অহুর মাজদা

জ়রথুষ্ট্র ধর্মের সর্বোচ্চ দেবতা

আহুরা মাজদা বা অসুর মহৎ (অসুর মেধা হিসেবেও অনুবাদ করা হয়ে থাকে) (/əˌhʊərə ˈmæzdə/;[১] অবেস্তা: টেমপ্লেট:Script/Avestan𐬨𐬀𐬰𐬛𐬁 𐬀𐬵𐬎𐬭𐬀, প্রতিবর্ণীকৃত: Ahura Mazdā, সংস্কৃত: असुर मेधा, असुर महत, প্রতিবর্ণীকৃত: অসুর মেধা এছাড়াও অরোমাসডেস, ওহরমাজদ, আহুরামাজদা, হউরমাজদ, হোরমাজদ, ও হুরমুজ নামেও পরিচিত) হল জরাথুস্ট্রবাদের সৃষ্টিকর্তা ও সর্বোচ্চ উপাস্য। আহুরা মাজদা হল ইয়াস্নাতে প্রথম ও সবচেয়ে বেশি আহ্বান করা আত্মা। আহুরা শব্দের শাব্দিক অর্থ প্রভু আর মাজদা অর্থ প্রজ্ঞা। ঋগ্বেদের ২:১:৬ সুক্তে তাকে অসুর মহৎ (असुर महत) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[২][৩][৪]

আহুরা মাজদা
অসুর মহৎ
জ্ঞানের প্রভু
নাগশ-এ-রুস্তমে সাসানিড টেরাকোটা যাতে দেখা যাচ্ছে আহুরা মাজদা প্রথম আরদাশিরের কাছে সার্বভৌমত্বের মুকুট পরিবেশন করছেন।
অন্তর্ভুক্তিজরাথ্রুস্ট্রবাদ
অঞ্চলবৃহত্তর ইরান
ব্যক্তিগত তথ্য
সহোদরআহ্রিমান

আহুরা মাজদাকে প্রথম দেখা যায় আচেমেনিড সাম্রাজ্যের সময়কালে (খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০ থেকে ৩৩০ অব্দ) প্রথম দারিউসের বেহিশতুন খোদাইলিপিতে। ইরানের প্রথম আরটেক্সারসেসের আগপর্যন্ত, অহুরা মাজদাকে এককভাবে সকল বিস্তৃত রাজকীয় খোদাইলিপিতে উপাসনা ও আহবান করা হত। দ্বিতীয় আরটেক্সারসেসের সময় থেকে আহুরা মাজদার পাশাপাশি মিথ্রা ও আনাহিতার উপাসনা শুরু হয়। আচেমেনিড সময়কালে, আহুরা মাজদার কোন প্রতিকৃতি ছিল না, সম্রাটগণ খালি ঘোড়া টানা রথ চালনার মাধ্যমে আহুরা মাজদাকে আহবান করতেন, যেন সে এসে ইরানীদের সেনাবাহিনীর সঙ্গ দেয় ও ইরানীদের যুদ্ধে অংশ নেয়। ৫ম খ্রিস্টপূর্ব শতক থেকে আহুরা মাজদার প্রতিকৃতির ব্যবহার শুরু হয়, কিন্তু শাসানীয় সাম্রাজ্যে তা আবার বন্ধ হয়ে যায় এবং বক্ররেখার মাধ্যমে তা বোঝানো শুরু হয়, এবং পরবর্তীতে আবারও শাসানীয় রাজবংশের দ্বারাই সমর্থিত হয়ে বক্ররেখার বদলে তার প্রতীকী প্রতিকৃতির ব্যবহার শুরু হয়।

ঐতিহাসিকরা বিশ্বাস করেন যে হিন্দুধর্মের ঋগ্বেদের অসুর "বরুণ"কে পারসি ধর্ম জরাথুস্ট্রবাদের আহুরা মাজদা বলা হয়। পরে পৌরাণিক কাহিনীতে, বরুণকে জলের দেবতা বানানো হয়েছিল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Ahura Mazda | Definition of Ahura Mazda by Merriam-Webster"। Merriam-webster.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-১১ 
  2. https://bn.wikisource.org/wiki/পাতা:পৃথিবীর_পুরাতত্ত্ব_(প্রথম_খণ্ড)_-_বিনোদবিহারী_রায়.pdf/১৬৬
  3. Sandarbha Bhāratī (হিন্দি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 105। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  4. Śrī Bhaṃvarīlāla Bākalīvāla smārikā (হিন্দি ভাষায়)। Śrī Bhāratavarshīya Śāntivīra Digambara Jaina Siddhānta Saṃrakshiṇī Sabhā। ১৯৬৮। পৃষ্ঠা 286। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা