আশীর্বাদ (১৯৬৮-এর চলচ্চিত্র)

১৯৬৮ হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র

আশীর্বাদ হল হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত একটি ১৯৬৮ সালের বলিউড চলচ্চিত্র। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অশোক কুমার এবং সঞ্জীব কুমার। ছবিটি অশোক কুমারের গাওয়া একটি র‍্যাপ সঙ্গীতের মত গান - "রেল গাড়ি" র অন্তর্ভুক্তির জন্য উল্লেখযোগ্য।[১]

আশীর্বাদ
পরিচালকহৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়
প্রযোজকহৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়
এন. সি. সিপ্পি
রচয়িতাগল্প: অনিল ঘোষ
সংলাপ: গুলজার
শ্রেষ্ঠাংশেঅশোক কুমার
সঞ্জীব কুমার
সুমিতা সান্যাল
সুরকারবসন্ত দেসাই
গুলজার
চিত্রগ্রাহকটি.বি. সীতারাম
সম্পাদকহৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়
মুক্তি
  • ১৯৬৮ (1968)
স্থিতিকাল১৪৬ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

সংক্ষিপ্তসার সম্পাদনা

নায়ক যোগি ঠাকুর (অশোক কুমার) একজন সাধারণ মানুষ, যে উচ্চ নীতি নিয়ে চলে। সে একজন ঘর-জামাই, তাকে এবং তার স্ত্রীকে তার শ্বশুর সম্পত্তির দায়িত্ব প্রদান করেছে। তার স্ত্রী ছিল একজন স্বৈরাচারী বাড়িওয়ালা (বীনা)। একদিন সে জানতে পারল, তার স্ত্রীর নির্দেশে, এস্টেটের প্রধান হিসাবরক্ষক চালাকি করে তার স্বাক্ষর নকল করেছে এবং সেই স্বাক্ষর দিয়ে আদেশ বার করে একজন দরিদ্র মানুষের ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। সে বিবাহ বিচ্ছেদ করল এবং বেঁচে থাকতে আর ফিরে আসবে না বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। মেয়ে নীনাকে সে সেখানেই রেখে গেল। সে মুম্বাই চলে গেল এবং সেখানে একটি উদ্যানে বাচ্চাদের বিনোদনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকল (বিখ্যাত "রেল গাড়ি" গানটি ভারতের প্রথম র‍্যাপ গান ছিল)। সে বিশেষভাবে একটি মেয়েকে পছন্দ করত যার নামও ঘটনাক্রমে নীনা (শিশু সারিকা অভিনীত)। দুর্ভাগ্যক্রমে, শিশুটি অসুস্থ হয়ে মারা যায়।

যোগি তখন তার নিজের গ্রাম চন্দনপুরে ফিরে আসে। সেখানে সে জানতে পারে যে তার এক গ্রামবাসী বন্ধু বৈজুর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। সে ছুটে যায় মেয়েটিকে বাঁচাতে, যেখানে এস্টেটের ধূর্ত মুখ্য হিসাবরক্ষক মেয়েটিকে ধর্ষণ করতে যাচ্ছিল। মেয়েটিকে রক্ষা করার জন্য সে তাকে হত্যা করে। গ্রামবাসীরা তাকে বাঁচাতে একটি কল্প কাহিনী তৈরি করে, কিন্তু সে আদালতে সত্য বলে এবং সাজাপ্রাপ্ত হয়। সেখানে সে বাগানে কাজ করতে থাকে এবং দার্শনিক কবিতা রচনা শুরু করে। কারাগারের ডাক্তার ডাঃ বীরেন (সঞ্জীব কুমার) তাকে বিশেষভাবে পছন্দ করতে শুরু করে। কাকতালীয়ভাবে, যোগি ঠাকুরের মেয়ে নীনার সাথে ডাক্তারের বিবাহ স্থির হয়। ডাক্তারের বাড়ির বাইরে বাগানে কাজ করার সময়, ঘরের মধ্যে আলোচনা থেকে, যোগি আকস্মিক ভাবে এই ঘটনা শুনে ফেলে। সে আরও শোনে যে তার মেয়ে অপরাধীদের ঘৃণা করে। তাই সে মেয়ের সঙ্গে দেখা হবার উপক্রম হলেই নিজের মুখটি ঢাকা দিয়ে রাখত। দুর্ভাগ্যক্রমে, ভাল আচরণের জন্য সরকারের ক্ষমা পাওয়ার সময় যোগি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তার তাকে বাবার মতই দেখত। সে যোগি ঠাকুরকে বলে যে তার বিবাহের প্রাক্কালে যোগি মুক্তি পাবে। যোগি ঠাকুরের আকাঙ্ক্ষা জাগে বিবাহকালে মেয়েকে দেখার, এবং সে তাড়াতাড়ি তাকে দেখতে যায়। তবে সে চেয়েছিল কেউ যেন তাকে চিনতে না পারে। অবশেষে সে একদল ভিখারির মধ্যে সামিল হয়, যারা এই বিবাহের ভোজের আশায় জমায়েত হয়েছিল। তার মেয়ে এবং জামাই তাদের খাবার পরিবেশন করতে আসে। সে মেয়েকে আশির্বাদ করে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে যায়। কিন্তু সে অবসন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে যায় এবং তার চারিপাশে লোক জমে যায়। লোকেরা তাকে চিনে ফেলে। খবরটি তার মেয়ের কাছে পৌঁছোয়। বাবার শেষ মুহূর্তে বাবাকে দেখা করার জন্য মেয়েটি ঘটনাস্থলে ছুঁটে যায়।

অশোক কুমার নিজে গাওয়া "রেল গাড়ি", লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া "এক থা বাচপান" (যোগি ঠাকুরের মেয়ের গাওয়া) এবং অবশেষে মান্না দের গাওয়া স্মরণীয় "জীবন সে লম্বে হ্যায় বন্ধু ইয়ে জীবন কে রাস্তে" (রাতের বেলা যোগি ঠাকুরকে তার গ্রামের কাছে পৌঁছে দেওয়া গরুর গাড়ির চালকের গাওয়া) এর মতো অসাধারণ কিছু গানে সজ্জিত চলচ্চিত্রটি একটি মানুষের জীবন পথে সংবেদনশীল ভ্রমণের কাহিনী।

চরিত্র চিত্রণ সম্পাদনা

সাউন্ডট্র্যাক সম্পাদনা

চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেছিলেন বসন্ত দেসাই, গানের কথা লিখেছিলেন গুলজার। হরীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় "রেল গাড়ি..." গানটি লিখেছিলেন।

পুরস্কার সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Hrishikesh Mukherjee's best films: Aashirwad (1969)"। Rediff.com Movies। ২৮ আগস্ট ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা