ইয়াসির আরাফাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

ইয়াসির আরাফাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরবি: مطار ياسر عرفات الدولي Maṭār Yāsir 'Arafāt ad-Dawli) ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা পূর্বে গাজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দাহানিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত ছিল। এটি রাফা ও দাহানিয়ার মাঝামাঝি, মিশর সীমান্তের নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত। এ বিমানবন্দর পরিষেবাটি ১৯৯৮ সালের ২৪ নভেম্বর চালু হয়।[১] দ্বিতায় ইন্তিফাদা উপর ৮ অক্টোবর ২০০০ সালে এ বিমানবন্দরটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিল।[২][৩] এর রাডার স্টেশন ও কন্ট্রোল টাওয়ার ইসরায়েলের বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইয়াসির আরাফাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
مطار ياسر عرفات الدولي
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিমানবন্দরের ধরনবিলুপ্ত
পরিচালকState of Palestine
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকাগাজা
অবস্থানGaza Strip
এএমএসএল উচ্চতা৯৮ মিটার / ৩২০ ফুট
স্থানাঙ্ক৩১°১৪′৪৭″ উত্তর ৩৪°১৬′৩৪″ পূর্ব / ৩১.২৪৬৩৯° উত্তর ৩৪.২৭৬১১° পূর্ব / 31.24639; 34.27611
রানওয়ে
দিক দৈর্ঘ্য পৃষ্ঠতল
মি ফুট
01/19 ৩,০৭৬ ১০,০৯১ Asphalt (severely damaged)

ইতিহাস সম্পাদনা

ইয়াসির আরাফাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও নিয়ন্ত্রণকারী। প্যালেস্টাইন এয়ারলাইন্স এটি তাদের হোম এয়ারপোর্ট হিসাবে ব্যবহার করত। এ বিমানবন্দর ২৪ ঘণ্টা এবং ৩৬৫ দিন এবং প্রতি বছর ৭০০০০০ জন যাত্রীকে পরিষেবা দিতে সক্ষম ছিল। আরাফাত বিমানবন্দরের মোট আয়তন ২৩৫ হেক্টর (২.৩৫ বর্গ কিলোমিটার)। ২০০১ সালে ইসরায়েল নিরাপত্তা বাহিনীর বোমা হামলায় বিমানবন্দরের রাডার সিস্টেম ও কন্ট্রোল টাওয়ার অকেজো হলে কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরটি বন্ধ ঘোষণা করে। আরাফাত বিমানবন্দর বন্ধের পর গাজায় বিমান পরিবহন সেবা প্রদানের জন্য একমাত্র বিমানবন্দর হল গাজা এয়ারস্ট্রিপ, যা খান ইউনুসে অবস্থিত। এ বিমানবন্দর বন্ধের ফলে প্যালেস্টাইন এয়ারলাইন্স ও গাজার লোকজন ইসরায়েলের বেন গুরিন বিমানবন্দর এবং মিশরের আল আরিশ বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকে।

১৯৯৫ সালের দ্বিতীয় অসলোতে চুক্তি অনুযায়ী বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এ বিমানবন্দরের জন্য অর্থের যোগান দেয় জাপান, মিশর, সৌদি আরব, স্পেন ও জার্মানি এবং প্রকৌশলী সরবরাহ করে মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান ও এর নকশা করে মরক্কোর স্থপতি (ক্যাসাব্লাঙ্কা বিমানবন্দরের অনুকরণে)। এ বিমানবন্দর নির্মাণে মোট ব্যয় ছিল ৮৬ মিলিয়ন ডলার এবং প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন উসামা হাসান এলখোউদারি। নির্মাণের এক বছর পর ১৯৯৪ সালের ২৪ নভেম্বর বিমানবন্দরটি চালু করা হয়, যা যৌথভাবে উদ্বোধন করেন ইয়াসির আরাফাত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। ইয়াসির আরাফাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান কোড হল (আইএটিএ: GZA, আইসিএও: LVGZ)

আল আকসা ইনতেফাদা শুরু হওয়ার পর ২০০১ সালের ৪ ডিসেম্বর ইসরায়েল বিমান বাহিনী এ বিমানবন্দরের রাডার স্টেশন ও কন্ট্রোল টাওয়ার ধ্বংস করে দেয়। ২০০২ সালের ১০ জানুয়ারি বুলডোজার দিয়ে রানওয়ে কেটে দিয়েছিল। ২০০১ - ২০০৬ পর্যন্ত বিমানবন্দরের কর্মচারীরা টিকেট কাউন্টার ও ব্যাগেজ এলাকা খোলা রাখে কিন্তু কোন বিমান ওঠা-নামা করেনি।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. A Political Chronology of the Middle East। Europa Publications। ২০০৬। পৃষ্ঠা 186। 
  2. "Gisha" (পিডিএফ) 
  3. Ruwantissa Abeyratne (২০১৫)। Aviation and International Cooperation: Human and Public Policy Issues। Springer। পৃষ্ঠা 85।