কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
BellayetBot (আলোচনা | অবদান)
Typo fixing, replaced: সংগী → সঙ্গী (2), সাংগ → সাঙ্গ using AWB
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে, কোনো সমস্যা?
২ নং লাইন:
 
কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়ের পিতা [[হরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়]] ছিলেন সেযুগের একজন বিশিষ্ট অতুলপ্রসাদী শিল্পী। কলকাতায় পিতৃগৃহের সাঙ্গীতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা কৃষ্ণার [[অতুলপ্রসাদ সেন|অতুলপ্রসাদের]] গানে তালিম পেয়েছিলেন পিতার হাতেই। তবে
কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়ের পারিবারিক আদিনিবাস ছিল [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[নদিয়া জেলা|নদিয়া জেলার]] [[কৃষ্ণনগর|কৃষ্ণনগরে]]। তবে তাঁর ছেলেবেলা কাটে [[কলকাতা|কলকাতার]] পৈত্রিক বাড়িতে। পিতা হরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সেযুগের বিশিষ্ট অতুলপ্রসাদী গায়ক। অতুলপ্রসাদের গানে কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়ের তালিম পিতার কাছেই। যদিও তাঁর প্রথম রেকর্ড ছিল দ্বিজেন্দ্রগীতির। ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত এই গ্রামোফোন ডিস্কে এক পিঠে প্রকাশিত হয় [[দ্বিজেন্দ্রলাল রায়|দ্বিজেন্দ্রলালের]] ‘সে কেন দেখা দিল রে’ ও অপর পিঠে ‘মলয় আসিয়া কয়ে গেছে কানে’।
 
দ্বিজেন্দ্রগীতির শিক্ষা কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায় পেয়েছিলেন দ্বিজেন্দ্রলালের পুত্র তথা তাঁর পিতৃবন্ধু দিলীপকুমার রায়ের কাছ থেকে; যদিও তাঁর কাছে সরাসরি গান শেখেননি তিনি। সঙ্গীতবিশেষজ্ঞ শোভন সোমের মতে,
৯ নং লাইন:
...তাঁর (দ্বিজেন্দ্রলাল রায়) দেশাত্মবোধক গানগুলি ছাড়া ডিস্‌কে কাব্যগীতিগুলি নাটুকে ঢঙে গাইতেন গত শতকের গোড়ার দিকের পেশাদার মঞ্চের অভিনেত্রীরা। দ্বিজেন্দ্রলালের গানে পরিশীলিত মাত্রা ও গাম্ভীর্য যোগ করে যে দুজন গায়িকা গত শতকের (বিশ শতক) মাঝামাঝি এই গানকে নতুন করে জনপ্রিয় করে তোলেন তাঁরা ছিলেন মঞ্জু গুপ্ত ও কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়। কৃষ্ণার কণ্ঠে দ্বিজেন্দ্রলালের খেয়ালাঙ্গ ও কীর্তনাঙ্গ দু’ধরনের গানই নবতর সৌন্দর্যে সঞ্জীবিত হয়েছিল। কৃষ্ণা ছিলেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ও অতুলপ্রসাদ সেনের গানের অন্যতম ব্যাখ্যাতা। তাঁরই কথায় পরবর্তীকালের স্বরলিপির চেয়ে তিনি বেশি নির্ভর করতেন গুরুমুখী বিদ্যার উপর। <ref>স্মরণ: কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৫ – ২০০৯), দেশ , ২ জুন, ২০০৯ সংখ্যা</ref></blockquote>
 
[[কৃষ্ণধন বন্দ্যোপাধ্যায়]] ও [[ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়| ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের]] কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নেন কৃষ্ণা। রবীন্দ্রসঙ্গীত শেখেন [[কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়|কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের]] কাছে। উল্লেখ্য, কণিকা অতুলপ্রসাদী শিখেছিলেন কৃষ্ণার পিতা হরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নিকট। আবার [[কমল দাশগুপ্ত]] ও [[সলিল চৌধুরী|সলিল চৌধুরীর]] তালিমেও ডিস্কে গান গেয়েছিলেন কৃষ্ণা।
 
২০০১ সালে গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষ্ণা বাকশক্তি রহিত হন। এরপর প্রায় আটবছর রোগভোগ করার পর জীবনের শেষদিনগুলি অতিবাহিত করেন দক্ষিণ [[নয়াদিল্লি|দিল্লিতে]] কণিষ্ঠ পুত্র বিক্রমজিৎ রায়ের বাসভবনে। অবশেষে ২০০৯ সালের ২৩ মে ৭৪ বছর বয়সে এই কিংবদন্তি শিল্পীর জীবনাবসান ঘটে।
 
তাঁর বিখ্যাত সিডি অ্যালবামগুলির মধ্যে ''সবারে বাসরে ভাল'' (অতুলপ্রসাদী) ও ''অনন্ত মহিমা তব'' (রজনীকান্তের গান) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
 
== পাদটীকা ==
<references/>
== তথ্যসূত্র ==
* স্মরণ: কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৫ – ২০০৯), শোভন সোম, ''দেশ'' , ২ জুন, ২০০৯ সংখ্যা