ইয়াকপ গ্রিম (জার্মান: Jacob Grimm) (৪ জানুয়ারি, ১৭৮৫ - ২০ সেপ্টেম্বর, ১৮৬৩) জার্মান ভাষাতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ ও পুরাণবেত্তা। তিনি ভাষাবিজ্ঞানে গ্রিমের রীতির জন্য প্রসিদ্ধ। তার ভাই ভিলহেল্ম গ্রিম[২] গ্রিম ভাতৃদ্বয়ের একজন এবং গ্রিম ভাইদের রূপকথার সহ-লেখক।[৩]

ইয়াকপ গ্রিম
জন্ম
ইয়াকপ লুড্‌ভিগ কার্ল গ্রিম[১]

(১৭৮৫-০১-০৪)৪ জানুয়ারি ১৭৮৫
মৃত্যু২০ সেপ্টেম্বর ১৮৬৩(1863-09-20) (বয়স ৭৮)
মাতৃশিক্ষায়তনমার্বুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

ইয়াকপ ১৭৮৫ সালের ৪ জানুয়ারি হেসেন-কাসেলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ফিলিপ গ্রিম ছিলেন একজন আইনজীবী। তিনি ইয়াকপের ছেলেবেলায় মারা যান। ১৭৯৮ সালে তাকে এবং তার ছোটভাই ভিলহেল্ম গ্রিমকে কাসেলের একটি সরকারি স্কুলে ভর্তি করা হয়। ১৮০২ সালে তিনি মার্বুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। পরের বছর তার ছোট ভাইও একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

গ্রন্থাগারিক সম্পাদনা

১৮০৮ সালে তার মায়ের মৃত্যুর পর তিনি কিং অফ ভেস্ট্‌ফালিয়ার জেরোম বোনাপার্টে গ্রন্থাগারের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তখন হেসেন-কাসেল নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এর নিয়ন্ত্রণে ছিল। বোনাপার্ট তাকে রাজ্যসভার নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। অল্প সময়েই তার বেতন ২০০০ থেকে ৪০০০ ফ্রাঁ হয়। বোনাপার্ট বিতাড়িত হওয়ার পর এবং নির্বাচক হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ইয়াকপ ১৮১৩ সালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১৮১৪ সালে তাকে বইয়ের ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে ফ্রান্সে পাঠানো হয়। তিনি ১৮১৪ থেকে ১৮১৫ সালে ভিয়েনার কংগ্রেসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ভিয়েনা থেকে ফেরার পর তাকে পুনরায় প্যারিসে পাঠানো হয় বইয়ের ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত করতে। ইতিমধ্যে তার ভাই ভিলহেল্ম কাসেল গ্রন্থাগারে নিয়োগ পান এবং ১৮১৬ সালে ইয়াকপকে ফল্কেলের অধীনে দ্বিতীয় গ্রন্থাগারিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৮২৮ সালে ফল্কেলের মৃত্যুর পর দুই ভাই প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ লাভের আশা করলেও পরে বই সংরক্ষণকারী রোমেলকে প্রথম স্থান দেওয়া হলে তারা অসন্তুষ্ট হন। ফলে তারা পরের বছর গটিঙেনে এ চলে যান। সেখানে ইয়াকপ অধ্যাপক ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পান এবং ভিলহেল্ম তার সহকারী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

পরবর্তী কাজ সম্পাদনা

ইয়াকপ গটিঙেন সেভেন নামে পরিচিত অন্যান্য পণ্ডিতদের সাথে যোগ দেন। তারা সম্মিলিতভাবে হানোভার রাজ্যের সংবিধান রদকরণে বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করেন। ফলে তিনি ১৮৩৭ সালে তার অধ্যাপনা হারান এবং হানোভার রাজ্য থেকে বিতাড়িত হন। সে এবং তার ভাই কাসেলে ফিরে যান। তারা প্রুশিয়ার রাজার নিমন্ত্রণে বার্লিনে যাওয়ার পূর্বে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত কাসেলেই থাকেন। সেখানে তারা দুজনেই অধ্যাপক এবং একাডেমি অফ সায়েন্সেসের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি আমেরিকান একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর পররাষ্ট্র সম্মাননা সদস্য হিসেবেও নির্বাচিত হন।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

টেমপ্লেট:গ্রিম ভাতৃদ্বয় টেমপ্লেট:জার্মান সাহিত্য