আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস প্রতিবছর ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে পালিত হয়৷ এছাড়া ভারতে এই দিনটি গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয় ৷

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস
পালনকারীসারাবিশ্ব জাতিসংঘের সদস্য দেশ
তারিখ২ অক্টোবর
সংঘটনবার্ষিক
সম্পর্কিতমহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে প্যারিসে ইরানি নোবেল বিজয়ী শিরিন এবাদী তার একজন হিন্দী শিক্ষকের কাছ থেকে দিবসটির ব্যাপারে একটি প্রস্তাবনা গ্রহণ করেন ৷ সিদ্ধান্তটি ধীরে ধীরে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের কিছু নেতাদের আকর্ষণ করতে থাকে ৷ ২০০৭ সালে সোনিয়া গান্ধী এবং ডেসমন্ড টিটু জাতিসংঘে সিদ্ধান্তটি পেশ করেন ৷[১]

অহিংসতার স্থাপত্য,কার্ল ফ্রেডরিকের তৈরি, মামলো, সুইডেন

১৫ জুন ২০০৭, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ ২ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস করার ব্যাপারে ভোট দেন ৷ [২] এরপর সাধারণ পরিষদ তার সদস্যদের কাছে অহিংসার বার্তা দিয়ে ২ অক্টোবর দিবসটি পালনের ব্যাপারে ঘোষণা দেয় ৷"[৩]

ইতিহাস সম্পাদনা

বিশ্ব থেকে হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারি, অসহিষ্ণুতা ও রক্তপাত বন্ধে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে প্রতিবছর ২ অক্টোবর বিশ্ব অহিংস দিবস পালন করা হয়।

অহিংসা বলতে বোঝায় হিংসা থেকে দূরে থাকা। হিংসা থেকে দূরে থাকাই এ দিবসের মূল কথা।

পৃথিবীর অসহিষ্ণুতা, উত্তেজনা, সহিংসতা বন্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অবিসংবাদিক নেতা মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাই মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভারতে এদিনটি গান্ধী জয়ন্তী হিসেবেই পরিচিত।

২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে প্যারিসে ইরানি নোবেল বিজয়ী শিরিন এবাদী তার একজন হিন্দি শিক্ষকের কাছ থেকে দিবসটির ব্যাপারে একটি প্রস্তাবনা গ্রহণ করেন। পরে ২০০৭ সালে সোনিয়া গান্ধী জাতিসংঘে সিদ্ধান্তটি পেশ করে। ২০০৭ সালের ১৫ জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Conference calls for declaring International day of non-violence" 
  2. "UN declares 2 October, Gandhi's birthday, as International Day of Non-Violence"United Nations। ১৫ জুন ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৪ 
  3. "General Assembly Adopts Texts On Day Of Non-Violence, Ethiopian Millennium; Pays Tribute To Former Secretary-General Kurt Waldheim"। United Nations। ১৫ জুন ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৪