অমরাবতী এক্সপ্রেস

অমরাবতী এক্সপ্রেস হলো ২০১২ সালরে ডিসেম্বরে ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃক প্রদত্ত দুইটি রেল সেবার নাম, যা বিজয়ওয়াড়া এবং হুবলির মধ্যে যাওয়া আসা করে এবং যার নাম দুইটি নিম্নরূপ:

অমরাবতী এক্সপ্রেস ট্রেন

. ১৭২২৫ বিজয়ওয়াড়া – হুবলি অমরাবতী এক্সপ্রেস।

. ১৭২২৬ হুবলি – ভিজয়াদা আমরাভাতি এক্সপ্রেস।[১]

রেল সেবাটি প্রতি সপ্তাহে বেজয়াদা (ভিজয়াদা) ডিভিশন, দক্ষিণ কেন্দ্রীয় রেলওয়ে কর্তৃক দুইটি পথে তিন বার করে পরিচালিত হয়। ট্রেনটি দক্ষিণ ভারত হতে অন্ধ্র প্রদেশ থেকে গোয়ার পথে যাত্রা করে।

. ১৮০৪৭ হাওড়া – ভাস্কো দা গামা অমরাবতী এক্সপ্রেস।

. ১৮০৪৮ ভাস্কো দা গামা – হাওড়া অমরাবতী এক্সপ্রেস।

এই সেবাটি প্রতি সপ্তাহে একটি পথে ৪ বার করে গমন করে এবং এই রেল সেবাটি দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে, খড়গপুর বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত হয়। ট্রেনটি পশ্চিম বঙ্গ হতে উড়িষ্যা এবং অন্ধ্র প্রদেশ হয়ে পূর্ব ভারতের কর্ণাটক এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের গোয়াতে গমন করে।

অমরাবতী এক্সপ্রেস অন্ধ্র প্রদেশ এর অধিবাসীদের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় বিশেষ করে যারা গুন্তুর, নাড়াসারাোপেট, মার্কাপুর, কুমবুম, গিড্ডালুরু, নানডেয়াল, মাহানন্দি, গুন্তাকাল এবং বেলরী এলাকার নগর অথবা শহর গুলোতে বসবাস করে।

ইতিহাস সম্পাদনা

অমরাবতী এক্সপ্রেস ঐতিহাসিক মাছিলিপট্টম-মৌনমুগাও রেলওয়ে পথে গমন করে। ১৯৫০ সালে প্রথম মিটার গেজ ট্রেন হিসাবে গুন্টুরান্দ এবং হুবলির মধ্যে এই সেবাটির সূচনা হয়। গুন্তুর-হুবলি সাধারণ যাত্রি সেবা ট্রেনটি ১৯৮৭ এবং ১৯৯০ সালের দিকে উন্নত হয়ে এক্সপ্রেস সেবায় পরিনত হয় এবং তখন আমারাভাটি এক্সপ্রেস হিসাবে নামকরণ করা হয়। রেল সেবাটি পথ ১৯৯৪ সালে ভিজয়াদা পর্যন্ত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। ৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন ব্রডগেজ লাইন উন্নয়নের কাজ চলমান ছিল তখন ট্রেন সেবাটি ভিন্ন ভিন্ন খণ্ডে বিভক্ত হয়ে যায় এবং ১৯৯৭ সাল অব্দি যা পূর্নোদ্যমে চালু হতে পারেনি।

২০০০ সালে প্রথমে রেল সেবাটি লন্দা জংসন, ক্যাসেল রক পর্যন্ত বৃস্তিতি লাভ করে এবং পরবর্তিতে ভাস্কো দা গামা পর্যন্ত বৃস্তিতি লাভ করতে থাকে যখন রেল লাইন উন্নয়নের কাজ অবহ্যত ছিল। ট্রেন সেবাটি অবশেষে দৈনন্দিন সেবা হিসাবে ভাস্কো দাগামা থেকে ভিজয়াদা পর্যন্ত যাত্রা শুরু করে ২০০০ সালের মাঝামাঝি অব্দি। যদিও যাত্রীদের এটির সেবা সম্পর্কে খুব খারাপ প্রতিক্রিয়া প্রদর্শনের কারণে দৈনিক হতে সপ্তাহে দুই দিন করে এটি চলতে থাকে এবং বাকি ৫ দিন হুবলিতে এসেই যাত্রা সমাপ্ত করা হয়।

২০০৩ সালের প্রথম হতে সেবাটির যাত্রিসংখ্যা সপ্তাহে তিন বার করা হয় এবং বিজয়ওয়াড়া-হুবলি সেবা সপ্তাহে বাকি চারদিন করে চলতে থাকে। ২০০৭ সালের জুলাই হতে রেল সেবাটি ভাস্কোদাগামা হতে বৃদ্ধি পেয়ে হাওড়া পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

২০১০ সালে ৭২২৭/৭২২৮ বিজয়ওয়াড়া-হুবলি সেবাটি পুনসংখ্যায়ন করা হয় ১৭২২৭/১৭২২৮ নম্বরে এবং ৮০৪৭/৮০৪৮ হাওড়া-ভাস্কোদাগামা সেবাটি নতুন নম্বর ১৮০৪৭/১৮০৪৮ এ পরিনত হয়। ২০১৩ সালের ১২ ফ্রেবুয়ারী রেল মন্ত্রী মালিকার্জুনা কার্জে আমারাভাটি এক্সপ্রেস ১৭২২৫/১৭২২৬ এর যাত্রা সংখ্যা বৃদ্ধি করে সপ্তাহে ৩ দিনের স্থলে দৈনিক করে দেন।[২] সংশোধিত সময় সূচী অনুযায়ী নতুন ট্রেনের সময়সূচি খুব দ্রুতই কার্যকর হয়।

নামের উৎস সম্পাদনা

রেল সেবাটি ঐতিহিাসিক সাতাবাহানা ডাইনেস্টির রাজধানী নগর অমরাবতী যার বর্তমান নাম দক্ষিণ ভারতের সাচী অনুসারে নামকরণ করা হয়।

ইঞ্জিনসমূহ সম্পাদনা

১৭২২৫/১৭২২৬ অমরাবতী এক্সপ্রেস ব্যবহার করে ডব্লুউডিএম৩এ ডিসেল ইঞ্জিন যা এসসিআর (গুনতাক বিভাগ) গুতি ছাউনি হতে ভিজয়াদা এবং হুগলির মধ্যে ভ্রমণ করে।[৩] ১৮০৪৭/১৮০৪৮ আমরাভাতি এক্সপ্রেস ইলেকট্রিক এবং ডিসেল উভয় ইঞ্জিন ব্যবহার করে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Amaravati Express train 17226"। indiarailinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-১৯ 
  2. "Amaravati Express train No.17225"। cleartrip.com। ২০১৪-০৪-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-১৯ 
  3. "Departure Days From Vijayawada Junction Railway Station - Daily"। prokerala.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-১৯