আল বাস্তাকিয়া দুবাইয়ের সর্বপ্রাচীন আবাসিক এলাকা।[১] আল বাস্তাকিয়া’র পোষাকি নাম হলো আল ফাহিদি ঐতিহাসিক জেলা (আরবি: حي الفهيدي التاريخي)।[২] এটি দুবাইয়ের পুরাতাত্ত্বিক এলাকাগুলোর একটি। বাস্তাকিয়া শব্দটির উৎপত্তি “বাস্ত” থেকে যা দক্ষিণ-মধ্য ইরানে আরব-আধিপত্য প্রদেশ লারদের একটি শহর অংশ ছিল।[৩][৪]

আল বাস্তাকিয়া

আল বাস্তাকিয়ায় বসতি স্থাপন শুরু হয়েছিল ১৮৯০-এর দশকে। এর পূর্ণবিকাশের কালে এখানে ৬০টি বাসস্থান গড়ে উঠেছিল। এলাকাটি ছিল সরু পথ ও অলি-গলির ঘন নকশা। তার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতো মানুষ।

১৯৮০-এর দশকে একটি নতুন অফিস কমপ্লেক্স নির্মাণের স্বার্থে আল বাস্তাকিয়া গ্রামের অর্ধেক ধ্বংস করে ফেলা হয়। অবশিষ্ট ঘরগুলির বেশিরভাগ বিদেশী শ্রমিকদের জন্য গুদাম বা বাসস্থান হিসাবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৯৮৯ সালে দুবাই পৌরসভা আল ফাহিদি ঐতিহাসিক আশ্রয়স্থলের অবশিষ্টাংশ ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। একজন ব্রিটিশ স্থপতি রায়নার ওটার এই এলাকায় এসেছিলেন। তিনি এলাকাটি সংরক্ষণের জন্য একটি প্রচারণা শুরু করেন। তিনি এখানে বেশ কিছু সংস্কার করেন। তার লেখা চিঠির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রিন্স চার্লস দুবাই সফর কালে আল ফাহিদি ঐতিহাসিক জেলা পরিদর্শন করেন। প্রিন্স চার্লসের পরামর্শক্রমে বিধ্বংষকরণের পরিবর্তে সংস্কার ও সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

২০০৫ সালে পুরানো ইমারত এবং অলি-গলির এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য দুবাই পৌরসভা একটি প্রকল্প শুরু করে।

আল বাস্তাকিয়ার বিন্যাস সম্পাদনা

আল বাস্তাকিয়ায় বিভিন্ন স্থানে রয়েছে।

মাহেব গ্যালারি সম্পাদনা

মাহেব অর্থ শিল্প স্টুডিও।[৫] দুবাই ভিত্তিক আর্ট স্টুডিওর বিশেষ প্রয়োজনগুলির সাথে স্টুডিওটি নির্ধারিত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য যাদের বয়স ১৬ বছরের সমান বা উপরে। মাহেব জীবনের দক্ষতা বিকাশের একটি সুযোগ প্রদান করে, যখন প্রত্যেকের নিজের স্বতন্ত্র উপায়ে সৃজনশীল হতে পারে।[৩]

আরব চা ঘর (ক্যাফে) সম্পাদনা

দুবাইয়ের পুরোনো ঐতিহ্য দেখে কাফে নকশা করা হয়েছে। এটি ঐতিহ্যবাহী আরবি খাবার উপস্থাপনের একটি জায়গা।[৩]

শেখ মুহাম্মাদ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সম্পাদনা

এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। [৬] এই সংস্থাটি তৈরি করার উদ্দেশ্য ছিল দুবাইয়ের জনগণের মধ্যে সংস্কৃতির সম্পর্ক স্থাপন করা।

কফি যাদুঘর সম্পাদনা

সারা বিশ্ব থেকে বাস্তাকিয়ায় কফি আনা হয়। কফি প্রেমীদের তাদের পছন্দের কফি কিনতে একতলা যেকোনো স্থলে যেতে পারেন। দ্বিতীয় মেঝেতে ইতিহাস সম্পর্কিত বই রয়েছে। এছাড়াও আল বাস্তাকিয়ার একটি অংশে জাদুঘর রয়েছে।[৭]

আর্ট ক্যাফে তৈরি সম্পাদনা

এই ক্যাফে খোলা হয় নভেম্বর ২০১৫ সালে। মেক আর্ট ক্যাফে একটি চিত্তাকর্ষক ঐতিহ্যবাহী ভিলার আঙ্গিনা থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, যা সংযুক্ত আরব আমিরাতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ঐতিহ্যবাহী এলাকার একটি।[৩][৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Times of Travel
  2. Dubai's Heritage: A Tour Of Al Bastakiya
  3. "Cities Blog"UAE Tours (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০৪ 
  4. "Al Bastakiya"Times of India Travel। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০৪ 
  5. People, From Beautiful। "Mawaheb"Mawahib Beautiful people 
  6. "SMCCU|Sheikh Mohammed Centre for Cultural Understanding"www.cultures.ae (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০৪ 
  7. "Coffee Museum"www.coffeemuseum.ae। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০৪ 
  8. "Welcome"MAKE BUSINESS HUB (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০৪ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা