জাপানি লিখন পদ্ধতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Amirobot (আলোচনা | অবদান)
[r2.5.2] রোবট যোগ করছে: fa:سامانه نگارش زبان ژاپنی
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে, কোনো সমস্যা?
১০ নং লাইন:
জাপানি ভাষার চার রকমের লিপি ব্যবহৃত হলেও এদের মধ্যে তিনটি, যথা কানজি, কাতাকানা ও হিরাগানা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়।
 
== ইতিহাস ==
আদিতে জাপানি ভাষার কোনও লিখন পদ্ধতি ছিল না। ৫ম শতাব্দীতে চীনা ভাষা থেকে চিত্রভিত্তিক কাঞ্জি বর্ণগুলি ধার করা হয়।
 
[[চীনা চিত্রলিপি|চীনা চিত্রলিপিগুলির]] ইতিহাস অনেক পুরনো। এগুলি ৩০০০ থেকে ৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে প্রচলিত। এগুলি প্রথমে চীনা ভাষা লিখতে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে এগুলি পার্শ্ববর্তী [[জাপান]], [[কোরিয়া]] ও [[ভিয়েতনাম|ভিয়েতনামে]] ছড়িয়ে পড়ে। এই লিপি চীনে 漢字 ''হান্‌ ৎস্যি'' (অর্থাৎ হান লিপি) এবং জাপানে ''কান্‌ জি'' নামে পরিচিত। ৫ম শতকে এসে জাপানে প্রায় সর্বত্র কাঞ্জি লিপি ব্যবহৃত হতে থাকে, যদিও তার আগেও এই লিপির ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই আদি পর্যায়ে যারা কাঞ্জিতে লিখত, তারা ছিল মূলত চীন ও কোরিয়া থেকে আগত অভিবাসী। এরা জাপানি রাজদরবারে অনুলেখকের কাজ করত। কিছু কিছু অভিজাত জাপানি এই অনুলেখকদের কাছ থেকে লিখতে ও পড়তে শিখে নেন। তবে ৬ষ্ঠ শতকের মধ্যভাগে যখন চীন থেকে জাপানে বৌদ্ধধর্মের প্রসার ঘটে, তখনই সাধারণ জাপানি জনগণ কাঞ্জি পড়তে ও লিখতে বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে।
 
কাঞ্জির প্রচলনের কয়েক শত বছর পরে জাপানিরা তাদের নিজস্ব সাহিত্য রচনা শুরু করে। এগুলির মধ্যে ছিল ৭১২ সালের ইতিহাসগ্রন্থ "পূর্বকালিক বিষয়ের নথিপত্র" (古事記 ''কোজিকি''), ৭২০ সালের ইতিহাসগ্রন্থ "জাপানের ইতিকথা" (日本書紀 ''নিহোং শোকি''), ৭৫৯ সালের কাব্যগ্রন্থ "দশ হাজার পত্র" (万葉集 ''মাং য়োওশুউ''), ইত্যাদি। এই গ্রন্থগুলি সম্পূর্ণ কাঞ্জিতে লেখা, তখনও কানা লিপিগুলির উদ্ভব হয় নি।
২৫ নং লাইন:
এই ঐতিহাসিক কারণগুলির জন্য জাপানি ভাষার প্রতিটি কাঞ্জি লিপি একাধিক ওন পাঠপদ্ধতিতে উচ্চারণ করা সম্ভব। জাপানে এই কাঞ্জি লিপিগুলিই ছিল লিখিত ভাবপ্রকাশের প্রধান বাহন, কেননা এগুলি জাপানি সভ্যতা থেকে সে সময়ে অনেক উন্নত চীনা সভ্যতা থেকে আমদানি করা হয়েছিল। চীনা লিপিভিত্তিক এই কাঞ্জিগুলিকে জাপানে তাই বলা হত '''মানা''' (真名), অর্থাৎ আসল লিপি। কাঞ্জিগুলির পাশাপাশি হেই পর্বে (৭৯৪-১১৮৫) জাপানে দুইটি সিলেবলভিত্তিক বর্ণমালার আবির্ভাব ঘটে। এই বর্ণমালাগুলিকে অপ্রধান লিখন পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হত, তাই এদের নাম দেওয়া হয় '''কানা''' (仮名), অর্থাৎ অস্থায়ী লিপি। কাঞ্জি ও কানা লিপির এই মর্যাদাভিত্তিক পার্থক্য আজও বজায় আছে।
 
== আরও দেখুন ==
* [[উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় জাপানি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ]]
 
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:লিখন পদ্ধতি]]
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:জাপানি ভাষা]]
 
[[af:Japannese skryfstelsel]]