেত্রের অনিরাপদ পরিবেশ নারীদের মজুর বৈষম্যের অন্যতম কারণ।[৬৬]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে এমিলি থর্নবেরি ইসলিংটনে বসবাস শুরু করেন। ১৯৯১ সালে টাওয়ার হ্যামলেটসে তার সহকর্মী উইলবারফোর্স চেম্বারের ক্রিস্টোফার নুগিকে বিয়ে করেন।[৬৭] তাদের দুই পুত্র ও এক কন্যা আছে। নুগি তারপর রানির প্রতিনিধি ও পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। যখন নুগি নাইট উপাধি লাভ করেন, তখন এমিলি অভিহিত হতে থাকেন লেডি নুগি নামে যদিও তিনি এই উপাধি ব্যহহার করেন নি। ১৯৯৩ সাল থেকে তারা বার্নসবারির রিচমন্ড ক্রিসেন্টে বাস করেছেন, যেখানে টনি ব্লেয়ারও বাস করতেন। ১৯৯৭ সালের ব্রিটিশ সাধারণ নির্বাচনের পর তারা ব্লেয়ারদের মত তারাও বার্নসবারি ত্যাগ করেন। [৬৮] থর্নবেরি গিল্ডফিল্ড ও দক্ষিণ লন্ডনে সম্পত্তির আংশিক মালিক।[৬২][৬৯]

২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে ডেম এলিস ওয়েন্স উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যেটি তার বাসা ও সংসদীয় এলাকা থেকে ১৪ মাইল (২৩ কিলোমিটার) দূরে। বিদ্যালয়টি পূর্বে ইসলিংটন ভিত্তিক ছিল এবং এটি ইসলিংটনের ছাত্রদের জন্য ১০% কোটা সংরক্ষিত করে রাখে।[৭০] লেবার পার্টি এই কোটায় তার ছেলের ভর্তির বিরোধিতা করে এবং এই বিষয়ে এমিলি থর্নবেরি ব্যাপক সমালোচিত হন।[৭১] ক্রিস উডহেড, সাবেক বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, "আমি পিতামাতা হিসেবে তার বিচক্ষণতাকে সাধুবাদ জানাই এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে তার কুটিলতার নিন্দা জানাই। কবে এসব লোকরা সন্তানদের শিক্ষার বিষয়কে রাজনৈতিক মতাদর্শের উপরে স্থান দেওয়া বাদ দিবে?" পরবর্তীকালে এমিলি থর্নবেরির কন্যা ঐ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।[৭২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Privy Council appointments: Diane Abbott, Richard Benyon and Emily Thornberry – Press releases – GOV.UK" 
  2. "Labour's Emily Thornberry quits over 'snobby' tweet"। BBC News। ২১ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৪ 
  3. Sparrow, Andrew (৬ জানুয়ারি ২০১৫)। "Emily Thornberry named shadow defence secretary in Labour reshuffle"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. "Jeremy Corbyn unveils new top team after resignations"। BBC News। ২৭ জুন ২০১৬। 
  5. "Thornberry, Rt Hon. Emily, (born 27 July 1960), PC 2016; MP (Lab) Islington South and Finsbury, since 2005 | WHO'S WHO & WHO WAS WHO"www.ukwhoswho.comডিওআই:10.1093/ww/9780199540884.001.0001/ww-9780199540884-e-45759। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৯ 
  6. Johnston, Chris (২১ নভেম্বর ২০১৪)। "Emily Thornberry: Guildford girl who went on to become a devoted MP"The Guardianআইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৯ 
  7. The UN Security Council: From the Cold War to the 21st Century – David Malone। Google Books। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  8. The Committee Office, House of Commons। "House of Commons – Defence – Third Report"। Parliament.the-stationery-office.co.uk। ৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  9. Ahtisaari, Martti (১ জুন ২০১৪)। "Cedric Thornberry obituary"The Guardianআইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৯ 
  10. Aitkenhead, Decca (২৫ নভেম্বর ২০১৭)। "Emily Thornberry: 'I hope we have an election before any more damage is done'"The Guardian 
  11. Edemariam, Aida (১৯ মে ২০০৯)। "Right, so just what do you do all day?"The Guardian। London। 
  12. Cooke, Rachel (২১ জুলাই ২০১৯)। "Emily Thornberry: 'Being chippy is a good thing'"The Observerআইএসএসএন 0029-7712। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৯ 
  13. Dod's parliamentary companion guide to the general election, 2005 – Valerie Passmore, David Roe। Google Books। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  14. "Canterbury: Constituency"The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  15. "Standard Note SN/PC/05057" (পিডিএফ)House of Commons Library। ১৮ জুন ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১০ 
  16. "Election 2005 – Islington South & Finsbury"। BBC News। 
  17. "House of Commons Hansard Debates for 24 May 2005 (pt 26)"। Parliament of the United Kingdom। ২৪ মে ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  18. Wheeler, Brian (৬ জানুয়ারি ২০১৬)। "Emily Thornberry: Comeback queen"। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯ 
  19. "Housing Association (Rights and Representation of Residents) Bill"। Parliament of the United Kingdom। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  20. "Cave Review"। ১৪ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৯ 
  21. http://www.ecca.org.uk/charity_champion_award_2006.doc[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  22. "Emily Thornberry is the Labour MP for Islington South & Finsbury and Shadow Health & Social Care Minister"। emilythornberry.com। ১৯ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  23. "Jubilant Emily Thornberry defeats Lib Dem Bridget Fox in Islington South & Finsbury"Islington Tribune। ৭ মে ২০১০। ১৭ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  24. "Election campaigning: A tale of two constituencies"The Economist। ২০ মার্চ ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  25. "Emily Thornberry MP"। Parliament UK। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১৬ 
  26. Department of the Official Report (Hansard), House of Commons, Westminster। "House of Commons Hansard Debates for 8 July 2010 (pt 0001)"। Parliament of the United Kingdom। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  27. "New job cheers MP Emily Thornberry after shadow cabinet heartbreak"Islington Gazette। ১৪ অক্টোবর ২০১০। ১১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  28. "Emily Thornberry set to shadow every Coalition move on health"Islington Tribune। ১৫ অক্টোবর ২০১০। ৩ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  29. "Southern Cross: Government tries to reassure residents"। BBC News। ১ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  30. Mulholland, Helene (৭ জুন ২০১১)। "Government could order independent inquiry into Winterbourne View"The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  31. "Coalition watch"। ২৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৪ 
  32. "House of Commons Hansard Debates for 20 Mar 2012 (pt 0001)"। Parliament of the United Kingdom। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  33. Bowcott, Owen (১৯ মার্চ ২০১২)। "Private court interpretation company 'should face contempt proceedings"The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  34. "Still no apology from Prime Minister David Cameron for salary 'lie'"Camden New Journal। ৮ জুলাই ২০১১। ১১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  35. "News Emily Thornberry is the Labour MP for Islington South & Finsbury and Shadow Health & Social Care Minister"। emilythornberry.com। ১৬ জানুয়ারি ২০১২। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  36. Edemariam, Aida (১৯ মে ২০০৯)। "Right, so just what do you do all day?"The Guardian। London। 
  37. Mason, Rowena (২০ নভেম্বর ২০১৪)। "Emily Thornberry resigns from shadow cabinet over Rochester tweet"The Guardian 
  38. "Labour's Emily Thornberry quits over 'snobby' tweet - BBC News"। Bbc.co.uk। ২১ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৮ 
  39. "Labour's Emily Thornberry quits over tweet"। BBC News। ২০ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৪ 
  40. "Miliband: Thornberry's 'white van, flag' tweet lacked respect"। BBC News। ২১ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৪ 
  41. "Emily Thornberry: How one tweet led to her resignation"। BBC News। ২১ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৪ 
  42. Sparrow, Andrew (৬ জানুয়ারি ২০১৫)। "Emily Thornberry named shadow defence secretary in Labour reshuffle"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৬ 
  43. "Emily Thornberry defends Labour defence appointment"। BBC News। ৬ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৬ 
  44. Mason, Rowena (১৪ জানুয়ারি ২০১৬)। "Emily Thornberry will have final say on Labour's Trident review"The Guardianআইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯ 
  45. "Labour's shadow defence secretary 'does not understand what Defcon One means'"The Daily Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  46. "Jeremy Corbyn unveils new top team after resignations"। BBC News। ২৭ জুন ২০১৬। 
  47. "The Progress 1000: Westminster"Evening Standard। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯ 
  48. "Thornberry accuses presenter of 'sexism'"। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯ 
  49. Perraudin, Frances (১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Emily Thornberry accuses Sky presenter Murnaghan of sexism"The Guardianআইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯ 
  50. Hughes, Laura (১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Emily Thornberry accuses Sky News presenter Dermot Murnaghan of 'sexism' after failing to name French foreign minister"The Telegraphআইএসএসএন 0307-1235। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯ 
  51. Fisher, Lucy (২৩ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Emily Thornberry interview: 'I do have a go at Boris. We've lost status — people laugh at us now'"The Timesআইএসএসএন 0140-0460। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯ 
  52. "Labour MPs face backlash over failure to vote on Yemen campaign"The Guardian। ২৭ অক্টোবর ২০১৬। 
  53. Osborne, Samuel। "Emily Thornberry claims public support for Syria's Bashar al-Assad has been 'underestimated'"। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৮ 
  54. Foster, Matt। "Emily Thornberry: Bashar al-Assad's popularity in Syria has been 'underestimated'"। PoliticsHome.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৮ 
  55. "Jamal Khashoggi: Labour slams government's response as 'too little, too late'."The Guardian। ১৩ অক্টোবর ২০১৮। 
  56. "European Governments Wrestle with Khashoggi Quandary"VOA News। ১৭ অক্টোবর ২০১৮। 
  57. "London Property Watch"। London Property Watch। ১১ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৬ 
  58. "Emily Thornberry: 'Make it easier for elderly to downsize'"Islington Tribune। ১৫ নভেম্বর ২০১৩। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৬ 
  59. "House of Commons Hansard Debates for 05 Feb 2014 (pt 0001)"। Parliament of the United Kingdom। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৬ 
  60. "House of Commons Hansard Debates for 04 Mar 2015 (pt 0001)"। Parliament of the United Kingdom। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৬ 
  61. Brooks-Pollock, Tom (২১ নভেম্বর ২০১৪)। "Profile: Emily Thornberry"The Daily Telegraph। London। 
  62. "Islington Tribune – News: auction"। Thecnj.com। ৩১ আগস্ট ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  63. Clark, Tim (১০ জুলাই ২০১৪)। "MP: 'Decision on Mt Pleasant should be stripped from mayor'"Architects Journal। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৬ 
  64. "MPs call for statue of Emily Davison in parliament"The Guardian 
  65. "45 years after the Equal Pay Act, there's still a long way to go" 
  66. Bright, Sam (৭ মার্চ ২০১৫)। "We need a new Equal Pay Act"New Statesman। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৬ 
  67. "Barristers"। Wilberforce। ৯ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  68. "Islington South and Finsbury – Liberals are irrelevant, says Labour MP"। politics.co.uk। ২২ এপ্রিল ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৬ 
  69. "Democracy Live – Your representatives – Emily Thornberry"। BBC News। ১ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৯ 
  70. "Dame Alice Owen's School – Admissions"। Damealiceowens.herts.sch.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১২ 
  71. "Hypocrisy at the heart of Labour's education policy"The Daily Telegraph। London। ২৮ এপ্রিল ২০০৫। 
  72. "Janet Street-Porter: 13 years on: Who's the heir to Blair's lair?"The Independent। London। ২৫ এপ্রিল ২০১০। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

অডিও ক্লিপ সম্পাদনা

সংবাদ প্রতিবেদন সম্পাদনা

পূর্বসূরী
ক্রিস স্মিথ
ইসলিংটন দক্ষিণ এবং ফিন্সবারির সাংসদ
২০০৫–বর্তমান
নির্ধারিত হয়নি
রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড
ছায়া অ্যাটর্নি জেনারেল
২০১১–২০১৪
উত্তরসূরী
উইলি ব্যাচ
পূর্বসূরী
মারিয়া ঈগল
প্রতিরক্ষা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী
২০১৬
উত্তরসূরী
ক্লাইভ লুইস
পূর্বসূরী
হিলারি বেন
পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী
২০১৬–বর্তমান
নির্ধারিত হয়নি
নতুন দপ্তর ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী
২০১৬
উত্তরসূরী
কিয়ের স্টার্মার
পূর্বসূরী
অ্যাঞ্জেল ঈগল
স্বরাষ্ট্র বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী
২০১৭–বর্তমান
নির্ধারিত হয়নি