ʿআলাইহিস সালাম (عَلَيْهِ ٱلسَّلَامُ), অর্থাৎ তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক, বাগধারাটি ইসলামে একটি প্রচলিত সম্মানসূচক বাক্য বা দুরূদ যা মুসলমানরা নবি, রসুলফেরেশতাদের নামের সঙ্গে উচ্চারণ করে থাকেন। তবে যে কোনো মুসলমান লোকের শান্তি কামনার জন্য আলাইহিস সালাম ব্যবহার করা যায়। পবিত্র কুরআনুল কারিমে এবং হাদিস শরীফের কোথাও বলা হয় নি কেবল নবী - রাসূল এবং ফেরেস্তদের নাম ব্যাতীত আলাইহিস সালাম ব্যবহার করা যাবে না। এই বাগধারাটির একটি বর্ধিত রূপ হল স়াল্লাল্লাহু ʿআলাইহি ওয়া-ʾআলিহি ওয়া-সাল্লাম (আরবি: صَلَّىٰ ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ), সংক্ষেপে (সা.) আকারে লেখা হয়, (আরবি ইউনিকোডে একক বর্ণ হিসেবে ﷺ) যা মুসলমানেরা কেবল নবি মুহাম্মদের নামের সঙ্গে উচ্চারণ করেন।[১] তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক হল আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও অনেক সময় সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের বাংলা ভাষার অনুদিত সংস্করণ।

স়াল্লাল্লাহু ʿআলাইহি ওয়া-সাল্লাম সংবলিত ইসলামি চারুলিপি
মুহম্মদ নামের সঙ্গে সালাত যুক্ত চারুলিপির উদাহরণ

যে কোন ভাষাতেই এটি মহান সম্মান ও শ্রদ্ধার একটি চিহ্নস্বরূপ।[১][২] মুসলিমগণ এই বাগধারাটি মুহাম্মাদের জন্য আল্লাহর রহমত প্রার্থনার উদ্দেশ্যে বলে বা লিখে থাকেন, এবং বিনিময়ে আল্লাহও তাদেরকে আশীর্বাদ করেন বলে তারা বিশ্বাস করেন।[২] এই বাগধারাটি মুসলিম বিশ্বের বেসরকারি এবং অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কাগজপত্র ও লেখালিখিতেও ব্যবহৃত হয়।[২] ইসলামের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরআনে এই সম্মান প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কুরআনের ৩৩ সূরা আহযাবের ৫৬ তম আয়াতে বলা হয়েছে, "আল্লাহ এবং তার ফেরেশতাগণ বিশ্বনবীর প্রতি আশীর্বাদ প্রেরণ করেন। হে বিশ্বাসীরা! তোমরাও তার প্রতি আশীর্বাদ প্রেরণ কর, এবং শ্রদ্ধার সাথে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো।"[২] এটি মুসলিমদের জন্য একটি স্মারক যা সকল কাজে-কর্মে তাদেরকে মোহাম্মদের আদর্শ অনুসরণে সচেতন করে।[৩]

আল্লাহর প্রতি প্রযুক্ত সম্পাদনা

আরবি
Transliteration
অর্থ সংক্ষিপ্তরূপ
سُبْحَانَهُ وَتَعَالَىٰ মহিমান্বিত ও সমুচ্চ (swt), (s.w.t.)
subḥānahu wa-taʿālā
تَبَارَكَ وَتَعَالَىٰ শ্রদ্ধেয় ও সমুচ্চ
tabāraka wa-taʿālā
عَزَّ وَجَلَّ মর্যাদাপূর্ণ ও সৌম্য (azwj), (a.z.w.j.)
ʿazza wa-jalla

মুহাম্মদ ও আহলে বাইতের প্রতি প্রযুক্ত সম্পাদনা

আরবি
কোরʾআনীয় আরবি
লিপ্যন্তর
অর্থ
ব্যবহার সংক্ষিপ্তরূপ
عَلَيْهِ ٱلسَّلَامُ
عَلَيْهِ ٱلسَّلَٰمُ
এই অভিব্যক্তিটি ইসলামের নবী ও রসুলগণ, শিয়া ইমামগণ এবং ফেরেশতাদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। (আ.), (আ:), (আঃ)
ʿalayhi s-salāmu
তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক
عَلَيْهِ ٱلصَّلَاةُ وَٱلسَّلَامُ‎
عَلَيْهِ ٱلصَّلَوٰةُ وَٱلسَّلَٰمُ
এই অভিব্যক্তিটি ইসলামের নবী ও রসুলগণ, শিয়া ইমামগণ এবং ফেরেশতাদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। (আ.), (আ:), (আঃ)
ʿalayhi ṣ-ṣalātu wa-s-salāmu
তার উপর আশিস ও শান্তি বর্ষিত হোক
سَلَامُ ٱللَّٰهِ عَلَيْهِ
سَلَٰمُ ٱللَّٰهِ عَلَيْهِ
এই অভিব্যক্তিটি ইসলামের নবী ও রসুলগণ, শিয়া ইমামগণ এবং ফেরেশতাদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। এর স্ত্রীজাতীয় সংস্করণটি (سَلَامُ ٱللَّٰهِ عَلَيْهَا‎) সাধারণত ইসলামের ঐতিহাসিক নারীদের (যেমন: ফাতিমা, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, মরিয়ম, আসিয়া বিনতে মুজাহিম, সারা, হাওয়া, প্রমুখ) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। (সা. আ.), (সাঃ আঃ)
salāmu -llāhi ʿalayhī
তার উপর ঈশ্বরের শান্তি বর্ষিত হোক
صَلَّىٰ ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ‎‎ (ﷺ) এই অভিব্যক্তিটি কেবল ইসলামী নবী মুহাম্মদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। এটি সকল মুসলমান উচ্চারণ করে থাকেন। (স.), (স:), (সঃ), (সা.), (সা:), (সাঃ), (দ.), (দ:), (দঃ) (ﷺ)
ṣallā -llāhu ʿalayhī wa-ʾālihī wa-sallama
তার ও তার পরিবারের উপর ঈশ্বরের আশিস ও শান্তি বর্ষিত হোক
صَلَّىٰ ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ এই অভিব্যক্তিটি কেবল ইসলামী নবী মুহাম্মদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত শিয়া মুসলমানেরা উচ্চারণ করে থাকেন। (স.), (স:), (সঃ), (সা.), (সা:), (সাঃ), (দ.), (দ:), (দঃ)
ṣallā -llāhu ʿalayhī wa-ʾālihī
তার ও তার পরিবারের উপর ঈশ্বরের আশিস বর্ষিত হোক
صَلَّىٰ ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ‎ এই অভিব্যক্তিটি কেবল ইসলামী নবী মুহাম্মদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত সুন্নি মুসলমানেরা উচ্চারণ করে থাকেন। (স.), (স:), (সঃ), (সা.), (সা:), (সাঃ), (দ.), (দ:), (দঃ)
ṣallā -llāhu ʿalayhī wa-sallama
তার উপর ঈশ্বরের আশিস ও শান্তি বর্ষিত হোক

ফেরেশতা ও পয়গম্বরদের প্রতি প্রযুক্ত সম্পাদনা

 
‘আলাইহিস সালাম

ফেরেশতা জিবরাঈল, মিকাইল, আজরাইল, ইসরাফিল প্রমুখ এবং ইসলামের নবি ও রাসুল, যেমন: ইব্রাহিম, মুসা, ঈসা প্রমুখের প্রতি প্রযুক্ত হয়।

  • আলাইহিস সালাম (আরবি: عليه السلام)
    • অনুবাদ: "তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক"
    • সংক্ষিপ্তরূপ: "আ."[৪]
  • আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম (আরবি: عَلَيْهِ ٱلصَّلَاةُ وَٱلسَّلَامُ)
    • অনুবাদ: "তার উপর আশিস ও শান্তি বর্ষিত হোক"
    • সংক্ষিপ্তরূপ: "আ.সা."

মুহাম্মদের সাহাবিদের প্রতি প্রযুক্ত সম্পাদনা

মুহাম্মদের সাহাবিদের প্রতি প্রযুক্ত হয়।

  • রাদিয়াল্লাহু আনহু (আরবি: رضي الله عنه)
    • অনুবাদ: "আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন"
    • সংক্ষিপ্তরূপ: "রা.", " রা:", "রাঃ"
    • উদাহরণ: "আবু জর আল-গিফারী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) ..."
  • রাদিয়াল্লাহু আনহা (আরবি: رضي الله عنها)
  • রাদিয়াল্লাহু আনহুম (আরবি: رضي الله عنهم)
    • অনুবাদ: "আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হোন"
    • উদাহরণ: "সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) ..."

ওলামা ও আউলিয়ার প্রতি প্রযুক্ত সম্পাদনা

অতি সম্মানিত আলেম ও উচ্চস্তরের ওয়ালিদের প্রতি প্রযুক্ত হয়।

  • রহমতুল্লাহ আলাইহি (আরবি: رَحْمَةُ الله عليه) Raḥmatu ’llāhi ‘alay-hi / রহিমাহুল্লাহ (আরবি: رَحِمَهُ الله) Raḥmatu ’llāhi ‘alay-hi
    • অনুবাদ: "তার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক"
    • উদাহরণ: "আবু হানিফা (রহমতুল্লাহ আলাইহি) ..."
  • রহমতুল্লাহ আলাইহা (আরবি: رَحْمَةُ الله عليها) Raḥmatu ’llāhi ‘alay-hā / রহিমাহাহুল্লাহ (আরবি: رَحِمَها الله) Raḥima-hā ’llāh
    • অনুবাদ: "তার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক"
    • উদাহরণ: "রাবেয়া বসরী (রহমতুল্লাহ আলাইহা) ..."
  • রহমতুল্লাহ আলাইহিম (আরবি: رَحْمَةُ الله عليهم) Raḥmatu ’llāhi ‘alay-him
    • অনুবাদ: "তাঁদের উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক"

আরবিতে বাগধারাটির বিভিন্ন রূপ সম্পাদনা

আরবি
কোরʾআনীয় আরবি
লিপ্যন্তর
অর্থ
ব্যবহার সংক্ষিপ্তরূপ
عَلَيْهِ ٱلسَّلَامُ
عَلَيْهِ ٱلسَّلَٰمُ
এই অভিব্যক্তিটি ইসলামের নবী ও রসুলগণ, শিয়া ইমামগণ এবং ফেরেশতাদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। (আ.), (আ:), (আঃ)
ʿalayhi s-salāmu
তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক
عَلَيْهِ ٱلصَّلَاةُ وَٱلسَّلَامُ‎
عَلَيْهِ ٱلصَّلَوٰةُ وَٱلسَّلَٰمُ
এই অভিব্যক্তিটি ইসলামের নবী ও রসুলগণ, শিয়া ইমামগণ এবং ফেরেশতাদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। (আ.), (আ:), (আঃ)
ʿalayhi ṣ-ṣalātu wa-s-salāmu
তাঁর উপর আশিস ও শান্তি বর্ষিত হোক
سَلَامُ ٱللَّٰهِ عَلَيْهِ
سَلَٰمُ ٱللَّٰهِ عَلَيْهِ
এই অভিব্যক্তিটি ইসলামের নবী ও রসুলগণ, শিয়া ইমামগণ এবং ফেরেশতাদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। এর স্ত্রীজাতীয় সংস্করণটি (سَلَامُ ٱللَّٰهِ عَلَيْهَا‎) সাধারণত ইসলামের ঐতিহাসিক নারীদের (যেমন: ফাতিমা, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, মরিয়ম, আসিয়া, সারা, হাওয়া, প্রমুখ) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। (সা. আ.), (সাঃ আঃ)
salāmu -llāhi ʿalayhī
তাঁর উপর ঈশ্বরের শান্তি বর্ষিত হোক
صَلَّىٰ ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ‎ এই অভিব্যক্তিটি কেবল ইসলামী নবী মুহাম্মদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। এটি সকল মুসলমান উচ্চারণ করে থাকেন। (স.), (স:), (সঃ), (সা.), (সা:), (সাঃ), (দ.), (দ:), (দঃ)
ṣallā -llāhu ʿalayhī wa-ʾālihī wa-sallama
তাঁর ও তাঁর পরিবারের উপর ঈশ্বরের আশিস ও শান্তি বর্ষিত হোক
صَلَّىٰ ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ এই অভিব্যক্তিটি কেবল ইসলামী নবী মুহাম্মদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত শিয়া মুসলমানেরা উচ্চারণ করে থাকেন। (স.), (স:), (সঃ), (সা.), (সা:), (সাঃ), (দ.), (দ:), (দঃ)
ṣallā -llāhu ʿalayhī wa-ʾālihī
তাঁর ও তাঁর পরিবারের উপর ঈশ্বরের আশিস বর্ষিত হোক
صَلَّىٰ ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ‎ এই অভিব্যক্তিটি কেবল ইসলামী নবী মুহাম্মদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত সুন্নি মুসলমানেরা উচ্চারণ করে থাকেন। (স.), (স:), (সঃ), (সা.), (সা:), (সাঃ), (দ.), (দ:), (দঃ)
ṣallā -llāhu ʿalayhī wa-sallama
তাঁর উপর ঈশ্বরের আশিস ও শান্তি বর্ষিত হোক
رَحِمَهُ ٱللَّٰهُ‎ এই অভিব্যক্তিটি ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক মুসলিম মনীষীদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। (রহ.), (রহ:), (রহঃ)
raḥimahu -llāhu
তাঁর উপর ঈশ্বরের রহমত বর্ষিত হোক
رَضِيَ ٱللَّٰهُ عَنْهُ‎ এই অভিব্যক্তিটি ইসলামী নবী মুহাম্মাদের সাহাবিদের নামের শেষে ব্যবহৃত হয়। (রা.), (রা:), (রাঃ)
raḍiya -llāhu ʿanhū
ঈশ্বর তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হোন

মুসলিমদের জন্য সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলার গুরুত্ব সম্পাদনা

নবী মুহাম্মদের উপর দরুদ, যেমন ইবনে আতিয়াহ বলেছেন: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরুদ পাঠ করা প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ফরজ এবং নিশ্চিত সুন্নত যাকে ছেড়ে দেওয়া বা উপেক্ষা করা যায় না এমন ব্যক্তিরা ব্যতীত যাদের মধ্যে কোন কল্যাণ নেই।" এর বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে বিভিন্ন বাণীতে মতভেদ করেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল:[৫]

  1. এটা জীবনে একবার ফরজ। আল-কুরতুবী মন্তব্য করেছেন: জীবনে একবার ফরজ এবং সর্বাবস্থায় ওয়াজিব এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই। নিশ্চিত হওয়া সুন্নতগুলো ফরজ।
  2. সালাতে শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ ফরয: এটি শাফেয়ী এবং কিছু মালেকীদের মত।
  3. উল্লেখ না করে তাদের প্রশংসা করা কর্তব্য।
  4. অন্য কারো থেকে নবীর উল্লেখ শুনলে বা তিনি নিজেই তা উল্লেখ করলে ওয়াজিব হয়। এটি আল-তহাবীর থেকে বর্ননা করা হয়েছে।

মুহাম্মদের উপর দরুদ পড়ার জন্য কুরআন এবং হাদিসের ভিত্তি সম্পাদনা

কোরআন সম্পাদনা

  • আয়াত: সূরা ৩৩. আল-আহযাব, আয়াত নং ৫৬

اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِکَتَهٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ ؕ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡهِ وَ سَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا ﴿۵۶﴾ অনুবাদঃ নিশ্চয় আল্লাহ (ঊর্ধ্ব জগতে ফেরেশতাদের মধ্যে) নবীর প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর জন্য দো‘আ করে*। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবীর উপর দরূদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।

হাদিস সম্পাদনা

তিরমিযী লিপিবদ্ধ করেছেন যে আবু হুরায়রা বলেন, "আল্লাহর রসূল বলেছেন, 'সে অপমানিত হোক, সেই ব্যক্তি যার সামনে আমার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং সে আমার উপর সালাম পাঠায় না, সে যেন অপমানিত হয়, যে ব্যক্তি রমজানের মাস আসে এবং যায়, এবং তাকে ক্ষমা করা হয় না; সে অপমানিত হোক, ব্যক্তি যার পিতামাতা বৃদ্ধ বয়সে বেঁচে থাকে এবং সে তাদেরকে তার জান্নাতে প্রবেশ করানোর কারণ না করতে পারে (তাদের সেবা করে)।'" আল-তিরমিযী বলেছেন যে এই হাদিস ছিল হাসান গরীব ভাল কিন্তু শুধুমাত্র একবার রিপোর্ট করা হয়েছে

সহীহ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, জামি' আত-তিরমিযী এবং আল-সুনান আল-সুগরা , ছয়টি প্রধান হাদীস সংকলন এর চারটি, লিপিবদ্ধ করেছে যে আবু হুরায়রা বলেছেন, "আল্লাহর রসূল বলেছেন: 'যে ব্যক্তি আমার উপর একটি সালাম পাঠাবে, আল্লাহ তার প্রতি দশটি সালাম পাঠাবেন।'"

আহমদ ইবনে হাম্বল তার মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বল-এ বর্ণনা করেছেন যে মুহাম্মদের সাহাবী, আবু তালহা ইবনে সাবিত বলেছেন:

এক সকালে আল্লাহর রসূল প্রফুল্ল মেজাজে ছিলেন এবং খুশি ছিলেন। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আজ সকালে আপনি প্রফুল্ল মেজাজে আছেন এবং খুশি দেখাচ্ছেন। তিনি বললেন, "অবশ্যই, এইমাত্র আমার প্রতিপালকের [আল্লাহর] পক্ষ থেকে একজন [একজন ফেরেশতা] আমার কাছে এসে বলল, 'আপনার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি আপনার প্রতি সালাম পাঠাবে, আল্লাহ তার জন্য দশটি নেকী লিখবেন এবং তার জন্য দশটি মুছে দেবেন। খারাপ কাজ করবে, এবং তার মর্যাদা দশ ডিগ্রি বাড়িয়ে দেবে এবং তার সালামের উত্তরে অনুরূপ কিছু দিয়ে দেবে।'

আল-বায়হাকী বর্ণনা করেছেন যে আবু হুরায়রা বলেছেন যে মুহাম্মদ বলেছেন, "আল্লাহর রসূল ও নবীদের প্রতি সালাম পাঠান কারণ আল্লাহ তাদের পাঠিয়েছেন যেমন তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।"

এই বিষয়টি আরও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুহাম্মদের উক্তিতে, "কৃপণ সেই ব্যক্তি যার উপস্থিতিতে আমার কথা বলা হয়, তারপর সে আমার প্রতি সালাম পাঠায় না।" এটি মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল এ লিপিবদ্ধ হয়েছে।

আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার উপর দশগুণ সালাত নাযিল করবেন এবং তার দশটি গুনাহ মুছে দেবেন এবং তাকে উন্নীত করবেন। দশ ধাপ সম্মান।'"

— আল-নাসাঈ দ্বারা সংগৃহীত, আল-সুনান আল-সুঘরা বই 13, হাদিস 119[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "What does the Muslim phrase, "Peace Be Upon Him" mean?" (ইংরেজি ভাষায়)। InnovateUs Inc.। ১১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৫ 
  2. John L. Esposito, What Everyone Needs to Know about Islam, Second Edition (ইংরেজি), (New York: Oxford University Press, 2011), p. 128
  3. Jean Mead, Why Is Muhammad Important to Muslims? (ইংরেজি) (London: Evans, 2008), p. 5
  4. "Islamic Terminology"islamic-dictionary। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  5. أفضل الصلوات على سيد السادات، تأليف: يوسف النبهاني، ص18.
  6. "বিস্মৃতির কিতাব (প্রার্থনায়) (55) অধ্যায়: নবী (সাঃ) এর উপর সালাত পাঠানোর ফজিলত"sunnah.com। ২০২১-০৫-০২ তারিখে [https  ://sunnah.com/nasai:1297 মূল] |url= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা।