মোন্তেভিদেও: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Luckas-bot (আলোচনা | অবদান)
[r2.5.2] রোবট যোগ করছে: hy:Մոնտեվիդեո
BellayetBot (আলোচনা | অবদান)
Typo fixing, replaced: জাতী → জাতি (4), জাতিয় → জাতীয় (4), যাদুঘর → জাদুঘর (2) using AWB
৩৫ নং লাইন:
'''মোন্তেবিদেও''' ([[আ-ধ্ব-ব]]: [monteβi'ðeo]) উরুগুয়ের রাজধানী শহর। শহরটি মোন্তেবিদেও ডিপার্টমেন্টের প্রাদেশিক রাজধানী। এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রিও দে লা প্লাতা নদীর তীরে অবস্থিত। প্রশস্ত রাস্তাবিশিষ্ট উরুগুয়ের বৃহত্তম এই শহর দেশটির প্রধান অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। উরুগুয়ের বেশির ভাগ মাংস ও পশম প্রক্রিয়াকরণ কারখানা এবং অন্যান্য শিল্পকারখানাও এই শহরের মেট্রোপলিটান এলাকাতে অবস্থিত। শহরে আরও আছে একটি বৃহৎ মৎস্য আহরণ শিল্প। মোন্তেবিদেওর বন্দরের মাধ্যমেই উরুগুয়ের বেশিরবভাগ বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পাদিত হয়। বহু পর্যটক শহরটিতে ও সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতগুলিতে বেড়াতে আসেন। উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আছে কেররো নামের পাহাড়টি। এই পাহাড়টি থেকেই শহরের নামকরণ এসেছে।
 
মোন্তেবিদেও একটি পর্তুগিজ বাক্যাংশ “Monte vide eu” অর্থাৎ “আমি একটি পাহাড় দেখতে পাই” থেকে এসেছে। উরুগুয়ের জাতীয় নায়ক হোসে গের্বাসিও আর্তিগাসের সমাধিও এখানে অবস্থিত। আরও আছে জাতীয় আইনসভার প্রাক্তন ভবন কাবিলদো এবং ১৭৯০-১৮০৪ সালে নির্মিত একটি কারুকার্যময় ক্যাথিড্রাল। মোন্তেবিদেওতে প্রজাতন্ত্রের বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৪৯), উচ্চশিক্ষা ইন্সটিটিউট (১৯২৮), জাতীয় ইতিহাস যাদুঘরজাদুঘর (১৯০০), এবং জাতীয় চারুকলা যাদুঘরজাদুঘর (১৯১১) অবস্থিত।
 
১৭২৬ সালে বুয়েনোস আইরেসের স্পেনীয় গভর্নর মোন্তেবিদেও শহর প্রতিষ্ঠা করেন, যাতে ব্রাজিল থেকে পর্তুগিজেরা দক্ষিণে অনুপ্রবেশ করতে না পারে। ১৯শ শতকের শুরুর দিকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ একাধিকবার স্পেনীয় ও পর্তুগিজদের মধ্যে হাতবদল হয়। শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশদের আংশিক হস্তক্ষেপে এটি স্বাধীন উরুগুয়ের রাজধানী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৮২৮ সালে স্পেনীয় আর্জেন্টিনা ও পর্তুগিজ ব্রাজিলের মধ্যে একটি বাফার বা অন্তর্বর্তী রাষ্ট্র (buffer state) হিসেবে উরুগুয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। উরুগুয়ের গৃহযুদ্ধের সময় ৯ বছর (১৮৪৩-১৮৫১) শহরটি ছিল। একই সময়ে এটি দক্ষিণ আমেরিকার একটি প্রধান বন্দরে পরিণত হয়। ১৯শ শতকের শেষে এবং ২০শ শতকের শুরুতে বহু ইউরোপীয়, বিশেষত স্পেনীয় ও ইতালীয়রা শহরটিতে অভিবাসী হয়। এরপর গ্রাম থেকে রাজধানীমুখী জনগণই শহরটির বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা রেখেছে।