আবেদ চৌধুরী

বাংলাদেশি জিনবিজ্ঞানী

আবেদ চৌধুরী (জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬) হলেন একজন বাংলাদেশী জিনবিজ্ঞানী, ধান গবেষক ও লেখক।[৪] তিনি মৌলভীবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন ও বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বসবাস করছেন।

আবেদ চৌধুরী
জন্ম (1956-02-01) ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ (বয়স ৬৮)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
মাতৃশিক্ষায়তন[১]
পরিচিতির কারণবংশাণুবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা এবং পঞ্চব্রীহি ধান উৎপাদন[২]
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
প্রতিষ্ঠানসমূহ[৩]

জন্ম সম্পাদনা

আবেদ চৌধুরী ১৯৫৬ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কানিহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আব্দুল মন্নান চৌধুরী ও মাতার নাম হাফিজা খাতুন।

শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদনা

আবেদ চৌধুরী আধুনিক জীববিজ্ঞানের প্রথম সারির গবেষকদের একজন। তিনি মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নটর ডেম কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন।[৫] তিনি উচ্চশিক্ষা অর্জন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে,[৬][৭] যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন স্টেট ইনিস্টিটিউট অফ মলিকুলার বায়োলজি এবং ওয়াশিংটন স্টেটের ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ ইনিস্টিটিউটে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৯৮৩ সালে পিএইচ.ডি গবেষণাকালে তিনি রেকডি নামক জেনেটিক রিকম্বিনেশনের একটি নতুন জিন আবিষ্কার করেন যা নিয়ে আশির দশকে আমেরিকা ও ইউরোপে ব্যাপক গবেষণা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তিনি অযৌন বীজ উৎপাদন (এফআইএস) সংক্রান্ত তিনটি নতুন জিন আবিষ্কার করেন, যার মাধ্যমে এই জিনবিশিষ্ট মিউটেন্ট নিষেক ছাড়াই আংশিক বীজ উৎপাদনে সক্ষম হয়। তাঁর এই আবিষ্কার এপোমিক্সিসের সূচনা করেছে যার মাধ্যমে পিতৃবিহীন বীজ উৎপাদন সম্ভব হয়[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ, ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং ফ্রান্সের একোল নর্মাল সুপেরিয়রের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা ও গবেষণা করেছেন।[৮] বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থায় একদল বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গঠিত গবেষকদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] একবার ধান রোপনে ৫ বার ধান নিয়ে গবেষণা করেন।

বই সম্পাদনা

  • মানুষের জিন, জিনের মানুষ
  • অণুভবের নীলনকশা
  • শৈবাল ও অন্তরীক্ষ (কবিতা সংকলন)
  • দুর্বাশিশির ও পর্বতমালা
  • Paradigm Shift (ইংরেজিতে লেখা প্রবন্ধগুচ্ছ)
  • নির্বাচিত কবিতা
  • স্বপ্ন সত্তা নদী ও অন্যান্য কবিতা
  • Anguished Rivers and Other Designs

কলাম সম্পাদনা

  • দুর্বাশিশির ও পর্বতমালা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. লেখা (২০২৩-১০-১৬)। "পঞ্চব্রীহি ও বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী"Bondhushava.PA। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৬ 
  2. UNB (২০২৩-১০-১৪)। "Bangladeshi scientist discovers 'Panchabrihi', new method of rice cultivation"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৬ 
  3. UNB (২০২৩-১০-১৪)। "Bangladeshi scientist discovers 'Panchabrihi', new method of rice cultivation"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৬ 
  4. http://www.thedailystar.net/2006/01/16/d60116070483.htm
  5. "ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চাল উদ্ভাবন করলেন জিনবিজ্ঞানী আবেদ"নয়া দিগন্ত। ১৯৭০-০১-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯ 
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৬-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-২৯ 
  7. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩০ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  8. UNB (২০২৩-১০-১৪)। "Bangladeshi scientist discovers 'Panchabrihi', new method of rice cultivation"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা