আব্দুলপুর-পুরনো মালদহ লাইন

বাংলাদেশের রেল লাইন

আব্দুলপুর-পুরনো মালদহ ব্রিটিশ সরকারের আমলে ১৯৩০ সালে তৈরি করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ অংশের রেললাইন বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারত অংশের রেললাইন ভারতীয় রেলের অধীনে পরিচালিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।

আব্দুলপুর-পুরনো মালদহ লাইন
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্থিতিসক্রিয়
মালিক
অঞ্চল
বিরতিস্থল
স্টেশন২৫
পরিষেবা
ধরনবাংলাদেশ ও ভারতের রেললাইন
পরিচালক
ইতিহাস
চালু১৯৩০
কারিগরি তথ্য
ট্র্যাক গেজব্রডগেজ, ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি)
চালন গতি১০০
যাত্রাপথের মানচিত্র

Up arrow
পুরনো মালদা জংশন
মালদা কোর্ট
বুলবুলচন্ডী
সিঙ্গাঁবাদ
রহনপুর
গোলাবাড়ী
নাচোল
নিজামপুর
আমনুরা জংশন
Left arrow চাঁপাইনবাবগঞ্জ
ললিতনগর
কাকনহাট
চব্বিশনগর
সিতলাই
রাজশাহী কোর্ট
রাজশাহী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
হরিয়ান
বেলপুকুর
সরদহ
নন্দনগাছি
আড়ানী
লোকমানপুর
আব্দুলপুর জংশন
Right arrow
চিলাহাটি-পার্বতীপুর–
সান্তাহার-দর্শনা লাইন
আব্দুলপুর জংশন
Left arrow
চিলাহাটি-পার্বতীপুর–
সান্তাহার-দর্শনা লাইন
সূত্র: বাংলাদেশ রেলওয়ে মানচিত্র

ইতিহাস সম্পাদনা

১৮৭৮ সালে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি রেলপথটি দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। প্রথম ভাগটি ছিল পূর্ববঙ্গ রাজ্যের রেলপথ ধরে কলকাতা স্টেশন (বর্তমানে শিয়ালদহ) থেকে পদ্মা নদীর দক্ষিণ তীরের দামুকদিয়া ঘাট পর্যন্ত ১৮৫ কিমির পথযাত্রা, তারপর ফেরিতে করে নদীর পেরিয়ে দ্বিতীয় যাত্রা শুরু হত। উত্তরবঙ্গ রেলপথের ৩৩৬ কিলোমিটার মিটার গেজ লাইনটি পদ্মার উত্তর তীরের সারাঘাটকে শিলিগুড়ির সাথে সংযুক্ত করেছিল।[১] কলকাতা-শিলিগুড়ির মূল লাইনটি পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি ১৯১৫ সালে খোলা হয়, অন্যদিকে সারাঘাট-সিরাজগঞ্জ লাইনটি ১৯১৫-১৬ সালের মধ্যে সারা-সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে কোম্পানি দ্বারা নির্মিত হয়। তারপরে ১৯৩০ সালে, আব্দুলপুর-আমনুরা ব্রডগেজ লাইনটি সারাঘাট-সিরাজগঞ্জ লাইনের একটি শাখা হিসাবে খোলা হয়।[২][৩]

স্টেশন তালিকা সম্পাদনা

আব্দুলপুর-পুরনো মালদা লাইনে অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশনের তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

রহনপুর-সিঙ্গাঁবাদ ট্রানজিট সম্পাদনা

এটি একটি সচল ট্রানজিট হিসেবে বর্তমানে কাজ করছে এবং ভারতের মালদহ জেলার সিঙ্গাঁবাদ রেলওয়ে স্টেশন এর সাথে যুক্ত আছে। ১৯৭৮ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নেপাল এ পণ্য পরিবহন এর জন্য এই রেলপথ টি ভারতে প্রবেশ করে।[৪] ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পুনঃচুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্য দিয়ে একটি নতুন পথ তৈরির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।[৫]

বাংলাদেশ ২০১১ সালে নেপালে সার রপ্তানির মাধ্যমে এই ট্রানজিট ব্যবহার শুরু করে। সিঙ্গাঁবাদ-রহনপুর ট্রানজিট পয়েন্ট টি নেপালের র‌্যাক্জল থেকে বাংলাদেশের খুলনা অবদি কোন প্রকার ট্রানশিপমেন্ট চার্জ ছাড়াই ব্যবহৃত হয়।[৬][৭]

শাখা লাইন সম্পাদনা

আব্দুলপুর-মালদা লাইনের একটি শাখা আমনুরা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত গেছে।[৮] এ লাইনে দুটি স্টেশন আছে। যথা:

সম্পর্কিত নিবন্ধ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "India: the complex history of the junctions at Siliguri and New Jalpaiguri"আইআরএফসিএ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১২ 
  2. "Brief History"। বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২০১১-১২-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১১ 
  3. "Railways in colonial Bengal"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৯ 
  4. "Executive Summary" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৪-২৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-১২ 
  5. "Addendum to MOU between India and Bangladesh to facilitate overland transit traffic between Bangladesh and India, 6 September 2011" (ইংরেজি ভাষায়)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভারত সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-০৪ 
  6. "Joint Statement on the occasion of the visit of the PM of India to Bangladesh, 7 September 2011"Item No. 40 (ইংরেজি ভাষায়)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভারত সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-০৪ 
  7. "Bangladesh export to Nepal thru India resumes tomorrow" (ইংরেজি ভাষায়)। Priyo Internet Life। ২০১২-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-১২ 
  8. "রেলমন্ত্রী আজ আমনুরা বাইপাস রেলপথ উদ্বোধন করবেন"দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৭