আলিপুরদুয়ার জেলা

পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা

আলিপুরদুয়ার জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি বিভাগের পাঁচটি জেলার অন্যতম। ২০১৪ সালের ২৫ জুন এই জেলা গঠিত হয়।[১] আলিপুরদুয়ারপৌরসভা এবং মাদারিহাট–বীরপাড়া, আলিপুরদুয়ার–১, আলিপুরদুয়ার–২, ফালাকাটা, কালচিনি ও কুমারগ্রাম–এই ছয়টি ব্লক নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা গঠিত। এই জেলায় ৬৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৯টি সেন্সাস টাউন আছে। জেলার সদর আলিপুরদুয়ার। আলিপুরদুয়ার জেলার থানাগুলি হল আলিপুরদুয়ার, শামুকতলা, কুমারগ্রাম, ফালাকাটা, কালচিনি, জয়গাঁ, মাদারিহাট ও বীরপাড়া[২] এই জেলায় ভারতের দুটি জাতীয় উদ্যান অবস্থিত। এগুলি হল: বক্সা জাতীয় উদ্যানজলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান

আলিপুরদুয়ার
জেলা
পশ্চিমবঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলার অবস্থান
পশ্চিমবঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলার অবস্থান
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
প্রতিষ্ঠাতামমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সদরদপ্তরআলিপুরদুয়ার
  • জেলাধ্যাক্ষ- শ্রী অ্যালাইস ভাজ
  • পুলিশ প্রধান- শ্রী রবিন্দ্রনাথ অভারু
আয়তন
 • মোট২,৮৪১ বর্গকিমি (১,০৯৭ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (ভারতের জনগণনা ২০১১ অনুসারে)
 • মোট১৪,৯১,২৫০
 • জনঘনত্ব৫২০/বর্গকিমি (১,৪০০/বর্গমাইল)
ভাষা
 • দাপ্তরিকবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন নং736121
আইএসও ৩১৬৬ কোডআইএসও ৩১৬৬-২:ইন
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট

এলাকা সম্পাদনা

আলিপুরদুয়ার পৌরসভা ছাড়াও এই জেলায় ছয়টি ব্লকের অধীনে নয়টি সেন্সাস টাউন ও ৬৬টি গ্রামপঞ্চায়েত আছে। জেলার ব্লকগুলি হল মাদারিহাট-বীরপাড়া, আলিপুরদুয়ার-১, আলিপুরদুয়ার-২, ফালাকাটা, কালচিনি ও কুমারগ্রাম। [৩] সেন্সাস টাউনগুলির নাম: পশ্চিম জিতপুর, ছেচকাটা, আলিপুরদুয়ার রেলওয়ে জাংশান, ভোলার ডাবরি, শোভাগঞ্জ, ফালাকাটা, জয়গাঁ, উত্তর লাটাবাড়িউত্তর কামাখ্যাগুড়ি[৪] বর্তমানে ফালাকাটা পৌরসভা অঞ্চল ঘোষিত হয়েছে।

সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক সম্পাদনা

 
আলিপুরদুয়ার জেলার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক

মাদারিহাট-বীরপাড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক সম্পাদনা

মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের গ্রামীণ অঞ্চল দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: বান্দাপানি, হাঁতাপাড়া, মাদারিহাট, টোটোপাড়া বল্লালগুড়ি, বীরপাড়া-১, খয়ারবাড়ি, রঙ্গালিবাজনা, বীরপাড়া-২, লঙ্কাপাড়া ও শিশুঝুমরা।[৩] এই ব্লকে কোনো নগরাঞ্চল নেই।[৪] ব্লকটি মাদারিহাট ও বীরপাড়া থানার অন্তর্গত।[৫] ব্লকের সদর মাদারিহাট[৬]

আলিপুরদুয়ার-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক সম্পাদনা

আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের গ্রামীণ অঞ্চল এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: বঞ্চুকামারি, পরোপার, শালকুমার-১, বিবেকানন্দ-১, চকোয়াখেতি, পটলাখাওয়া, শালকুমার-২, বিবেকানন্দ-২, মথুরা, পূর্ব কাঁঠালবাড়ি ও তপসিখাটা।[৩] এই ব্লকের নগরাঞ্চল চারটি সেন্সাস টাউন নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: পশ্চিম জিতপুর, ছেচকাটা, আলিপুরদুয়ার রেলওয়ে জাংশানভোলার ডাবরি[৪] ব্লকটি আলিপুরদুয়ার থানার অন্তর্গত।[৫] ব্লকের সদর পাঁচকালগুড়ি।[৬]

আলিপুরদুয়ার-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক সম্পাদনা

আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের গ্রামীণ অঞ্চল এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: চপোরের পার-১, মহাকালগুড়ি, শামুকতলা, তুরতুরি, চপোরের পার-২, Bhelukdabri, টাটপাড়া-১, ভাটিবড়ি, কোহিনুর, পরোকাটা ও টাটপাড়া-২। [৩] এই ব্লকের নগরাঞ্চল শোভাগঞ্জ সেন্সাস টাউনটি নিয়ে গঠিত।[৪] ব্লকটি আলিপুরদুয়ার থানার অন্তর্গত।[৫] ব্লকের সদর যশোডাঙা।[৬]

ফালাকাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক সম্পাদনা

ফালাকাটা ব্লকের গ্রামীণ অঞ্চল বারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: দলগাঁ, ধনীরামপুর-২, গুয়াবারনগর, ময়রাডাঙা, দেওগাঁ, ফালাকাটা-১, জাতেশ্বর-১, পরঙ্গেরপার, ধনীরামপুর-১, ফালাকাটা-২, জাতেশ্বর-২ ও শালকুমার।[৩] এই ব্লকের নগরাঞ্চল ফালাকাটা সেন্সাস টাউনটি নিয়ে গঠিত।[৪] ব্লকটি ফালাকাটা থানার অন্তর্গত।[৫] ব্লকের সদর ফালাকাটা।[৬]

কালচিনি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক সম্পাদনা

কালচিনি ব্লকের গ্রামীণ অঞ্চল এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: চুয়াপাড়া, জয়গাঁ-১, লাটাবাড়ি, রাজাভাতখাওয়া, দলসিংপাড়া, জয়গাঁ-২, মালাঙ্গি, সাতালি, গাড়োপাড়া, কালচিনি ও মেন্দাবাড়ি।[৩] এই ব্লকের নগরাঞ্চল দুটি সেন্সাস টাউন নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: জয়গাঁউত্তর লাটাবাড়ি[৪] ব্লকটি জয়গাঁ ও কালচিনি থানার অন্তর্গত।[৫] ব্লকের সদর হ্যামিলটনগঞ্জ।[৬]

কুমারগ্রাম সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক সম্পাদনা

কুমারগ্রাম ব্লকের গ্রামীণ অঞ্চল এগারোটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: চেঙ্গামারি, খোয়ারডাঙা-১, নিউল্যান্ড কুমারগ্রাম সঙ্কোশ, কামাখ্যাগুড়ি-১, খোয়ারডাঙা-২, ভালকা বারাবিসা-১, কামাখ্যাগুড়ি-২, কুমারগ্রাম, রায়ডাক ও ভালকা বারাবিসা-২। [৩] এই ব্লকের নগরাঞ্চল উত্তর কামাখ্যাগুড়ি সেন্সাস টাউনটি নিয়ে গঠিত।[৪] ব্লকটি কুমারগ্রাম থানার অন্তর্গত।[৫] ব্লকের সদর কুমারগ্রাম[৬]

সংসদীয় ক্ষেত্র সম্পাদনা

পশ্চিমবঙ্গের সংসদীয় ক্ষেত্রগুলির সীমানা পুনর্নিধারণের বিষয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশন আদেশানুসারে কুমারগ্রাম ব্লক এবং ভাটিবাড়ি, কোহিনুর, পরোকাটা, মহাকালগুড়ি, শামুকতলা, তুরতুরি ও টাটপাড়া-১ – আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের এই সাতটি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে কুমারগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত ও কালচিনি ব্লক নিয়ে গঠিত হয়েছে কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্র। আলিপুরদুয়ার পৌরসভা, আলিপুরদুয়ার রেলওয়ে জাংশান সেন্সাস টাউন, আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের চপোরের পার-১, চপোরের পার-২, টাটপাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের বঞ্চুকামারি, পরোপার, শালকুমার-১, বিবেকানন্দ-১, চকোয়াখেতি, পটলাখাওয়া, শালকুমার-২, বিবেকানন্দ-২, মথুরা, ও তপসিখাটা – এই দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত হয়েছে আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্র। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পূর্ব কাঁঠালবাড়ি ও ফালাকাটা ব্লক নিয়ে ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত হয়েছে। মাদারিহাট ব্লক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের। কুমারগ্রাম, কালচিনি ও মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রগুলি তফসিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রটি সংরক্ষিত তফসিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য। এই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রই আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হয়েছে। এই লোকসভা কেন্দ্রটি তফসিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত।[৭]

ভাষা সম্পাদনা

আলিপুরদুয়ার জেলার ভাষা- ২০১১ [৮].[৯]

  বাংলা (৫৭.৫১%)
  সাদরি (১৭.০৩%)
  নেপালী (৯.৭৮%)
  হিন্দী (৫.৩৭%)
  ওরাওঁ (৩.১৮%)
  সাঁওতালি (১.৩৮%)
  রাভা (০.৮২%)
  মুন্ডারি (০.৭৭%)
  অন্যান্য (৪.১৬%)

দর্শনীয় স্থান সম্পাদনা

বক্সা জাতীয় উদ্যান সম্পাদনা

 
বক্সা দুর্গ

আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা পাহাড় অঞ্চলে বক্সা জাতীয় উদ্যান অবস্থিত। এই উদ্যানের আয়তন ৭৬০ বর্গকিলোমিটার। এখানে একটি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এই উদ্যানে বাঘ, সিভেট ও রেড জঙ্গল ফাউল দেখা যায়। [১০][১১] উদ্যানের মধ্যে বক্সা দুর্গ নামে একটি দুর্গ আছে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে এই দুর্গে কিছুদিন বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এছাড়া উদ্যানের মধ্যে একটি শিব মন্দিরও আছে। এটিকে স্থানীয় মানুষেরা পবিত্র মনে করে।

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সম্পাদনা

 
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে এলিফ্যান্ট সাফারি

পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের আয়তন ১৪১ বর্গকিলোমিটার। এই উদ্যানটি তোর্সা নদীর তীরে অবস্থিত একটি নদীকেন্দ্রিক বনাঞ্চলময় সুবিস্তীর্ণ তৃণভূমি। এখানকার জীবজন্তুর মধ্যে অবলুপ্তপ্রায় একশৃঙ্গ গণ্ডার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জলদাপাড়ায় পর্যটকদের জন্য এলিফ্যান্ড সাফারির মাধ্যমে জীবজন্তু পরিদর্শনের ব্যবস্থা আছে। এখানকার টোটোপাড়া একটি নৃতাত্ত্বিক পর্যটনস্থল। এটি বিশ্বে টোটো উপজাতির একমাত্র আবাসস্থল।

চিলাপাতা বনাঞ্চল সম্পাদনা

 
নলরাজা গড়

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও বক্সা জাতীয় উদ্যানের মধ্যবর্তী হাতি করিডোর চিলাপাতা বনাঞ্চল একটি গভীর বঞ্চাঞ্চল।[১২] এই বনে বিভিন্ন প্রজাতির জীবজন্তু দেখা যায়।[১৩] এখানে আগে গণ্ডার দেখা যেত। এখন এখানে গণ্ডার দেখা না গেলেও চিতাবাঘ দেখা যায়।[১৪] রাভা উপজাতির মানুষেরা এই জঙ্গল থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে।[১৫] পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন পর্ষদ চিলাপাতার কোদালবস্তিতে একটি পরিবেশ-পর্যটন রিসর্ট চালায়। এখানকার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ হল নলরাজা গড়। এটি খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে গুপ্ত যুগে নির্মিত স্থানীয় নল রাজাদের দুর্গ।[১৬]

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. http://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/Alipurduar-a-new-district-on-June-25/articleshow/36916065.cms
  2. জলপাইগুড়ি ভেঙে নয়া জেলা আলিপুরদুয়ার
  3. "Directory of District, Sub division, Panchayat Samiti/ Block and Gram Panchayats in West Bengal, March 2008"West Bengal। National Informatics Centre, India। ২০০৮-০৩-১৯। ২০০৯-০২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২১ 
  4. "District Wise List of Statutory Towns( Municipal Corporation,Municipality,Notified Area and Cantonment Board) , Census Towns and Outgrowths, West Bengal, 2001"। Census of India, Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২১ 
  5. "List of Districts/C.D.Blocks/ Police Stations with Code No., Number of G.Ps and Number of Mouzas"। Census of India, Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২১ 
  6. "Contact details of Block Development Officers"Jalpaiguri district। Panchayats and Rural Development Department, Government of West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "Press Note, Delimitation Commission" (PDF)Assembly Constituencies in West Bengal। Delimitation Commission। পৃষ্ঠা p.4–5,23। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-১০ 
  8. http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html
  9. "DISTRIBUTION OF THE 22 SCHEDULED LANGUAGES-INDIA/STATES/UNION TERRITORIES - 2011 CENSUS" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৬ 
  10. "Abundance of birds in different habitats in Buxa Tiger Reserve, West Bengal, India"। Forktail। পৃষ্ঠা 128–133। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  11. Bidhan Kanti Das। "Role of NTFPs Among Forest Villagers in a Protected Area of West Bengal"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  12. "Wildlife Times: Elephants of North Bengal"। ১৮ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৫ 
  13. The Telegraph June 7, 2008: From Paris on frog study tour
  14. Trek Earth: LEOPARD OF THE DOOARS
  15. Contested Belonging: An Indigenous People's Struggle for Forest and Identity in Sub-Himalayan Bengal by B. G. Karlsson, 2000 আইএসবিএন ০-৭০০৭-১১৭৯-১, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭০০৭-১১৭৯-৬
  16. The Telegraph April 16, 2008: Wild call for Dooars visitors