অ্যালিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ

উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ

আলেউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ (/əˈlʃən/;[২][৩] রুশ: Алеутские острова; ইংরেজি: Aleutian Islands; আলেউশিয়ান: Unangam Tanaa, আক্ষরিক অর্থে "আলেউটদের ভূমি") যা অ্যালেউট দ্বীপপুঞ্জ বা অ্যালেউটিক দ্বীপপুঞ্জ নামেও পরিচিত, ১৮৬৭ সালের আগে ক্যাথেরিন দ্বীপপুঞ্জ হিসাবে পরিচিত ছিল। এটি ১৪টি বড় আগ্নেয় দ্বীপ এবং ৫৫টি ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত। অ্যালিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বেশিরভাগ অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা রাজ্যের অন্তর্গত, তবে কিছু অংশ রাশিয়ান ফেডারেলের অন্তর্ভুক্ত। প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তরের অ্যালেউটিয়ান আর্কের ৬,৮২১ বর্গ মাইল (১৭,৬৬৬ বর্গ কিলোমিটার) এলাকা এই দ্বীপপুঞ্জটি দিয়েই গঠিত যা আলাস্কা উপদ্বীপ থেকে পশ্চিমে রাশিয়ার কামচাতকা উপদ্বীপের দিকে প্রায় ১২০০ মাইল (১৯০০ কিমি) পর্যন্ত বিদ্যমান এবং এটি উত্তরে বেরিং সাগর এবং দক্ষিণে প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে একটি বিভাজক রেখা হিসাবে কাজ করে। তবে পশ্চিমের যুক্তরাষ্ট্রের দ্বীপটিকে আটু দ্বীপ বলা হয় যা পশ্চিম আন্তর্জাতিক তারিখের রেখাটি পরিচালিত করে। এছাড়া প্রায় সমস্ত দ্বীপপুঞ্জ আলাস্কার অংশ এবং সাধারণত "আলাস্কান বুশ" হিসাবে অভিহিত হয়, শুধু পশ্চিম প্রান্তের ছোট ভূতাত্ত্বিকভাবে সম্পর্কিত দ্বীপপুঞ্জটি রাশিয়ার অন্তর্গত। দ্বীপপুঞ্জগুলি তাদের ৫৭টি আগ্নেয়গিরির সাথে প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ারের উত্তর অংশটি তৈরি করে। ভৌগলিকভাবে, এগুলি বৃহত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় সীমান্ত প্রদেশের একটি স্বতন্ত্র বিভাগ, যা পরিবর্তিতভাবে বৃহত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় মাউন্টেন সিস্টেমের ফিজিওগ্রাফিক বিভাগের অংশ।

অ্যালিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ
Алеутские острова (Russia)
স্থানীয় নাম:
Unangam Tanaa
লাল রেখা দ্বারা আবদ্ধ আলেউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ
Atka Island উত্তর প্যাসিফিক-এ অবস্থিত
Atka Island
Atka Island
উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থান
ভূগোল
অবস্থানপ্রশান্ত মহাসাগর, বেরিং সাগর
স্থানাঙ্ক৫২°১২′ উত্তর ১৭৪°১২′ পশ্চিম / ৫২.২° উত্তর ১৭৪.২° পশ্চিম / 52.2; -174.2
মোট দ্বীপের সংখ্যা>৩০০
প্রধান দ্বীপসমূহউনিমাক দ্বীপ, উনালাস্কা দ্বীপ, আদাক দ্বীপ
আয়তন৬,৮২১[১] বর্গমাইল (১৭,৬৭০ বর্গকিলোমিটার)
দৈর্ঘ্য১,২০০ মাইল (১,৯০০ কিমি)
সর্বোচ্চ উচ্চতা৯,৩৭৩ ফুট (২,৮৫৬.৯ মিটার)
সর্বোচ্চ বিন্দুশিশালদিন পর্বত, উনিমাক দ্বীপ
রাশিয়া
Federal subjectKamchatka Krai
যুক্তরাষ্ট্র
Stateআলাস্কা
বৃহত্তর বসতিউনালাস্কা (জনসংখ্যা 4,283)
জনপরিসংখ্যান
জনসংখ্যা8,162 (2000)
জনঘনত্ব০.৮৪ /বর্গ মাইল (০.৩২৪ /বর্গ কিমি)
ভাষাআলেউশিয়ান ভাষা
জাতিগত গোষ্ঠীসমূহআলেউত
অতিরিক্ত তথ্য
সময় অঞ্চলসমূহ
 • গ্রীষ্মকালীন
  (ডিএসটি)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আলিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জগুলিতে যুদ্ধ এবং সংঘাতের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ সালের জুনে অ্যালেউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কিসকা এবং আটুতে যে জাপানিজ আক্রমণগুলো ঘটে সেগুলো ঐ যুদ্ধে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ঘটা একমাত্র আক্রমণ ছিল বলে মনে করা হয়। এখানকার স্থানীয় লোকেরা নিজেদেরকে উনানগান হিসাবে অভিহিত করে এবং বেশিরভাগ বিদেশিরা এখানে সাধারণত "অ্যালেউট" নামে পরিচিত।

অ্যালেউট ভাষা এস্কিমোদের দুটি প্রধান শাখার মধ্যে একটি যেটাকে অ্যালেউট ভাষা পরিবার বলা হয়। এই পরিবারটি অন্য কারও সাথে সম্পর্কিত বলে জানা যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০০০ সালের আদমশুমারিতে দ্বীপপুঞ্জের লোকসংখ্যা ছিল ৮,১৬২ জন, যাদের মধ্যে ৪,২৮৩ জন উনালাস্কার মূল বসতিতে বসবাস করছিলেন।[১][৪][৫]

ভূতত্ত্ব সম্পাদনা

কুলা প্লেট এবং উত্তর আমেরিকান প্লেটের মধ্যবর্তী গতিবেগটি (দু'টি প্লেটের স্থানান্তর) বেরিং শেল্ফের প্রান্তে (আলিউশিয়ান আর্কের উত্তরে বেরিং সাগরে) ইওসিন যুগের প্রথম দিকে শেষ হয়েছে। অ্যালিউশিয়ান বেসিন অর্থাৎ উত্তরে সমুদ্রতলে অবস্থিত আলিউশিয়ান অববাহিকা হলো কুলা প্লেটের অবশিষ্ট অংশ। এই প্লেটটি একসময় আগ্নেয়গিরির দমনের কারণে এর স্থানে আটকে যায়। পরবর্তীতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট এবং উত্তর আমেরিকান প্লেটের সাবডাকশনের সময় অ্যালিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জের আর্কের অংশটি প্রথম ইওসিনে যুগে (শিলা জমে গঠিত হওয়া মাটির স্তর সৃষ্টির যুগ) গঠিত হতে শুরু করে। এই আর্কটি পৃথক পৃথক ব্লক দিয়ে তৈরি যা ঘড়ির কাঁটার ঘূর্ণনের দিকে সাজানো রয়েছে। দ্বীপগুলির অন্তর্নিহিত বেসমেন্টটি তিনটি স্ট্রিগ্রাফিক ইউনিট দ্বারা গঠিত, একটি আগ্নেয়গিরির পাথরের ইওসিন যুগে গঠিত স্তর, একটি সামুদ্রিক পাললিক শিলার ওলিগোসিন-মায়োসিন স্তর এবং পাললিক ও আগ্নেয় শিলার সমন্বিত একটি প্লিওসিন—কোয়ার্টনারি স্তর।

ভূগোল সম্পাদনা

অ্যালিউশিয়ান দ্বীপগুলো পাঁচটি ভাগ নিয়ে গঠিত (পূর্ব থেকে পশ্চিমে)- ফক্স দ্বীপপুঞ্জ চার পর্বতমালা দ্বীপপুঞ্জ আন্দ্রেয়ানোফ দ্বীপপুঞ্জ র‍্যাট দ্বীপপুঞ্জ নিয়ার দ্বীপপুঞ্জ, এবং কমান্ডার দ্বীপপুঞ্জ। এই পাঁচটিই ৫১° ও ৫৫° উত্তর অক্ষাংশ এবং ১৭২° পূর্ব ও ১৬৩° পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। এদের মধ্যে বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ হলো আটু(মূল ভূখণ্ড হতে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত) এবং ফোনস দ্বীপপুঞ্জের উনালাস্কা, উম্নাক এবং ইউনিমাক দ্বীপ। এর মধ্যে বৃহত্তম হলো ইউনিমাক দ্বীপ যার আয়তন ১,৫৭১.৪১ বর্গমাইল (৪,০৬9৯.৯ বর্গকিমি), এর পরে উনালাস্কা দ্বীপ, একমাত্র অ্যালিউশিয়ান দ্বীপ, যার আয়তন ১,০০০ বর্গমাইল (২,৬০০ বর্গকিমি) এর চেয়েও বেশি। আলাস্কার মূল ভূখণ্ডের নিকটবর্তী দ্বীপপুঞ্জের অক্ষগুলো দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের প্রবণতা দেখায়, তবে তানাগা দ্বীপের ক্ষেত্রে এর দিক উত্তর থেকে পশ্চিম দিকে পরিবর্তিত হয়। দিকনির্দেশের এই পরিবর্তনটি আগ্নেয়গিরির ফলে সংগঠিত একটি ফাটলের বক্ররেখার সাথে মিলে যায় যা দ্বীপগুলির নির্মাণে অবদান রেখেছে। কুড়িল দ্বীপপুঞ্জ, জাপানি চেইন এবং ফিলিপাইনের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশে এ জাতীয় বাঁকা রেখাগুলির পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখা যায়। এই দ্বীপগুলোর সকল আর্ক প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটের প্রান্তে অবস্থিত এবং অনেক বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ হওয়া সত্ত্বেও এরা বসবাসযোগ্য। তবে আলেউটিয়ান প্রধান দ্বীপগুলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং উত্তর আমেরিকান টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে অবস্থিত। এই দ্বীপগুলোর মূল ভূখণ্ড আলেউটিয়ান রেঞ্জের পশ্চিমা ধারাবাহিকতায় সজ্জিত। দ্বীপের বেশিরভাগ অংশই আগ্নেয়গিরির উৎসের স্পষ্ট চিহ্ন বহন করে এবং দ্বীপগুলোর উত্তর দিকে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি বিদ্যমান যার কয়েকটি এখনো সক্রিয় রয়েছে। দ্বীপগুলির অনেকগুলি অবশ্য সম্পূর্ণ আগ্নেয়গিরির নয়, কিছু দ্বীপ স্ফটিক বা পলির শিলা এবং অ্যাম্বার এবং লিগনাইটের স্তর দিয়ে গঠিত। এদের প্রত্যেকটির উপকূলগুলো পাথুরে, জীর্ণ পৃষ্ঠতল বিশিষ্ট এবং এগুলির পথ অত্যন্ত বিপজ্জনক। ভূমি অবিলম্বে উপকূল থেকে খাড়া উঠে যাওয়া পাহাড় এদের বহু পুরাতন চিত্র। এই আগ্নেয় দ্বীপগুলি ৬,২০০ ফুট (১.৯০০ মিটার) পর্যন্ত উঁচু। উনালাস্কা দ্বীপে মাকুশিন আগ্নেয়গিরি ৫,৬৯১ ফুট (১,৭৩৫ মিটার) উচ্চতা সম্পন্ন। যদিও উনালাস্কা শহরের অভ্যন্তর থেকে এ আগ্নেয়গিরি একেবারে দৃশ্যমান নয়, তবে এর শৃঙ্গ থেকে বাষ্পটি একদম মেঘহীন পরিষ্কার দিনে দেখা যায়। উনালাস্কার বাসিন্দারা পিরামিড পিক বা মাউন্ট নিউহলের মতো ছোট কোন পাহাড়ে উঠলেই তুষারে ঢাকা পর্বতশৃঙ্গটি দেখতে পারেন। আগ্নেয়গিরি বোগোস্লোফ এবং ফায়ার দ্বীপপুঞ্জ, যা যথাক্রমে ১৭৯৬ এবং ১৮৮৩ সালে সমুদ্র থেকে ভেসে উঠেছিল, উনালাস্কা উপসাগর থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) পশ্চিমে অবস্থিত। ১৯০৬ সালে, উনালাস্কার কাছাকাছি বোগোসলফ এবং গ্রিউইনক দ্বীপগুলির মাঝখানে একটি নতুন আগ্নেয় শৃঙ্গ ভেসে উঠেছিল, এরপরে ১৯০৭ সালে এরকম আরেকটি ভেসে ওঠে। এই শৃঙ্গগুলো ১৯০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর একটি বিস্ফোরণে প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। ২০১৭ সালে জানা যায় যে, আগ্নেয় শৃঙ্গগুলো বাতাসে ভেসে এসে জমে যাওয়া ৩০,০০০ ফুট (৯০০০ মিটার) ছাই এবং বরফের চাপে বিস্ফোরিত হয়েছিল।

জলবায়ু সম্পাদনা

দ্বীপপুঞ্জের জলবায়ু মাঝারি ও মোটামুটি সমান তাপমাত্রা এবং ভারী বৃষ্টিপাত সম্পন্ন। কুয়াশার পরিমাণ প্রায় সবসময় একই থাকে। গ্রীষ্মের আবহাওয়া দক্ষিণ পূর্ব আলাস্কার (সিতকার আশেপাশের) চেয়ে অনেক বেশি শীতল, তবে দ্বীপপুঞ্জগুলো এবং আলাস্কা পানহান্ডেলের শীতের তাপমাত্রা প্রায় একই রকম। উনালাস্কা দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলটির দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি "সাবপোলার মহাসাগরীয় জলবায়ু" রয়েছে, যেখানে শীতলতম মাসগুলোতে গড় তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস (32° ফারেনহাইট) এর উপরে থাকে, ১ থেকে ৩ মাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর উপরে গড় তাপমাত্রা থাকে এবং বিভিন্ন ঋতুতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণে তেমন কোন পার্থক্য হয় না। এই এলাকার উত্তর-পূর্বাংশে জলবায়ু "শীতকালীন গ্রীষ্ম এবং সারা বছর বৃষ্টিপাত সহ সাববার্টিক" জাতীয় হয়ে যায়, যেখানে আবহাওয়া একইরকম তবে শীতলতর, এখানে শীতলতম মাসগুলোতে গড় তাওমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস (32 ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর নিচে থাকে। শীতকালে দ্বীপগুলো 'অ্যালিউসিয়ান লো' নামে পরিচিত একটি আধা-স্থায়ী নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয়। দ্বীপপুঞ্জের সর্বাধিক জনবহুল দ্বীপ উনালস্কা যার গড় তাপমাত্রা প্রায় ৩৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড), জানুয়ারীতে প্রায় ৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (−1 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) এবং আগস্টে প্রায় ৫২ ডিগ্রি ফারেনহাইট (১১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড)। দ্বীপপুঞ্জগুলিতে সর্বাধিক ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড যথাক্রমে °৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট (২° ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) এবং ৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট (−১৫ °C)। গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রায় ৮০ ইঞ্চি (২,০০০ মিমি) এবং উনালাস্কায় প্রতি বছর প্রায় ২৫০ দিন বৃষ্টিপাত হয় যে কারণে এটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃষ্টিপাতের জায়গা বলে মনে করা হয়।

প্রাণী ও উদ্ভিদ জগৎ সম্পাদনা

আলিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ফসল কাটার মৌসুমটি মে মাসের প্রথম থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে প্রায় ১৩৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়, তবে এর কৃষি, কয়েকটি শাকসবজির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিছু উইলো জাতীয় উদ্ভিত ব্যতীত,এখানকার বেশিরভাগ অংশে স্থানীয় গাছ দেখা যায় না। অ্যাডাক এবং আমাকনাকের মতো কয়েকটি দ্বীপে অবশ্য কিছু রাশিয়ান আমলের শঙ্কযুক্ত গাছ জন্মায়। শীতল জলবায়ুতে গাছ অনেক লম্বা হয়ে থাকে কিন্তু আলিউশিয়ান কনিফার গাছগুলো-যারা আনুমানিক দু'শো বছর পুরানো-উচ্চতায় খুবজোড় ১০ ফুট (৩ মিটার) উঁচু হয় এবং এদের অনেকগুলো এখনও ৫ ফুট (১.৫ মিটার) এর চেয়েও কম লম্বা। এর কারণ, এই দ্বীপপুঞ্জ অনেকটা ফকল্যাণ্ড এবং একই রকম অক্ষাংশের দ্বীপগুলির মতো, এখানকার শক্তিশালী বাতাসের জন্য লম্বা গাছগুলি ঝুঁকিপূর্ণ। একারণে এ গাছগুলির পরিবর্তে দ্বীপগুলি ক্রাউবেরি, ব্লউইন্ট, ঘাস, সেজেজ এবং অনেকগুলি ফুলের গাছের ঝোপঝাড় দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে রয়েছে। এদের উপকূলের কাছে পিট জাতীয় গাছের অঞ্চল রয়েছে। এন্ডেমিক প্ল্যান্টগুলির মধ্যে বিপন্ন আলিউশিয়ান শিল্ড ফার্ন অন্তর্ভুক্ত। আলেউশিয়ানে সামুদ্রিক পাখিদের অনেক বড় উপনিবেশ রয়েছে। বুলডির দ্বীপে ২১টি প্রজননকারী সামুদ্রিক প্রজাতি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বেরিং সি-এন্ডেমিক রেড-লেগড কিটিওয়াক। বড় বড় সামুদ্রিক উপনিবেশগুলি যেমন- কিস্কা, গারেলোই, সেমিসোপচনোই, বোগোসলফ এবং অন্যান্যগুলিতেও এরা উপস্থিত রয়েছে। দ্বীপপুঞ্জগুলিতে এশিয়ান পাখি যেমন- গোলাপফিনচ, সাইবেরিয়ান রুবিথ্রোট, ব্লুথ্রোট, ল্যানসোলেটেড ওয়ার্বেলার এবং উত্তর আমেরিকার মধ্যে ১ম আবিষ্কৃত এগ্রেট পাখিও এখানে বিদ্যমান। আলিউশিয়ানদের আবাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপ্রচলিত, তবে বন্যজীবন গবাদি পশু, ক্যারিবৌ এবং শিয়ালের মতো প্রজাতির প্রতিযোগিতা দ্বারা প্রভাবিত হয়। আলিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অনেক উপকূলে অটার প্রানীর প্রজাতিকে সমুদ্রের একটি অন্যতম প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এদের উপস্থিতি ক্যাল্প বনাঞ্চলের বৃদ্ধিকে উৎসাহ দেয়, কারণ অটারগুলো সামুদ্রিক প্রাণীর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে (কারণ সমুদ্রের অরচিনের বিশাল পরিমাণের শ্যাওলা সাফ করার মাধ্যমে এরা অর্চিন বন্ধ্যা তৈরি করতে পারে)।

ইতিহাস সম্পাদনা

প্রাগৈতিহাসিক- অ্যালিউশিইয়ানের সর্বপ্রাচীন জনগণ এশিয়া মহাদেশ থেকে উত্তর আমেরিকা মহাদেশ পর্যন্ত একটি ভাঙ্গা সেতুর মতো প্রসারিত হওয়ার ফলে অনেক নৃতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন যে, তারা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম জনবসতি ছিল। যদিও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে জনবসতির প্রাচীনতম ইতিহাসের প্রমাণগুলি আরও দক্ষিণ দিকের অংশে পাওয়া গেছে। বেরিং সাগরের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক প্রমাণগুলো সম্ভবত বর্তমান সময়ের ক্রমবর্ধমান জল এবং বালির দ্বারা ডুবে গেছে। প্রাচীনকালের অ্যলিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জে বা এর আশেপাশের বসবাসকারী লোকেরা শিকার, মাছ ধরা এবং ঝুড়ির জিনিসপত্র তৈরীতে দক্ষতার পরিচয় দেয়। শিকারিরা তাদের অস্ত্র, জলযোজন ইত্যাদি তৈরি করেছিল। প্রাচীন ঝুড়াগুলি সামুদ্রিক শস্যের গাছ হতে সাবধানে ছাঁটা ডালপালা দিয়ে সূক্ষ্মভাবে বোনা বলে উল্লেখ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় একে একে এখানে রাশিয়ান সময়কাল, গোড়া খ্রিষ্টান ঐতিহ্য, মার্কিন দখল এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি আক্রমণ সম্পন্ন হয়।

রাশিয়ান সময়কাল সম্পাদনা

অভিযাত্রী, ব্যবসায়ী এবং ধর্মপ্রচারকরা রাশিয়া থেকে ১৭৪১ সালে প্রথম এই এলাকায় আসতে শুরু করে। ১৭৪১ সালে রাশিয়ার সরকার, রাশিয়ার সেবায় নিয়জিত ভিটাস বেরিং নামক একজন ড্যানিশ ব্যক্তি এবং আলেক্সেই চিরিকভ নামের একজন রাশিয়ানকে সেন্ট পিটার এবং সেন্ট পল জাহাজে করে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর আবিষ্কারের সমুদ্রযাত্রায় প্রেরণ করেছিলেন। ঝড়ের মাধ্যমে জাহাজগুলি আলাদা হয়ে যাওয়ার পরে, চিরিকভ অ্যালিউশিয়ান গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি পূর্বদিকের দ্বীপপুঞ্জ আবিষ্কার করেছিলেন এবং বেরিং পশ্চিমের বেশ কয়েকটি দ্বীপ আবিষ্কার করেন। বেরিং-এর জাহাজ ধ্বংস হয়ে যায় এবং কমান্ডার দ্বীপপুঞ্জে তিনি মৃত্যুবরণ করেন, যার মধ্যে একটি এখন তার নাম (বেরিং দ্বীপ) সহ আশেপাশের বেরিং সাগরকে ধারণ করে। বেরিং পার্টির বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা তাদের জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে নির্মিত একটি নৌকোয় কামচাতকা উপদ্বীপে পৌঁছায় এবং পরবর্তীতে দ্বীপপুঞ্জগুলোকে পশমবহনকারী প্রাণী সমৃদ্ধ বলে জানায়। সাইবেরিয়ার পশু শিকারীরা কমান্ডার দ্বীপপুঞ্জে এসে ধীরে ধীরে আলিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ পেরিয়ে পূর্বদিকে মূল ভূখণ্ডে চলে যান। এর মাধ্যমেই রাশিয়া উত্তর আমেরিকার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে একটি পা রেখেছিল। আলিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ ফলস্বরূপ রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল, কিন্তু পরে দেশটি উত্তর আমেরিকার সমস্ত সম্পত্তি ১৮৬৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত করে। রাশিয়ান-আমেরিকান কোম্পানীর একত্র হওয়ার সময় আলিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে বিক্ষিপ্ত বিরোধ ছিল। ফলে সেখানে শীঘ্রই সহযোগিতা, বিবাহবিচ্ছেদ এবং সরকারি নীতির ভিত্তিতে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল অবস্থা স্থাপনের ব্যবস্থা করে হয় যা মিশ্র আলেউট-রাশিয়ান শিশুদেরকে সামাজিক অবস্থান, শিক্ষা এবং পেশাদার প্রশিক্ষণ সরবরাহ করে। দিনে দিনে, রাশিয়ান-আমেরিকান উপনিবেশগুলির দৈনিক প্রশাসন মূলত আলাস্কানদের হাতে চলে যায়। উপনিবেশকরণের স্বাভাবিক প্রবণতার বিপরীতে সেখানে প্রযুক্তি প্রতিস্থাপন করা হয়, রাশিয়ানরা আলেউট কায়াক, সামুদ্রিক অটার শিকার কৌশল এবং দেশীয় তামার আমানতের কাজ গ্রহণ করেছিল। এছাড়াও তারা সিরিলিক বর্ণমালার অভিযোজন দ্বারা সেখানে ধর্মীয় ও অন্যান্য গ্রন্থসমূহের লিপিবদ্ধকরণের মাধ্যমে আলেউট ভাষা সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ,জনশিক্ষা,গুটিপোকার জন্য স্থানীয় জনগণের টিকাদান এবং বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী সংরক্ষণ নীতি প্রণয় করেছিল যা সে সময়ের তুলনায় অনেক আধুনিক ছিল। ১৭৬০ সাল নাগাদ রাশিয়ান বণিক অ্যান্ড্রিয়ান টলস্টিখ রাশিয়ার আদক অঞ্চল এবং এর আশেপাশে এলাকার একটি বিস্তারিত আদমশুমারি করেছিলেন এবং এই আলিউশিয়ান এলাকায় রাশিয়ার নাগরিকত্ব বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ১৭৭৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ যাত্রার সময় ক্যাপ্টেন জেমস কুক আলেউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জের পূর্ব অংশ জরিপ করেছিলেন, আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপের অবস্থান সঠিকভাবে নির্ধারণ করেছিলেন এবং প্রবীণ নৌচালকদের অনেক ভুল সংশোধন করেছিলেন।

গোঁড়া খ্রিস্টান ঐতিহ্য সম্পাদনা

আলেউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আগত প্রথম খ্রিস্টান মিশনারীদের মধ্যে দশ জন রাশিয়ান সন্ন্যাসী এবং পুরোহিতদের একটি দল ছিল, যারা ১৭৯৩ সালে এসেছিলেন। দু'বছরের মধ্যেই হারমান নামের এক সন্ন্যাসী সেই দলের একমাত্র জীবিত ব্যক্তিতে পরিণত হন। তিনি কোডিয়াক দ্বীপের নিকটবর্তী স্প্রউস দ্বীপে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং প্রায়শই রাশিয়ান ট্রেডিং সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে আলিউশিয়ানদের অধিকার রক্ষা করতেন। তিনি এখন অর্থোডক্স চার্চে আলাস্কার সেন্ট হারমান হিসাবে পরিচিত। রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের আরেক প্রথম দিকের খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক হলেন ফাদার ভেনিয়ামিনভ যিনি ১৮২৪ সালে উনালাস্কায় এসেছিলেন। ১৮৪০ সালে তাঁর নাম বিশপ ইন্নোকেন্টি ছিল এবং তিনি সেতকায় চলে আসেন। তিনি এখন অর্থোডক্স চার্চে আলাস্কার সেন্ট ইনোসেন্ট হিসাবে পরিচিত। আলিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জের মূল বসতিগুলি ছিল উনালাস্কা দ্বীপে। এ বসতিগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম ছিল ইলিউলিউক (যাকে উনালাস্কাও বলা হয়), ১৭৬০-১৭৭৫ সালে যেখানে কাস্টমস হাউস এবং একটি অর্থোডক্স গির্জা স্থাপিত হয়।

মার্কিন দখল সম্পাদনা

১৮৬৭ সালে আমেরিকা রাশিয়া থেকে আলাস্কা কিনে নেয়ার পর, এ এলাকার বিকাশ ঘটে। নতুন বিল্ডিংগুলির মধ্যে একটি মেথোডিস্ট মিশন,এতিমখানা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব কাটারগুলির একটির প্রধান সদর দফতর অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা প্রিবিলোফ দ্বীপপুঞ্জে স্থাপিত হয়। এরপর উনালাস্কার প্রথম পাবলিক স্কুল ১৮৮৩ সালে চালু হয়। মার্কিন কংগ্রেস সমস্ত নেটিভ আমেরিকানদের আমেরিকান নাগরিকত্ব বাড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৪৪ সালে (এবং পরবর্তীতে এই আইনটি আলাস্কার আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছিল)। ইউএনএস ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান অ্যাফেয়ার্স দ্বারা ১৯৩৩ সালে উনালাস্কায় একটি হাসপাতালও নির্মিত হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পাদনা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়,আলিউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জের একটা ছোট অংশ জাপানি বাহিনী দখল করে নিয়েছিল যারা আমেরিকান বাহিনীকে জাপানি আক্রমণ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আটু এবং কিস্কা আক্রমণ করে। মার্কিন নৌবাহিনী, জাপানি নৌ-কোডগুলি ভেঙে ফেলায় জেনে গিয়েছিল যে এটি কেবল একটি বিবর্তন এবং দ্বীপগুলি রক্ষার জন্য এদের যথেষ্ট প্রচেষ্টা নেই। ৯০ এরও বেশি আমেরিকানকে যুদ্ধবন্দী হিসাবে জাপানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আলিউশিয়ান ও প্রিভিলোভিয়ানদের বেশিরভাগ নাগরিক (৮০০এরও বেশি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার পানহান্ডলের শিবিরগুলিতে আটক হয়েছিল। আলেউশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ অভিযানের সময় আমেরিকান বাহিনী জাপানিজ-অধিষ্ঠিত আটু আক্রমণ করে এবং জাপানিদের পরাজিত করে। আমেরিকান এবং কানাডার সেনারা পরে কিস্কায় আক্রমণ শুরু করেছিল, কিন্তু জাপানি বাহিনী ইতোমধ্যে দ্বীপগুলিতে অভিযান শেষ করে পিছিয়ে পরে। এরপর ৩ জুন, ২০০২ সালে ডাচ হারবার স্মরণ দিবস হিসাবে পালিত হয়েছিল। আলাস্কার সরকার ১৯৪২ সালে দুই দিনের জাপানি বিমান হামলায় মারা যাওয়া ৪৩ জন আমেরিকানকে সম্মান জানাতে রাষ্ট্রীয় পতাকা অর্ধ-নীম্নে নামিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আলিউশিয়ানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জাতীয় ঐতিহাসিক অঞ্চলটি দর্শনার্থী কেন্দ্র হিসেবে সে মাসে চালু হয়ে যায়।

সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পাদনা

আলাস্কা নেটিভ দাবি নিষ্পত্তি কার্যক্রম ১৯৮১ সালে আইনে পরিণত হয় এবং এটি প্রথম কর্পোরেশন যেটি এর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ ঘোষণা এবং প্রদান করে। ১৯০৭ সালে, আলেউটিয়ান দ্বীপপুঞ্জকে ইউনেস্কোর বায়োস্পিয়ার রিজার্ভ মনোনীত করা হয়েছিল। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ টি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের মধ্যে আলেউটিয়ান দ্বীপপুঞ্জ জুন ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অনুরোধে প্রত্যাহার করা হয়।

অর্থনীতি সম্পাদনা

স্বল্প পাহাড়ি অঞ্চল বিশিষ্ট দ্বীপগুলিতে, এক সময় ভেড়া ও হরিণ চরানো হতো বলে মনে করা হয়। স্যান্ড পয়েন্টের কাছে দ্বীপগুলিতে বাইসন রয়েছে। সিন্থেটিক ফাইবারের প্রচলনের কারণে এখানে ভেড়া চড়ানোর প্রথা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ১৯৮০-এর দশকে, উনালাস্কায় কিছু লামা উত্থাপিত হয়েছিল। বর্তমান অর্থনীতি মূলত ফিশিং এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে। এখানকার একমাত্র ফসল আলু। শস্যাগারে ঠান্ডা থেকে সুরক্ষিত অবস্থায় মুরগি সংরক্ষণ করা হয়। আংশিক এয়ার সার্ভিস এবং একটি ফেরি পরিসেবার জন্য, আলাস্কা মেরিন হাইওয়ে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলি দ্বীপের উপর দিয়ে যায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. The Editors of Encyclopædia Britannica (১৮ ডিসেম্বর ২০১৫)। "Aleutian Islands"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  2. "Aleutian Islands"Merriam-Webster। Merriam-Webster, Inc.। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  3. "Aleutian"ডিকশনারী.কম। র‍্যান্ডম হাউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-২২ 
  4. Mark Nuttall, সম্পাদক (২০০৫)। Encyclopedia of the Arctic। Routledge। পৃষ্ঠা 333আইএসবিএন 0-203-99785-9 
  5. George Forchhammer (১৮৬৩)। Royal Society of London, সম্পাদক। "On the Constitution of Sea-Water, at different Depths, and in different Latitudes"। Proceedings of the Royal Society of London। Taylor & Francis। 12: 131। 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা