আব্দুল জব্বার

বাংলাদেশী গায়ক

আব্দুল জব্বার ( ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৮ - ৩০ আগস্ট, ২০১৭) একজন বাংলাদেশি সঙ্গীত শিল্পী। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে প্রচারিত সালাম সালাম হাজার সালাম, জয় বাংলা বাংলার জয় সহ অনেক উদ্বুদ্ধকরণ গানের গায়ক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। [৩][৪]

আব্দুল জব্বার
জন্ম
মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার

(১৯৩৮-০২-১০)১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৮
মৃত্যু৩০ আগস্ট ২০১৭(2017-08-30) (বয়স ৭৮)[১]
জাতীয়তাবাংলাদেশি
পেশাসঙ্গীত শিল্পী
দাম্পত্য সঙ্গীশাহীন জব্বার
রোকেয়া জব্বার মিতা (বি. ২০০৮-২০১৩)[২]
সন্তানমিথুন জব্বার
পুরস্কারএকুশে পদক
স্বাধীনতা পুরস্কার

তার গাওয়া তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়, সালাম সালাম হাজার সালামজয় বাংলা বাংলার জয় গান তিনটি ২০০৬ সালে মার্চ মাস জুড়ে অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের বিচারে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় স্থান করে নেয়।[৫] এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত দুটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক (১৯৮০) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে (১৯৯৬) ভূষিত হন।[৬]

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

আব্দুল জব্বার ১৯৩৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। [৭][৮] ১৯৫৬ সালে তিনি মেট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[৪] তিনি সঙ্গীতের তালিম গ্রহণ করেন ওস্তাদ ওসমান গনি এবং ওস্তাদ লুৎফুল হকের নিকট।[৯]

কর্মজীবন সম্পাদনা

জব্বার ১৯৫৮ সাল থেকে তৎকালীন পাকিস্তান বেতারে তালিকাভুক্ত হন। তিনি ১৯৬২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি বিটিভির নিয়মিত গায়ক হিসেবে পরিচিতি পান।[৯] ১৯৬৪ সালে জহির রায়হান পরিচালিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম রঙ্গিন চলচ্চিত্র সংগমের গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৬৮ সালে এতটুকু আশা ছবিতে সত্য সাহার সুরে তার গাওয়া "তুমি কি দেখেছ কভু" গানটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। একই বছর ঢেউয়ের পর ঢেউ ছবিতে রাজা হোসেন খানের সুরে "সুচরিতা যেওনাকো আর কিছুক্ষণ থাকো" গানে কণ্ঠ দেন। রবীন ঘোষের সুরে তিনি পীচ ঢালা পথ (১৯৭০) ছবিতে "পীচ ঢালা এই পথটারে ভালবেসেছি" এবং নাচের পুতুল (১৯৭১) ছবির শিরোনাম গান "নাচের পুতুল"-এ কণ্ঠ দেন।

১৯৭৮ সালে সারেং বৌ চলচ্চিত্রে আলম খানের সুরে "ও..রে নীল দরিয়া" গানটি দর্শকপ্রিয়তা পায়।[১০] ২০১৭ সালে এই সঙ্গীত শিল্পীর প্রথম মৌলিক গানের অ্যালবাম কোথায় আমার নীল দরিয়া মুক্তি পায়।[১১] অ্যালবামটির গীতিকার মোঃ আমিরুল ইসলাম, সুরকার গোলাম সারোয়ার।[১২] একই বছরে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা গানের অ্যালবামের কাজ শুরু করেন। গীতিকার আমিরুল ইসলাম রচিত " বঙ্গবন্ধু দেখেছি তোমায় দেখেছি মুক্তিযুদ্ধ " শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দেয়ার আগেই তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যালবামের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। [১৩][১৪][১৫][১৬] সত্তর/আশি দশকে বাংলাদেশ বেতারে কবি ফজল-এ-খোদা'র রচনায় আবদুল জব্বারের কণ্ঠে 'প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে নিজেকে বিলিয়ে দিলাম', 'ডাক পিয়নের সারাটা দিন চিঠি বিলি করে বেড়ায়', 'শিল্পী আমি তাই কবিতা আমার ভালো লাগে', ওই চাঁদ দূর থেকে যারে ভালো লাগে', কলসি কাঁখে ঘাটে যায় কোন বধূয়া', 'মন রেখেছি আমি মনের আঙিনায়', 'ঢাকা শহর দেখতে এসে ঘুরছি গোলকধাঁধায়','একটি নদীর গান শুনাবো', 'কত নিশি জেগে মোর ভোর', 'আমি বন্ধু প্রেমে হইলাম পাগল' গানগুলো অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান সম্পাদনা

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ও প্রেরণা যোগাতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সালাম সালাম হাজার সালামজয় বাংলা বাংলার জয়সহ অংসখ্য গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।[১৭] তার গানে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া যুুদ্ধের সময়কালে তিনি প্রখ্যাত ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে কাজ করেন।[১৮] তৎকালীন সময়ে কলকাতাতে অবস্থিত বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ঘুরে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গণসঙ্গীত পরিবেশন করেছেন যা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যুগিয়েছে।[১৭] তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তহবিলে সেসময় বিভিন্ন সময় গণসঙ্গীত গেয়ে প্রাপ্ত ১২ লাখ রুপি দান করেছিলেন।[১৯]

পারিবারিক জীবন সম্পাদনা

আব্দুল জব্বারের প্রথম স্ত্রী গীতিকার শাহীন জব্বার যার গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন আব্দুল জব্বার, সুবীর নন্দী, ফাতেমা তুজ জোহরার মত জনপ্রিয় বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পীরা। তাদের সন্তান মিথুন জব্বারও একজন সঙ্গীতশিল্পী।[১০][২০] জব্বারের দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়া জব্বার মিতা যিনি ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন[২১][২২]ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[২]

ডিস্কোগ্রাফি সম্পাদনা

প্লেব্যাক সম্পাদনা

অ্যালবাম সম্পাদনা

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

মৃত্যু সম্পাদনা

জব্বার ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে কিডনি, হার্ট, প্রস্টেটসহ বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ১ আগস্ট নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।[১৮] ৩০ আগস্ট তিনি এই হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[১][২৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "শিল্পী আবদুল জব্বার আর নেই"দৈনিক প্রথম আলো। ৩০ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭ 
  2. "চলে গেলেন কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারের স্ত্রী মিতা"। ১২-৩০-২০১৩। ৯ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৭  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  3. "স্মৃতির মিছিলে হাতড়ে বেড়াই শিল্পী আব্দুল জব্বারকে"my tv online। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Abdul Jabbar: Inspiring the nation in '71 through songs"The Daily Star। ১৫ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৩ 
  5. "সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গান"বিবিসি। মে ০৩, ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ০৯, ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  6. "বিজয় দিবস উপলক্ষে বেতারে আব্দুল জব্বারের গান"দ্য ডেইলি স্টার। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  7. "স্মৃতির মিছিলে হাতড়ে বেড়াই শিল্পী আব্দুল জব্বারকে"বিডিজার্নাল৩৬৫ডটকম। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। ২২ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  8. "স্মৃতির মিছিলে হাতড়ে বেড়াই শিল্পী আব্দুল জব্বারকে"জাগো বাহে 24। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  9. "বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল জব্বারের ইন্তেকাল,কাল দাফন"বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। ২০১৭-০৮-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭ 
  10. বিউটি, রওশন আরা (১৫ নভেম্বর ২০১২)। "কালজয়ী গানের স্রষ্টা মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার"দৈনিক আজাদী। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  11. "দেশবরেণ্য শিল্পী আব্দুল জব্বারের গানের প্রথম অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছে"বাসস। ১৬ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  12. "আব্দুল জব্বারের 'কোথায় আমার নীল দরিয়া' | বিনোদন প্রতিদিন"দৈনিক ইত্তেফাক। ২৪ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭ 
  13. "বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গানের এ্যালবাম করা শেষ ইচ্ছাটা পূরণ হয়নি আব্দুল জব্বারের"প্রজন্মকণ্ঠ। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৮ 
  14. "Abdul Jabbar's dream of album on Bangabandhu remains unfulfilled"The Daily Sun। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ১৫ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৮ 
  15. "Abdul Jabbar's dream of album on Bangabandhu remains unfulfilled"bbarta24.net। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ১৫ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৮ 
  16. "বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গানের এ্যালবাম প্রকাশ করা হলো না শিল্পী আব্দুল জব্বারের"CNI News24.com। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৮ 
  17. "শিল্পী আবদুল জব্বার নিবিড় পর্যবেক্ষণে"দৈনিক ইত্তেফাক। ২ আগস্ট ২০১৭। ২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৭ 
  18. "কালজয়ী শিল্পী আব্দুল জব্বার আইসিইউতে"ডেইলি সান। ২ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  19. "আইসিইউতে কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বার"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২ আগস্ট ২০১৭। 
  20. "আব্দুল জব্বার পুত্রের অ্যালবাম প্রকাশনা"দৈনিক ইত্তেফাক। ৬ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  21. "কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারের স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা"রাইজিংবিডি ডট কম। ২০১৩-১২-২৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  22. "আব্দুল জব্বারের স্ত্রী মিতার আত্মহত্যার চেষ্টা"যায়যায়দিন। ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  23. "আব্দুল জব্বারের 'কোথায় আমার নীল দরিয়া'"দৈনিক ইত্তেফাক। ২৪ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৭ 
  24. "আব্দুল জব্বারের 'কোথায় আমার নীল দরিয়া'"দৈনিক সমকাল। ১৬ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৭ 
  25. "আব্দুল জব্বার স্মরণে"সঙ্গীতাঙ্গন। ৩১ আগস্ট ২০১৭। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  26. "List of Independence Awardees"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাংলাদেশ সরকার। ৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১২ 
  27. আফসার আহমেদ (২৮ জুন ২০০৪)। "32nd BACHSAS Awards: A glitzy night: Recognition of outstanding media talents"দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ১৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৫ 
  28. "মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন আব্দুল জব্বার"দৈনিক ইত্তেফাক। ৩০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা