গাজীউল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rabbanituhin (আলোচনা | অবদান)
Rabbanituhin (আলোচনা | অবদান)
৪৮ নং লাইন:
*বাংলাদেশের গণমাধ্যম আইন (১৯৯৬)
==সন্মাননা==
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ তম সমাবর্তনে গাজীউল হককে এবং আরেক ভাষা সৈনিক [[আবদুলআব্দুল মতিন]]কে সন্মানসূচক ডক্টর অব লজ ডিগ্রি দেওয়া হয়।১৯৭৭ সালে পান পাবনা থিয়েটার পুরস্কার৷ ১৯৭৯ সালে [[বগুড়া]] জিলা স্কুলের ১৫০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে 'বন্ধন'-এর পক্ষ থেকে ভাষাসৈনিক গাজীউল হককে ক্রেষ্ট উপহার দেওয়া হয়৷ ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারি 'সড়ক'-এর পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধাঘ্য জানানো হয়৷ ১৯৮৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি 'কমিটি ফর ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ- [[নিউইর্য়ক]]' তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায়৷ ১৯৯৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য 'বাংলাদেশ জাতীয় ব্যক্তিত্ব গবেষণা কেন্দ্র' তাঁকে রাষ্ট্রভাষা পুরস্কার পদক ও সম্মান স্মারক প্রদান করে৷ ১৯৯৭ সালে [[অন্নদা শংকরঅন্নদাশঙ্কর রায়]] কলকাতার পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে৷ ১৯৯৭ সালে বছর 'বগুড়া প্রেস ক্লাব' তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করে৷ ১৯৯৭ সালে '[[চট্টগ্রাম]] ইয়ুথ কয়ার' ( বইমেলা ) থেকে ৭ মার্চ তিনি ভাষাসৈনিক পদক পান৷ ১৯৯৭ সালে [[বগুড়া]]র ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধু পরিষদ [[সোনালী ব্যাংক|সোনালী ব্যাংকের]] পক্ষ থেকে তাঁকে অর্পণ নামে একটি ক্রেষ্ট উপহার দেয়৷ ১৯৯৯ সালের ২৬ [[নভেম্বর]] [[বাংলা একাডেমী]] থেকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ অর্জন করেন৷ তিনি সিপাপ জাতীয় স্বর্ণপদক পান৷ ১৯৯৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি 'আমরা সূর্যমুখী'র পক্ষ থেকে তাঁর ৭১তম জন্মদিনে নাগরিক সম্মাননা দেওয়া হয়৷ 'কারক নাট্য সম্প্রদায়'-এর ১২ বছর পূর্তিতেও তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ ২০০০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে গৌরবময় ভূমিকার জন্য [[সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট]] তাঁকে সকৃতজ্ঞ অভিনন্দন জানায়৷ এছাড়া ২০০০ সালে ভাষা আন্দোলনের পঞ্চাশ বৎসর পূর্তি উপলক্ষে [[সিলেট]] ভাষাসৈনিক সংবর্ধনা পরিষদ তাঁকে ভাষাসৈনিক সংবর্ধনা দেয়৷ এবছরই তিনি বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন এর উপদেষ্টা হিসেবে বিশেষ সম্মাননা স্মারক পান৷ ১২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদও তাঁকে সম্মাননা প্রদান করে৷ ভাষা আন্দোলনের স্থপতি সংগঠন [[তমদ্দুন মজলিস]]-এর পক্ষ থেকে মাতৃভাষা পদক পান৷
'দি ইনস্টিটিউট অব চার্টাড এ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ' তাঁকে ২১ ফেব্রুয়ারিতে ভাষা আন্দোলনের স্বীকৃতি স্বরূপ ক্রেষ্ট উপহার দেয়৷ ২০০০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন ও সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় অসাধারণ অবদানের জন্য 'আমরা সূর্যমুখী'র পক্ষ থেকে তাঁকে ৭৩তম জন্মবার্ষিকীতে নাগরিক সম্মাননা দেয়৷ 'মাতৃভাষা সৈনিক পরিষদ'এর পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মাননা প্রদান করা হয়৷ ২০০০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার' তাঁকে '[[একুশে পদক]]' পুরস্কারে ভূষিত করেন৷ ২০০০ সালের ১০ জুলাই পান 'বিশ্ব বাঙালি সম্মেলন' পুরস্কার ৷ ২০০১ সালে [[ফেনী]] সমিতির পক্ষ থেকে তাঁকে 'ফেনীর কৃতি সন্তান' হিসেবে গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ ২০০১ সালেই [[একাত্তরের ঘাতক দালাল নিমূল কমিটি]]র পক্ষ থেকে '[[জাহানারা ইমাম]] পদক' পান৷ ২০০২ সালে 'সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট' 'ভাষা আন্দোলনের-সুবর্ণ জয়ন্তী' উপলক্ষে তাঁকে একটি ক্রেষ্ট উপহার দেয়৷ ২০০৯ সালে [[বাংলাদেশ ]]জাতীয় জাদুঘর ১৬ [[ফেব্রুয়ারি]] তাঁকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করে৷ ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে 'বঙ্গবন্ধু পদক' পান৷ ২০০৪ সালে 'বাংলাদেশ জাতীয় ব্যক্তিত্ব গবেষণা কেন্দ্র'-এর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে 'বিশ্ব বাঙালি সম্মেলন-২০০৪'৷ ২০০৪।২০০৪ সালে পান 'শের-ই-বাংলা জাতীয় পুরস্কার' ৷ ২০০৫ সালে শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য '[[মার্কেন্টাইল ব্যাংক]] পুরস্কার' পান৷ ২০০৬ সালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[ইতিহাস]] বিভাগ এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন-এর ৭ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তাঁকে ক্রেষ্ট উপহার দেয়৷
<ref>http://noakhaliweb.blogspot.com/2009/10/blog-post.html</ref>
তার ভাগ্নে কাইউম পারভেজ গাজীউল হক সম্পর্কে বলেনঃ“মক্কেলের কাছে অ্যাডভোকেট সাহেব। মক্কেল পয়সা দিতে পারুক না পারুক ভ্রূক্ষেপ নেই। লড়তেই হবে। জিততেই হবে। কোর্ট হোক বায়ান্ন, হোক ঊনসত্তর, হোক একাত্তর। জিততে তাঁকে হবেই। জিতেছেনও। চাওয়া পাওয়ার হিসাব ছাড়াই জিতেছেন। জিতেছেন বাঙালির মন। যত দিন বাঙালির মুখে বাংলা ভাষা থাকবে গাজীউল হক তত দিন থাকবেন।” <ref> http://dailykalerkantho.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=17-06-2010&type=gold&data=Natok&pub_no=197&cat_id=2&menu_id=23&news_type_id=1&index=3
</ref>
 
==মৃত্যুবরণ==
২০০৯ সালের ১৭ জুন বিকালে [[ঢাকা]]র স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন| তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর| ওইদিন সকালে ঘুমের মধ্যে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন| গুরুতর অবস্থায় [[স্কয়ার হাসপাতাল|স্কয়ার হাসপাতালে]] নেয়া হলে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে তাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালানো হয়| কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরলোকগত হন তিনি|