সৈয়দ মুর্তাজা আলী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সিরিয়াসলি কাজ চলছে, অনুগ্রহপূর্বক সাময়িক অব্যাহতি দিন
+ কাজ চলছেই...
৬ নং লাইন:
 
==শিক্ষাজীবন==
মৌলভীবাজার ও সিলেট গভর্নমেন্ট স্কুলে শিক্ষালাভ করে [[সুরমা]] উপত্যকার মুসলমান ছাত্রদের মধ্যে ম্যাট্রিক (বর্তমান এসএসসি) পরীক্ষায় প্রথম হওয়ায় সেযুগে (১৯২১ খ্রি.)<ref name="BP"/> ১৫ টাকার মাসিক বৃত্তি পান। পরীক্ষায় ম্যাথমেটিক্স, এডিশনাল ম্যাথমেটিক্স ও মেকানিক্স-এ লেটারসহ (৮০% নম্বর) স্টারমার্ক পান। উচ্চ মাধ্যমিকমাধ্যমিকে, বিজ্ঞানে[[মুরারিচাঁদ কলেজ]] থেকে, বিজ্ঞান বিভাগে [[পদার্থবিদ্যা]], [[রসায়ন]] ও [[গণিত|গণিতে]] লেটারসহ স্টারমার্ক পান, এবং [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] সকল মুসলমান ছাত্রের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন (১৯২৩ খ্রি.)<ref name="BP"/>। ঐতিহ্যবাহী বেকার হোস্টেলে বাস করে [[কলকাতা|কলকাতার]] [[প্রেসিডেন্সি কলেজ]] থেকে বিএসসি (পদার্থবিদ্যায় অনার্স) পরীক্ষায় ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে<ref name="BP"/> দ্বিতীয় বিভাগে দ্বিতীয় হন। তারপর এমএসসি (হিট) ও ল' বা আইনশাস্ত্রে একবছর লেখাপড়া করেন। সেখানে পঞ্চম বর্ষের পাঠক্রম শেষে আসাম সিভিল সার্ভিসে এক্সট্রা এ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার, অর্থাৎ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে চাকরি পেয়ে যান, ফলে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে।
 
==কর্মজীবন==
শিক্ষাজীবনের মতো মেধার স্বাক্ষর রাখেন তাঁর কর্মজীবনেও। তৎকালীন আইসিএস পরীক্ষায় বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করলেও তাঁকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। পরে ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে আসাম প্রভিন্সিয়াল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঐ বছরই তিনি মৌলভীবাজার মহকুমার ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন এবং আনুষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণের সমাপ্তি ঘটে।<ref name="BP"/> তাঁর সুদীর্ঘ কর্মজীবনে কাজ করেছেন অনেক জায়গায়। তন্মধ্যে ১৯৪০-১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সুনামগঞ্জে সাবডিভিশনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।<ref name="BP"/> এসময় তিনি সুনামগঞ্জ কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে কাজ করেছেন শিলংয়ে শিক্ষা বিভাগের আন্ডার-সেক্রেটারি পদে<ref name="BP"/>, এছাড়া তেজপুরে এডিশনাল ডেপুটি কমিশান হিসেবে কাজ করেছেন ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে। ভারত স্বাধীন হবার অব্যবহিত পূর্বে রেফারেন্ডামের সময় তিনি সিলেটের এ.ডি.এম ছিলেন। এরপর ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে [[কুষ্টিয়া জেলা|কুষ্টিয়ার]] ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হন। ঐ বছরের শেষাংশে ঢাকায় জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে হোম ডিপার্টমেন্টে কাজ করেন। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে [[বগুড়া জেলা|বগুড়ায়]] ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, পরে কিছুদিন চট্টগ্রামের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট পদেও ছিলেন। তারপর [[করাচী|করাচীতে]] কেন্দ্রীয় পাকিস্তান সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন ১৯৫১-১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এরপর আবার ঢাকায় বদলি হয়ে প্রথমে জয়েন্ট সেক্রেটারি ও পরে সেক্রেটারি পদে কাজ করেন রেভেন্যু ডিপার্টমেন্টে। তারপর [[রাজশাহী বিভাগ|রাজশাহীর]] ডিভিশনাল কমিশনার হিসেবে ১৯৫৭-১৯৫৯ পর্যন্ত অধিষ্ঠিত থেকে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পরেও তিনি কয়েকটি পদে দায়িত্ব পালন করেন। ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার উপদেষ্টা পরিষদে প্রথমে সদস্য ও পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুই মেয়াদে, প্রথমে ১ আগস্ট ১৯৬৯ থেকে আগস্ট ১৯৭১, এবং পরে পুনরায় মার্চ ১৯৭৫ থেকে মার্চ ১৯৭৭ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন [[বাংলা একাডেমী|বাংলা একাডেমীর]] সভাপতি হিসেবে। তিনি [[বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি|বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির]] সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে, এবং মৃত্যুকালেও চেয়ারম্যান ছিলেন [[বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের।ইন্সটিটিউট|বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের]]।<ref name="BP"/>
 
==মৃত্যু==
১৫ নং লাইন:
 
==প্রকাশনা==
সৈয়দ মুর্তাজা আলী সাহিত্য, গবেষণা, ইতিহাস এবং স্মৃতিচারণামূলক অনেক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হলো:
* ''হজরত শাহ্‌ জালাল ও সিলেটের ইতিহাস'' (১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দ)
* ''ইসলামাবাদ''