নীলিমা ইব্রাহিম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''নীলিমা ইব্রাহিম''' ([[১১ই অক্টোবর]], [[১৯২১]] — [[১৮ই জুন]], [[২০০২]]) [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী। [[১৯৫৬]] সালে তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে]] শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং [[১৯৭২]] সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৭৪-৭৫ সালে তিনি [[বাংলা একাডেমী|বাংলা একাডেমীর]] অবৈতনিক মহাপরিচালক ছিলেন।
 
নীলিমা রায় চৌধুরী, আমরা যাঁকে চিনি নীলিমা ইব্রাহিম নামে৷ বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী। ১৯২১ সালের ১১ অক্টোবর বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর গ্রামের এক জমিদার পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা প্রফুল্লকুমার রায় চৌধুরী এবং মাতা কুসুমকুমারী দেবী।
 
শৈশবে তিনি খুব দুরন্ত প্রকৃতির ছিলেন ও বরাবরই একজন মেধাবী ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব পরীক্ষায় তিনি কৃতিত্বের পরিচয় দেন। তিনি খুলনা করোনেশন বালিকা বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা (১৯৩৫), কলকাতা ভিক্টোরিয়া ইন্সটিটিউশন থেকে আইএ (১৯৩৭) এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএবিটি (১৯৩৯) পাস করেন। (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে তিনি বাংলা বিষয়ে এমএ (১৯৪৩) পাস করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি মেয়েদের মধ্যে প্রথম ‘বিহারীলাল মিত্র গবেষণা’ বৃত্তি লাভ করেন। একই বছর তিনি ইন্ডিয়ান আর্মি মেডিক্যাল কোরের ক্যাপ্টেন ডাক্তার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। বিয়ের পর নীলিমা রায় চৌধুরী হয়ে যান নীলিমা ইব্রাহিম৷ ১৯৪৬-১৯৫৪ সাল পর্যন্ত নয়টি বছর তিনি পুরোপুরি সংসারী হয়ে পড়েন৷ বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ী গেন্ডারিয়ায় থাকতে শুরু করেন৷ তাঁর প্রথম সন্তান খুকুর জন্ম হয়েছে এখানেই৷ স্বামীর বদলির চাকরির কারণে এরপর স্বামীর সাথে গিয়েছেন পিরোজপুর, যশোর, বরিশাল, খুলনায়৷ পরে তাঁর আরও চার মেয়ে ডলি, পলি, বাবলি ও ইতির জন্ম হয়৷ দীর্ঘকাল পরে ১৯৫৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘সামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমিকায় ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা নাটক।’ একই বছর তিনি ঢাকার আলিয়ঁস ফ্রঁসেস থেকে ইন্টারমিডিয়েট ইন ফ্রেঞ্চে ডিপ্লোমা লাভ করেন।
 
কর্মজীবনের শুরুতে নীলিমা ইব্রাহিম কলকাতার লরেটো হাউসে লেকচারার (১৯৪৩-৪৪) হিসেবে চাকরি করেন। তারপর দু’বছর (১৯৪৪-৪৫) তিনি ভিক্টোরিয়া ইন্সটিটিউশনের লেকচারার ছিলেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৭২ সালে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। তিনি বাংলা বিভাগের প্রধান (১৯৭১-৭৫), বাংলা একাডেমীর অবৈতনিক মহাপরিচালক (১৯৭৪-৭৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ (১৯৭১-৭৭)-এর দায়িত্বও পালন করেন।
 
নীলিমা ইব্রাহিম বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমাজকল্যাণ ও নারী উন্নয়ন সংস্থা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলা একাডেমীর ফেলো এবং বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি, বাংলাদেশ রেড ক্রস সমিতি ও বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রী এবং কনসার্নড উইমেন ফর ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের বোর্ড অফ গভর্নরসের চেয়ারপারসন হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অফ উইমেনের সভানেত্রী এবং অ্যাসোসিয়েটেড কান্ট্রি উইমেন অফ দি ওয়ার্লাল্ড-এর সাউথ ও সেন্ট্রাল এশিয়ার এরিয়া প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৬৮ সালে তিনি বার্লিন, মিউনিখ ও ফ্রাংফুর্টে অনুষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক বিশ্ব সমবায় সম্মেলন’-এ পূর্ব পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং ১৯৭৩-এ নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক ওয়ান এশীয় সম্মেলন’-এ অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৪-এ তিনি মস্কোয় অনুষ্ঠিত ‘বিশ্বশান্তি কংগ্রেস’, হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্বনারী বর্ষ’ এবং ১৯৭৫-এ মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্বনারী সম্মেলন’-এ যোগ দেন।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি অধ্যাপক নুরুল মোমেন, আসকার ইবনে শাইখ, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার সঙ্গে নীলিমা ইব্রাহিম জড়িয়ে পড়েন নাট্যচর্চায়৷ শুরু হয়েছিল ছাত্রী হলের বাত্‍সরিক নাট্যোত্‍সব দিয়ে৷ পরবর্তীতে নবগঠিত বুলবুল একাডেমীতে ক্লাস নিয়েছেন নাটকের উপর, নাটক লিখেছেন৷ তঁর লেখা প্রথম নাটক মঞ্চস্থ হয় বুলবুল একাডেমীর ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে৷ নাটকের নাম 'মনোনীতা৷' এই নাটক করার সময় একটি মজার ঘটনা ঘটে- নাটক মঞ্চায়িত হবে৷ নাটকের নায়ক রামেন্দু মজুমদার৷ কিন্তু নায়িকা পাওয়া যাচ্ছিল না৷ অনেক বলে কয়ে একজনকে রাজি করানো গেল, তিনি বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী৷ কিন্তু তারপর থেকে নায়ক পলাতক৷ কী ব্যাপার? পরে নায়ককে পাকড়াও করা হলে রামেন্দু মজুমদার তাঁর স্বভাবজাত বিনয়ে বললেন "ওকে দেখলে আমার ভয় করে, মনে হয় স্লোগান দিয়ে উঠবে"৷ পরে অবশ্য রোজী মজিদ নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন৷
১৯৬২-৬৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন 'রঙ্গম' নামের একটি নাট্য সংস্থা৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুনীর চৌধুরী, রণেন কুশারী, কবি হাবিবুর রহমান প্রমুখ৷ তাঁর নিজের দলের জন্য তিনি শরত্‍চন্দ্রের 'চরিত্রহীন' নাটকের নাট্যরূপ দেন৷ এ দলটি অবশ্য পরে ভেঙ্গে যায়৷ এ সময় রেডিও টেলিভিশনের জন্য প্রচুর নাটক লিখেছেন তিনি৷ টি. এস. সি. তে তাঁর পরিচালনায় মুনীর চৌধুরী রচিত 'চিঠি' নাটকটির মাধ্যমে নীলিমা ইব্রাহিম নাট্যমঞ্চ থেকে বিদায় নেন৷
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু একদিন ডেকে পাঠালেন তাঁকে৷ সরাসরি প্রস্তাব দিলেন বাংলা একাডেমির দায়িত্ব নেওয়ার৷ টাকা পয়সার গন্ডগোলের কথা বলে তিনি যখন দয়িত্ব নিতে বলেন তখন নীলিমা হেসে বলেছিলেন 'অবশেষে জমাদারনীর চাকুরী৷' বঙ্গবন্ধু উত্তর দিয়েছিলেন 'ব্লিচিং পাউডার হাতে আমি সঙ্গে থাকবো৷' এর আগে একবার বঙ্গবন্ধুর দেওয়া মন্ত্রীত্বের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন৷ এবার আর পারলেন না ৷ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী ছাড়তেও রাজি হলেন না ৷ তাঁর কাজের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করলেন৷ এ কাজের জন্য তিনি বেতন কিংবা সম্মানী হিসেবে একটি পয়সাও নেননি৷ তাঁর কাজে বঙ্গবন্ধু সব রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন৷ কাজ করতে গিয়ে বুঝলেন মগের মুল্লুক কাকে বলে৷ কেউ বাংলা একাডেমীতে পাণ্ডুলিপি জমা না দিয়ে টাকা নিয়ে গেছে৷ আর কারো পাণ্ডুলিপি পড়ে আছে৷ যে বাড়ির অস্তিত্ব নেই, সেই বাড়ি কিনবার জন্য দলিল ও আগাম বায়নার টাকা নেওয়া হয়েছে৷ বঙ্গবন্ধুকে সব জানালেন নীলিমা কিন্তু লাভ হলো না৷ উপরন্তু স্বাধীন দেশের নাগরিক বাংলা একাডেমীর কর্মীগণ কোনো নিয়মের অধীনে যেতে অনিচ্ছুক ছিলেন৷ আন্দোলন শুরু হল নীলিমার বিরুদ্ধে৷ ব্যক্তিগত কারণে রুষ্ট হয়ে আবুল ফজল সায়েব 'বিচিত্রা'য় নিবন্ধ লিখলেন কেন একজন মেয়েমানুষকে বাংলা একাডেমীর ডি.জি. বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান, রোকেয়া হলের প্রভেষ্ট ও মহিলা সমিতির সভানেত্রী করা হয়েছে৷
 
শেষ পর্যন্ত তিনি চাকরি ছেড়ে দেন ১৯৭৫ সালে৷ সে সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন "আপনি আপনার কথার খেলাপ করেছেন৷ এই নিন আমার পদত্যাগপত্র৷"
নীলিমা ইব্রাহিম বিভিন্ন শুভেচ্ছা সফরে দেশের বাইরে গেছেন অসংখ্যবার, প্রতিনিধিত্ব করেছেন দেশের ৷ কখনো দলনেত্রী হিসেবে, কখনোবা সাধারণ সদস্য হিসেবে৷ গিয়েছেন জাপান, হাঙ্গেরী মেক্সিকো, আমেরিকা, কানাডা, মরিশাস, ডেনমার্ক, কেনিয়া, লাইবেরিয়া মিশরে৷ প্রতিটি সফরেই প্রানান্ত চেষ্টা করেছেন দেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার৷
অথচ এই মহীয়সীকে বারবার মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে৷ বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে যাবার পর তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়৷ তদন্তে যদিও তার সত্যতা মেলেনি৷ পরীক্ষায় দূর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে৷ তাও প্রমাণ করা যায়নি৷ এমনকি ক্যুর অভিযোগও আনা হয়েছে৷ এজন্য কখনোই বিন্দুমাত্র দু:খ বা আফসোস করেননি তিনি৷ তাঁর গর্ব, তাঁর অহংকার ছিল তাঁর অগনিত ছাত্র ছাত্রী৷
জীবনের শুরুতে তাঁর বাবা তাঁকে বলেছিলেন মানুষকে বিশ্বাস করো, বিশ্বাস করে ঠকাও ভালো কিন্তু অবিশ্বাসীর জ্বালার শেষ নেই৷ সারাজীবন নীলিমা ইব্রাহিম সেটিই বিশ্বাস করে গেছেন৷ অনেক ভালবাসা, ভক্তি, শ্রদ্ধা পেয়েছেন৷ আর ঠকেছেন যেখানে তা ভুলে গেছেন৷ সেজন্যই বোধহয় মানুষকে মানুষ হিসেবে ভালোবাসতে পেরেছেন৷ সমাজে নারী হিসেবে মেয়েদের অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হয়৷ কিন্তু তিনি তাদেরকে ভিন্নভাবে দেখেছেন৷ একাত্তরের নির্যাতিতা নারীদের নিয়ে লিখেছেন তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা সৃষ্টি 'আমি বীরাঙ্গনা বলছি৷'
নীলিমা ইব্রাহিম সমাজকর্ম ও সাহিত্যে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য বহু পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হয়েছেন। সেগুলো হলো : বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৯), জয়বাংলা পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার (১৯৮৭), লেখিকা সংঘ পুরস্কার (১৯৮৯), বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী স্মৃতিপদক (১৯৯০), অনন্য সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৬), বেগম রোকেয়া পদক (১৯৯৬), বঙ্গবন্ধু পুরস্কার (১৯৯৭), শেরেবাংলা পুরস্কার (১৯৯৭), থিয়েটার সম্মাননা পদক (১৯৯৮) ও একুশে পদক (২০০০)। ২০০২ সালের ১৮ জুন তার মৃত্যু হয়।
 
নীলিমা ইব্রাহিম বেশকিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তার গ্রন্থবদ্ধ রচনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : গবেষণা শরৎ-প্রতিভা (১৯৬০), বাংলার কবি মধুসূদন (১৯৬১), ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি সমাজ ও বাংলা নাটক (১৯৬৪), বাংলা নাটক : উৎস ও ধারা (১৯৭২), বেগম রোকেয়া (১৯৭৪), বাঙ্গালীমানস ও বাংলা সাহিত্য (১৯৮৭), সাহিত্য-সংস্কৃতির নানা প্রসঙ্গ (১৯৯১); ছোটগল্প রমনা পার্কে (১৯৬৪); উপন্যাস বিশ শতকের মেয়ে (১৯৫৮), এক পথ দুই বাঁক (১৯৫৮), কেয়াবন সঞ্চারিণী (১৯৬২), বহ্নিবলয় (১৯৮৫); নাটক দুয়ে দুয়ে চার (১৯৬৪), যে অরণ্যে আলো নেই (১৯৭৪), রোদ জ্বলা বিকেল (১৯৭৪), সূর্যাস্তের পর (১৯৭৪); কথানাট্য আমি বীরাঙ্গনা বলছি (২য় খ- ১৯৯৬-৯৭); অনুবাদ এলিনর রুজভেল্ট (১৯৫৫), কথাশিল্পী জেমস ফেনিমোর কুপার (১৯৬৮), বস্টনের পথে (১৯৬৯); ভ্রমণকাহিনী শাহী এলাকার পথে পথে (১৯৬৩); আত্মজীবনী বিন্দু-বিসর্গ (১৯৯১) ইত্যাদি।
 
এই মহীয়সী নারী ২০০২ সালের ১৮ জুন মৃত্যু বরণ করেন৷
 
 
 
==পুরস্কার==