কাজী নূরুজ্জামান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→কর্মজীবন: + |
অ গোছানো ও বানান শুদ্ধিকরণ |
||
১ নং লাইন:
{{একীকরণ|কাজী নুরুজ্জামান}}
কর্নেল (অব.) '''কাজী
==প্রারম্ভিক জীবন==
কাজী নূরুজ্জামান ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম খান সাহেব কাজী সদরুলওলা এবং মাতার নাম রতুবুন্নেসা।
==শিক্ষ ও কর্মজীবন==
কাজী নূরুজ্জামানের পড়াশোনা কলকাতায়। সেখানে [[সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ|সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে]] রসায়নে পড়ার সময় তিনি ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় নৌবাহিনী, রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভিতে যোগ দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি [[মায়ানমার|বার্মার]] উপকূল ও [[সুমাত্রা|সুমাত্রায়]]
==সাংস্কৃতিক সক্রিয়তা==
১৯৬২ সাল থেকে তিনি
নব্বইয়ের দশকে
▲১৯৬২ সাল থেকে তিনি এদেশের প্রগতিশীল লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তিনি ড. আহমদ শরীফ প্রতিষ্ঠিত স্বদেশ চিন্তা সঙ্ঘের সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন লেখক শিবির ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ফ্রন্টের সদস্য।
▲নব্বইয়ের দশকে কর্নেল নূরুজ্জামান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলনে অংশ নেন। তিনি গণআদালতের অন্যতম বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।
==মুক্তিযুদ্ধে অবদান==
১৯৭১ সালের [[২৫ মার্চ]] কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির উপর গণহত্যা শুরু করলে কাজী নূরুজ্জামান ঢাকা ত্যাগ করে
[[৪ এপ্রিল]], ১৯৭১ হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ম্যানেজারের বাংলোয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ও তদূর্ধ্ব পদবির কর্মকর্তাদের প্রথম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। একাত্তরের মে মাসে তাঁকে সভাপতি করে একটি পর্ষদ গঠন করা হয় [[বাংলাদেশ সেনাবাহিনী|বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর]] প্রথম ব্যাচ ক্যাডেট নির্বাচনের জন্য। এই ক্যাডেটরা কমিশন লাভ করেন সে বছরের [[৯
▲১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির উপর গণহত্যা শুরু করলে কাজী নূরুজ্জামান ঢাকা ত্যাগ করে সপরিবারে ময়মনসিংহ চলে যান। ২৮ মার্চ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইল হয়ে ময়মনসিংহে পৌঁছে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর কাজী মোহাম্মদ সফিউল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন।
▲৪ এপ্রিল, ১৯৭১ হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ম্যানেজারের বাংলোয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ও তদূর্ধ্ব পদবির কর্মকর্তাদের প্রথম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। একাত্তরের মে মাসে তাঁকে সভাপতি করে একটি পর্ষদ গঠন করা হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচ ক্যাডেট নির্বাচনের জন্য। এই ক্যাডেটরা কমিশন লাভ করেন সে বছরের ৯ অক্টোবর।
সাত নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর [[নাজমুল হক]] ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে কাজী নূরুজ্জামান তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।
কাজী নূরুজ্জামানের স্ত্রী ডা. সুলতানা জামান, দুই মেয়ে - নায়লা জামান
==সম্মাননা ও স্বীকৃতি==
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনার জন্যে তাঁকে [[বীর উত্তম]] খেতাবে ভূষিত করা হয়। কিন্তু গণযোদ্ধাদের সঠিক
▲মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনার জন্যে তাঁকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। কিন্তু গণযোদ্ধাদের সঠিক মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি বলে কাজী নূরুজ্জামান তা নামের শেষে ব্যবহার করতেন না <ref name=p-alo>[http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-05-07/news/152285 "অন্য রকম গণযোদ্ধা", মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া]</ref>।
==গ্রন্থনা==
'একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়' গ্রন্থের অন্যতম সম্পাদক ছিলেন
* 'একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধ: একজন সেক্টর কমান্ডারের স্মৃতিকথা',
* 'মুক্তিযুদ্ধ ও রাজনীতি',
৩৮ ⟶ ৩৪ নং লাইন:
==মৃত্যু==
২০১১ সালের [[৬ মে]] সকাল ১০:১৫ ঘটিকায় ঢাকা'র [[স্কয়ার হাসপাতাল|স্কয়ার হাসপাতালে]] বার্ধক্যজনিত কারণে কাজী নূরুজ্জামান মৃত্যুবরণ করেন।<ref>[http://www.dw-world.de/dw/function/0,,82235_cid_15057391,00.html?maca=ben-newsletter_ben_auf_einen_blick-5180-html-nlকাজী নূরুজ্জামানের মৃত্যুতে ডয়চে ভেলে'র প্রতিবেদন]</ref>▼
==আরো দেখুন==
▲২০১১ সালের [[৬ মে]] সকাল ১০:১৫ ঢাকা'র [[স্কয়ার হাসপাতাল|স্কয়ার হাসপাতালে]] বার্ধক্যজনিত কারণে কাজী নূরুজ্জামান মৃত্যুবরণ করেন।<ref>[http://www.dw-world.de/dw/function/0,,82235_cid_15057391,00.html?maca=ben-newsletter_ben_auf_einen_blick-5180-html-nlকাজী নূরুজ্জামানের মৃত্যুতে ডয়চে ভেলে'র প্রতিবেদন]</ref>
* [[বীর উত্তম]]
* [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]]
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
|