সুকুমার সেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ সংযোজিত বিষয়শ্রেণী:ভাষাবিজ্ঞানী; হটক্যাটের মাধ্যমে |
Yahia.barie (আলোচনা | অবদান) তথ্যছক, তথ্যসূত্র, বহিঃসংযোগ |
||
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক দার্শনিক
'''সুকুমার সেন''' (জন্ম ১৯০১ সালের ১৬ জানুয়ারি - মৃত্যু ১৯৯২ সালের ৩ মার্চ) ছিলেন একজন ভাষাতাত্ত্বিক ও সাহিত্য বিশারদ। বৈদিক ও ধ্রুপদি সংস্কৃত, পালি, প্রাকৃত, বাংলা, আবেস্তা ও প্রাচীন পারসিক ভাষায় তাঁর বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল। তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব ও পুরাণতত্ত্ব আলোচনাতেও তিনি তাঁর বৈদগ্ধের পরিচয় রেখেছিলেন।▼
| region =
| era =
| color = #B0C4DE
| image_name =
| image_size = 250px
| image_caption =
| name = সুকুমার সেন
| birth = {{birth date|1901|01|16}}
| birth_place = মাতুলালয়, গোয়াবাগান, [[কলকাতা]]
| death = {{death date and age|1992|03|03|1901|01|16}}
| death_place =
| school_tradition =
| main_interests =
| notable_ideas =
| influences =
| signature =
}}
▲'''সুকুমার সেন''' (
১৯০১ সালের ১৬ জানুয়ারি কলকাতার গোয়াবাগানের মাতুলালয়ে সুকুমার সেনের জন্ম হয়। পিতা হরেন্দ্রনাথ মিত্র ছিলেন বর্ধমান কোর্টের আইনজীবী এবং মা নলিনী দেবী। বর্ধমান জেলার গোতান গ্রামে ছিল তাঁদের পৈত্রিক নিবাস। এখানেই সুকুমার সেনের পড়াশোনার শুরু। ১৯১৭ সালে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং ১৯১৯ সালে বর্ধমান রাজ কলেজ থেকে বাংলা, সংস্কৃত, লজিক ও অঙ্কে লেটার সহ প্রথম বিভাগে আই.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯২১ সালে কলকাতার সংস্কৃত কলেজ থেকে সংস্কৃতে সাম্মানিক সহ প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে বি.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে এম.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯২৫ সালে "সিনট্যাক্স অফ বৈদিক প্রোজ" নামে একটি থিসিস লিখে প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তি লাভ করেন। ১৯২৬ সালে তাঁর প্রথম গবেষণা প্রবন্ধ "নোটস অফ দি ইউজ অফ কেসেস ইন দ্য কথক সংহিতা" প্রকাশিত হয় এশিয়াটিক সোসাইটি জার্নালে। এরপর মধ্য ও আধুনিক (বাংলা) আর্যভাষার ঐতিহাসিক পদবিচারের উপর গবেষণা করে তিনি পি.এইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন।▼
== জীবনী ==
▲১৯০১ সালের
== গ্রন্থসমূহ ==
সুকুমার সেন মিথ-আশ্রিত ভাষাতত্ত্ব বা পুরাণচর্চার পরিবর্তে আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিটি অবলম্বন করতেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, এশিয়াটিক সোসাইটি ও বর্ধমান সাহিত্য সভার প্রায় বারো হাজার পুঁথি পরীক্ষা করেছেন। জয়দেবের ''গীতগোবিন্দম্'' কাব্যের প্রাচীন পুঁথিটি তাঁরই আবিষ্কার। ''সেকশুভোদয়া'' পুঁথিটিও তিনি সম্পাদনা করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল:▼
*''ভাষার ইতিবৃত্ত'' (বাংলা ভাষাতত্ত্বের একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা)
*''Women's Dialect in Bengali'' (বাংলা মেয়েলি ভাষা নিয়ে গবেষণামূলক রচনা)
১২ ⟶ ৩৪ নং লাইন:
*''বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস'' (সুকুমার সেনের সবচেয়ে বিখ্যাত বই, বাংলা সাহিত্যের একটি পূর্ণাঙ্গ ও সামগ্রিক ইতিহাস)
*''বঙ্গভূমিকা'' (বাংলার আদি-ইতিহাস সংক্রান্ত গ্রন্থ)
▲সুকুমার সেন মিথ-আশ্রিত ভাষাতত্ত্ব বা পুরাণচর্চার পরিবর্তে আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিটি অবলম্বন করতেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, এশিয়াটিক সোসাইটি ও বর্ধমান সাহিত্য সভার প্রায় বারো হাজার পুঁথি পরীক্ষা করেছেন। জয়দেবের ''গীতগোবিন্দম্'' কাব্যের প্রাচীন পুঁথিটি তাঁরই আবিষ্কার। ''সেকশুভোদয়া'' পুঁথিটিও তিনি সম্পাদনা করেছেন।
ভাষাতত্ত্ব ও পুরাণ ছাড়া রবীন্দ্রসাহিত্যেও সুকুমার সেনের বিশেষ প্রজ্ঞা ছিল। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ব্যাখ্যাতা ও রসজ্ঞ। ১৯৬৪ সালে ''ভারতীয় সাহিত্যের ইতিহাস'' বইটির জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার পান। এশিয়াটিক সোসাইটি তাঁকে 'যদুনাথ সরকার পদক' দিয়ে সম্মানিত করে। রবীন্দ্রচর্চা কেন্দ্র থেকে পান 'রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য' উপাধি। ১৯৯২ সালের ৩ মার্চ তিনি প্রয়াত হন।
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
==বহিঃসংযোগ==
*[http://clickforboi.in/authorinfo/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8/ সুকুমার সেনের গ্রন্থসমূহ]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯০১-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৯২-এ মৃত্যু]]
|