মানবতাবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
199.164.68.213 (আলাপ)-এর সম্পাদিত 765133 সংশোধনটি বাতিল করো
Xqbot (আলোচনা | অবদান)
r2.5.2) (রোবট পরিবর্তন করছে: nl:Modern humanisme; cosmetic changes
১৩ নং লাইন:
'''মানবতাবাদ''', '''মানবতাবাদী''' সাহিত্যবিষয়ক সংস্কৃতির প্রতিও ইঙ্গিত করতে পারে।<ref>As in ''Literacy and the Survival of Humanism'' by Richard A. Lanham (New Haven: Yale University Press, 1983), or as in the often employed opposition between "scientists" and "humanists" (i.e., teachers of the humanities).</ref>
 
== ইতিহাস ==
 
“মানবতাবাদ” শব্দটি বহু অর্থদ্যোতক। ১৮০৬ সালের দিকে “হিউম্যানিসমাস” শব্দটি জার্মান বিদ্যালয়গুলোতে পঠিত ধ্রুপদী পাঠ্যসূচীকে নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত হত। ১৮৩৬ সালেএর দিকে “হিউম্যানিজম” বা মানবতাবাদ এই অর্থে ইংরেজি ভাষায় ব্যবহার করা শুরু হয়। ১৮৫৬ সালে জার্মান ইতিহাসবেত্তা এবং ভাষাবিজ্ঞানী Georg Voigt<!-- এই ব্যক্তির নামটি অনুবাদ করতে পারছি না, নিবন্ধে যতসব বিদেশী ব্যক্তিত্ব আছে, তাঁদের সবার নাম ঠিকমত অনুবাদ করে দেওয়ার অনুরোধ রইল--> “হিউম্যানিজম” শব্দটিকে রেঁনেসার মানবতাবাদকে নির্দেশ করার জন্য ব্যবহার করেছিলেন, শব্দটির এরুপ ব্যবহার বিভিন্ন দেশের(বিশেষ করে ইতালীর) ইতিহাসবেত্তাদের মাঝে জনপ্রিয়তা লাভ করে।<ref>As J. A. Symonds remarked, “the word humanism has a German sound and is in fact modern” (See ''The Renaissance in Italy'' Vol. 2:71n, 1877). Vito Giustiniani writes that in the German-speaking world “Humanist” while keeping its specific meaning (as scholar of Classical literature) “gave birth to further derivatives, such as ''humanistisch'' for those schools which later were to be called ''humanistische Gymnasien'', with Latin and Greek as the main subjects of teaching (1784). Finally, ''Humanismus'' was introduced to denote ‘classical education in general' (1808) and still later for the epoch and the achievements of the Italian humanists of the fifteenth century (1841). This is to say that ‘humanism’ for ‘classical learning‘ appeared first in Germany, where it was once and for all sanctioned in this meaning by Georg Voigt (1859)", Vito Giustiniani, "Homo, Humanus, and the Meanings of Humanism", ''Journal of the History of Ideas'' 46 (vol. 2, April-June, 1985): 172.</ref> “মানবতাবাদী” শব্দটির উপরোক্ত ব্যবহার পঞ্চদশ শতাব্দীর ইতালীয় শব্দ “ইউমানিস্তা” থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা সেই ব্যক্তিকে নির্দেশ করে যিনি ধ্রুপদী [[গ্রীক]] ও [[লাতিন]] সাহিত্য নিয়ে শিক্ষকতা বা গবেষণা করেন। শব্দটি এই বৃত্তির পেছনের [[নৈতিক দর্শন|নৈতিক দর্শনকেও]] নির্দেশ করে।
২৯ নং লাইন:
একই সময়ে জার্মানীতে মানবকেন্দ্রীক দর্শনের অর্থে “মানবতাবাদ” শব্দটি তথাকথিত বাম হেগেলবাদীদের দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছিল। আর্নল্ড রুজ এবং কার্ল মার্ক্স স্বৈরাচারী জার্মান সরকারে গীর্জার প্রভাবের তীব্র সমালোচক ছিলেন। শব্দটির বিভিন্ন অর্থ নিয়ে অনেক আগে থেকেই বিভ্রান্তি বিরাজমান হয়ে আসছে<ref>An account of the evolution of the meaning of the word ''humanism'' from the point of view of a modern secular humanist can be found in [[Nicolas Walter]]'s ''Humanism{{Ndash}} What's in the Word'' (London: [[Rationalist Press Association]], 1997 ISBN 0-301-97001-7). From the same perspective, but somewhat less polemical, can be found in Richard Norman's ''On Humanism (Thinking in Action)'' (London: Routledge: 2004). For a historical and [[philological]]ly oriented view see Vito Giustiniani, "Homo, Humanus, and the Meanings of Humanism" (1985), cited above.</ref>: দার্শনিক মানবতাবাদীরা অনেকটা ভুল করেই মনে করতেন যে অতীতের বিখ্যাত মানবতাবাদী এবং যুক্তিবাদী দার্শনিকরা তাঁদের মত ধর্মবিরোধী মনোভাব পোষণ করতেন।
 
=== প্রাচীণ গ্রিক মানবতাবাদ ===
 
খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের প্রাক-সক্রেটীয় দার্শনিক [[থেলিস]] এবং [[ক্সেনোফানিজ]] প্রথম পুরাণ ও প্রথার সাহায্য ছাড়া স্রেফ যুক্তি দিয়ে বস্তু জগতকে ব্যাখ্যা করার প্রয়াস নেন, অতএব, তাঁদেরকেই প্রথম গ্রিক মানবতাবাদী বলা যায়। থেলিস [[নরাত্বারোপ|নরাত্বারুপ]] ঈশ্বরের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন এবং থেলিস তাঁর সময়কার ঈশ্বরদের প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এই আয়োনীয় গ্রীকরাই প্রথম দাবি করেছিলেন যে প্রকৃতিকে অলৌকিকতা ছাড়াই ব্যাখ্যা করা যায়। [[আনাক্সাগোরাস]] দর্শনশাস্ত্র ও যুক্তিবাদী অনুসন্ধানকে আয়োনিয়া থেকে [[এথেন্স|এথেন্সে]] আমদানি করেছিলেন। এথেন্সের নেতা [[পেরিক্লিস]] [[আনাক্সাগোরাস|আনাক্সাগোরাসের]] গুণমুগ্ধ ছিলেন। [[প্রোতাগোরাস]] ও [[দেমোক্রিতোস|দেমোক্রিতোসও]] একই ঘরানার [[দার্শনিক]]। এসব দার্শনিকদের রচনাসমগ্র প্রায় পুরোটাই হারিয়ে গিয়েছে, [[প্লাতো]] এবং [[আরিস্ততল|আরিস্ততলের] কর্ম থেকেই মূলত এঁদের সম্পর্কে জানা গিয়েছে। খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে [[এপিকুরোস]] পাপের সমস্যা প্রস্তাব করে বিখ্যাত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন প্রথম গ্রিক দার্শনিক যিনি নারী শিক্ষার্থী গ্রহণ করেছিলেন। তিনি পরকালে অবিশ্বাসী ছিলেন।
 
=== প্রাচীন এশীয় মানবতাবাদ ===
 
অলৌকিকতাবিরোধী মানবকেন্দ্রীক চিন্তাভাবনা ভারতীয় দর্শনের লোকায়ত ব্যবস্থায়ও দেখা যায়, যা প্রায় এক সহস্র খ্রীষ্টপূর্ব বছর পুরনো। খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে গৌতম বুদ্ধ [[পালি]] সাহিত্যে অলৌকিকতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।<ref>{{cite web|title=Lesson 1: A brief history of humanist thought|url=http://humanisteducation.com/class.html?module_id=1&page=1|work= Introduction to Humanism: A Primer on the History, Philosophy, and Goals of Humanism|publisher=The Continuum of Humanist Education|accessdate=21 August 2009}}</ref> চীনে হুয়াংদি, ইয়াও, সুং হলেন কয়েকজন বিখ্যাত মানবতাবাদী। [[কনফুসিয়াস]] ধর্মনিরপেক্ষ নৈতিকতার শিক্ষা দিতেন।
 
=== মধ্যযুগীয় আরব মানবতাবাদ ===
 
অনেক মধ্যযুগীয় আরব চিন্তাবিদরা জ্ঞান অন্বেষণে মানবতাবাদী, বৈজ্ঞানিক এবং যুক্তিবাদী পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন। প্রেম, কবিতা, ইতিহাস এবং দার্শনিক ধর্মতত্বের উপর অনেক আরব রচনা ইঙ্গিত করে যে তৎকালীন মুসলমান বিশ্বে ব্যক্তিত্ববাদ এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতা, সংশয়বাদ ও উদারপন্থী মতবাদের অস্তিত্ব ছিল।<ref name=Goodman>Lenn Evan Goodman (2003), ''Islamic Humanism'', p. 155, Oxford University Press, ISBN 0-19-513580-6.</ref> মধ্যযুগে মুসলমান বিশ্বের উন্নতির পেছনে আরেকটি কারণ ছিল মত স্বাধীনতার নিশ্চয়তা। ধর্মীয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে যুক্তির মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করার উদ্দেশ্যে খলিফা আল-মামুনের আত্মীয় আল-হাশিমি দ্বারা রচিত একটি পত্রে আমরা দেখতে পাই,
৪৬ নং লাইন:
 
 
=== রেনেসাঁসের মানবতাবাদ ===
 
রেনেসাঁসের মানবতাবাদ হল মধ্যযুগের শেষ ভাগের এবং প্রাক-আধুনিক যুগের একটি বৌদ্ধিক আন্দোলন। ঊনবিংশ শতকের জার্মান ঐতিহাসিক জর্গ ভয়গত্(১৮২৭-৯১) [[ফ্রাঞ্চেসকো পেত্রারক|পেত্রারককে]] প্রথম রেনেসাঁসের মানবতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করেন। [[পল জনসন|পল জনসনও]] স্বীকার করেন যে পেত্রারক ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি বলেছিলেন যে [[রোম|রোমের]] পতন এবং আধুনিক যুগের মধ্যবর্তী শতকগুলো ছিল অন্ধকারের যুগ। পেত্রারকের মতে, বিশিষ্ট ধ্রুপদী লেখকদের কর্মকে অধ্যায়ন ও অনুশীলন করেই কেবল এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। পেত্রার্ক এবং বোক্কাচ্চিওর প্রধান গুরু ছিলেন সিসেরো, যাঁর লেখনশৈলী লাতিন এবং ইতালীয় ভাষার আদর্শ ছিল।
৫৮ নং লাইন:
রেনেসাঁসের সময় মনে করা হত যে প্রাচীন জ্ঞানের অধ্যায়ন(যেমন গীর্জার ফাদারদের লেখা, গ্রিক ভাষার খ্রীষ্টিয় গসপেল, ইহুদিদের কাব্বালা) একটি সাধারণ বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।<ref>To later generations, the Dutch humanist, [[Desiderius Erasmus]], epitomized this reconciling tendency). According to the ''[[Stanford Encyclopedia of Philosophy]]'', "[[European Enlightenment|Enlightenment]] thinkers remembered Erasmus (not quite accurately) as a precursor of modern intellectual freedom and a foe of both Protestant and Catholic dogmatism."[http://plato.stanford.edu/entries/erasmus/. Erasmus himself was not much interested in the Kabbala, but several other humanists were, notably Pico della Mirandola]. See [[Christian Kabbala]].)</ref> একারণে রেঁনেসার ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ মানবতাবাদীদের, অতীত পর্যালোচনা করলে, বেশ ভালই মতস্বাধীনতা দিয়েছিল।<ref>{{cite book|last1=Bergin|first1=Thomas|last2=Speake|first2=Jennifer|title=The Encyclopedia of the Renaissance|year=1987|publisher=Facts On File Publications|location=Oxford|pages=216–217}}</ref><ref>"Only thirteen of Pico della Mirandola's nine hundred theses were thought theologically objectionable by the papal commission that examined them.... [This] suggests that, in spite of his publicly expressed contempt in his ''Apologia'' for their intellectual inadequacies, the Curial authorities hardly saw these theses as the work of a dangerous theological modernist like Luther or Calvin. Unorthodox though they were, most of the issues raised in them had been the subject of theological dispute for centuries and the commission . . . condemned him not for innovations but for 'reviving several of the errors of gentile philosophers which are already disproved and obsolete.'” Davies (1997), p 103.</ref>
 
==== রেনেসাঁস মানবতাবাদের পরিণতি ====
 
প্রাচীন পান্ডুলিপিগুলোর পুনঃআবিস্কার অতীতের দার্শনিক মতবাদ সম্পর্কে মানুষের জ্ঞানকে দৃঢ় করেছিল। এপিকুরোসবাদ এবং নব্য-প্লাতোবাদের পৌত্তলিক জ্ঞান এই মানবতাবাদীদের কাছে ঐশী মনে হয়েছিল এবং একারণে তাঁদের কাছে খ্রীষ্টীয় মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয়েছিল।<ref>{{cite encyclopedia|title=Humanism|encyclopedia=Encyclopedic Dictionary of Religion|volume=F-N|pages=1733|publisher=Corpus Publications|year=1979|isbn=0-9602572-1-7}} "Renaissance humanists rejoiced in the mutual compatibility of much ancient philosophy and Christian truths", M. A. Screech, ''Laughter at the Foot of the Cross'' (1997), p. 13.</ref> প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সাহিত্য ইউরোপে বিজ্ঞানের উন্নয়ন সাধনে ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু রেনেসাঁসের মানবতাবাদীরা, যাঁরা প্রাচীন জ্ঞানে মুগ্ধ ছিলেন, বৈজ্ঞানিক আবিস্কারে মোটেই আগ্রহী ছিলেন না। ষোড়শ শতাব্দীর মধ্য ও শেষ ভাগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, যদিও তারা স্কল্যাসটিসিজমের বিশ্বাস করত, আরিস্ততলের লেখাগুলোকে রেনেসাঁসের শব্দতত্ত্ব অনুযায়ী সম্পাদনা করে অধ্যায়ন করা শুরু করেছিল। এখানেই স্কল্যাসটিসিজমের সাথে গ্যালিলিওর ভবিষ্যত দ্বন্দ্বের মঞ্চ স্থাপিত হয়েছিল।<!-- scholasticism এর বাংলা অনুবাদ করে দিন -->
৬৪ নং লাইন:
[[লিওনার্দো দা ভিঞ্চি]] যেমন মানবতাবাদী না হয়েও মানবদেহ, প্রকৃতি এবং আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা কে উৎসাহিত করে রেনেসাঁসের শিল্প-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে চাইতেন, স্প্যানিশ মানবতাবাদী জোয়ান লুই ভিভও পর্যবেক্ষণ, শিল্প-কৌশল ইত্যাদিকে উৎসাহিত করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরিস্ততোলিয় দর্শনের শিক্ষণ-পদ্ধতিকে উন্নত করার প্রয়াস নিয়েছিলেন। এভাবে তাঁরা মধ্যযুগীয় স্কল্যাসটিসিজমকে উৎখাত করতে চেয়েছিলেন।<ref>{{cite book|last=Gottlieb|first=Anthony|title=The Dream of Reason: a history of western philosophy from the Greeks to the Renaissance|publisher=W. W. Norton & Company|location=New York|year=2000|pages=410–411}}</ref> এভাবেই প্রকৃতির দর্শনে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ জায়গা করে নিয়েছিল এবং রেঁনেসা পরবর্তীয় বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের যুগের অবতারণা ঘটাতে সাহায্য করেছিল।<ref>{{cite encyclopedia|last=Alleby|first=Brad|title=Humanism|encyclopedia=Encyclopedia of Science & Religion|volume=1|edition=2nd|publisher=Macmillan Reference USA|year=2003|pages=426–428|isbn=0-02-865705-5}}</ref>
 
=== রেনেসাঁস থেকে আধুনিক মানবতাবাদ ===
 
রেনেসাঁস থেকে ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর মানবতাবাদে বিবর্তনের পেছনে দু’জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন- [[গ্যালিলিও গ্যালিলি|গ্যালিলিও]] এবং [[ইরাসমুস]]। রেনেসাঁসের সময়ে মানবতাবাদ বলতে মানবতা নিয়ে চিন্তাভাবনাকেই বুঝাত, অনেক সমসাময়ীক মানবতাবাদী এর সাথে তাঁদের ধর্মের কোন বিভেদ পরিলক্ষণ করতেন না।
৭২ নং লাইন:
</blockquote><ref>Os Guinness - The Dust of Death (Intervarsity Press 1973) p. 5</ref>
 
=== ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দী ===
 
“মানবতার ধর্ম” কথাটির সাথে মাঝে মাঝে আমেরিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা [[টমাস পেইন|টমাস পেইনকে]] সম্পর্কায়িত করা হয়, যদিও এখন পর্যন্ত্য তাঁর কোন লেখায় এ সম্পর্কে কিছু পাওয়া যায়নি। টনি ডেভিসের মতে,
১১১ নং লাইন:
২০০৪ সালে ''আমেরিকান হিউম্যানিস্ট এসোসিয়েশন'' অন্য সব নাস্তিক্যবাদী, মুক্তচিন্তক এবং সংশয়বাদী সংগঠণের সাথে সম্মিলিত হয়ে ''সেকুলার কোয়ালিশন ফর আমেরিকা'' গঠণ করে, যা ওয়াশিংটন ডিসিতে রাষ্ট্র ও উপাসনালয়ের পৃথকীকরণের পাশাপাশি আমেরিকাতে নির্ধার্মিকদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রচারনা চালায়। সংগঠণটির কার্যকরী পরিচালক হলেন শন ফেয়ারক্লথ, আমেরিকার মাইন প্রদেশের বিধানসভার একজন দীর্ঘ দিনের সভ্য।
 
==== ধর্মের প্রতি মনোভাব ====
 
১৯৩৩ সালের প্রথম মানবতাবাদী মেনিফেস্টোতে স্বাক্ষর করা ব্যক্তিরা নিজেদেরকে ধার্মিক মানবতাবাদী হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তাঁরা যেহেতু মনে করেছিলেন যে প্রচলিত ধর্মগুলো মানুষের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছিল, তাই তাঁরা একটি নতুন ধর্ম প্রবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। এর পর প্রথমটি আরও দু’টি মেনিফেস্টো দিয়ে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
১৩৭ নং লাইন:
| page=299}}</ref> এবং সংশয়বাদের<ref>Winston, Robert (Ed.) (2004). Human. New York: DK Publishing, Inc. p. 299. ISBN 0-7566-1901-7. "Neither atheism nor agnosticism is a full belief system, because they have no fundamental philosophy or lifestyle requirements. These forms of thought are simply the absence of belief in, or denial of, the existence of deities."</ref> সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিন্তু নাস্তিক বা সংশয়বাদী হলেই কেউ মানবতাবাদী হতে পারবে না।<ref>Note: The topic of this article has a small initial character as Wikipedia guidelines prescribe for the name of a philosophy. The ''life stance'' named Humanism is capitalized as prescribed for the name of a religion in [[Humanism (life stance)|its dedicated article]], but left lower-case elsewhere to encompass life-stance, religious, and secular "humanism."</ref>
 
==== জ্ঞান ====
 
করলিস ল্যামন্ট এবং [[কার্ল সেগান|কার্ল সেগানের]] মত আধুনিক মানবতাবাদীরা মনে করেন যে যুক্তি এবং পর্যবেক্ষণই জ্ঞানের একমাত্র উৎস। তাঁরা [[বৈজ্ঞানিক সংশয়বাদ]] এবং [[বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি|বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির]] জোড় সমর্থক। তাঁরা আরও বলেন যে ভাল-মন্দ সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলো ব্যক্তি ও সমাজের উপকারের আলোকে নিতে হবে। একটি নৈতিক দর্শন হিসেবে মানবতাবাদ অমর সত্ত্বার মত কোন [[অধিবিদ্যা|অধিবৈদিক]] অবভাসের অস্তিত্ব নিয়ে মাথা ঘামায় না, এটি শুধুই মানুষের সাথে সম্পর্কিত।<ref>
১৫১ নং লাইন:
| isbn=0-931779-07-3}}</ref>
 
==== আশাবাদ ====
 
সমসাময়ীক মানবতাবাদ মানুষের ক্ষমতা সম্পর্কে আশাবাদী, কিন্তু মানবতাবাদ বলে না মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই নীতিবান অথবা কোন প্রকার সাহায্য ছাড়াই মানুষের পক্ষে নৈতিক উৎকর্ষতা লাভ করা সম্ভব। মানবতাবাদের প্রধান লক্ষ্য হল মানুষের উন্নতি সাধন করা(যেখানে ধর্মের লক্ষ্য হল ঈশ্বরের বন্দনা করা) এবং জীবজগতে সবচেয়ে সচেতন প্রাণী হিসেবে সব অনুভবক্ষম প্রাণী, এবং অবশেষে পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য কাজ করা। অর্থাৎ, মানবতাবাদী কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হল এই জীবনটি সুন্দরভাবে যাপন করা এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য, মনোরম পরিবেশ রেখে যাওয়া।
 
==== সাম্প্রতিক মানবতাবাদী মেনিফেস্টো এবং বিবৃতি ====
 
* [http://www.americanhumanist.org/who_we_are/about_humanism/Humanist_Manifesto_I Humanist Manifesto I] (১৯৩৩)
১৬৩ নং লাইন:
* [http://www.americanhumanist.org/who_we_are/about_humanism/Humanist_Manifesto_III Humanist Manifesto III] (২০০৩)
 
== ভিন্ন তরিকার মানবতাবাদ ==
 
=== শিক্ষাবৃত্তিক মানবতাবাদ ===
 
শিক্ষার ধারা হিসেবে মানবতাবাদ সপ্তদশ শতকে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা-ব্যবস্থাকে শাসন করেছিল। এই মতাদর্শ দাবি করত যে যেসব বিষয় মানুষের মেধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, সেসব বিষয়ই মানুষকে “সত্যিকারের মানুষ” এ রুপান্তরিত করে। এর ব্যবহারিক ভিত্তি ছিল বিভাগীয় মনোবিজ্ঞান- গাণিতিক, বিশ্লেষণী, ভাষাবিদ্যা সংক্রান্ত বিভাগের মত বৌদ্ধিক বিভাগে বিশ্বাস। বলা হত যে একটি বিভাগকে উন্নত করলে অন্য বিভাগগুলোও উন্নত হবে। ঊনবিংশ শতকের এই আন্দোলনের একজন গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হলেন উইলিয়াম টোরি হ্যারিস, যাঁর “আত্মার পাঁচ জানালা”(গণিত, ভূগোল, ইতিহাস, ব্যাকরণ এবং সাহিত্য/শিল্পকলা) এই বৌদ্ধিক বিভাগগুলোর উন্নয়নের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে বিশ্বাস করা হত। কিছু নাৎসী নির্যাতন শিবিরের প্রহরীদের মার্জিত রুচির সংস্কৃতবোধের দিকে ইঙ্গিত করে টেরী ঈগলটনের মত [[মার্ক্সবাদ|মার্ক্সবাদীরা]] এরুপ দাবির সমালোচনা করেছেন।
 
== আরও দেখুন ==
 
* [[যুক্তিবাদ]]
১৭৭ নং লাইন:
 
 
== তথ্যসূত্র ==
<references/>
 
 
[[বিষয়শ্রেণী:দর্শন]]
২২৩ ⟶ ২২২ নং লাইন:
[[mk:Хуманизам]]
[[ml:മാനവതാവാദം]]
[[nl:HumanismeModern humanisme]]
[[no:Humanisme]]
[[oc:Umanisme]]