দ্বারকানাথ ঠাকুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১৬ নং লাইন:
== বংশ পরিচয় ==
ব্রিটেনে অবস্থানকালে তাঁর সমকালীনরা তাঁকে '''প্রিন্স''' নামে অভিহিত করেন এবং এভাবেই কলকাতায়ও তিনি প্রিন্স হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] পিতা এবং [[রবীন্দ্রনাথ
সেকালের বাংলার অন্যান্য [[কুলীন ব্রাহ্মণ]] পরিবারের মতো ঠাকুর পরিবারও নিজেদের কুলীন ব্রাহ্মণ হিসেবে দাবি করেন। [[রাজা আদিশূর]] বেশ কয়েকটি ব্রাহ্মণ পরিবারকে [[কনৌজ]] থেকে আমন্ত্রণ জানান। ঠাকুর পরিবার নিজেদের তাদেরই উত্তরসূরি বলে দাবি করতেন। কিন্তু কোন কোন গবেষকের মতে, তাঁরা স্থানীয় এবং অপেক্ষাকৃত নীচুবর্ণের ব্রাহ্মণ যাঁরা '''পীরালি ব্রাহ্মণ''' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। উঁচু বর্ণের ব্রাহ্মণদের সঙ্গে তাঁদের কোনরকম সম্পর্ক ছিল না। ঠাকুর পরিবারের আদি প্রতিষ্ঠাতা [[জয়রাম]] ১৭৬০-৬২ সাল পর্যন্ত [[চব্বিশ পরগনা জেলা|চব্বিশ পরগনা জেলার]] একজন [[আমিন]] ছিলেন। তাঁর চারপুত্রের একজন [[নীলমণি]] (মৃঃ ১৭৯১) ছিলেন [[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রাম জেলার]] [[সেরেস্তাদার]]। তিনি অগাধ অর্থবিত্তের অধিকারী হয়ে [[জয়রাম]] নির্মিত [[পাথুরিয়াঘাটা|পাথুরিয়াঘাটার]] পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে জোড়াসাঁকোয় এক সুরম্য ভবন নির্মাণ করে সেখানে বসবাস করেন। এ বাড়িতেই [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] জন্মগ্রহণ করেন ও বেড়ে ওঠেন। নীলমণির পুত্র [[রামলোচন]]ও একজন ধনী বানিয়া ও বাণিজ্যপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। তিনি অপুত্রক ছিলেন বলে ভ্রাতা [[রামমণি ঠাকুর|রামমণি ঠাকুরের]] পুত্র দ্বারকানাথকে দত্তক পুত্ররূপে গ্রহণ করেন।তাঁদের পারিবারিক উপাধি ‘ঠাকুর’ [[গোবিন্দপুর]] গ্রামের মৎস্যজীবী লোকদের দেওয়া। কারণ নিম্নবর্ণের এসব জেলে পাল-পার্বণে পীরালি ব্রাহ্মণগণের পৌরহিত্য লাভ করাকে তারা সৌভাগ্য বলে মনে করত।
|