সৈয়দ মুর্তাজা আলী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+
+ মোটামুটি সম্পূর্ণতা
১ নং লাইন:
'''সৈয়দ মুর্তাজা আলী''' (জন্ম: [[জুলাই ১|১ জুলাই]] [[১৯০২]], মৃত্যু: [[আগস্ট ৯|৯ আগস্ট]] [[১৯৮১]]) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] বংশোদ্ভূত লেখক, গবেষক এবং ঐতিহাসিক। যিনি বাংলাদেশের [[সিলেট বিভাগ|সিলেটের]] ইতিহাস বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর গবেষণা ও লেখালেখীর জন্য তিনি পেয়েছেন [[বাংলা একাডেমী পুরষ্কার]] এবং তাঁকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরষ্কারে ভুষিত করা হয়।
 
==জন্ম ও ব্যক্তিজীবন==
মুর্তাজা আলীর জন্ম [[১৯০২]] খ্রিস্টাব্দের [[জুলাই ১|১ জুলাই]] দেশবিভাগ-পূর্ব সিলেটের অন্তর্গত করিমগঞ্জ শহরে। তিনি সিলেটের [[মৌলভীবাজার জেলা|মৌলভীবাজার]] শহরের মুসলিম কোয়ার্টার মহল্লার খান বাহাদুর সৈয়দ সিকান্দার আলীর দ্বিতীয় পুত্র।
 
==শিক্ষাজীবন==
৮ নং লাইন:
 
==কর্মজীবন==
তাঁর সুদীর্ঘ কর্মজীবনে কাজ করেছেন অনেক জায়গায়। তন্মধ্যে ১৯৪০-১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সুনামগঞ্জে সাবডিভিশনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি সুনামগঞ্জ কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। কাজ করেছেন শিলংয়ে শিক্ষা বিভাগের আন্ডার-সেক্রেটারি পদে, এছাড়া তেজপুরে এডিশনাল ডেপুটি কমিশান হিসেবে কাজ করেছেন ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে। ভারত স্বাধীন হবার অব্যবহিত পূর্বে রেফারেন্ডামের সময় তিনি সিলেটের এ.ডি.এম ছিলেন। এরপর ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে [[কুষ্টিয়া জেলা|কুষ্টিয়ার]] ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হন। ঐ বছরের শেষাংশে ঢাকায় জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে হোম ডিপার্টমেন্টে কাজ করেন। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে [[বগুড়া জেলা|বগুড়ায়]] ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, পরে কিছুদিন চট্টগ্রামের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট পদেও ছিলেন। তারপর [[করাচী|করাচীতে]] কেন্দ্রীয় পাকিস্তান সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন ১৯৫১-১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এরপর আবার ঢাকায় বদলি হয়ে প্রথমে জয়েন্ট সেক্রেটারি ও পরে সেক্রেটারি পদে কাজ করেন রেভেন্যু ডিপার্টমেন্টে। তারপর [[রাজশাহী বিভাগ|রাজশাহীর]] ডিভিশনাল কমিশনার হিসেবে ১৯৫৭-১৯৫৯ পর্যন্ত অধিষ্ঠিত থেকে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পরেও তিনি কয়েকটি পদে দায়িত্ব পালন করেন। ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার উপদেষ্টা পরিষদে প্রথমে সদস্য ও পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুই মেয়াদে, প্রথমে ১ আগস্ট ১৯৬৯ থেকে আগস্ট ১৯৭১, এবং পরে পুনরায় মার্চ ১৯৭৫ থেকে মার্চ ১৯৭৭ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন [[বাংলা একাডেমী|বাংলা একাডেমীর]] সভাপতি হিসেবে। মৃত্যুকালেও চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের।
 
==মৃত্যু==
মুর্তাজা আলী ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দের [[আগস্ট ৯|৯ আগস্ট]] রাত ২টার সময় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে [[হৃদপিণ্ড|হৃদযন্ত্রের]] ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তারপর তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
 
==প্রকাশনা==
* ''হজরত শাহ্‌ জালাল ও সিলেটের ইতিহাস'' (১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দ)
 
==সম্মাননা==
প্রবন্ধ গবেষণার জন্য তিনি [[১৯৭৩]] খ্রিস্টাব্দে [[বাংলা একাডেমী পুরস্কার]] লাভ করেন। এছাড়াও তাঁর মৃত্যুর পরে [[গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার|বাংলাদেশ সরকার]] [[১৯৮২]] খ্রিস্টাব্দে তাঁকে মরণোত্তর [[স্বাধীনতা পদক|স্বাধীনতা পদকে]] সম্মানিত করেন।
 
==আরো দেখুন==
* [[বাংলা একাডেমী পুরস্কার]]
* [[স্বাধীনতা পদক]]
 
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
* মুখবন্ধ অংশ: ''হজরত শাহ্‌ জালাল ও সিলেটের ইতিহাস'', সৈয়দ মুর্তাজা আলী; প্রথম প্রকাশ ১৯৬৫; উৎস প্রকাশন; উৎস সংস্করণ: জুলাই ২০০৩। পরিদর্শনের তারিখ: জুলাই ৮, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
 
==বহিঃসংযোগ==
 
{{অসম্পূর্ণ}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:১৯০২-এ জন্ম]]
২৬ ⟶ ৩৪ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী গবেষক]]
[[বিষয়শ্রেণী:গবেষক]]
[[বিষয়শ্রেণী:স্বাধীনতা পদকজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৮১-এ মৃত্যু]]