অনুজনন হল একটি প্রক্রিয়া যেটি ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং চাপজনিত ভূ- অভ্যন্তরে চাপা পড়া পলি এর ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন বর্ণনা করে।[১] প্রাথমিক পর্যায়ে, পলির এই পলল শিলায় রূপান্তর ( লিথাইফিকেশন ) এর সাথে কেবলই ছিদ্রতা হ্রাস পাওয়ার মাধ্যমে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হয়, যখন এর উপাদানসমূহ অবিকৃত অবস্থায় থাকে। ঊর্ধ্বের অবক্ষেপ জমার সাথে সাথে শিলাটি আর গভীরে প্রবেশ করতে শুরু করে । এর ফলে এর অভ্যন্তরস্থ জৈব বস্তু কেরোজেন এবং বিটুমিন এ রূপান্তরিত হয়ে যায়। অনুজনন প্রক্রিয়ায় পৃষ্ঠের পরিবর্তন ( আবহাওয়া ) এবং রূপান্তর এর কোন ভূমিকা থাকেনা। অনুজনন এবং রূপান্তরসমূহের মধ্যে মূলত কোনো সূক্ষ্ম সীমানা নেই তবে পরেরটি সাধারণত উচ্চতর তাপমাত্রা এবং চাপে ঘটে থাকে। জলতাপীয় দ্রবণ, উল্কাজনিত আঘাতে সৃষ্ট ভূগর্ভে অবস্থিত ভূগর্ভস্থ জল, ছিদ্রতা, ব্যাপ্তিযোগ্যতা, দ্রবণীয়তা এবং সময় প্রভৃতি হল এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তারকারী নিয়ামক।

অনুজননের একটি রূপ হ'ল পারমিনালাইজেশন, যার মধ্যে সমাধিস্থ জীবসমূহ খনিজ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। এই ট্রাইলোবাইটস ( লয়েডোলিথাস ) পাইরাইটাইজেশন নামে একটি নির্দিষ্ট ধরনের পেরিমিনালাইজেশনের সময় পাইরাইট দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।

অবক্ষেপণের পর, পললসমূহ দৃঢ় ও ঘন হয়ে যেতে থাকে কারণ এগুলো ক্রমাগত ভূ-অভ্যন্তরে কয়েক স্তরবিশিষ্ট পললের নিচে গেড়ে যায় এবং সেখানেই দ্রবণ হতে থিতিয়ে পড়া খনিজের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে যায়। দানাদার পলি, শিলা খণ্ড এবং জীবাশ্মের অংশবিশেষ অনুজননের সময় অন্যান্য খনিজ দ্বারাও প্রতিস্থাপিত হতে পারে। সাধারণত অনুজননের সময় ছিদ্রতা কমে যায়, তবে তা হতে হবে খনিজের দ্রবীভবন এবং ডলমাইটিজেশান ইত্যাদি বিরল ক্ষেত্রে ব্যতীত ।

শৈলসমূহে অনুজননের অধ্যয়ন তাদের অতিক্রম করা ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস এবং তাদের প্রদত্ত প্রকৃতি এবং তরলসমুহের ধরন যেগুলোর মাধ্যমে এরা সঞ্চালিত হয়েছে সেসব বোঝার জন্য ব্যবহৃত হয়। বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এই ধরনের অধ্যয়নসমূহ বিভিন্ন অর্থনৈতিকভাবে টেকসই খনিজ এবং হাইড্রোকার্বন আমানতের সন্ধানের সম্ভাবনা নির্ধারণে সহায়তা করে থাকে।

হাড়ের টিস্যুুসমূহের পচনের ক্ষেত্রেও অনুজনন প্রক্রিয়াটির রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। [২]

নৃতাত্ত্বিক এবং জীবাণুবিদ্যায় অনুজননের ভূমিকা সম্পাদনা

 
মূলত calcitic ক্রিনয়েড স্টেম (প্রস্থচ্ছেদ) অনুজনন যেটি মারক্যাসাইট দ্বারা প্রতিস্থাপিত একটি সিডারাইট পাথর; নিম্ন কার্বনিফেরাস।

অনুজনন শব্দটি, যার আক্ষরিক অর্থ "প্রজন্ম জুড়ে",[৩] এবং এটি ভূতত্ত্বের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যাইহোক, এই শব্দটি কঙ্কালের (জৈবিক) উপাদানগুলির মধ্যে ঘটে যাওয়া পরিবর্তন এবং অবস্থান্তর বর্ণনা করার জন্য নৃবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব এবং জীবাশ্নবিজ্ঞান প্রভৃতি ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে অনুজনন "ক্রমবর্ধমান শারীরিক, রাসায়নিক এবং জৈবিক পরিবেশ; এই প্রক্রিয়াসমূহ একটি জৈবিক বস্তুর মূল রাসায়নিক এবং কাঠামোগত বৈশিষ্ট্যসমূহকে পরিবর্তন করবে এবং সংরক্ষণ বা ধ্বংসের ক্ষেত্রেও এটির চূড়ান্ত নিয়তি নিয়ন্ত্রণ করবে"। [৪][৫] প্রত্নতাত্ত্বিক বা জীবাশ্মের হাড়ের উপর অনুজননের সম্ভাব্য প্রভাবটি মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে, হাড় এবং আচ্ছাদিত মাটির প্রাথমিক এবং খনিজ সংশ্লেষণ এবং সেইসাথে স্থানীয় সমাধি পরিবেশ (ভূতত্ত্ব , জলবায়ু, ভূগর্ভস্থ ) থেকে শুরু করে অনেকগুলি বিষয়গুলির মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

হাড়ের জটিল গঠন যেখানে এক-তৃতীয়াংশ জৈব পদার্থ (প্রধানত প্রোটিন কোলাজেন ) এবং দুই তৃতীয়াংশ খনিজ পদার্থ (যার বেশিরভাগই হাইড্রোক্সিপ্যাটাইট আকারের ক্যালসিয়াম ফসফেট ) তার অনুজনন প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তোলে। [৬] এক্ষেত্রে রূপান্তর প্রায় সকল স্তরেই ঘটতে পারে। যেমন আণবিক ক্ষয় এবং প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে, কেলাসিত পুনঃবিন্নস্ত্যকরণের মাধ্যমে, ছিদ্রতা এবং ক্ষুদ্র অবকাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ইউনিটকেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। [৭] হাড়ের অনুজননের তিনটি সাধারণ পথ চিহ্নিত করা হয়েছে:

  1. জৈব পর্যায়ে রাসায়নিক ক্ষয়।
  2. খনিজ পর্যায়ে রাসায়নিক ক্ষয়।
  3. (ক্ষুদ্র) যৌগিক জৈবিক আক্রমণ। [৮]

এগুলো হল:

  1. কোলাজেনের দ্রবনীয়তা সময়, তাপমাত্রা এবং পরিবেশগত পিএইচ এর উপর নির্ভর করে। [৮] উচ্চ তাপমাত্রায় কোলাজেন ক্ষয়ের হার ত্বরান্বিত হয় এবং মাত্রাতিরিক্ত পিএইচ কোলাজেন স্ফীত হওয়া এবং ত্বরিত হাইড্রোলাইসিস এসবের কারণ হতে পারে। কোলাজেন ক্ষয়ের মাধ্যমে হাড়ের ছিদ্রতা বৃদ্ধি পায়। আর এর ফলে হাড় হাইড্রোলাইটিক ক্ষরণের জন্য সংবেদনশীল হয়ে ওঠে যেখানে অ্যামিনো অ্যাসিডের সাথে হাইড্রোক্সিপ্যাটাইট এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দরুন এটি স্নেহযুক্ত প্রজাতির অভ্যন্তরীণ এবং বহিরাগত উৎসের চার্জযুক্ত স্থিতি গ্রহণের অনুমতি দেয়। [২]
  2. হাইড্রোলাইটিক ক্রিয়াকলাপ খনিজ পর্বের রূপান্তরসমূহের কাজে একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে যা কোলাজেনের ত্বরিত রাসায়নিক এবং জৈব-অবক্ষয়কে প্রকাশ করে দেয়। রাসায়নিক পরিবর্তন কেলাসনকে প্রভাবিত করে। যেমন F বা CO3 আয়নের উত্তোলনের ফলে পুনঃকেলাসন ঘটতে পারে যেখানে হাইড্রোক্সিপ্যাটাইট দ্রবীভূত থাকে এবং পুনরায় থিতিয়ে পড়ে আর এটি বহিরাগত বস্তুসমূহের মিলিতকরন কিংবা প্রতিস্থাপন অনুমোদন করে।
  3. একবার কোনও ব্যক্তিকে সমাধিস্ত করা হলে সেখানে জীবাণুর আক্রমণ ঘটে যা হাড়ের ক্ষয়ের সবচেয়ে সাধারণ প্রক্রিয়া এবং এটি খুব দ্রুতই ঘটে। এই পর্যায়ে, বেশিরভাগ হাড়ের কোলাজেন ক্ষয় হয়ে যায় এবং ছিদ্রতা বৃদ্ধি পায়। কম পিএইচ দ্বারা সৃষ্ট খনিজ পর্যায়ের দ্রবীভূতকরণ কোষ বহির্ভূত জীবাণুর আক্রমণের ফলে এসব জীবাণুর এনজাইমসমূহ দ্বারা কোলাজেনসমূহে প্রবেশের অনুমতি পায়।

হাইড্রোকার্বন গঠনে অনুজননের ভূমিকা সম্পাদনা

অধঃক্ষেপণ কালীন কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদ পদার্থকে সমাহিত করা হলে তাপমাত্রা এবং চাপ বৃদ্ধির কারণে উপাদানসমূহের জৈব অণু ( লিপিড, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং লিংগিন - হিউমিক যৌগসমূহ) ভেঙে যায়। এই রূপান্তর সাধারণত সমাধির চারপাশের প্রথম কয়েকশ মিটারের মধ্যেই ঘটে থাকে এবং দুটি প্রাথমিক উপজাত সৃষ্টি করে । এগুলো হল : কেরোজেন এবং বিটুমিন

সাধারণত এটি মেনে নেয়া হয় যে হাইড্রোকার্বনসমূহ এই কেরোজেনসমূহের (জৈবিক তত্ত্ব অনুযায়ী) তাপীয় পরিবর্তন দ্বারা গঠিত হয়। এইভাবে, নির্দিষ্ট শর্ত দেওয়া থাকলে (যার বেশিরভাগ তাপমাত্রা-নির্ভরশীল) কেরোজেনসমূহ ক্র্যাকিং বা ক্যাটেজেনসিস নামে পরিচিত রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হাইড্রোকার্বন গঠনের উদ্দেশ্যে ভেঙে যায়।

পরীক্ষামূলক তথ্যের উপর ভিত্তি করে একটি গতিশীল মডেল অনুজননের বেশিরভাগ অপরিহার্য রূপান্তরসমূহ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। [৯] আর একটি গাণিতিক মডেলকে একটি নিবিড় ছিদ্রতা যুক্ত মাধ্যমে দ্রবিভুতকরন- অধঃক্ষেপণ কে রূপ দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।[১০] এই মডেলসমূহ নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করা হয়েছে এবং গভীর ভূতাত্ত্বিক প্রয়োগসমূহে আরোপ করা হয়েছে।

অনুজননকে হাইড্রোকার্বন এবং কয়লা সৃষ্টি এর উপর ভিত্তি করে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলো যথাক্রমে: প্রাক অনুজনন (শুরুর), মধ্য অনুজনন (মাঝারি) এবং শেষ অনুজনন (দেরী) । প্রারম্ভিক বা প্রাক অনুজনন পর্যায়ে খোলসসমূহ এর ছিদ্রের মধ্যস্থিত জল হারাতে থাকে, সাধারণত হাইড্রোকার্বন তৈরি হয় না আর হলেও তা খুবই কম এবং কয়লা লিগনাইট এবং সাব-বিটুমিনাসের মধ্যে এটিতে অবস্থান্তর ঘটতে থাকে। মধ্য অনুজনন চলাকালীন সময়, কাদামাটির খনিজসমূহের পানিবিয়োজন ঘটে। তখন তেলের সৃষ্টির প্রধান বিকাশ ঘটতে শুরু করে এবং উচ্চ থেকে কম উদ্বায়ী বিটুমিনাস কয়লা গঠিত র হয়। শেষ অনুজনন চলাকালীন সময়, জৈব পদার্থ ক্র্যাকিং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে এবং এর ফলে শুকনো গ্যাস উৎপাদিত হয় এবং অর্ধ- অ্যানথ্র্যাসাইট কয়লার বিকাশ ঘটে[১১]

নবগঠিত জলজ পললসমূহের প্রারম্ভিক অনুজননকে বিভিন্ন ইলেক্ট্রন গ্রহণকারী অণুজীব ব্যবহার করে মধ্যস্থতা করানো হয়। এটি তাদের বিপাকের একটি অংশ হিসাবে পরিগণিত হয়। জৈব পদার্থগলো ছিদ্রের পানিতে বায়বীয় কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) অবমুক্ত করে খনিজযুক্ত করা হয়, যা বিভিন্ন শর্তসমূহের উপর নির্ভর করে জলের কলামের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই পর্যায়ে খনিজযুক্তকরণের বিভিন্ন প্রক্রিয়াসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ নাইট্রিফিকেশন এবং ডিনাইট্রিফিকেশন, ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড হ্রাস, আয়রন হইড্রোক্সাইড হ্রাস, সালফেট হ্রাস এবং গাঁজন[১২]

হাড়ের পচনে অনুজননের ভূমিকা সম্পাদনা

অনুজনন পরিবেশে উন্মুক্ত বিশেষকরে আর্দ্রতার সংস্পর্শে আসা হাড়ের জৈব কোলাজেন এবং অজৈব উপাদানসমূহের (হাইড্রোক্সিপ্যাটাইট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম) অনুপাতকে পরিবর্তন করে দেয়। এটি প্রাকৃতিক হাড়ের উপাদানসমূহের বিনিময়ে,শূন্যস্থান বা খুঁতসমূহে অবক্ষেপণ, হাড়ের উপরিভাগে পরিশোষণ এবং হাড় থেকে পরিশ্রতকরণের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। [২][১৩]

আরো দেখুন সম্পাদনা

  • মূল্যবান প্রস্তরবিশেষ - ক্ষুদ্র কেলাস এবং বিভিন্ন ধরনের সিলিকা যাতে মোগানাইটও বিদ্যমান থাকতে পারে
  • চুন - একটি ক্ষুদ্র, মিহি গুঁড়োযুক্ত পলল শিলা যা ক্রিপ্টোকেলাসিত সিলিকা দ্বারা গঠিত
  • অগ্নিপ্রস্তর - খনিজ কেলাস হতে প্রাপ্ত ক্রিপ্টোকেলাস
  • পিণ্ড - ঘনসন্নিবিষ্ট ভর যা কণাসমূহের অভ্যন্তরে খনিজ সিমেন্টের বর্ষণের ফলে উৎপন্ন হয়
  • জীবাশ্ম - অতীতের ভূতাত্ত্বিক যুগ থেকে সংরক্ষিত জীবদেহের অংশ বা চিহ্ন

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Marshak, Stephen, 2009, Essentials of Geology, W. W. Norton & Company, 3rd ed. আইএসবিএন ৯৭৮-০৩৯৩১৯৬৫৬৬
  2. Hedges, R. E. M. (২০০২)। "Bone Diagenesis: An Overview of Processes": 319–328। ডিওআই:10.1111/1475-4754.00064 
  3. Oxford English Dictionary.
  4. Wilson, L. and M. Pollard, "Here today, gone tomorrow? Integrated experimentation and geochemical modeling in studies of archaeological diagenetic change". Accounts of Chemical Research, 2002. 35(8): p. 644–651.
  5. Zapata, J. (২০০৬)। "Diagenesis, not biogenesis: Two late Roman skeletal examples": 357–368। ডিওআই:10.1016/j.scitotenv.2006.05.021পিএমআইডি 16828844 
  6. Nicholson, R. A. (১৯৯৬)। "Bone Degradation, Burial Medium and Species Representation: Debunking the Myths, and Experiment-based Approach": 513–533। ডিওআই:10.1006/jasc.1996.0049 
  7. Nielsen-Marsh, C. M. (২০০০)। "Patterns of Diagenesis in Bone I: The Effects of Site Environments": 1139–1150। ডিওআই:10.1006/jasc.1999.0537 
  8. Collins, M. J. (২০০২)। "The Survival of Organic Matter in Bone: A Review": 383–394। ডিওআই:10.1111/1475-4754.t01-1-00071 
  9. Abercrombie, H. J.; Hutcheon, I. E. (১৯৯৪)। "Silica activity and the smectite-illite reaction": 539–542। ডিওআই:10.1130/0091-7613(1994)022<0539:saatsi>2.3.co;2 
  10. Fowler, A. C.; Yang, X. S. (২০০৩)। "Dissolution/precipitation mechanisms for diagenesis in sedimentary basins": 2269। ডিওআই:10.1029/2002jb002269সাইট সিয়ারX 10.1.1.190.4424  
  11. Foscolos, A. E.; Powell, T. G. (১৯৭৬)। "The use of clay minerals and inorganic and organic geochemical indicators for evaluating the degree of diagenesis and oil generating potential of shales": 953–966। ডিওআই:10.1016/0016-7037(76)90144-7 
  12. Lovley, D. R. (১৯৯১)। "Dissimilatory Fe(II) and Mn(IV) reduction": 259–287। 
  13. "Beyond the grave: understanding human decomposition" A. A. Vass Microbiology Today 2001