রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ জীবন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পৃষ্ঠা: '''রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ জীবন''' (১৯৩২–১৯৪১) কবির দীর্ঘ অসুস্থত...
 
→‎১৯৩৭-৪১ সময়কালের অসুস্থতা: মূল নিবন্ধ সংক্ষিপ্তায়নের জন্য কিয়দংশ এখানে অপসারিত হল
৯ নং লাইন:
 
==১৯৩৭-৪১ সময়কালের অসুস্থতা ==
ঋজু শালপ্রাংশু দেহের অধিকারী রবীন্দ্রনাথ সারাজীবন সুস্বাস্থ্য ভোগ করলেও জীবনের শেষ চার বছর দীর্ঘস্থায়ী পীড়ায় কষ্ট পেয়েছিলেন। তাঁর মূল সমস্যা ছিল [[অর্শ]]। এই চার বছরে দুবার দীর্ঘসময় অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী থাকতে হয় তাঁকে। ১৯৩৭ সালে একবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন কবি ; এই সময় কোমায় চলে গিয়ে মৃত্যুকে প্রত্যক্ষ করেন অত্যন্ত কাছ থেকে। আর তখন থেকেই তাঁর এই দীর্ঘকালীন অসুস্থতার সূত্রপাত। ১৯৪০ সালের শেষ দিকে আবার একই ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এবার আর সেরে ওঠেননি। এই সময়কালের মধ্যেই জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু কবিতা রচনা করেন রবীন্দ্রনাথ। এই কবিতাগুলির মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে মৃত্যুকে ঘিরে লেখা রবীন্দ্রনাথের কিছু অবিস্মরণীয় পংক্তিমালা।<ref name="Dutta_1995_338">{{harvnb|Dutta|Robinson|1995|p=338}}</ref><ref name="IANS_2005">{{citation |year=2005 |title=Recitation of Tagore's poetry of death |periodical=Hindustan Times |publisher=Indo-Asian News Service }}</ref> দীর্ঘ রোগভোগের পর, শল্য চিকিৎসার জটিলতার কারণে, ১৯৪১ সালের ৭ অগস্ট (২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) কলকাতার জোড়াসাঁকোয় অবস্থিত বাসভবনের প্রয়াত হন রবীন্দ্রনাথ। উল্লেখ্য, জোড়াসাঁকোর এই বাড়িতেই কবির জন্ম ও বেড়ে ওঠা।<ref name="Dutta_1995_367">{{harvnb|Dutta|Robinson|1995|p=367}}</ref><ref name="Dutta_1995_363">{{harvnb|Dutta|Robinson|1995|p=363}}</ref> আজও বাংলাভাষী জগতে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুবার্ষিকী পরম শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়ে থাকে।<ref>{{citation |title=68th Death Anniversary of Rabindranath Tagore |year=2009 |month=August |day=07 |periodical=[[The Daily Star (Bangladesh)|The Daily Star]] |location=[[Dhaka]] |url=http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=100259 |accessdate=13 August 2009 }}</ref>
জীবনের শেষ চার বছর কবি দীর্ঘ অসুস্থতায় ভোগেন। ১৯৩৭ সালের শেষ দিকে কবি একবার অজ্ঞান হয়ে যান। এই সময় দীর্ঘকাল তিনি অজ্ঞান অবস্থায় প্রায়-মৃত্যু অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ১৯৪০ সালের শেষ দিকে আবার একই রকমভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন কবি। এর পর আর সেরে ওঠেননি। এই জীবনসায়াহ্নে রচিত কবিতাগুলিতে কবি মৃত্যুর প্রকৃতি অনুধাবনে সচেষ্ট ছিলেন। এই কবিতাগুলির ব্যাপক ও গভীর অতীন্দ্রিয়বাদী পরীক্ষানিরীক্ষাগুলি তাঁকে "আধুনিক কবি"-র আসন প্রদান করে।<ref name="IANS_2005">{{Harv|Indo-Asian News Service|2005}}.</ref> দীর্ঘ রোগভোগের পর<ref name="Dutta_1995_363">{{Harv|Dutta|Robinson|1995|p=363}}.</ref> ১৯৪১ সালের ৭ অগস্ট (বাইশে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) [[জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি|জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির]] উপরতলার একটি ঘরে কবির জীবনাবসান হয়। উল্লেখ্য, এই বাড়িতেই কবির জন্ম ও বেড়ে ওঠা।<ref name="Dutta_1995_367">{{Harv|Dutta|Robinson|1995|p=367}}.</ref> তাঁর মৃত্যুদিন আজও [[বাঙালি জাতি]] গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে থাকেন।
 
== পাদটীকা ==