ব্যষ্টিক অর্থনীতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ রোবট যোগ করছে: ps:لويه وټه |
BellayetBot (আলোচনা | অবদান) Typo fixing, replaced: অংক → অঙ্ক, কল্যান → কল্যাণ (3), গবেষনা → গবেষণা, ছাকা → ছাঁকা, জাতী → জাতি, জ using AWB |
||
১ নং লাইন:
'''ব্যষ্টিক অর্থনীতি''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি ভাষায়]]: Microeconomics) অর্থনীতির একটি শাখা যা ব্যক্তি, পরিবার এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলি সীমিত সম্পদ
অন্য দিকে, সামষ্টিক অর্থনীতি অন্তর্ভুক্ত করে “ অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সবগুলোর যোগফলকে, প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাষ্ফীতি ও বেকার সমস্যা বিষয়ক তত্বাবধান এবং এইসব বিষয়ে সম্পর্কযুক্ত জাতীয় অর্থনৈতিক নীতিসমুহ” এবং ইহা সরকারী কার্যক্রম (যেমন, কর স্তর পরিবর্তন)কে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে লুকাস সমালোচনায় বলা হয় যে, বেশীর ভাগ আধুনিক সামষ্টিক অর্থনীতি তত্ত্বসমুহ ব্যষ্টিক অবকাঠামোর উপর প্রতিষ্ঠিত - ইহা ব্যষ্টিক-স্তর আচরনের অনুমিত শর্তসমুহের ভিত্তি।
ব্যষ্টিক অর্থনীতির একটি লক্ষ হচ্ছে যে, বাজার প্রক্রিয়া বিশ্লেষন করা যা পন্য ও সেবার সম্পর্কযুক্ত মূল্য
== অনুমিত শর্ত ও সংজ্ঞাসমুহ ==
যোগান ও চাহিদা তত্ত্বে মুলতঃ ধরে নেওয়া হয় যে, বাজার পূর্নপ্রতিযোগিতা মুলক। ইহাতে মনে করা হয় যে, বাজারে অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতা বিদ্যমান এবং তাদের মধ্যে কেউ নেই, যে পন্য ও সেবা সমুহের দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বাস্তবে দেখা যায় যে, এই অনুমিত শর্তটি ব্যর্থ কারণ কিছু ক্রেতা বা বিক্রেতা ব্যক্তিগত ভাবে বা দলীয় ভাবে দামের উপর প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে। একটি পন্যের চাহিদা ও যোগান সমীকরন বোঝার জন্য একটি আদর্শ বিশ্লেষন প্রয়োজন। কখনও কখনও এই তত্ত্ব স্বাভাবিক পরিবেশে কার্যকর হয়।
মুলবাদী অর্থনীতিতে প্রমান ছাড়া অনুমান করা হয়না যে, সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভিন্নতার কারনে বাজার ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের হয়। ঘটনাক্রমে, বেশীর ভাগ বিশ্লেষনে কারনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় যেখানে সম্পদের
ব্যক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন পন্যের চাহিদা সাধারণত উপযোগ সর্বোচ্চকরন প্রক্রিয়ার ফলাফল।একটি নির্দিষ্ট পন্যের মুল্য ও পরিমানের চাহিদা মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যায় বলা হয় যে, অন্যান্য সকল পন্য ও প্রতিবন্ধকের বর্তমানে এটি একটি পছন্দের ছক যা ভোক্তাকে সন্তুষ্ট করে।
২১ নং লাইন:
• যদি দাম মুনাফা সর্বোচ্চকরন উৎপাদন স্তরে মোট গড় ব্যয় ও মোট পরিবর্তনীয় ব্যয় এর মধ্যে হয়, তাহলে বলা যায় যে, ফার্মটি ক্ষতি সর্বনিম্নকরন অবস্থায় রয়েছে।ফার্মটি উৎপাদন চালিয়ে যাবে, যদি তার ক্ষতি অনেক বেশী হয় তাহলে উৎপাদন বন্ধ করে দেবে। উৎপাদন চালিয়ে গেলে ফার্মটি পরিবর্তনীয় ব্যয় এবং সামান্য হলেও স্থির ব্যয় তুলে আনতে পারবে। কিন্তু উৎপাদন বন্ধ করলে তার পূর্বের স্থির ব্যয় উঠাতে পারবেনা।
• যদি দাম মুনাফা সর্বোচ্চকরন উৎপাদন স্তরে মোট পরিবর্তনীয় ব্যয় এর
== বাজার ব্যর্থ্যতা ==
মুল প্রবন্ধ:বাজার ব্যর্থ্যতা
ব্যষ্টিক অর্থনীতিতে “বাজার ব্যর্থ্যতা” শব্দটি বলতে একটি বাজারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া বুঝায়না। বাজার ব্যর্থ্যতা হচ্ছে একটি অবস্থা যখন বাজার উৎপাদন ব্যবস্থা সমন্বয় বা ক্রেতার নিকটে পন্য ও সেবা
<sub>বাজার ব্যর্থ্যতার মূল চারটি কারণ নিম্নরুপঃ</sub>
৩৪ নং লাইন:
• বাহ্যিকতা একটি কারণ যার জন্য বাহ্যিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেনা। বাহ্যিকতা দুই প্রকার- ধনাত্বক বাহ্যিকতা ও ঋনাত্বক বাহ্যিকতা। ধনাত্বক বাহ্যিকতার উদাহরন হিসেবে বলা যায় য়ে, একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পারিবারিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে। ঋনাত্বক বাহ্যিকতার উদাহরন একটি কোম্পানীর দ্বারা বায়ু দূষন ও পানি দূষন। সরকারী আইন, কর প্রয়োগ অথবা ভূর্তুকি প্রদান অথবা কোম্পানী বা ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রভাব হিসেবে নিয়ে তাদের উপর সম্পত্তির অধিকার আইনের মাধ্যমে তাদের উপর বল প্রয়োগ করে ঋনাত্বক বাহ্যিকতার পরিমাণ হ্রাস করা যায়।
• সরকারী দ্রব্য সমুহের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন ইহা স্বয়ংক্রিয় নয় ও অপ্রতিযোগী এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা ও সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করে, যেমন মশা নিধনের জন্য নিস্কাষন ব্যবস্থার উন্নয়ন। উদাহরন স্বরুপ বলা যায় যে, মশা নিধন ব্যবস্থা বেসরকারী খাতে ছেড়ে দিলে এই ক্ষেত্রে সাফল্যের সম্বাভনা রয়েছে। সরকারী পন্যের একটি পন্যের সরবাহের জন্য করের ব্যবস্থা করা হয় যা উক্ত পন্য ব্যবহারকারীদের বহন করতে হয় (তৃতীয় পক্ষ/সামাজিক
• বিচ্ছিন্ন তথ্য অথবা অনিশ্চয়তাও একটি কারন। তথ্য বিছিন্নতার কারনে এক পক্ষ বেশী বা সঠিক তথ্য থাকার কারনে অন্য পক্ষের চাইতে বেশী লেনদেন করতে পারে। উদাহরন স্বরুপ বলা যায় যে, ব্যবহার করা- গাড়ি বিক্রেতা জানতে পারে কি ভাবে একটি ব্যবহার করা গাড়ি চালানযোগ্য যানবাহন বা ট্যাক্সী হিসেবে ব্যবহার করা যায়, যে তথ্য ক্রেতার কাছে পর্যাপ্ত নয়। সাধারণত ক্রেতার চাইতে বিক্রেতা দ্রব্য সম্পর্কে বেশী জানে, কিন্তু সবসময় এরকম ঘটেনা। একটি অবস্থার একটি উদাহরন যেখানে বিগত চুক্তিপত্র অনুসারে একটি বড়
এই অবস্থাটি সর্বপ্রথম কেনেথ জে. অ্যারো ১৯৬৩ সালে স্বাস্থ্যের যত্নের উপর সূচনামুলক নিবন্ধে আলোচনা করেন যা ‘American Economic Review’-এ "Uncertainty and the Welfare Economics of Medical Care," শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
== সুযোগ ব্যয় ==
মুল প্রবন্ধ: সুযোগ ব্যয়
যদিও সুযোগ ব্যয় পরিমাপ করা যায়না, সুযোগ ব্যয়ের প্রভাব চিরন্তন এবং ব্যক্তিগত স্তরে অত্যন্ত বাস্তব। ঘটনাক্রমে নীতিমালাটি শুধু অর্থনীতির জন্য নয়, সকল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। অস্ট্রিয়ান অর্থনীতিবিদ ফ্রেডরিক ভন উইজার এর সময় হতে সুযোগ ব্যয়
সুযোগ ব্যয় হচ্ছে কতিপয় ব্যয় পরিমাপের একটি পদ্ধতি। একটি প্রকল্পের কিছু চিহ্নিত ও যোগকৃত ব্যয় ছাড়াও একজন একই পরিমানের অর্থ ব্যয় করার সঠিক বিকল্প পথও বাছাই করতে পারে। পরবর্তী সঠিক বিকল্পের বিগত মুনাফা হচ্ছে মুল পছন্দের সুযোগ ব্যয়। একটি সাধারণ উদাহরন হচ্ছে একজন কৃষক পার্শ্ববর্তী জমির ভাড়ার চাইতে জমির মানকেই প্রাধান্য দিবে, যেখানে ভাড়া হতে প্রাপ্য বিগত মুনাফা হচ্ছে সুযোগ ব্যয়। এইসব ক্ষেত্রে কৃষক ইহা থেকে বেশী মুনাফা করতে চাইবে। একই ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার একজন ছাত্রের সুযোগ ব্যয় হচ্ছে কর্মশক্তি অর্জন ছাড়া একটি অলাভজনক ব্যয়, যদিও টিউশন ফি, বই ক্রয় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যয় রয়েছে ( সবগুলো যোগ করে পড়াশোনার মোট ব্যয় বের করা হয়)। বাহমায় ছুটির দিনের সুযোগ ব্যয় হচ্ছে একটি
উল্লেখ্য যে, সুযোগ ব্যয় বিদ্যমান বিকল্পের যোগফল নয়, বরংঞ্চ ইহা একটি একক মুনাফা, উত্তম বিকল্প। একটি শহরের ফাকা জায়গায় হাসপাতাল নির্মানের সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য সুযোগ ব্যয় হচ্ছে খেলার মাঠের জায়গা কমে যাওয়া, অথবা পার্কিং এর জায়গা হিসেবে ইহা ব্যবহার করতে না পাওয়া, অথবা জমিটি বিক্রয় করলে যে অর্থ পাওয়া যেত, অথবা জমিটির সম্ভাব্য ব্যবহারের সমপরিমাণ ক্ষতি- কিন্তু সবগুলোর যোগফল নয়। সঠিক সুযোগ ব্যয় উক্ত বিষয় সমুহের সবচাইতে বেশী লাভজনক বিষয়ের বিগত ব্যয়।
এখানে একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে, বিভিন্ন বিকল্পের সুবিধা কিভাবে পরিমাপ করা যাবে। প্রতিটি বিকল্প সুবিধাজনক তুলনার জন্য আমরা অবশ্যই একটি সংশ্লিষ্ট অর্থের মূল্য দিয়ে পরিমাপ করব এবং সুযোগ ব্যয়
== ফলিত ব্যষ্টিক অর্থনীতি ==
যোগান ও চাহিদা মডেলে বর্ননা করা হয় যে, প্রত্যেক দামে(যোগান) বিদ্যমান দ্রব্যের ভারসাম্যের ফলাফল এবং প্রত্যেক দামে(চাহিদা) ক্রয় ক্ষমতা সাথে কাম্যতার মধ্যে কিভাবে দাম উঠানামা করে। দামের বৃদ্ধির সাথে সম্পর্ক রেখে চিত্রে D1 রেখা D2 বরাবর ডানদিকে সরে যায এবং যোগান রেখার(S) ভারসাম্য বিন্দুতে বাজারে বিদ্যমান পন্য ফুরিয়ে যায়।
ফলিত ব্যষ্টিক অর্থনীতি একটি বিশেষ ক্ষেত্রের আলোচনাকে অন্তর্ভুক্ত করে, যেগুলোর বেশীর ভাগ অন্য ক্ষেত্রের পদ্ধতির উপর
[[বিষয়শ্রেণী:অর্থনীতি]]
|