বড় গুইসাপ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mishrarpan (আলোচনা | অবদান)
Mishrarpan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩৪ নং লাইন:
}}-->
 
'''বড় গুইসাপ''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি ভাষায়]]: Water Monitor) হলো এক প্রকার বড় জাতের গিরগিটি। সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ ফুটের মতো লম্বা হতে পারে এরা। তবে গড় দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ১১ ইঞ্চির মতো।<ref>Pianka, King & king. Varanoid lizards of the world. 2004</ref> ওজন ২৫ কেজির মতো হতে পারে। তবে বেশির ভগেরি ওজন এর অর্ধেক। বড় গুইসাপ দেখতে পাওয়া যায় [[ভারত]], [[শ্রীলংকা]], [[ইন্দোনেশিয়া]], [[ইন্দোচীন|ইন্দোচীনে]]। এরা ভালো সাতারু। পৃথিবীতে [[কমোডো ড্রাগন]] হচ্ছে সবচেয়ে বড় গুইসাপ প্রজাতি। কিছু লোক বিচিত্র এই প্রাণী ও এদের বসত এলাকা বিলীন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা চামড়ার জন্য এদের ধরতে আসে।
== গঠন ==
বড় গুই বা রামগাদি দেখতে গাঢ় [[বাদামি]] বা কালচে, তাতে [[হলুদ]] রঙের রিং বিদ্যমান। পা ও নখ লম্বাটে। লেজ চ্যাপ্টা ও শিরযুক্ত। এরা দ্রুত গাছে উঠতে পারে। সাঁতরে খাল-বিল-পুকুর সহজেই পাড়ি দিতে পারে। এদের প্রধান খাদ্য [[কাঁকড়া]], [[শামুক]], [[ইঁদুর]], হাঁস-মুরগির ডিম, পচা-গলা প্রাণীদেহ ও উচ্ছিষ্ট। বড় গুইসাপ [[মাছ]], [[সাপ]], [[ব্যাঙ]], [[কাঁকড়া]] ও [[পাখি]] খায়। তারা ছোট [[কুমির]], কুমিরের ডিম ও [[কচ্ছপ|কচ্ছপও]] খায়।
 
== বাংলাদেশে ==
[[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] তিন প্রজাতির গুইসাপ দেখা যায়। এগুলো হলো সোনা গুই, কালো গুই ও রামগাদি বা বড় গুই। এদের প্রতিটিই বিপন্ন। কালো গুইসাপ দেশের সর্বত্র দেখা যায়। সোনা গুই পাহাড়ি এলাকায় আর রামগাদির প্রধান আবাস হলো মিঠাপানি ও লোনাপানির সঙ্গম এলাকা, নদীর মোহনা, [[সুন্দরবন]], [[সেন্ট মার্টিন]] দ্বীপ]] থেকে শুরু করে সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চল। বসতি সংকোচন ও চামড়ার জন্য ব্যাপক নিধনের কারণে আজ এরা বিপন্নপ্রায়।
 
== গ্যালারি ==