ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে: সংগীত > সঙ্গীত
BellayetBot (আলোচনা | অবদান)
Typo fixing, replaced: জাতী → জাতি (2), জাতিয় → জাতীয় (2), পরবর্তীতে → পরবর্তীকালে, বেশী → বেশি (2) using AWB
১১ নং লাইন:
}}</ref>
==পটভূমি==
অন্তত তিনটি আলাদা ঘটনাকে সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে অভিহিত করা হয়। যার একটি মূলত সম্মিলিত [[হিন্দু]] ''সন্ন্যাসী'' ও [[মুসলিম]] ''মাদারী'' এবং ধার্মিক ফকিরদের বৃহত্ গোষ্ঠী যারা পবিত্রস্থান দর্শনের উদ্দেশ্যে উত্তর ভারত থেকে বাংলার বিভিন্নস্থান ভ্রমণ করতেন। যাওয়ার পথে এসব সন্ন্যাসীগণ গোত্রপ্রধাণ,[[জমিদার]] অথবা ভূস্বামীদের কাছ থেকে ধর্মীয় অনুদান গ্রহণ করতেন যা তখন রেওয়াজ হিসেবে প্রচলিত ছিল। সমৃদ্ধির সময়ে গোত্রপ্রধাণ, জমিদারগণও এসব ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদার ও অনুগত ছিলেন কিন্তু যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী দেওয়ানী ক্ষমতা লাভ করে তখন থেকে করের পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পায় ফলে স্থানীয় ভূস্বামী ও গোত্রপ্রধানগণ সন্ন্যাসী এবং ইংরেজ উভয়কেই কর প্রদানে অসমর্থ হয়ে পড়ে। উপরন্তু ফসলহানি,দুর্ভিক্ষ যাতে প্রায় এক কোটি মানুষ প্রাণ হারায় যা তৎকালীন বাংলার মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ, সমস্যাকে বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয় কারণ আবাদী জমির বেশীরভাগবেশিরভাগ থেকে যায় ফসলশূণ্য ।<ref name="সন্ন্যাসী">{{cite journal
| author = লোরেনজেন, ডি.এন.
| title = ''ভারতবর্ষের ইতিহাসে সন্ন্যাসী যোদ্ধা'' (মূল শিরোনাম:"Warrior Ascetics in Indian History")
২২ নং লাইন:
}}</ref>
 
[[১৭৭১]] সালে, ১৫০ জন ফকিরকে হত্যা করা হয় দৃশ্যত বিনা কারণে। এটি ছিল অনেকগুলো কারণের একটি যা ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং এ ক্ষোভ পরবর্তীতেপরবর্তীকালে রূপ নেয় সংঘাতে বিশেষত [[নাটোর|নাটোরে]],[[রংপুর|রংপুরে]] যা এখন আধুনিক [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] অন্তর্গত। যদিও কিছু আধুনিক ইতিহাসবিদ মনে করেন আন্দোলনটি কখনোই জনপ্রিয় হয়নি।<ref name="সন্ন্যাসী" />
 
অন্য দুটি আন্দোলন ছিল হিন্দু সন্ন্যাসীদের একটি অংশ [[দসনমি নাগা সন্ন্যাসী|দসনমি নাগা সন্ন্যাসীদের]], যারা একইভাবে তীর্থ ভ্রমণের পাশাপাশি অর্থ ধার দেয়ার সুযোগ কাজে লাগাত।<ref name="সন্ন্যাসী" /> ব্রিটিশদের কাছে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সন্ন্যাসীরা ছিল লুটেরা । এদেরকে কোম্পানীর প্রাপ্য অর্থে ভাগ বসানো এবং এমনকি সম্ভব হলে বাংলায় প্রবেশ ঠেকাতে তারা ছিল সদা তত্পর। তাদের কাছে ভ্রাম্যমান মানুষের এই বিশাল স্রোত সম্ভাব্য হুমকি বলে মনে হত।<ref name="সংযুক্তি">{{cite book
৩৬ নং লাইন:
 
==সন্ন্যাসী ও কোম্পানীর মধ্যে সংঘর্ষ==
আঠারো শতকের শেষের তিন দশক জুড়ে যখনই কোম্পানীর সৈন্যরা সন্ন্যাসী এবং ফকিরদের অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বাংলায় প্রদেশে বাধা দেয়া হয়েছে তখনই ভয়ানক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এসব সংঘর্ষে সব সময় ই যে কোম্পানীর সৈন্যরা বিজয়ী ছিল তা নয়। বেশীরবেশির ভাগ সংঘর্ষের তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে দুর্ভিক্ষের পরবর্তী বছরগুলোতে। কিন্তু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ১৮০২ সাল পর্যন্ত, যদিও তুলনামূলকভাবে কিছুটা অনিয়মিতভাবে। এমন কি উন্নততর প্রশিক্ষণ সুবিধা ও সৈন্য সম্ভার থাকা সত্ত্বেও কোম্পানী ভ্রাম্যমান সন্ন্যাসীদের সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণ প্রতিহত করতে সমর্থ ছিল না। এর কারণ মূলত পাহাড়ী এবং জঙ্গল আচ্ছাদিত জেলা যেমন [[মেদিনীপুর]] এবং [[বীরভূম|বীরভূমে]] কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণ ছিল দুর্বল।<ref name="সংযুক্তি" />
 
==ঐতিহাসিক তাৎপর্য==