আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা বর্ষ

আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা দিবস হলো জাতিসংঘ স্বীকৃত একটি আন্তর্জাতিক বর্ষ। পৃথিবীব্যাপী লুপ্তপ্রায় নৃতাত্ত্বিক ভাষা সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে, এবং সেই সাথে ভাষাগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি, সমঝোতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ২০১৯ সালকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।[১][২][৩][৪][৫][৬]

আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা বর্ষ
পালনজাতিসংঘ
তারিখ২০১৯
সম্পর্কিতআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

ইতিহাস সম্পাদনা

২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের গৃহীত সিদ্ধান্তের (৭১/১৭৮) ভিত্তিতে ২০১৯ সালকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে।[৩][৬][৭] সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থাকে (ইউনেস্কো) দিবসটির সমন্বয়ের জন্য অনুরোধ করে।[১][২][৫][৮]

উদ্দেশ্য সম্পাদনা

আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা বর্ষের উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীব্যাপী আদিবাসীদের ভাষা, বিশেষত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন, সমঝোতা, সুশাসন ও শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাষা সংরক্ষণ ও ভাষাগুলোর উপর আসন্ন বিপদ ও ঝুঁকি মোকাবেলার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা। আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য আদিবাসীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, বিস্তৃত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং দৃশ্যমান ও শক্তিশালী আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ আয়োজন করা আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা বর্ষের উদ্দেশ্য।[২][৭][৯]

বর্ষটি উদযাপনের জন্য নিম্নোক্ত তিনটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা জাতিসংঘের ২০১০ সালের টেকসই উন্নয়ন আলোচ্যসূচি ও ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সহায়ক হবে। বর্ষটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন আয়োজন আদিবাসী জনগণ, জাতিসঙ্ঘের অঙ্গ সংস্থাসমূহ, বিভিন্ন দেশ, প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারী জনগণ এবং গণমাধ্যমের জন্য সহজলভ্য হবে।[৪][৫][৬][৬]

  • ভাষাগুলোর পুনরুজ্জীবন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও উপকরণ সৃষ্টি, বিস্তৃত ক্ষেত্রে সেবা প্রদান, ভাষার ব্যবহার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সহায়তা করা। (সহায়তা)
  • ভাষাগুলো সংরক্ষণ, আদিবাসী শিশু, তরুণ ও বৃদ্ধদের জন্য তাদের ভাষায় তথ্য, জ্ঞান ও শিক্ষায় প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি, আহরিত তথ্যের ভাণ্ডার সমৃদ্ধকরণ এবং তথ্য বিনিময়ের সুযোগ সহজলভ্য করা। (অবাধ প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি)
  • আদিবাসীদের আহরিত জ্ঞান, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিকে এবং সেই সাথে তাদের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও ক্রীড়াকে বৃহত্তর সামাজিক-সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে বিস্তৃত করা। (উন্নতি)

এই বর্ষের প্রধান পাঁচটি অর্জন হলো:[২][৬]

  1. আন্তর্জাতিক শান্তি ও সমঝোতা বৃদ্ধি
  2. তথ্য বিনিময়ের জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি এবং আদিবাসী ভাষা সম্পর্কে ভালো ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া
  3. আদর্শ বিন্যাসের মাধ্যমে আদিবাসী ভাষাসমূহের একীকরণ
  4. বিভিন্ন ক্ষেত্রের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন
  5. নতুন জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে উন্নতি ও বিকাশ

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "United Nations General Assembly proclaims 2019 as the International Year of indigenous Languages and invites UNESCO to take the lead"। ইউনেস্কো। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. "A/RES/71/178 – E"undocs.org। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৮ 
  3. "E/C.19/2018/8 – E"undocs.org। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৮ 
  4. "2019 the Year of Indigenous Languages IY2019 – Language Magazine"ল্যাঙ্গুয়েজ ম্যাগাজিন। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮। ৮ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৮ 
  5. ডোনোভান, সোফি। "Get talking – are we losing indigenous languages? – Geographical"। ২৭ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৮ 
  6. "International Day of the World's Indigenous Peoples – 9 August"। জাতিসংঘ। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৮ 
  7. ব্যুরো, আইডিএন-আইএনপিএস ইউএন। "UN Focuses Yet Again on Protecting Indigenous Peoples' Rights – IDN-InDepthNews | Analysis That Matters"www.indepthnews.net। ১০ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৮ 
  8. "International Year of Indigenous Languages 2019 | Aboriginal and Torres Strait Islander Languages"blogs.slq.qld.gov.au। ১০ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৮ 
  9. "Lesson planning – events and themes for 2018"। ২৫ জানুয়ারি ২০১৮।