গীতাঞ্জলি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
রচনার ইতিহাস যুক্ত হল |
||
২৬ নং লাইন:
১৯১২ সালে এই গ্রন্থের আংশিক ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয়। অনুবাদক ছিলেন কবি স্বয়ং। ইংরেজি অনুবাদটি পাশ্চাত্য বিদ্বজ্জন সমাজে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করে। ২০১০ সালে ''গীতাঞ্জলি'' প্রকাশের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে [[কলকাতা মেট্রো|কলকাতা মেট্রোর]] নাকতলা স্টেশনটির নামকরণ করা হয় "গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশন"।
== রচনার ইতিহাস ==
''গীতাঞ্জলি'' কাব্যের উৎস সন্ধান করতে গিয়ে রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ সুকুমার সেন লিখেছেন, "'উৎসর্গ' আর 'খেয়া'র সময়ে গান লেখা চলিয়াছিল প্রচুর। ইতিমধ্যে (১৩১৪ সালের মাঝামাঝি) কনিষ্ঠ পুত্রের [শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৯৬-১৯০৭)] আকস্মিক মৃত্যুতে কবিধর্ম কিছুদিনের মতো যেন বিচলিত হইল। তখন শোকবেদনার উৎসাহ হইল এক অভিনব ভক্তিরসে। তাহার মুখ্য প্রকাশ 'গীতাঞ্জলি'তে (১৩১৭)।"<ref>সুকুমার সেন, ''বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস'', চতুর্থ খণ্ড, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, ১৯৯৬ সং, পৃ. ১১০</ref> রবীন্দ্র-জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, "'প্রায়শ্চিত্ত' [১৯০৯] নাটক লিখতে লিখতে অনেকগুলি গান লিখলেন [রবীন্দ্রনাথ]-তার কয়েকটির মধ্যে 'গীতাঞ্জলি' পর্বের পদধ্বনি শোনা গেল। জীবন গভীর একটা রসের স্তরে প্রবেশ করছে, গানগুলি তারই আগমনী।"<ref>প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, ''রবীন্দ্রজীবনকথা'', আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, ১৩৮৮ সং, পৃ. ৭৫</ref>
১৯০৮ সালের পূজাবকাশে কবি শিলাইদহে যান। ছুটির পর ফিরে পাঁচ মাস একাদিক্রমে শান্তিনিকেতনে বাস করেন। এই সময় তাঁর বিখ্যাত ''শান্তিনিকেতন'' উপদেশমালার সূত্রপাত ঘটে। পরের বছর বর্ষা ও শরতে আবার যান শিলাইদহে। ফিরে কিছুকাল বাস করেন কলকাতায়। গীতাঞ্জলির গানগুলিও এই সময় শিলাইদহ, শান্তিনিকেতন ও কলকাতায় বসে রচনা করেন। জানা যায়, এই সময় কবি ছিলেন কঠোর নিরামিশাষী। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের ন্যাসপত্রের অনুজ্ঞা কঠোরভাবে মেনে চলতেন। এমনকি অসুস্থতার সময়ও ডাক্তারের নির্দেশ উপেক্ষা করে মাছ-মাংস ভক্ষণ থেকে বিরত থাকেন।<ref>প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, ''রবীন্দ্রজীবনকথা'', পৃ. ৭৫-৭৭</ref>
== ইংরেজি অনুবাদ ==
|