নবান্ন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''নবান্ন''' একটিবাংলাদেশের ঐতিহ্য শস্যোৎসব।স্যোৎসব। বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয়, নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম।<ref name=lokbiswakosh>''বাংলার লোকসংস্কৃতির বিশ্বকোষ'', ড. দুলাল চৌধুরী সম্পাদিত, আকাদেমি অফ ফোকলোর, কলকাতা, ২০০৪, পৃ. ৩২১-২২</ref> "নবান্ন" শব্দের অর্থ "নতুন অন্ন"।<ref name=lokbiswakosh/> নবান্ন উৎসব হল নতুন [[আমন ধান]] ওঠারকাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম ব্যবহাররান্না উপলক্ষ্যে আয়োজিত উৎসব।<ref name=lokbiswakosh/> সাধারণত [[অগ্রহায়ণ]] মাসে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।<ref name=lokbiswakosh/> কোথাও কোথাও [[মাঘ]] মাসেও নবান্ন উদযাপনের প্রথা রয়েছে।<ref name = bharatkosh>"নবান্ন", চিন্তাহরণ চক্রবর্তী, ''ভারতকোষ'', চতুর্থ খণ্ড, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ, কলকাতা, ১৯৭০, পৃ. ১৬০</ref> অমুসলিম রীতিতে নবান্ন অনুষ্ঠানে নতুন অন্ন পিতৃপুরুষ, দেবতা, কাক ইত্যাদি প্রাণীকে উৎসর্গ করে এবং আত্মীয়-স্বজনকে পরিবেশন করার পর<ref name=lokbiswakosh/> গৃহকর্তা ও পরিবারবর্গ নতুন গুড় সহ নতুন অন্ন গ্রহণ করেন।<ref name = bharatkosh/> নতুন চালের তৈরি খাদ্যসামগ্রী কাককে নিবেদন করা নবান্নের অঙ্গ একটি বিশেষ লৌকিক প্রথা। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, [[কাক|কাকের]] মাধ্যমে ওই খাদ্য মৃতের আত্মার কাছে পৌঁছে যায়। এই নৈবেদ্যকে বলে কাকবলী।"কাকবলী"।<ref>''বাংলার লোক-সংস্কৃতি'', আশুতোষ ভট্টাচার্য, ন্যাশানাল বুক ট্রাস্ট, ইন্ডিয়া, নতুন দিল্লি, ২০০৫, পৃ.৭০-৭১</ref> অতীতে [[পৌষ সংক্রান্তি|পৌষ সংক্রান্তির]] দিনও গৃহদেবতাকে নবান্ন নিবেদন করার প্রথা ছিল।<ref name = bharatkosh/>
 
নবান্ন উৎসব হিন্দুদের একটি প্রাচীন প্রথা। হিন্দুশাস্ত্রে নবান্নের উল্লেখ ও কর্তব্য নির্দিষ্ট করা রয়েছে।<ref name=lokbiswakosh/> হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, নতুন ধান উৎপাদনের সময় পিতৃপুরুষ অন্ন প্রার্থনা করে থাকেন। এই কারণে হিন্দুরা পার্বণ বিধি অনুযায়ে নবান্নে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে থাকেন। শাস্ত্রমতে, নবান্ন শ্রাদ্ধ না করে নতুন অন্ন গ্রহণ করলে পাপের ভাগী হতে হয়।<ref name=lokbiswakosh/>