আসাম বিধানসভা (অসমীয়া: অসম বিধানসভা) ভারতবর্ষর অন্তৰ্গত আসাম রাজ্যের একটি এককক্ষীয় সভা৷ আসামের রাজধানী দিশপুর এটি অবস্থিত৷ আসাম বিধানসভা মোট ১২৬ জন বিধানসভা সদস্য নিয়ে গঠিত৷ এই সদস্যদের সরাসরি আসামের বিভিন্ন একক আসন বিশিষ্ট নিৰ্বাচনের মাধ্যমে নিৰ্বাচিত করা হয়৷ আসাম বিধানসভার সম্পূূর্ণ কার্যকাল ৫ (পাঁচ) বছর কিন্তু যেকোনো সময়ে অনাস্থা প্রস্তাব বা রাষ্ট্রপতি শাসন প্রবর্তনের দ্বারা এই সভা ভঙ্গ করা যায়৷

আসাম বিধানসভা

অসম বিধানসভা (অসমীয়া)
১৩তম বিধানসভা
ধরন
ধরন
এককক্ষীয়
নেতৃত্ব
বিধানসভার অধ্যক্ষ
গঠন
আসন১২৬ জন
রাজনৈতিক দল
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
আসাম গণ পরিষদ
ভারতীয় জনতা পার্টি
সর্ব ভারতীয় সংযুক্ত গণতান্ত্রিক মোর্চা
নির্বাচন
First-past-the-post
সর্বশেষ নির্বাচন
২০০৬
সভাস্থল
দিশপুর
ওয়েবসাইট
http://assamassembly.nic.in

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৩৫ সালের ২ আগস্ট ব্রিটিশ সংসদে ভারত সরকার আইন ১৯৩৫ (Government of India Act 1935)গৃহীত হয়। এই আইনের দ্বারা মোতাবেক ১৯৩৭ সালে আসাম প্রদেশের জন্য দ্বিকক্ষীয় বিধানসভা প্রনয়ন করা হয়। বিধানসভার নিম্ন কক্ষে, আসাম বিধানসভার প্রথম বৈঠক বসে শিলং-এর সভা কক্ষে ১৯৩৭ সালের এপ্রিল মাসের ৭ তারিখে। শিলং সেই সময়ে সংযোজিত আসামের রাজধানী ছিল। বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ছিল ১০৮। এই সদস্যরা সবাই ছিলেন নিৰ্বাচিত। উচ্চ বিচার বিভাগের সদস্য সংখ্যা ছিল ২১ বা ২২ জন।

ভারত বিভক্ত হওয়ার পর আসামের সিলেট জেলা পূর্ব পাকিস্তানের (বৰ্তমান বাংলাদেশ) অন্তৰ্ভূক্ত হয়। স্বাভাবিকভাবে বিধানসভার আসনসংখ্যা কমে ৭১ হয়ে যায়। অবশ্য স্বাধীনতার পর আসনসংখ্যা পুনরায় ১০৮টি হয়। ১৯৪৭ সালে বিধান পরিষদের অবলুপ্তি ঘটায় আসামের বিধানসভা এককক্ষীয় হয়। স্বাধীনোত্তর সময়ে আসাম বিভক্ত হয়ে অনেক নতুন রাজ্যের সৃষ্টি হয়। ১৯৬৩ সালে নাগাল্যান্ড গঠিত হয়। ১৯৭১ সালে ভারতের সংসদে গৃহীত হওয়া একটি আইনের মাধ্যমে মেঘালয়কে পূৰ্ণাঙ্গ রাজ্যের মৰ্যাদা দেয়া হয়। মিজোরাম এবং অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের থেকে আলাদা হয়ে যায়। মেঘালয় গঠনের পর সিলং আসামএবং মেঘালয় উভয় রাজ্যের যৌথ রাজধানী হয়। ১৯৭২ সালে আসাম সরকার দিসপুরে রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭৩ সালের ১৬ মাৰ্চ দিসপুরের অস্থায়ী রাজধানীতে আসাম সরকার প্ৰথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫২ সালে স্বাধীনোত্তর ভারতের প্ৰথম নিৰ্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুযায়ী ১৯৫২ সালে গঠিত হওয়া বিধানসভাকে স্বাধীনোত্তর আসামের প্ৰথম বিধানসভা বলা হয়। সে কারণে ২০১১ সালে আসামের ১৩তম বিধানসভা গঠন করা হয়। [১][২]

রাজ্যের বিভাজন এবং সমষ্টির পুনৰ্গঠনের জন্যে আসাম বিধানসভার আসন সংখ্যা সময়ে-সময়ে পরিবৰ্তন হয়ে এসেছে। আসাম বিধানসভার আসন সংখ্যা

প্ৰথম বিধানসভা (১৯৫২-৫৭) ১০৮টি
দ্বিতীয় বিধানসভা (১৯৫৭-৬২) ১০৫টি
তৃতীয় বিধানসভা (১৯৬৭-৭২) ১১৪টি
পঞ্চম বিধানসভা (১৯৭২-৭৮) থেকে বৰ্তমান পর্যন্ত ১২৬টি।[২]

আসাম বিধানসভার অধ্যক্ষদের তালিকা সম্পাদনা

আসাম বিধানসভার অধ্যক্ষদের তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হল[৩]:

আসাম প্ৰদেশ সম্পাদনা

# নাম কাৰ্যভার গ্ৰহণ কাৰ্যভার ত্যাগ রাজনৈতিক দল
বাবু বসন্ত কুমার দাস ৭ এপ্ৰিল ১৯৩৭ ১১ মাৰ্চ, ১৯৪৬
দেবেশ্বর শৰ্মা ১২ মাৰ্চ, ১৯৪৬ ১০ অক্টোবর, ১৯৪৭
লক্ষেশ্বর বরুয়া ৫ নভেম্বর, ১৯৪৭ ৩ মাৰ্চ, ১৯৫২

আসাম রাজ্য সম্পাদনা

# নাম কাৰ্যভার গ্ৰহণ কাৰ্যভার ত্যাগ রাজনৈতিক দল
কুলধর চলিহা ৫ মাৰ্চ ১৯৫২ ৭ জুন, ১৯৫৭
দেবকান্ত বরুয়া ৮ জুন, ১৯৫৭ ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯
মহেন্দ্ৰ মোহন চৌধুরী ৯ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ ১৯ মাৰ্চ, ১৯৬৭
হরেশ্বর গোস্বামী ২০ মাৰ্চ, ১৯৬৭ ১০ মে, ১৯৬৮
মহীকান্ত দাস ২৭ আগস্ট, ১৯৬৮ ২১ মাৰ্চ, ১৯৭২
রমেশ চন্দ্ৰ বরুয়া ২২ মাৰ্চ, ১৯৭২ ২০ মাৰ্চ, ১৯৭৮
যোগেন্দ্ৰ নাথ হাজরিকা ২১ মাৰ্চ, ১৯৭৮ ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯
শেখ চাঁদ মহম্মদ ৭ নভেম্বর, ১৯৭৯ ৭ জানুয়ারি, ১৯৮৬
পুলকেশ বরুয়া ৯ জানুয়ারি, ১৯৮৬ ২৭ জুলাই, ১৯৯১
১০ জীবকান্ত গগৈ ২৯ জুলাই, ১৯৯১ ৯ ডিসেম্বর, ১৯৯২
১১ দেবেশ চন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্তী ২১ ডিসেম্বর, ১৯৯২ ১১ জুন, ১৯৯৬
১২ গণেশ কুটুম ১২ জুন, ১৯৯৬ ২৪ মে, ২০০১ আসাম গণ পরিষদ
১৩ পৃথিবী মাঝি ৩০ মে, ২০০১ ১৯ মে, ২০০৬ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
১৪ টঙ্ক বাহদুর রাই ২৯ মে, ২০০৬ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
১৫ প্রণব কুমার গগৈ[৪] ৬ জুন, ২০১১ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. চন্দ্র কুমার বরুয়া (২০১২)। "আসাম বিধানসভার ৭৫ বছর"। প্রান্তিক: ১২, ১৩ পৃঃ।  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  2. "আসাম বিধানসভার বিভাগীয় ওয়েবসাইট"। সংগ্রহের তারিখ May 04, 2012  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. "List of Speakers since 1937"। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১০ 
  4. Members of 13th Assembly sworn in - Pranab Gogoi elected Assam Speaker

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা