জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বট বানান ঠিক করছে: সংগীত > সঙ্গীত |
Sumitroydipto (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৮২ নং লাইন:
তার উদ্যোগে একটি গোপন সমাজ "সঞ্জীবনী সভা" প্রতিষ্ঠিত হয়। খুব সম্ভবত ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটির সভাপতি ছিলেন [[রাজনারায়ণ বসু]]। এই সমাজ ম্যাচের কাঠি তৈরি এবং হাতে পাকানো কাপড় চালু করার চেষ্টা করেন।<ref name = "Bose184"/>
==স্ত্রীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলন==
স্ত্রীশিক্ষা ও নারীমুক্তি সে যুগে অপরিকল্লপিত বিষয় ছিল। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে লোকের সমালোচনাকে উপেক্ষা করে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন: তাঁর নিজের নিজের সংসারে [[পর্দাপ্রথা|পর্দাপ্রথাকে]] তিনি আমল দেন নি, স্ত্রীকে সকলের সম্মুখে বের করতেন, তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে সান্ধ্যভ্রমণে বের হতেন এবং নিজের শিক্ষা ও শিল্পরুচি দিয়ে স্ত্রীকে সুশিক্ষিতা করে তুলেছিলেন। তিনি তার স্ত্রীর শিক্ষার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাকে কলকাতার মাঝে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ দেন, যা তার সমসাময়িক রক্ষণশীল সমাজবিরোধী।<ref name = "Banglapedia"/>
==বিবাহ ও পরবর্তি জীবন==
জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত জীবন সুখের হয় নি। ১৮৬৮ সালের ৫ জুলাই কাদম্বিনী নামে একটি কিশোরীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়; ঠাকুরবাড়িতে নববধূর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় [[কাদম্বরী দেবী]] (১৮৫৯-১৯৮৪)। <ref name = "Bandopadhyay2"> Bandopadhyay, Hiranmay, ''Thakurbarir Katha'', pp. 113-118</ref> ইনি দেবর [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথের]] সমবয়সী ছিলেন এবং স্বামীর এই কনিষ্ঠ ভ্রাতাটিকে এত স্নেহ করতেন যে কবি সারা জীবন তাঁর অজস্র প্রসঙ্গে তাঁর উল্লেখ করেছেন। যোগ্য স্বামীর পতিব্রতা সহধর্মিনী হয়ে উঠেছিলেন কাদম্বরী; তাদের গৃহে গুনীসমাগম নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। এই মহিলাকে সরণ করে স্বামীর বন্ধু কবি [[বিহারীলাল চক্রবর্তী]] তাঁর '''সাধের আসন''' কাব্যের নামকরণ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই বৌঠানকে উৎসর্গ করেছিলেন একাধিক গ্রন্থ এবং তাঁকে স্মরণে রেখে রচনা করেছেন বহু গান।
পরিতাপের বিষয়, কাদম্বরী দেবী পঁচিশ বছর বয়সে ১৮৮৪ সালের ১৯ এপ্রিলে আত্মহত্যা করেন। <ref name = "Bandopadhyay2"/> রবীন্দ্রনাথ এই মর্মান্তিক শোক সারা জীবন ভুলতে পারেন নি।
থেকে তিনি পরে তিনি রাঞ্চির এবং । এ বাড়িতেই তার মৃত্যু ঘটে।জ্যোতিরিন্দ্রনাথ স্ত্রীর মৃত্যুর পর ক্রমে নিজেকে গুটিয়ে নেন এবং মেজদা সত্যেন্দ্রনাথের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। নিজের কোন সন্তান না থাকায় সত্যেন্দ্রনাথের সন্তানদের সান্নিধ্য তিনি উপভোগ করতেন। শেষ পর্যন্ত তিনি [[কলকাতা]] ছেরে চলে যান, বিহার প্রদেশের [[রাঁচি|রাঁচির]] মোরাবাড়ি পাহাড়ে একটি বাড়ি তৈরি করে বসবাস করতে থাকেন এবং নির্জনবাসে জীবন কাটিয়ে দেন।
==মৃত্যু==
রাঁচিতেই ৭৬ বছর বয়সে প্রায় লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে এই প্রতিভাদীপ্ত পুরুষ পরলোক গমন করেন ১৯৪৫ সালের ৪ঠা মার্চ।<ref> Devi Choudhurani, Indira, ''Smritisamput'', p. 29 </ref>
==সাহিত্য==
|