উরসুলা কে. লে গুইন

মার্কিন লেখিকা

উরসুল কে. লে গুইন (২১ অক্টোবর ১৯২৯-২২ জানুয়ারি ২০১৮) ছিলেন একজন মার্কিন সাহ্যিতিক। তিনি কাল্পনিক কথা সাহিত্যের জন্য সর্বাধিক জনপ্রিয়, তার কাল্পনিক কথা সাহিত্যের মধ্যে হায়নিশ ইউনিভার্স এবং আর্থসি ফ্যান্টাসি সিরিজ অন্যতম। সর্বপ্রথম ১৯৫৯ সালে তার সাহিত্যকর্ম প্রকাশিত হয়েছিল এবং তার সাহিত্যজীবনের প্রায় ষাট বছর কাব্য, সাহিত্য সমালোচনা, অনুবাদ এবং শিশুদের বইয়ের পাশাপাশি বিশটিরও বেশি উপন্যাস ও শতাধিক সংক্ষিপ্ত গল্পের রচনা করেছেন। বিজ্ঞানের কথাসাহিত্যিক হিসেবে তিনি পরিচিত, লে গুন “মেজর ভয়েস ইন আমেরিকা”[১] নামে ও পরিচিত ছিল, এবং সে আমেরিকান নভেলিস্ট [২] হিসেবে পরিচিত হতে চেয়েছিলেন।

উরসুলা কে. লে গুইন
জন্মউরসালা কোরেবার
(১৯২৯-১০-২১)২১ অক্টোবর ১৯২৯
বেরক্যালি, ক্যালোফরনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।
মৃত্যু২২ জানুয়ারি ২০১৮(2018-01-22) (বয়স ৮৮) জানুয়ারি ২২, ২০১৮
পোর্টল্যান্ড, অরিগন, যুক্তরাষ্ট্র।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর‌্যাডক্লিফ কলেজ (বি.এ. ১৯৫১)
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি (এম. এ. ১৯৫২)
সময়কাল১৯৫৯-২০১৮
ধরনকল্পকাহিনী * ফ্যান্টাসি * বাস্তবিক উপন্যাস * সমলাচিত সাহিত্য * কবিতা * প্রবন্ধ
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিEarthsea series
The Left Hand of Darkness
The Dispossessed
Always Coming Home
দাম্পত্যসঙ্গীস্বামী: চার্লেস লে গুইন (১৯৫৩–২০১৮)
সন্তান
আত্মীয়আলফ্রেড লুইস করোইবার (বাবা)
থিয়োডোরা করোইবার (মা)
কার্ল করোইবার (ভাই)

লে গুইন বার্কলে, ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন, থিওডোরা ক্রোয়েবার এবং পণ্ডিত আলফ্রেড লুই ক্রোয়েবার এর ঘরে। ফরাসি ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরে লে গুইন ডক্টরাল স্টাডিজ শুরু করেন, ‍কিন্তু ১৯৫৩ সালে চার্লেস লে গুইন এর সাথে বিবাহের পর তার পড়ালেখা স্থগিত করেন। তিনি ১৯৫০ এর শেষের দিকে লিখতে শুরু করেন, তিনি এ উইজার্ড অফ আর্থেস (১৯৬৮) এবং দ্যা লেফ্ট হ্যান্ড অফ ডার্কনেস (১৯৬৯) দ্বারা সমালোচিত এবং বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য অর্জন করেছিলেন, যা হ্যারল্ড ব্লুম তার মাস্টার পিস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। [৩] প্রথম মহিলা হিসেবে লে গুইন তার উপন্যাসের জন্য হুগো এবং নেবুলা পুরস্কার উভয়ই জিতেছিলেন। এছাড়া ও তিনি আর্থসিয়া বা হেইনিশ ইউনিভার্স-এ আরো কয়েকটি কাজ করেছেন, তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্যা এক্সপেরিমেন্টাল ওয়ার্ক অলয়েস কামিং হোম (১৯৮৫), এবং আরো কাজ করেছেন দ্যা ফিকশোনাল কান্ট্রি অফ ওরসিনিয়া এবং আরো কিছু মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।

লে গুইন সাংস্কৃতিক নৃতত্ত্ব, তাওবাদ, নারীবাদ এবং কার্ল জাংয়ের বিষয়ে বেশি লেখালেখি করতেন। তার অনেক গল্পই নৃতত্ত্ব বা সাংস্কৃতিক পর্যাবেক্ষণ ভিত্তি করে লেখা এবং ভারসাম্য এবং ভারসাম্য সম্পর্কে তার তাওবাদী ধারনাগুলো বেশ কয়েকটি কাজে চিহ্নিত হয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. White 1999, পৃ. 1–2।
  2. Phillips, Julie (ডিসেম্বর ২০১২)। "Ursula K. Le Guin, American Novelist"Bookslut। জানুয়ারি ২০, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৬ 
  3. White 1999, পৃ. 2।