গ্রিক পুরাণে ইথার (ইংরেজি বানান: Aether, Æther, Aither, or Ether; /ˈθər/; প্রাচীন গ্রিকΑἰθήρ (ঔজ্জ্বল্য)[১] উচ্চারিত [ai̯tʰɛ̌ːr]) হলেন উজ্জ্বল উচ্চতর আকাশের ব্যক্তিরূপ। হেসিয়ডের মতে, তিনি ছিলেন এরিবস (অন্ধকার) ও নিক্সের (রাত্রি) পুত্র তথা হেমারার (দিন) ভ্রাতা।[২] অর্ফিক সৃষ্টিতত্ত্বে অবশ্য বলা হয়েছে যে, ইথার হলেন ক্রোনসের (কাল) পুত্র তথা কেয়স ও এরিবসের ভ্রাতা।[৩]

ইথার
আদ্যকালীন দেবতা এবং উচ্চতর আকাশের ব্যক্তিরূপ
আদ্যকালীন দেব- গোষ্ঠীর সদস্য
এক সিংহমুখী দৈত্যের সঙ্গে যুদ্ধরত ইথার
ব্যক্তিগত তথ্য
মাতাপিতাক্রোনস (অর্ফিক)
সহোদরহেমারা (হেসিয়ড)
কেয়সএরিবস (অর্ফিক)

বংশবৃত্তান্ত সম্পাদনা

হেসিয়ডের থিওগনি গ্রন্থে গ্রিক দেবদেবীদের একটি "প্রামাণ্য" বংশবৃত্তান্ত পাওয়া যায়।[৪] এই গ্রন্থ অনুযায়ী, এথার ছিলেন এরিবসনিক্সের পুত্র তথা হেমারার ভ্রাতা।[৫] যদিও অন্যান্য প্রাচীন সূত্র থেকে ভিন্ন প্রকার বংশবৃত্তান্তও পাওয়া যায়। এমনই এক সূত্রের মতে, এরিবস ও নিক্সের মিলনের ফলে ইথার ও হেমারার নয়, বরং জন্ম হয়েছিল ইথার, এরসমিটিসের। অপর একটি সূত্রের মতে, ইথার ও নিক্স ছিলেন এরসের পিতামাতা (হেসিয়ড বলেছেন, চতুর্থ দেবতার উৎপত্তি ঘটেছিল কেয়স, গেয়া (পৃথিবী) ও টারটারাসের পর)।[৬] অন্য সূত্র থেকে জানা যায় যে, ইউরেনাস (হেসিয়ডের মতে, গেয়ার পুত্র) ছিলেন ইথার পুত্র এবং ইথারের "থেকেই সবকিছু এসেছে"।[৭]

অর্ফিক সৃষ্টিতত্ত্বে বলা হয়েছে যে, ইথার ছিলেন আদ্যকালীন প্রথম দেবতা ক্রোনসের পুত্র এবং কেয়স ও এরিবসের ভ্রাতা। ইথারের থেকে সৃষ্ট হয় (অথবা ইথারে স্থাপিত হয়) ব্রহ্মাণ্ড, যা ফুটে জন্ম হয় ফেনিজ/প্রোটোগনাস-এর। এই কারণে ইথারকে কখনও কখনও তাঁর পিতা মনে করা হয়।[৮] অর্ফিক আর্গোনটিকা গ্রন্থে ব্যাখ্যাত সৃষ্টিতত্ত্বের সূচনা কেয়স ও ক্রোনসের মাধ্যমে এবং সেখানে ইথার ও এরসকে ক্রোনসের পুত্র বলে অভিহিত করা হয়েছে।[৯]

দেবদেবীদের রোমান বংশবৃত্তান্তেও ইথারের একটি ভূমিকা দেখা যায়। সিসারো বলেছেন যে, ইথার ও ডাইজ হলেন ক্যালাসের (আকাশ) পিতামাতা[১০] এবং সেই সঙ্গে এও জানাচ্ছেন যে, "তথাকথিত ধর্মতত্ত্ববিদদের" মতে, ইথার ছিলেন "তিন জুপিটারের" একজনের পিতা।[১১] হিজাইনাসের (সম্ভবত বিভ্রান্ত)[১২] বংশবৃত্তান্ত অনুযায়ী, নক্স (রাত্রি), ডাইজ, এরিবস ও ইথার ছিলেন কেয়স ও ক্যালিগোর (কুয়াশা) সন্তান এবং ইথার ও ডাইজ ছিলেন টেরা (পুরাণ) টেরা (পৃথিবী), ক্যালাস (আকাশ) ও মেয়ারের (সমুদ্র) পিতামাতা;[১৩] আবার ইথার ও টেরার সন্তানেরা হলেন:

যন্ত্রণা, প্রতারণা, ক্রোধ, শোক, মিথ্যাভাষণ, শপথ, প্রতিশোধ, আত্মতুষ্টি, বিবাদ, বিস্মরণ প্রবণতা, আলস্য, ভয়, ঔদ্ধত্য, অজাচার, সংঘাত, মহাসাগর, থিমিস, টারটারাসপন্টাস; এবং টাইটানগণ, বত্তাস, গিয়েস ও ব্রিয়ারিয়াস নামে তিন শতভূজ দৈত্য, সাইক্লোপ্স, অ্যাটলাস, হাইপেরিয়ন ও পোলাস, স্যাটার্ন, ওপস, মনিটা, ডাইয়োনি ও তিন সর্পকেশী উপদেবী (আলেক্তো, তিসিফোনিমেগাইরা)।[১৪]

উৎসসূত্র সম্পাদনা

আদি উৎস সম্পাদনা

প্রাচীন গ্রিকরা ইথার (ব্যক্তিরূপে নয়) শব্দটির মাধ্যমে উচ্চতর বায়ুমণ্ডলকে বোঝাত, যাকে মনে করা হত ব্রহ্মাণ্ডের জাগতিক উপাদান।[১৫] উদাহরণস্বরূপ, হোমার লিখেছেন:

একটি ফ্যার গাছ অস্বাভাবিক দীর্ঘাকৃতি, সেকালে ইডাতে জাত সকল বৃক্ষের মধ্যে দীর্ঘতম; এবং তার মাথা কুয়াশা ভেদ করে গিয়ে স্পর্শ করেছে স্বর্গকে [ইথার]।[১৬]

যদিও ইথার (ব্যক্তিস্বরূপে) আদি গ্রিক সৃষ্টিতত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেছেন।[১৭] হেসিয়ডের থিওগনি গ্রন্থে বলা হয়েছে, কেয়স ছিলেন প্রথম সত্ত্বা। তারপর আসেন গেয়া (পৃথিবী), টারটারাস ও এরস; তারপর কেয়সের থেকে সৃষ্টি হন এরিবাস (অন্ধকার) ও নিক্স (রাত্রি) এবং এরিবাস ও নিক্সের থেকে সৃষ্টি হন ইথার ও হেমারা (দিন):[১৮]

কেয়স থেকে উৎসারিত হলেন এরিবাস এবং কৃষ্ণ রাত্রি; কিন্তু রাত্রির থেকে জন্ম নিলেন ইথার ও দিন, এরিবাসের সঙ্গে প্রণয়মিলনের ফলে রাত্রি তাঁদের গর্ভে ধারণ করেছিলেন ও জন্ম দিয়েছিলেন।[১৯]

সম্ভবত হারিয়ে-যাওয়া মহাকাব্য টাইটানোমেশি-তে (খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীর শেষভাগ?) ইথারের কথা উল্লিখিত হয়েছিল।[২০] দু'টি প্রাচীন সূত্র থেকে ইথারের কথা জানা যায়। এই দু'টি সূত্র "টাইটানোমেশির লেখকের" দ্বারা রচিত বলে কথিত। হোমারীয় শব্দতত্ত্ব (মিথোডিয়াস কর্তৃক) গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, ইউরেনাস ছিলেন ইথারের পুত্র।[২১] অন্যদিকে ফিলোডেমাস তাঁর ধর্মানুরাগ প্রসঙ্গে গ্রন্থে বলেছেন যে, "সবকিছুই ইথার থেকে এসেছে।"[২২]

খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর চিত্রলিপিকরমিথোগ্রাফার অক্যুসিলাউসের রচনা বলে কথিত বংশবৃত্তান্তগুলিতেও ইথারের কথা পাওয়া যায়।[২৩] নব্য-প্লেটোবাসী ডামাসিয়াসের (আনুমানিক ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথম ভাগ) মতে, অক্যুসিলাউস বলতে চেয়েছেন যে এরস ও মিটিসের সঙ্গে ইথারও ছিলেন এরিবস ও নিক্সের সন্তান।[২৪] যদিও থিওক্রিটাসের একটি টীকায় বলা হয়েছে যে, অক্যুসিলাউসের মতে, ইথার ও নিক্স ছিলেন ইরসের পিতামাতা।[২৫]

অর্ফিক সম্পাদনা

 
জেকব ব্রায়ান্টের অর্ফিক ডিম্ব (১৭৭৪)

অর্ফিক সৃষ্টিতত্ত্বে ইথারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ[২৬] "অর্ফিক" নামে পরিচিত অনেকগুলি প্রাচীন গ্রন্থ ছিল। এগুলির মধ্যে অর্ফিক স্তোত্রাবলি ইত্যাদি অল্প কয়েকটিই মাত্র বর্তমানে পাওয়া যায়।[২৭] বর্তমানে শুধুমাত্র খণ্ডিতাকারে পাওয়া যায় এমন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্ফিক গ্রন্থকে "থিওগনি" (দেবোৎপত্তিতত্ত্ব) বলে অভিহিত করা হয়। কারণ, এগুলিতেও হেসিয়ডের থিওগনি গ্রন্থের ন্যায় দেবতাদের উৎপত্তি বর্ণিত হয়েছে। এগুলির মধ্যে আবার অন্তত তিনটি গ্রন্থে (তথাকথিত "ডারভেনি থিওগনি", "হাইরানাইম্যান থিওগনি" ও "র‍্যাপসোডিক থিওগনি"[২৮]) ব্যক্তিস্বরূপে এবং সেই সঙ্গে জাগতিক উপাদান হিসেবে ইথারের উল্লেখ পাওয়া যায়।

ডারভেনি থিওগনি সম্পাদনা

প্রাগুক্ত তিনটি থিওগনির মধ্যে সবচেয়ে পুরনো বইটির নাম "ডারভেনি থিওগনি"। ডেরভানি প্যাপিরাসে (খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দী) এই গ্রন্থ থেকে অনেক উদ্ধৃতি পাওয়া যায়।[২৯] এর মধ্যে একটি উদ্ধৃতিতে জাগতিক উপাদান হিসেবে ইথারের উল্লেখ পাওয়া যায়:[৩০]

জিউস যখন তাঁর পিতার ভবিষ্যদ্বাণী শুনলেন,
তিনি শ্রদ্ধেয়জনকে (বা ফ্যালাসকে) গলাধঃকরণ করলেন, যিনি [বা যা] উৎসারিত হল
প্রথমে ইথারে [অথবা যিনি প্রথম ইথারকে ক্ষরণ করলেন]।[৩১]

"ইথার সর্বব্যাপী, যা স্বয়ং একাধারে পিতা ও পুত্র" - এই ধারণাটিও সম্ভবত দার্শনিক ক্রাইসিপাসের (ফিলোডিমাসের ধর্মানুরাগ প্রসঙ্গে গ্রন্থে রক্ষিত) রচনার একটি খণ্ডাংশে উদ্ধৃত ডারভেনি থিওগনির একটি ধারণা থেকেই প্রসূত হয়েছে।[৩২]

হাইরানাইম্যান থিওগনি সম্পাদনা

ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথমার্ধে নব্যপ্লেটোবাদী ডামাসিয়াস প্রথম নীতি প্রসঙ্গে গ্রন্থে একটি অর্ফিক গ্রন্থের বিবরণ দিতে গিয়ে লিখেছেন, এটি "এটি হাইরানাইমাস ও হেলানিকাসের রচিত বলে কথিত, অবশ্য এটিই সেই বই নয়।"[৩৩] বইটির নাম "হাইরানাইম্যান থিওগনি" (খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী)।[৩৪] ডামাসিকাস বলেছেন যে, হাইরানাইম্যান থিওগনিতে "ঈষৎ আদ্র ইথার", "অনন্ত কেয়স" ও "কুয়াশাচ্ছন্ন এরিবস"-এর পিতা রূপে "সর্প সময়"-কে উল্লেখ করা হয়েছে।[৩৫]

র‍্যাপসোডিক থিওগনি সম্পাদনা

প্রথম নীতি প্রসঙ্গে গ্রন্থে ডামাসিয়াস সংক্ষেপে অন্য গ্রন্থে প্রাপ্ত "প্রামাণ্য অর্ফিক ধর্মতত্ত্ব"-এর সারাংশও প্রদান করেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন যে, "এই অর্ফিক র‍্যাপসোডিস বর্তমানে প্রচলিত"।[৩৬] ডামাসিয়াসের মতে, র‍্যাপসোডিস (খ্রিস্টপূর্ব/খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দী?)[৩৭] গ্রন্থে বলা হয়েছে, প্রথমে ক্রোনসের উৎপত্তি এবং তাঁর দুই সন্তান ইথার ও কেয়স:[৩৮]

র‍্যাপসোডিস-এ ধর্মতত্ত্ব... শুরু হয়েছে... "অনাদি সময়" ও ইথার ও কেয়সের পিতার সঙ্গে, যা এই বিবরণে সর্বাপেক্ষা সম্মান অর্জন করেছে।[৩৯]

পঞ্চম শতাব্দীর গ্রিক নয়াপ্লাতোবাদী প্রক্লাস প্লেটোর রিপাবলিকের টীকা গ্রন্থে র‍্যাপসোডিস থেকে নিম্নোক্ত পংক্তিগুলি উদ্ধৃত করেন:

অবিনশ্বর সম্পদের এই অক্ষয় কাল জন্ম দেয়
ইথার ও এক মহৎ গহ্বরের [ক্যাজম], এদিকে ওদিকে প্রকাণ্ড,
নিম্নে সীমাহীন, অতল, সেখানে দাঁড়াবার ঠাঁইও নেই।[৪০]

এখানে ক্যাজম হল কেয়সের অপর নাম।[৪১] প্রথম নীতি প্রসঙ্গে গ্রন্থের অন্যত্র ডামাসিয়াস র‍্যাপসোডিসের অন্যান্য পংক্তি উদ্ধৃত করেছেন:

তারপর মহাকাল দিব্য ইথারের থেকে (বা ইথারের মধ্যে) সৃষ্টি করলেন
একটি উজ্জ্বল শ্বেতডিম্ব।[৪২]

অন্যদিকে প্রক্লাস প্লেটোর রিপাবলিকের টীকা গ্রন্থে অর্ফিক জাগতিক ডিম্বকে বলেছেন "ইথার ও কেয়সের থেকে জাত"।[৪৩] তিনি ফেনিজকে বলেছেন "ইথারের পুত্র"।[৪৪] প্রক্লাস আরও বলেছেন যে, যখন জাগতিক ডিম্ব ফুটে ফেনিসের উৎপত্তি ঘটে, তখন ইথার ও ক্যাজম বিভাজিত হন।[৪৫]

জিউসের উদ্দেশ্যে রচিত একটি বত্রিশ চরণের স্তোত্রজাতীয় রচনায় জাগতিক উপাদান হিসেবে ইথারের নাম দু'বার উল্লিখিত হয়েছে। এই রচনাটি আপাতদৃষ্টিতে র‍্যাপসোডিস-এরই অন্তর্গত। এই রচনাটিতে জাগতিক ব্রহ্মাণ্ডের বিভিন্ন অংশকে জিউসের শরীরের অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।[৪৬] অষ্টম চরণে জিউসের শরীরস্থ বস্তুগুলির তালিকা দেওয়া হয়েছে:

আগুন ও জল ও পৃথিবী ও বায়ু [ইথার], রাত্রি ও দিন...[৪৭]

সপ্তদশ চরণে বলা হয়েছে:

তাঁর [জিউসের] সত্যময়, রাজকীয় মন হল অবিনশ্বর ইথার।[৪৮]

সম্ভবত র‍্যাপসোডিস থেকেই গৃহীত হয়েছিল "অর্ফিউস"-এর রচনা হিসেবে কথিত জগৎ সৃষ্টির একটি বিবরণ, যা পাওয়া যায় ষষ্ঠ শতাব্দীর ক্রোনোগ্রাফার জন মালালাসের রচনায়:[৪৯]

অর্ফিউস যা বলেছেন তা এখানে বলা হল। তিনি বলেছেন যে, সৃষ্টির আদিতে সময়ের কাছে ঈশ্বর কর্তৃক সৃষ্ট বলে ইথার প্রকাশিত হলেন এবং ইথারের এই ধারে ছিলেন কেয়স, এবং সেই হিসেবে, যখন অন্ধকার রাত্রি সবকিছু ধারণ করেছিল এবং ইথারের নিচে যা কিছু তা আবরিত করে ছিল, তা নির্দেশ করে যে রাত্রি প্রথমে এসেছিল। অর্ফিউস তাঁর বিবরণীতে বলেছেন যে, এমন এক সত্ত্বা ছিলেন, যিনি ছিলেন বোধগম্যতার অতীত, সবার উপরে, সবার পূর্বে এবং সকল বস্তুর স্রষ্টা। তিনি স্বয়ং ইথারকে ও রাত্রিকে সৃষ্টি করেন এবং যা কিছু সৃষ্টি গুপ্ত ছিল তা নিহিত ছিল ইথারের নিচে। তিনি বলেছেন যে, অন্ধকারের নিচে অদৃশ্য ছিল পৃথিবী। তিনি ঘোষণা করেন যে আলোক প্রকাশলাভ করে ইথারের মধ্যে দিয়ে এবং পৃথিবী ও সকল সৃষ্টিকে আলোকিত করে তোলেন। তিনি বলেন যে আলো ইথারের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল বলে উপরে উল্লিখিত হল সেই আলোই ছিলেন সকল বস্তুর অধীশ্বর। অর্ফিউস অর‍্যাকলে তাঁর নাম শুনেছিলেন এবং ঘোষণা করেছিলেন: "মিটিস, ফেনিস, এরিকেপাইয়োস"।[৫০]

আরেকটি অর্ফিক পদ্যের আরেকটি খণ্ডাংশ (সেটিও সম্ভবত র‍্যাপসোডিস-এরই অংশ) উদ্ধৃত হয়েছে এটিমোলজিকাম ম্যাগনাম গ্রন্থে ফেনিস নামের ভুক্তিতে:[৫১]

তারা তাঁকে বলে ফেনিস
ও প্রোটোগনাস, কারণ তিনিই ছিলেন ইথারে প্রথম দৃশ্যমান ব্যক্তি (φαντός)।[৫২]

ইথার স্তোত্র সম্পাদনা

অর্ফিক স্তোত্রাবলি (খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দী?) হল বিভিন্ন দেবদেবী ও বিমূর্ত ধারণার উদ্দেশ্যে রচিত সাতাশিটি কবিতার সংকলন।[৫৩] পঞ্চম অর্ফিক স্তোত্র-টি ইথারের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত:

জিউসের সুউচ্চ হর্ম্য [তোমার, তাঁর] অন্তহীন শক্তিও তোমারই;
তুমি নক্ষত্ররাজির, সূর্যের ও চাঁদের অংশ দাবি করো।
হে সবাইকে অনুগত করা, হে অগ্নি-শ্বাসী, হে প্রতি জীবে জীবনের স্ফুলিঙ্গ,
সূক্ষ্ম ইথার, শ্রেষ্ঠ জাগতিক উপাদান,
দীপ্তিমান, উজ্জ্বল, নক্ষত্রালোকিত সন্ততি,
আমি তোমাকে আহ্বান করি এবং প্রার্থনা করি আমার প্রতি সদয় ও স্বচ্ছ হওয়ার জন্য।[৫৪]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Gantz, p. 4.
  2. Hard, p. 24; Grimal s.v. Aether; Tripp, s.v. Aether; The Oxford Classical Dictionary, s.v. Aither; Gantz, p. 4.
  3. Athanassakis and Wolkow, p. 80.
  4. Hard, p. 21; Fowler 2013, p. 5.
  5. Fowler 2013, p. 5; Hard, pp. 23–24; Hesiod, Theogony 124–125.
  6. Fowler 2013, pp. 5–6; Hard, p. 23; Acusilas fr. 6 Fowler (pp. 5–7); Hesiod, Theogony 116–122.
  7. Eumelus fr. 1 (West 2003, pp. 222–225); compare Callimachus, fr. 498.
  8. Athanassakis and Wolkow, p. 80; West 1983, p. 70; Meisner, p. 187; Hard, p. 25.
  9. Meisner, p. 172; Orphic Argonautica 12–14; Orphic test. 224 Kern.
  10. Cicero, De Natura Deorum 3.44.
  11. Cicero, De Natura Deorum 3.53.
  12. Bremmer, p. 5, calls the beginning of Hyginus' genealogy "a strange hodgepodge of Greek and Roman cosmogonies and early genealogies".
  13. Hyginus, Fabulae Theogony 1–2 (Smith and Trzaskoma, p. 95).
  14. Hyginus, Fabulae Theogony 3 (Smith and Trzaskoma, p. 95). Hyginus's genealogy is very different from that given in Hesiod's Theogony, where Tartarus is the third primal deity after Chaos and Gaia (116–122); Uranus (Sky) and Pontus (Sea) were the offspring of Gaia (Earth) alone (126–132); Ocean (Oceanus), Themis, Hyperion, Saturn (Cronus), and Ops (Rhea) are five of the twelve Titans, Briareus and Gyges are two of the three Hundred-Handers, and Steropes was one of the three Cyclopes, who were all the offspring of Gaia and Uranus (132–153); Atlas was the offspring of the Titans Iapetus and Clymene (507–509); the Furies (Erinyes) are the offspring of Gaia and Uranus' blood (185). In addition the abstract personifications Pain, Deception, Anger, Mourning, Lying, Oath, Vengeance, Self-indulgence, Quarreling, Forgetfullness, Sloth, Fear, Arrogance, Incest, and Fighting, are similar to the personifications, in the Theogony, who are the children of Nyx (211–225, e.g. Oizys (Distress), and Apate (Deceit)) or Eris (226–232, e.g. Algea (Pains), Pseudea (Lies), Horkos (Oath), Neikea (Disputes), Lethe (Forgetfulness), Hysminai (Combats), and Makhai (Battles)).
  15. Athanassakis and Wolkow, p. 80.
  16. Homer, Iliad 14.286–288.
  17. Fowler 2013, p. 6.
  18. Gantz, p. 4; Hesiod, Theogony 123–125.
  19. Evelyn-White translation.
  20. West 2002, p. 109 says that the Titanomachy was "composed in the late seventh century at the earliest".
  21. Gantz, p. 12; Grimal, s.v. Uranus; Eumelus fr. 1 (West 2003, pp. 222–225); compare Callimachus, fr. 498. According to Grimal the mother was "doubtless" Hemera, compare with Cicero, De Natura Deorum 3.44, which has Aether and Dies as the parents of Caelus (Sky).
  22. Eumelus fr. 1 (West 2003, pp. 222–225).
  23. Fowler 2013, p. 6; Acusilas fr. 6 Fowler (pp. 5–7).
  24. Fowler 2013, p. 6.
  25. Fowler 2013, p. 6; Gantz, p. 3.
  26. West 1983, pp. 70, 198–200; Meisner (throughout, see index); Athanassakis and Wolkow, pp. 5, 80 (citing Orphic frr. 78, 111 Bernabé); Orphic frr. 30 [= Chrysippus, apud Philodemus, De Pietate (On Piety) pp. 80–81 Gomperz], 54 [= Damascius, De principiis 123.31–80], 60 [= Damascius, De principiis 123.8–30], 65 [= John Malalas, Chronographia 4.9 p. 74 Dindorf], 66 [= Proclus, Commentary on Plato's Republic 2.138.8 Kroll], 70 [= Damascius, De principiis 55], 72 [= Proclus, Commentary on Plato's Republic 2.138.18 Kroll], 73 [= Lactantius, Divine Institutes I, 5, 4–6 p. 13, 13 Brandt.], 74 [= Proclus, Commentary on Plato's Timaeus 31 a (I 433, 31 Diehl)], 75 [= Etymologicum Magnum p. 787.29], 76 [= Hermias, Commentary on Plato's Phaedrus 246e], 79 [= Proclus, Commentary on Plato's Timaeus 30 c, d (I 427, 20 Diehl)], 168 Kern; Orphic test. 224 Kern [= Orphic Argonautica 7–46].
  27. West 1983, pp. 1–3; Meisner, pp. 4–5; Athanassakis and Wolkow, p. xi.
  28. West 1983, pp. 68–69; Meisner, p. 1; Athanassakis and Wolkow, pp. xi–xii.
  29. West 1983, pp. 75–77; Meisner, p. 1; Athanassakis and Wolkow, p. xi. For discussions of the Derveni papyrus and theogony see West 1983, Chapter 3: "The Protogonos and Derveni Theogonies" (pp. 68–115); Meisner, Chapter 2: "The Derveni Papyrus" (pp. 51–85)
  30. Meisner, pp. 31–32, 69, 80–81.
  31. Meisner, p. 69.
  32. Meisner, p. 103; Orphic fr. 30 Kern [= Chrysippus, apud Philodemus, De Pietate (On Piety) pp. 80–81 Gomperz]. Meisner, p. 103 n. 77 says that Bernabé "relates this fragment to the Derveni poem."
  33. Damascius, De principiis 123.31–32 (White, pp. 232, 233); West 1983, p. 176.
  34. Meisner, p. 1. For discussions of the Hieronyman Theogony, see West 1983, Chapter 4: "The Hieronyman Theogony" (pp. 176–226); Meisner, Chapter 4: "The Hieronyman Theogony" (pp. 119–157). For Damascius' entire account of the Hieronyman Theogony, see De principiis 123.31–80 (White, pp. 232–237) [= Orphic fr. 54 Kern].
  35. Damascius, De principiis 123.56–58 (White, pp. 234, 235) West 1983, p. 198. Although Meisner, p. 144, reads Damascius as saying that "Chronos mates with Necessity" (Ananke), "who gives birth to Aither, Chaos, and Erebus", West 1983, pp. 198–199, argues against such a reading, saying "Although Chronos and Ananke make a well-matched male and female pair, the sources agree in speaking of Chronos alone as parent."
  36. Damascius, De principiis 123.8–30 (White, pp. 228–231) [= Orphic fr. 60].
  37. West 1983, p. 261; Meisner, p. 5.
  38. West 1983, p. 230; Meisner p. 187.
  39. Damascius, De principiis 123.49–55 (White, pp. 234, 235).
  40. West 1983, p. 198; Meisner, p. 188; Proclus, Commentary on Plato's Republic 2.138.8 Kroll [= Orphic fr. 66 Kern].
  41. West 1983, p. 199; Meisner, p. 188.
  42. West 1983, p. 198; Meisner, p. 189; Damascius, De principiis 55] [= Orphic fr. 70 Kern].
  43. West 1983, p. 200; Proclus, Commentary on Plato's Timaeus 30 c, d (I 427, 20 Diehl)] [= Orphic fr. 79 Kern].
  44. West 1983, p. 200; Proclus, Commentary on Plato's Timaeus 31 a (I 433, 31 Diehl)] [= Orphic fr. 74 Kern]; so also Orphic fr. 73 Kern [= Lactantius, Divine Institutes I, 5, 4–6 p. 13, 13 Brandt.]. However, concerning these passages of Proclus, West 1983, p. 200, cautions: "We must be ... prepared not to attach too literal a sense to Proclus' description of the egg as 'born from Aither and Chaos' (fr. 79), or to verses in which Protogonos, who came from the egg, is styled 'son of Aither' (frr. 73, 74). It seems clear that Aither was not represented as a person, only as a material element."
  45. West 1983, pp. 70, 203; Gantz, p. 742; Proclus, Commentary on Plato's Republic 2.138.18 Kroll] [= Orphic fr. 72 Kern].
  46. West 1983, pp. 89, 239–241; Meisner, pp. 105–107, 112; Orphic fr. 168 Kern.
  47. West 1983, p. 241. Compare with Aeschylus, Heliades (Daughters of Helios) fr. 70 Sommerstein [= fr. 70 Radt] [= Clement of Alexandria, Stromata, 5.14.114.4 = Eusebius, Praeparatio evangelica 13.13.41]: "Zeus is the aether, Zeus is earth, Zeus is heaven—yes, Zeus is everything, and whatever there may be beyond that."
  48. Meisner, p. 112.
  49. Meisner, pp. 173–174, 205; John Malalas, Chronographia 4.9 [= Orphic fr. 65 Kern].
  50. Elizabeth Jefferys, Michael Jefferys and Roger Scott's translation, p. 36.
  51. Meisner, p. 195; Etymologicum Magnum p. 787.29 [= Orphic fr. 75 Kern].
  52. Meisner's translation, p. 195.
  53. Athanassakis and Wolkow, p. x; Meisner, p. 4.
  54. Athanassakis and Wolkow, p. 5.

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

টেমপ্লেট:Greek religion