আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ

খলিল আহমদ সাহারানপুরির বই

আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ (আরবি: المهند على المفند ; আকায়েদে উলামায়ে আহলে সুন্নাত দেওবন্দ নামেও পরিচিত) দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত খলিল আহমদ সাহারানপুরি রচিত আকীদা বিষয়ক একটি বই। ১৯০৭ সালে আরবি ভাষায় এটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এটি গতানুগতিক ধারায় লিখিত কোনো বই নয়। দেওবন্দিদের দাবি অনুসারে, ভারতবর্ষ থেকে এক লোক হিজাজ গিয়ে দেওবন্দি আলেমদের আকীদা নিয়ে মিথ্যাচার করে এবং সেখানকার আলেমদের থেকে শর্তসাপেক্ষে কাফের ফতোয়া নিয়ে আসে। পরবর্তীতে হুসাইন আহমদ মাদানি এ ঘটনা অবগত হলে তিনি হিজাজের আলেমদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। হিজাজের আলেমরা বিষয়টি বুঝতে পেরে দেওবন্দিদের মূল আকীদা জানতে চেয়ে তাদের নিকট ২৬টি প্রশ্ন লিখে পাঠান। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সমূহ নিয়েই এই বই। এই বইটি মক্কা-মদিনার আলেমরা সত্যায়িত করেছেন। এটি সংক্ষিপ্ত হলেও এখানে দেওবন্দি আকীদার মৌলিক বিষয়গুলো খুবই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বস্তরের দেওবন্দি আলেমদের সত্যায়ন থাকায় পুস্তকটি দেওবন্দি আকীদা বর্ণনার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক সনদ অর্জন করেছে।[১]

আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ
বাংলা অনুবাদের প্রচ্ছদ
লেখকখলিল আহমদ সাহারানপুরি
মূল শিরোনামআরবি: المهند على المفند
অনুবাদক
  • বাংলা
    • ছানা উল্লাহ সিরাজী (কষ্টিপাথরে দেওবন্দি মতবাদ)
    • মুহাম্মদ বদরুল আমীন (আকায়েদে উলামায়ে আহলে সুন্নাত দেওবন্দ)
দেশভারত
ভাষাআরবি (মূল)
মুক্তির সংখ্যা
১ খণ্ড
বিষয়ইসলাম
ধরনআকীদা
প্রকাশিত
  • ১৯০৭ (আরবি)
প্রকাশকদারুল ফাতহ, জর্ডান (আরবি), মাকতাবাতুন নুসরাহ; নাঈম প্রকাশনী (বাংলা)
মিডিয়া ধরন
পৃষ্ঠাসংখ্যা
  • ১৫০ (আরবি)
  • ২৪৫ (বাংলা)
আইএসবিএন৯৭৮৯৯৫৭২৩৪৪০৯
ওসিএলসি৫৯৬৬২৫৪৮
২৯৭.১৪০ ১
এলসি শ্রেণীবিপি১৬৬.১৪.ডি৪ কে৪৫ ১৯৯০
ওয়েবসাইটদ্যা মজলিস
এই বইয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত তথা দেওবন্দিদের আকীদা সম্পর্কে ২৬টি অতি সাধারণ প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে।
সংশোধিত আরবি সংস্করণ

প্রেক্ষাপট সম্পাদনা

গ্রন্থটি মৌলিক নয়, কতগুলো প্রশ্নের উত্তর ও তার সত্যায়ন। ১৯০৬ সালে আহমদ রেজা খান বেরলভি নামক এক ব্যক্তি হজ্জের উদ্দেশ্যে হিজাজ গমন করে। হজ্জ শেষে সে মক্কায় একটি পুস্তক রচনা করে। দেওবন্দিদের দাবি অনুসারে, সে এই পুস্তকে বেশ কয়েকজন বিদগ্ধ দেওবন্দি আলেমের বক্তব্যকে শাব্দিক ও অর্থগতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করে এবং তাদের ব্যাপারে কিছু অপবাদ আরোপ করে। মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি, রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি, খলিল আহমদ সাহারানপুরি, আশরাফ আলী থানভীর বক্তব্যকে বিভিন্নভাবে উপস্থান করে তাদের সবাইকে সুনিশ্চিত কাফের ফতোয়া দেয় এবং এটাও লিখে দেয় যে, যারা তাদেরকে কাফের মনে করবে না, তারাও কাফের। সে দেওবন্দি কিছু পণ্ডিতদের লেখা বইও উপস্থাপন করে। তাদের বিভিন্ন বইয়ের উদ্ধৃতিও উপস্থাপন করে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে সে মক্কা-মদিনার আলেমদের সাক্ষ্য গ্রহণের চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু মক্কা-মদিনার আলেমদের নিকট এসব বিষয় পরিচিত না থাকায়, অনেকেই সেখানে ফতোয়া দেয়ার সময় বলেন যে, যদি বাস্তবেই তাদের আকীদা এমন হয়ে থাকে, তবে তারা কাফের হবে। হজ্জ থেকে ফিরে কিছুদিন পর রেজা খান ‘হুসসামুল হারামাইন’ নামে বইটি প্রকাশ করে এবং প্রচার করে যে, মক্কা-মদিনার আলেমদের নিকট দেওবন্দিরা কাফের।[২][৩][৪]

এ সময় ইসলামের নবির বংশধর হুসাইন আহমদ মাদানি মদিনায় বসবাসরত ছিলেন। মসজিদে নববিতে হাদিসের অধ্যাপনার কারণে তার ব্যাপক সুনাম ছিল। ফতোয়ার কার্যক্রমটি গোপনে সংগঠিত হওয়ায় মাদানি এ ফতোয়া সম্পর্কে জানতেন না। পরবর্তীতে যখন এ সম্পর্কে জানতে পারেন, তিনি মক্কা-মদিনার আলেমদের এ ব্যাপারে অবহিত করেন। কিন্ত কাফের প্রমাণে রেজা খান যে সকল বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়েছে তার অধিকাংশই উর্দু ও ফার্সি হওয়ায় মক্কা-মদিনার আলেমগণ সেগুলির সঠিক মর্মার্থ বুঝতে পারে নাই। তাই হুসাইন আহমদ মাদানি মক্কা-মদিনার আলেমদের বুঝাতে সক্ষম হন যে, অনারব ভাষায় লেখা বইগুলোর আসল মর্মার্থ বুঝতে হয়তো ভুল হয়েছে কাজেই তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিন। তখন মক্কা-মদিনার আলেমগণ দেওবন্দের আলেমদের নিকট ২৬টি প্রশ্নসংবলিত একটি চিঠি পাঠালেন। বিশুদ্ধ আরবিতে উক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদান করার জন্য আহবান করা হয়। দেওবন্দি আলেমগণ পরামর্শের ভিত্তিতে তৎকালীন ভারতের সাহারানপুর মাদ্রাসার হাদিসের অধ্যাপক খলিল আহমদ সাহারানপুরিকে উত্তর প্রদানের জন্য নির্বাচিত করেন। সাহারানপুরি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে তৎকালীন দেওবন্দের সমস্ত আলেমদের দ্বারা সত্যায়ন ও স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে কয়েকজন:

এই পুস্তকটি ১৯০৭ সালে প্রকাশিত হয়। এই পুস্তকের নাম ছিল ‘আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ’। এ পুস্তকে উক্ত প্রশ্নগুলোর আলোকে দেওবন্দিদের আকীদা-বিশ্বাস বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই পুস্তকটি সংক্ষিপ্ত হলেও এখানে দেওবন্দি আকীদার মৌলিক বিষয়গুলো খুবই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বস্তরের দেওবন্দি আলেমদের সত্যায়ন থাকায় পুস্তকটি দেওবন্দি আকীদা বর্ণনার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক সনদ অর্জন করেছে।[২]

বিষয়বস্তু সম্পাদনা

গ্রন্থের শুরুতে একটি ভূমিকা ও গ্রন্থ প্রণয়নের কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। তারপর পর্যায়ক্রমে ২৬টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। বিষয়সমূহ হল:

  • মদিনা শরীফের উদ্দেশ্যে সফর
  • নবী করিম সা. ও ওলি, নেককারগণের ওসিলা প্রদান
  • হায়াতুন নবী
  • রওজায়ে আতহারের নিকট দোয়া করার পদ্ধতি
  • রাসুল সা. এর উপর অধিক পরিমাণ দুরুদ প্রেরণ
  • চার ইমামের তাকলীদের হুকুম
  • সুফিয়ায়ে কেরামের অজিফা ও তাদের বাইয়াত গ্রহণ, তাদের ফয়েজ হাসিল
  • বিশেষভাবে ওহাবি সম্পর্কে হুকুম
  • আরশে ইস্তিওয়া সম্পর্কে
  • রাসুল সা. সর্বশ্রেষ্ঠ হওয়া প্রসঙ্গে
  • রাসুল সা. এর সর্বশেষ নবী হওয়া প্রসঙ্গে
  • রাসুল সা. কে আপন বড় ভাইয়ের সমান মনে করা (নাউজুবিল্লাহ) প্রসঙ্গে
  • রাসুল সা. কে সকল সৃষ্টি থেকে অধিক জ্ঞান প্রদান করা প্রসঙ্গে
  • শয়তানের জ্ঞান সম্পর্কে ‘বারাহীনে কাতিয়া’-এর ইবারতের সংশয়ের নিরসন
  • হিফজুল ঈমানের একটি ইবারতের সংশয়ের নিরসন
  • নবী করিম সা. এর জন্মবৃত্তান্ত আলােচনা করা উত্তম ও মুস্তাহাব হওয়া প্রসঙ্গে
  • হযরত গাংগুহী রহ. এর একটি ইবারতের সংশয়ের নিরসন
  • হযরত গাংগুহী রহ. এর উপর একটি অপবাদ ও তার খণ্ডন
  • আল্লাহ তায়ালার কথায় মিথ্যার সন্দেহকারী কাফির হওয়া প্রসঙ্গে
  • ‘ইমকানে কিজব’-এর উদ্দেশ্য আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কিতাব থেকে সমাধান
  • কাদিয়ানি সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকীদা

তারপর আলোচ্য বিষয় নিয়ে দেওবন্দ, মক্কা-মদিনাসিরিয়ার আলেমদের সত্যায়ন সমূহ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

প্রকাশনার ইতিহাস সম্পাদনা

ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ১৯০৭ সালে বইটি প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাষায় এর অসংখ্য সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। “আকিদায়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত” নামে ইদারা ইসলামিয়াত (লাহোর, পাকিস্তান) থেকেও এই বইটির একটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়, যাতে দুটি কলামে মূল আরবির পাশে উর্দু অনুবাদ যোগ করা হয়। এই সংস্করণের শুরুতে একটি সংক্ষিপ্ত ভূমিকা এবং শেষে একটি পুস্তিকা সংযোজিত হয়েছে, যা আসলে মূল গ্রন্থের সংক্ষিপ্তসার। মুহাম্মদ শফি উসমানি, জাফর আহমদ উসমানি সহ প্রমুখ দেওবন্দি পণ্ডিত এটি সত্যায়িত করেছেন।[৫]

২০০৪ সালে মুহাম্মদ ইবনে আদম আল কাউসারি বইটির একটি সংশোধিত সংস্করণ প্রকাশ করেন, যা জর্ডান থেকে প্রকাশিত হয়।[৬] তিনি আধুনিক আরবি ভাষা ব্যবহার করেন এবং বইটিতে উপমহাদেশীয় ভাষার যে ছাপ ছিল তা বাদ দেন। এই সংস্করণটি সিরিয়া, আরব আমিরাত, মিশর, জর্ডান, ইয়েমেন সহ আরব বিশ্বে সহজলভ্য।[৫]

হাবিবুর রহমান হাবিবী কর্তৃক পশতু অনুবাদ এবং ২০১৫ সালে ইরানের হানাফি পণ্ডিত আবদুর রহমান সারবাজি কর্তৃক বইটির ফার্সি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।[৭][৮]

বইটির একাধিক বঙ্গানুবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ছানা উল্লাহ সিরাজী কর্তৃক “কষ্টিপাথরে দেওবন্দি মতবাদ” এবং মুহাম্মদ বদরুল আমীন কর্তৃক “আকায়েদে উলামায়ে আহলে সুন্নাত দেওবন্দ” উল্লেখযোগ্য। বদরুল আমীনের অনুবাদে কাজী মুতাসিম বিল্লাহ, নূর হুসাইন কাসেমী, ফজলুল হক আমিনী, মুহাম্মদ ওয়াক্কাসমাহমুদুল হাসানের প্রত্যয়ন সংযুক্ত করা হয়েছে।

উদ্ধৃতি সম্পাদনা

বইটি থেকে কয়েকটি উদ্ধৃতি:

প্রথম কথা সম্পাদনা

আমাদের শায়খগণ, আমাদের সমস্ত জামাত ও দল আলহামদুলিল্লাহ শাখাগত মাসআলার ক্ষেত্রে ইমাম আজম ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর মাযহাবের অনুসারী। ধর্মের মৌলিক আকীদা-বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ইমাম আবুল হাসান আল-আশআরি রহ. ও ইমাম আবু মনসুর আল-মাতুরিদি রহ.-এর অনুসারী। সুলুক ও আত্মশুদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে নকশবন্দিয়া, চিশতিয়া, কাদেরিয়াসোহরাওয়ার্দিয়া তরিকার সাথে সম্পর্ক রাখি। — প্রথম প্রশ্ন,আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ইবনে দাউদ, ইমরান (২০১৮)। The legacy of the Ulama of Deoband [দেওবন্দের উলামায়ে কেরামের উত্তরাধিকার]। দক্ষিণ আফ্রিকা: স্পিরিচুয়াল লাইট। পৃষ্ঠা ১৩৭–১৪২। 
  2. আহমদ, মাহফুয। "তালিবুল ইলমদের জন্য কয়েকটি আরবি গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি"মাসিক আত তাওহীদআল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া। ১২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০২১ 
  3. আসির আদ্রাভি, নিজামুদ্দিন (১৯৯৪)। তাজকেরাহ মাশায়েরে হিন্দ : কারওয়ানে রাফতাভারত: দারুল উলুম হায়দ্রাবাদ। পৃষ্ঠা ৮৮। এলসিসিএন 97903545ওসিএলসি 38024777 
  4. ইনগ্রাম, ব্রানন ডি. (২০১৮)। রিভাবল ফ্রম বিলও: দ্য দেওবন্দ মুভমেন্ট এন্ড গ্লোবাল ইসলাম [নীচ থেকে পুনর্জাগরণ: দেওবন্দ আন্দোলন এবং গ্লোবাল ইসলাম] (১ম সংস্করণ)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস। পৃষ্ঠা ২৫৪। আইএসবিএন 978-0-520-97013-7জেস্টোর j.ctv80cdjnডিওআই:10.2307/j.ctv80cdjn 
  5. আল কাউসারি, মুহাম্মদ ইবনে আদম (২৫ আগস্ট ২০০৬)। "হেভ ইউ এডিটেড দ্য দেওবন্দি আকিদা বুক 'আল মুহান্নাদ' এন্ড হোয়ার ক্যান আই গেট এ কপি?"দারুল ইফতা, লেস্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  6. "লিচেস্টারে ইমামের নামে স্কয়ার ব্রিটিশ সিটি কাউন্সিলের"বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  7. "আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ, আকিদায়ে আহলে সুন্নাত উলামায়ে দেওবন্দ"বাওয়ার.নেট (পশতু ভাষায়)। ২৫ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  8. "আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ, দেওবন্দি চিন্তাধারার বিস্তৃত সংকলন"এডইয়েনেট.কম (ফার্সি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা