আদিল হুসেইন

ভারতীয় অভিনেতা

আদিল হুসেইন (অসমীয়া: আদিল হুছেইন; ৫ অক্টোবর ১৯৬৩) একজন ভারতীয় মঞ্চ, দূরদর্শন ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি প্রধানত হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি দ্য রিলাকটেন্ট ফান্ডামেন্টেলিস্ট (২০১২) ও লাইফ অব পাই (২০১২)-এর মত আন্তর্জাতিক পর্যায়ের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[১]

আদিল হুসেইন
আদিল হুছেইন
লাইফ অব পাই” ছবির সংবাদ সম্মেলনে আদিল হুসেইন
জন্ম (1963-10-05) ৫ অক্টোবর ১৯৬৩ (বয়স ৬০)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাঅভিনেতা

জন্ম ও পরিবার সম্পাদনা

আসামের গোয়ালপাড়া জেলায় আদিল হুসেইন জন্মগ্রহণ করেন ও সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত হয়। তার পিতা পেশায় ছিলেন শিক্ষক। পিতা-মাতার ৭ সন্তানের মধ্যে আদিল ছিলেন কনিষ্ঠ।[২]

শিক্ষা সম্পাদনা

বাল্যকাল থেকেই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নাটকে অভিনয় করতেন আদিল হুসেইন।[৩]। তিনি ১৮ বৎসর ঘড় ছেড়ে দর্শন শিক্ষার জন্য গুয়াহাটির বি.বড়ুয়া কলেজে নামভর্তী করেন[২][৪]। মহাবিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি ব্যাঙ্গাত্মক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি কিছুকাল অসমের ভ্রাম্যমাণ থিয়েটারে অভিনয় করেছিলেন।[৪][৫] তিনি প্রায় ৬ বছর অসমে তার অভিনয় জীবন অতিবাহিত করেন। ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি নয়া দিল্লিতে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় নাট্য বিদ্যালয় থেকে অভিনয় শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি চার্লস ওয়ালেস ইন্ডিয়া ট্রাস্ট থেকে বৃত্তি নিয়ে লন্ডনের ড্রামা স্টুডিও থেকে অভিনয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে সক্ষম হন।[৬][৭][৮]

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৯৪ সালে আদিল হুসেইন অসমে ফিরে এসে ভ্রাম্যমাণ থিয়েটার হেঙুল থিয়েটারে যোগদান করেন ও ৩ বছর থিয়েটারে অভিনয় করে দিল্লী চলে যান।[২] তিনি পণ্ডিচেরীর অরবিন্দ্র আশ্রমে সৌপান বসু ও দিলীপ শঙ্কর থেকে অভিনয় শিক্ষা লাভ করেন।[২] অভিনেতা হিসেবে তিনি ১৯৯৯ সালে ওথেলো: এ প্লে ইন ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট নাটকের জন্য এডিনবার্গ ফ্রিঞ্জ পুরস্কার লাভ করেন।[৬] এরপর তিনি রয়স্টেন এবেল পরিচালিত গুডবাই ডেসডিমোনা নাটকে অভিনয়ের জন্যও প্রশংসিত হন। হাম্পির সোসাইটি ফোর আর্টিস্ট অ্যান্ড পারফর্মারের ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রশিক্ষক হওয়া[৫] ছাড়াও হেগ শহরের রয়েল কনজারভেটরি অব পারফর্মিং আর্ট[৯]রাষ্ট্রীয় নাট্য বিদ্যালয়ের একজন অনিয়মিত প্রশিক্ষক রূপে কার্যনির্বাহ করেন।[৫][৮]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

আদিল হুসেইন বিবাহিত পুরুষ। তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তিনি বর্তমান দিল্লীর বাসিন্দা।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Life of Pi - a fascinating story"EF News International। ২৮ নভেম্বর ২০১২। ১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৫ 
  2. "Grey Matter"। India Today। ডিসেম্বর ২৮, ২০১২। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রু ২৫, ২০১৩ 
  3. "Psychologies: 'English Should Not Diminish Respect For All Languages'"। Tehelka। ২০১৩-০৩-০২। ৩ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রু ২৫, ২০১৩ 
  4. "Steamed to perfection"। The Hindu। ৩ অক্টোবর ২০১২। ১৬ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৫ 
  5. "A new thinking woman's pin-up is born"। Time Out, Mumbai। ২৭ এপ্রিল ২০১২। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৫ 
  6. "Role call"। The Hindu। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১০। 
  7. "Goalpara boy hits the big time"। The Times of India। ২৩ মার্চ ২০১২। ৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৫ 
  8. "Adil Hussain: Destiny's child"। The Times of India, Crest Edition। ২৯ জানুয়ারি ২০১১। ১৬ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৫ 
  9. "I'm Sridevi's husband: Adil Hussain"। Hindustan Times। ১ এপ্রিল ২০১২। ৩ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা