ওয়াহিদুল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৫ নং লাইন:
 
== জীবনবৃত্তান্ত==
তিনি ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মার্চ [[ঢাকা]] জেলার ভাওয়াল মনহরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷ ওয়াহিদুল হক [[আরমানিটোলা]] গভর্ণমেন্ট হাই স্কুল থেকে [[মাধ্যমিক পরীক্ষা]]য় উত্তীর্ণ হয়ে [[ঢাকা কলেজ|ঢাকা কলেজে]] ভর্তি হন। সেখান থেকে [[উচচ মাধ্যমিক পরীক্ষা]]য় অবতীর্ণ হয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন৷ <ref name=" Wahidul haque ">[http://www.cabinet.gov.bd/view_award.php?lang=en&award_person_id http://www.cabinet.gov.bd] = 197]</ref> তিনি প্রথম জীবনে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও লেখিকা সনজিদা খাতুনকে বিবাহ করেন।
 
==কর্মজীবন==
ওয়াহিদুল হকের পেশা ছিল সাংবাদিকতা। ছাত্রাবস্থা থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৫ বছর সাংবাদিকতা পেশায় ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় আরম্ভ করে আমৃত্যু প্রায় ৫৪ বছরকাল তিনি সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন৷ ষাটের দশকে [[দ্যা অবজারভার |দি অবজারভারের]] শিফট্‌-ইন চার্জ ছিলেন। পরে [[মর্নিং নিউজ]] ও [[দ্যা ডেইলি স্টার |দ্যা ডেইলি স্টারের]] যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন ৷করেছেন৷ এক সময় ছিলেন [[দ্যা পিপলস্‌ পত্রিকা]]র সম্পাদক ।সম্পাদক। জীবনের শেষ দিকে “অভয় বাজে হৃদয় মাঝে” ও “এখনও গেল না আঁধার” শিরোনামে নিয়মিত কলাম লিখেছেন [[দৈনিক জনকন্ঠ]] ও [[দৈনিক ভোরের কাগজ]] পত্রিকায়। [[বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়|বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের]] স্থাপত্য বিভাগে ১০ বছরেরও বেশী সময় খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। <ref name=" Wahidul haque "/>
 
===সংগঠক===
ওয়াহিদুল হক ছিলেন একজন সংগঠক যিনি পেশা হিসেবে সাংবাদিক হলেও তাঁর আসল কর্মক্ষেত্র ছিল সংস্কৃতি অঙ্গন। তিনি ছিলেন মেধাবী সাংবাদিক, [[রবীন্দ্র সংগীত |রবীন্দ্র সংগীতের]] তত্ত্বজ্ঞ, শিক্ষক, সংগঠক ও বাঙালি সংস্কৃতির একনিষ্ঠ প্রচারক। রবীন্দ্র সংগীত ছিল তাঁর বিচরণ ক্ষেত্র ।ক্ষেত্র। ওয়াহিদুল হক ১৯৬১ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ‘[[ছায়ানট]]’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ১৯৯৯ থেকে আমৃত্যু সহ-সভাপতি ছিলেন . ছিলেন।<ref name=" Wahidul haque "/>
 
 
ওয়াহিদুল হকের গঠিত সংগঠনগুলো হলোঃ
:* জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ-এর কার্যকরী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সহ-সভাপতি এবং ১৯৯৯ থেকে আমৃত্যু সভাপতি
:* আবৃত্তি সংগঠন “কন্ঠশীলন” এবং শিশু আবৃত্তি সংগঠন “শিশুতীর্থ”- এর প্রতিষ্ঠাতা
:* আনন্দধবনি-এর প্রতিষ্ঠাতা
:* মুকুল ফৌজ কিশোর সংগঠনের কর্মী
:* বাংলাদেশ ব্রতচারী সমিতি-এর সহ-সভাপতি (২০০৩ সাল থেকে আমৃত্যু)
:* বাংলাদেশ আবৃত্তি ফেডারেশন (বর্তমান আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
:* পূর্ব পাকিস্তান ফিল্ম সোসাইটি পরে বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটির- প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
:* বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
:* বসন্ত উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
:* আবৃত্তি পরিষদ-এর সভাপতি
:* স্বাধীন বাংলা শিল্পী সংস্থা-এর প্রতিষ্ঠাতা
:* ২০০১ সাল থেকে আমৃত্যু “নালন্দা”র-কার্যকরী পরিষদের সদস্য
 
==প্রকাশিত গ্রন্থ==
*চেতনা ধারায় এসো
৪২ ⟶ ৪৪ নং লাইন:
*ব্যবহারিক বাংলা উচচারণ অভিধান
*সংস্কৃতির ভুবন
 
==আবৃত্তি ও গানের সিডি==
*সকল কাঁটা ধন্য করে
*আজ যেমন করে গাইছে আকাশ
* আছ অন্তরে
* রবীন্দ্রনাথের কবিতা
 
==সন্মাননা==
ওয়াহিদুল হককে সংগীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৮ সালে মরণোত্তর [[একুশে পদক]] ২০০৮ (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়। তিনি কাজী মাহবুবউল্লাহ ট্রাস্ট স্বর্ণ পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ২০০০ সালে [[বাংলা একাডেমী]] সম্মানসূচক ফেলোশীপ পান। সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ওয়াহিদুল হককে “[[স্বাধীনতা পুরস্কার]]-২০১০” (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।<ref>http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=27&dd=2010-03-19&ni=11871</ref>
 
==মৃত্যু==
ওয়াহিদুল হক ২০০৭ সালের ২৭ শে জানুয়ারি বিকাল ৫টায় বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরদিন সকাল সোয়া ৯টায় হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ‘ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে’। সেখানে তাকে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, [[রাজনীতি]] ও বুদ্ধিবৃত্তিক পেশার শীর্ষ স্থানীয় সর্বসস্তরের নারী-পুরুষ পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চোখের জলে বিদায় জানায় তাকে। সোয়া ১১টায় শিল্পীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় [[শহীদ মিনার|শহীদ মিনারের]] উদ্দেশে। সেখানে [[সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট| সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের]] উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মহৎ ব্যক্তিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন ভাষাসৈনিক কবি [[মাহবুব উল আলম চৌধুরী]], হুইল চেয়ারে চড়ে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে এসেছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ [[নির্মল সেন]]। শ্রদ্ধা জানান [[আনিসুজ্জামান]], [[মুস্তাফা মনোয়ার]], [[হাশেম খান]], [[কামাল লোহানী]], [[কলিম শরাফী]], [[আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক]], [[মুনতাসীর মামুন]], নাট্যব্যক্তিত্ব [[রামেন্দু মজুমদার]], [[আসাদুজ্জামান নূর]], অধ্যাপক [[মনসুর মুসা]], [[সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী]], শিল্পী [[সুবীর নন্দী]], নাট্যব্যক্তিত্ব [[আলী যাকের]], [[সারা যাকের]],
[[ ম. হামিদ]], সাংবাদিক [[বজলুর রহমান]], এডভোকেট [[সুলতানা কামাল]], [[আবেদ খান]], [[ফকির আলমগীর]], [[রফিকুন্নবী]], [[ইফফাত আরা দেওয়ান]], [[নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু]], [[গোলাম কুদ্দুস]], [[উদীচী]]র সাধারণ সম্পাদক [[মাহমুদ সেলিম]]সহ দেশের বহু মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানান।।জানান।<ref>http://bhorerkagoj.net/online/news.php?id=38786&sys=1</ref> ওয়াহিদুল হকের মৃত্যুদিন উপলক্ষে [[ছায়ানট]] ২০১০ সালের ২৭শে জানুয়ারি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।<ref>http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-01-27/news/37807
</ref> এছাড়াও তার স্মরণে আবৃত্তি সংগঠন 'কণ্ঠশীলন' আবৃত্তি উৎসবের আয়োজন করে ১৮ মার্চ থেকে ২০শে মার্চ কেন্দ্রীয় [[পাবলিক লাইব্রেরি]]তে ।<ref>http://www.dailykalerkantho.com/~dailykal/?view=details&archiev=yes&arch_date=07-03-2010&type=gold&data=Loan&pub_no=97&cat_id=1&menu_id=54&news_type_id=1&index=6</ref> বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক [[শওকত আলী ]] [[শওকত ওসমান]] স্মৃতি মিলনায়তনে বেলুন উড়িয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।<ref>http://www.samakal.com.bd/details.php?news=28&view=archiev&y=2010&m=03&d=30&action=main&menu_type=tabloid&option=single&news_id=54746&pub_no=287&type=</ref>
 
==তথ্যসূত্র==
<references />
 
[[Category: মুক্তিযোদ্ধা]]